বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত টাকা জেনে নিন

যারা নেপালে ভ্রমণ করতে চান তাদের খরচ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাহলে সুবিধা হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত? সম্পর্কে জানলে আপনি অতি সহজে ভ্রমন করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে আপনি খুবই কম টাকায় নেপাল ভ্রমণ করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আমরা যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পছন্দ করে থাকি, তারা সবসময় ভ্রমণ করতে ভালবাসে। যেহেতু আপনার ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে ধারণা নাই, সে ক্ষেত্রে সামনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত টাকা জেনে নিন

বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ

অনেকেই নেপাল ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত? সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। যদি আপনি কম খরচে নেপাল ভ্রমণ করতে চান তাহলে জানতে হবে। চলুন, কত টাকা খরচ হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড় পরবত, হিমালয় ইত্যাদি রয়েছে, যা দেখতে মনোমুগ্ধকর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর। তাই এই দেশটিতে ভ্রমণ করলে আপনার ভালো লাগবে। তাই একবার হলেও নেপালে ঘুরে আসতে পারেন কেননা বাংলাদেশের খুবই নিকটবর্তী দেশ। যা খুবই কম খরচে আপনি ভ্রমণ করে আসতে পারবেন।

তাছাড়া বাসে চরে ও সড়ক পথে আপনি কম খরচে নেপালে ভ্রমন করতে পারবেন। শুধুমাত্র ভারতের ট্রানজিট ভিসা লাগবে, আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষের নেপালে ভ্রমণ করতে যায়। তাছাড়া আপনিও যদি যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে চলুন কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

যারা ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে থাকেন তারা অবশ্যই এই দেশটিতে যাবেন। তবে কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে? বাসের মাধ্যমে কিভাবে যাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। হিমালয় কন্যা হিসেবে এই দেশটি পরিচিত, তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আবহাওয়া খুবই মনোমুগ্ধকর।

তাছাড়া এখানে মাউন্ট এভারেস্ট আছে, অনেক বছরের পুরনো মন্দির যা আকাশের সাথে মিশে যাচ্ছে। এরকম পর্বতমালা জলপ্রপাত এছাড়া প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় অনেক কিছু রয়েছে। যা আমরা ভ্রমণের মাধ্যমে জানতে পারবো। এখানে এভারেস্ট জয় করার জন্য অনেক মানুষ ভিড় করে থাকে, তাই প্রতিবছরই হাজারো মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসে।

তাছাড়া এর রাজধানী কাঠমান্ডু বহুৎ মানুষ ঘুরতে আসে। এ দেশটিতে বেকারি এর দোকান এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দোকান আপনি ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন। যা আপনার কাছে মনে হবে ড্রিসল্যান্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়, তবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি লোকজন আসে। এই সময়ে আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং হিমালয় অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরে।

আপনি যদি এর রাজধানীতে বেড়াতে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়তে পারে ১৮ থেকে ১৯ হাজার টাকার মতো। এখানে আপনি প্যাকেজ পাবেন তিন রাত চার দিনের মত। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্যাকেজ মূল্য ৩১ হাজার টাকার মতো।

হোটেলের কোয়ালিটির উপনির্ভর করবে আপনার কত টাকা লাগতে পারে, সে ক্ষেত্রে ভালো মানের হোটেলে যদি আপনি থাকা খাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে প্যাকেজ হিসেবে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩২ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

এই প্যাকেজের মাধ্যমে বিমান ভাড়া, সকালের নাস্তা করা, ঘুরে বেড়া দেখানো সব কিছুই এর ভিতর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাছাড়া ১৪০০০ টাকা এর সাথে আরো যোগ করলে অন্য জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনি ছয় দিন পাঁচ রাতের প্যাকেজটা পাবেন ৩৮ হাজার টাকায়। এছাড়া তিন দিন দুই রাতে এর জন্য ২৭৫০০ টাকার মতো লাগতে পারে। এছাড়া চাইলে আপনি পাঁচ তারা হোটেলেও থাকতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার প্যাকেজের মূল্য পড়বে ৪৩ হাজার টাকার মতো।

দর্শনীয় স্থানসমূহঃ এই দেশের মধ্যে সবচাইতে দর্শনীয় স্থান হল রাজধানী এটাকে ভ্রমণের প্রবেশদ্বার বলা হয়। আপনি এখানে গিয়ে বহুৎ প্রাচীন মন্দির দেখতে পারবেন এছাড়াও বৈদ্যনাথ মন্দিরও দেখতে পারবেন। এটা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত যেখানে মনোরঞ্জন ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। বিশেষ করে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্ত এর দৃশ্যটা দেখতে পারবেন।

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের গুহা ও নদী মেলা দেখতে পারবেন। বিশেষ করে গুপ্তেশ্বর গুহা, এছাড়াও এখানে যে নদীগুলো রয়েছে সেই নদীর পানি সাধারণত সাদা হয়ে থাকে। এখান থেকে আপনি লেক দেখতে পারবেন, নৌকা ভ্রমণ করতে পারবেন, সূর্য উদয় দেখার মত সুযোগ পাবেন। আরো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারবেন।

যেভাবে আপনি যেতে পারেনঃ সড়ক পথে আপনি ভারতের মধ্য দিয়ে যেতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনার রানীগঞ্জ হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ভিসা এন্ট্রি করতে হবে। তার জন্য আপনি প্রথমে বুড়িমারী বর্ডারে বাসের মাধ্যমে যাবেন সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজগুলো করতে পারবেন।

এরপরে শিলিগুড়ি থেকেও বাসের মাধ্যমে সরাসরি ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ করবেন এরপর যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ১ হাজার থেকে ১২০০ রুপির মত প্রত্যেক ব্যক্তির খরচ হতে পারে এবং সময় ১২ ঘন্টার মত লাগতে পারে। তবে বর্তমানে আপনি শ্যামলী ট্রাভেলস বাসের মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারবেন।

যেখানে থাকবেনঃ অনেকেই থাকার সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন তাদের জন্য সবচাইতে নির্ভরযোগ্য স্থান হল থামেল। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের হোটেল পাবেন এক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১৮০০ রুপির মত খরচ হতে পারে।

যেখানে খাবেনঃ এখানে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার পাবেন সেখানে বাংলাদেশের খাবারের মাঝে ভাতের সন্ধানেও পাবেন, ভাত খেতে পারবেন। তাই বাঙালি হিসেবে ভাত খেয়ে নিতে পারেন এর সাথে ডাল, মাছ, মুরগি, সালাদ, শাক, পাপড় ইত্যাদি থাকে যা খুবই সুস্বাদু লাগবে।

ভ্রমণে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ আপনি যদি বছরে একবার এই দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা লাগেনা কিন্তু দ্বিতীয়বার যদি এক বছরের মধ্যে আবার যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা ফ্রি প্রযোজ্য থাকবে। এক্ষেত্রে ভিসাটি আপনি ৩০ দিনের জন্য পেতে পারেন।

নিরাপত্তাঃ এদেশে সাধারণত নিরাপত্তার ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো পর্যটকদের উচিত স্থানীয়দের সাথে সহযোগিতা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে চলতে হবে। রাতের বেলায় নির্জন স্থানে চলাফেরা করা যাবে না, নিজের মূল্যবান জিনিসপত্র দিকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে কি ভিসা লাগে

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই নেপালে যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে কি ভিসা লাগে? বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে এর উপর নির্ভর করবে কোন ভিসার করে আপনি যাবেন।

অনেকেই ভ্রমণ, চিকিৎসা, কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি ভিসা গুলো রয়েছে যে কোন একটি ভিসায় আবেদন করেতে পারবেন। এর সাথে আরো কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।

তার মধ্যে যেমন পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে। এছাড়াও ছবি, আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনের জন্য ভিসা ক্যাটাগরির উপরে আবেদন ফি নির্ভর করবে। এজন্য সাধারণত সর্বনিম্ন আবেদন ফি ধরা হয় ১৫০০ টাকার মত।

যদি আপনি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্য অথবা চিকিৎসা করার উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে অল্প টাকা লাগবে। কেননা টুরিস্ট বা পর্যটক হিসেবে এই দেশটিতে অনেক মানুষ গিয়ে থাকে, বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকজন ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে এবং পর্যটক হিসেবেই যায়। তাই এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অন এরাইভাল ভিসা সুযোগটা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ পত্র নেওয়া লাগবে।

বাংলাদেশ থেকে নেপাল বিমান ভাড়া

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল বিমান ভাড়া কত হতে পারে এ সম্পর্কে আপনি একটি ধারণা নিতে পারেন। চলুন, এ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাক।
ছবি
এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিমান রয়েছে, বিমানের কোয়ালিটি এবং সেবার উপনির্ভর করবে বিমানের ভাড়া। আপনি কোন ধরনের বিমানের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে টাকার পরিমাণটা। বিভিন্ন ধরনের বিমান রয়েছে তার মধ্যে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় ইকোনোমিক ক্লাস এবং আরেকটি হল বিজনেস ক্লাস এই দুইটা বিমানের মাধ্যমে যাওয়া হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ইকোনোমিক ক্লাসের বিমান ভাড়া হতে পারে ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত আর যদি বিজনেস ক্লাস বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ২৩ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
হিমালিয়া এয়ারলাইন্সঃ এই বিমানটির মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস বিমানের ভাড়া হবে ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকার মতো কিন্তু এই বিমানের কোন বিজনেস ক্লাস বিমান নাই।

ভিস্তারা এয়ারলাইন্সঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস বিমানের ভাড়া হবে ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকার মত। এছাড়া যদি আপনি বিজনেস ক্লাসের বিমানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৩ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি দেশটিতে যাওয়ার ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস এর ভাড়া হতে পারে ২৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। যদি আপনি বিজনেস ক্লাস বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩৬ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সঃ যদি এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ইকনোমিক ক্লাস এর ভাড়া হবে ৩৮ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো কিন্তু বিজনেস ক্লাসের বিমানে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৬৫ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকার মত খরচ হবে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সঃ এই বিমানের মাধ্যমে যখন আপনি যাবেন সেক্ষেত্রে বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া হবে ৩৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং ইকোনমিক বিমানের ভাড়া হবে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো।

থাই এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস বিমান এর ভাড়া হবে ৪০ হাজার থেকে ৪৬ হাজার টাকার মতো কিন্তু বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া হবে ৪৭ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মত।

মালিন্দো এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া হবে ৫৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো কিন্তু যদি ইকোনোমিক ক্লাস বিমানে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৪২ হাজার থেকে ৫২ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

কাতার এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস বিমানের ভাড়া হবে ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মত কিন্তু যদি আপনি বিজনেস ক্লাসের ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।

নেপাল ভিসা আবেদন

নেপালে যে কোন ভিসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নেপাল ভিসা আবেদন করা লাগবে। সে ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়। সে কাগজপত্র গুলো আপনাকে সংগ্রহ রাখতে হবে। সাধারণত টুরিস্ট ভিসার জন্য বাংলাদেশের লোকজন বেশি আবেদন করে থাকে। চলুন, এই আবেদনের ক্ষেত্রে কি কি কাগজ লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
  • আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্য আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
  • এছাড়া আপনার অবশ্যই কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি একটি পাসপোর্ট লাগবে, অবশ্যই পাসপোর্টটা বৈধ হতে হবে।
  • তাছাড়া এর কমপক্ষে দুটি পৃষ্ঠা ফাঁকা রাখা প্রয়োজন, এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত তথ্য রাখার জন্য দুইটা ফটোকপি প্রয়োজন।
  • সাম্প্রতিক তোলা আপনার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে, অবশ্যই একটি করে বেশি নিবেন কেননা আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
  • আপনি যে হোটেলে অবস্থান করবেন তার বুকিং টিকিট এর প্রিন্ট কপির প্রয়োজন হবে।
  • এছাড়া ফিরতি ফ্লাইট টিকিট এর প্রিন্ট কপি দিতে হবে।
  • কমপক্ষে তিন মাসের পূর্বের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • আপনি যে ভিসা ফি পরিশোধ করেছেন তার রশিদ প্রয়োজন হবে।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলো সাধারণত ভ্রমণ বিষয়ক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। এই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখবেন কিন্তু আপনি যদি ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে ভিসা করতে চান সেই ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা হল;
  • ট্রেড লাইসেন্স এর ইংরেজি অনুবাদ করে করে নিতে হবে।
  • নোটারীকৃত আসল কপি প্রয়োজন হবে
  • বাংলার ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে
  • বাংলার ট্রেড লাইসেন্স দেখানোর প্রয়োজন
  • বিজনেস কার্ড দেওয়া লাগবে।
চাকুরীজীবী পাসপোর্ট হিসেবে যেতে চান সেক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র আপনাকে জমা দেওয়া লাগবে তা হল;
  • অফিশিয়াল প্রত্যয়নপত্র এর ইংরেজি অনুবাদ কপি নিতে হবে
  • নোটারীকৃত কপির মূল কপি প্রয়োজন হবে
  • বাংলার ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন
  • বিজনেস কার্ড ও পরিচয় পত্র অবশ্যই দিতে হবে।
ছাত্র হিসেবে যদি পাসপোর্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে যে কাগজপত্র গুলো আপনাকে জমা দেওয়া লাগবে;
বৈধ পরিচয় পত্র দিতে হবে, সর্বশেষ পাসকৃত সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি লাগবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্থানপত্র প্রয়োজন হবে।

এছাড়া আরও আপনাকে অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজপত্র দেওয়া লাগবে। তাই আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সংগ্রহ করে রাখবেন। যাতে করে আপনার আবেদনের ক্ষেত্রে জমা দিতে পারেন এবং কোন ভুল যেন না হয় অবশ্যই অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

বাংলাদেশ থেকে নেপালের দূরত্ব কত কিলোমিটার

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে নেপালের দূরত্ব কত কিলোমিটার? বাংলাদেশ থেকে খুবই নিকটবর্তী এই দেশটি তাই দূরত্ব সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যারা ঢাকা থেকে এ দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার দূরত্ব সম্পর্কে জানা থাকলে সুবিধা হবে। তাই ঢাকা থেকে এই দেশের দূরত্ব প্রায় ৯৭৫কিলোমিটারের মতো। আর যদি আপনি ঢাকা থেকে এদেশে মাইল হিসেবে যেতে চান সেক্ষেত্রে দূরত্ব প্রায় ৬০৫ মাইলের মত হবে।

বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে কত সময় লাগে

যদিও দেশটি অনেক কাছাকাছি তারপরও অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে কত সময় লাগে? এটা আসলে নির্ভর করবে বিমানের উপরে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যদি আপনি ভালো কোন বিমানের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সময় খুবই কম লাগবে আবার যদি লোকাল বিমানে যান সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে। যদি আপনি ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর মাধ্যমে ভালো বিমানের যদি যেতে পারেন তাহলে ২ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা ২০ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে।

নেপাল এর বিভিন্ন বিষয়ে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

ভিসা ছাড়া কি নেপাল যাওয়া যায়?

এ দেশটিতে যদি আপনি ভ্রমণ করতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অগ্রিম কোন ভিসা করা লাগবে না। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই টিকিট বুকিং করতে হবে, তা না হলে আপনি যেতে পারবেন না। তাই ভিসা করার প্রয়োজন রয়েছে।

ট্রেনে নেপাল যাওয়া যায় কিভাবে?

আপনি যদি রেল পথের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভারত এর মধ্যে যে ট্রেন লাইনটি রয়েছে সেখান থেকে আপনি অতি সহজে এই দেশটিতে যেতে পারবেন।

নেপাল যাওয়ার সবচেয়ে কম খরচ?

ভারত থেকে যদি আপনি এই দেশটিতে যেতে চান খুবই কম খরচে বিমান ইন্ডিগো এর মাধ্যমে যেতে পারবেন।

কোন মাসে নেপাল যেতে সবচেয়ে কম খরচ হয়?

সাধারণত জুলাই মাসের দিকে যদি আপনি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে আর অন্যদিকে সবচাইতে বেশি খরচ হয়ে থাকে নভেম্বর ডিসেম্বরের মাসের দিকে।

কোন ঋতুতে নেপাল যাওয়া ভালো?

অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসে যদি ভ্রমণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো সময়। এই সময় আবহাওয়াটা শুষ্ক থাকে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখা যায়।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ কত টাকা জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি নেপালে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসা করতে হবে। তাই এই খরচ সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যদি করতে চান সে ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪