বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এস্তোনিয়ায় কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই এক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হবে। চলুন, বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এস্তোনিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত তাই প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে এজন্য আপনি যেতে পারেন। তাই বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে

অনেক বাংলাদেশী এস্তোনিয়ায় যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানে না। এখানে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা থাকে। তাই বিভিন্ন রকম টাকাও লাগে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি এই দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তবে এই ভিসার মেয়াদ থাকবে ১ বছর। পরবর্তীতে আপনার এর মেয়াদ বাড়াতে হবে। তাই এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। চলুন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে কি ধরনের কাজ গুলো করতে পারবেন। এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসায় যেতে পারবেন

ক্লিনার ভিসায় যাওয়া যাবে

কৃষি ভিসায় যেতে পারবেন

গার্মেন্টস ভিসায় যেতে পারবেন।

উপরোক্ত এই ভিসা গুলো সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যাবে। তাই আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত কাজগুলো করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচঃ এই ভিসায় আবেদন করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ভিসা আবেদন ফি খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া ভিসা প্রসেসিং ফি রয়েছে, এছাড়া আরো অনেক খরচাপাতি রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ভিসা করার জন্য খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত। তবে যদি দালালের মাধ্যমে এই ভিসায় যেতে চান, তাহলে খরচ আরো বেশি হবে।

তবে এজেন্সির মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে গেলে নিরাপদে যেতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে, সব মিলে খরচ হতে পারে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত।

আর যদি সরকারিভাবে যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। এতে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত। আপনি এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি যেতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার ভিসায়, গার্মেন্টস, ক্লিনার, কৃষি ইত্যাদি কাজ গুলো করতে পারবেন।

ট্যুরিস্ট ভিসা খরচঃ যদি আপনি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হবে। সর্বমোট আপনার এই আবেদনের ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৮০ ইউরো এর মত। তারপর আপনাকে এ দেশের সরকার অনুমোদন দেবে। এরপর আপনি ভ্রমনে যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনার সকল কাগজপত্র এম্বাসিতে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
তবে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যদি যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি ৩০ দিন থেকে ৯০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। এর বেশি আপনি থাকার অনুমতি পাবেন না। এছাড়াও আপনি এই ভিসায় যদি যেতে চান, তাহলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে। এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় আপনার ৩০ দিনের মত অপেক্ষা করা লাগতে পারে। আপনি যদি এই ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার সর্বমোট খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত।

স্টুডেন্ট ভিসা খরচঃ অনেকেই পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এদেশে যায়। বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর মান অনেক ভালো। তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এসএসসি এবং এইচএসসি সব মিলিয়ে গড় ৪ পয়েন্ট থাকতে হবে। এরপরে এ দেশের স্থানীয় ভাষা এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা লাগবে।

আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতে চান, তাহলে ইংরেজি ভাষার জন্য আপনাকে আইএলটিএস কোর্সটা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার স্কোর থাকতে হবে ৫। তারপরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন, যদি আপনি স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে বিনা টাকায় এ দেশে পড়াশোনা করতে পারবেন।

তবে কেউ যদি স্কলারশিপ ছাড়া এখানে পড়াশোনা করতে চায় সেক্ষেত্রে বেশি খরচ হবে। কেননা অন্যান্য দেশের মতো এ দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করার কোন সুযোগ নাই। তাই আপনার অনেক টাকা খরচ হবে। ৪ থেকে ৫ বছর পড়াশোনা করতে প্রায় অনেক টাকাই খরচ হবে। এটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কি পরিমাণ খরচ হবে। তা বিশ্ববিদ্যালয় খরচ নির্ধারণ করতে হবে।

আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে তাদের ফি সম্পর্কে এবং পুরো কোর্স কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

ভিজিট ভিসা খরচ খরচঃ আপনি যদি ভিজিট ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মতো থাকতে পারবেন এবং পরিবার নিয়েও যেতে পারবেন অথবা ব্যবসার জন্য যেতে পারবেন। তবে যদি আপনি এর মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। যদি তারা অনুমতি দেয় তাহলে আরো কিছুদিন থাকতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এই ভিজিট ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার সর্বনিম্ন খরচ হতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার মত।

এস্তোনিয়া বেতন কত

আপনি যদি এস্তোনিয়া যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এস্তোনিয়া বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে কত টাকা বেতন পাবেন সে সম্পর্কে আগে থেকেই জানতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

এ দেশের বেতন অন্যান্য দেশের চাইতে তুলনামূলক একটু কম হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি কনস্ট্রাকশনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বেতন অনেক টাকাই পাবেন। মাসে ৪৫০ ইউরো থেকে ৫৫০ ইউর মত বেতন পেতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের টাকা হিসাব করলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।

যেহেতু আমরা বাংলাদেশের লোকজন কৃষি কাজের প্রতি বেশি অভিজ্ঞতা থাকে, আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি কৃষিকাজ ও বাগানের কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ভালো পারফরমেন্স হলে আপনি মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউর মত বেতন পাবেন। তবে এই হিসেবে বাংলাদেশের টাকায় ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন হবে।

যদি আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইটি সেক্টরে কাজ করার জন্য যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকলে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে অনেক টাকা বেতন পাবেন। বিশেষ করে যারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এর অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি ১ হাজার ইউরো থেকে ১৫০০ ইউরোর মত বেতন পেতে পারেন। সে হিসেবে বাংলাদেশের টাকায় ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

আপনি যদি গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করতে পারেন অথবা ক্লিনার হিসেবে কাজ করতে থাকেন। তাহলে বেতন একটু অন্যান্য কাজের চাইতে কম পাবেন। তবে তারপরেও এ কাজে মোটামুটি বাংলাদেশের তুলনায় অনেক টাকা বেশি বেতন পাবেন। মাসে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন আসে। তবে আপনার যদি ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে ১ লাখ টাকার উপরেও বেতন পেতে পারেন।

আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে এবং কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে অথবা কোন একটা বিষয়ের প্রতি দক্ষতা থাকে, তাহলে এ দেশে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি স্কুল শিক্ষক হতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক বেতন পাবেন। তবে ইংরেজিতে যদি পারদর্শী থাকেন তাহলে অনেক টাকার বেতনের শিক্ষকতা করতে পারেন অথবা যদি কোন কোম্পানিতে জব করেন সে ক্ষেত্রেও যদি ইংরেজি ভাষা জানা থাকে এক্ষেত্রে আপনার বেতন হতে পারে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকার মত।

এস্তোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে এস্তোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যদি আপনি এ দেশে কাজ করার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তার মধ্যে যেমন কনস্ট্রাকশন এর কাজের গুরুত্ব রয়েছে। এ কাজে গেলে আপনি অনেক টাকায় বেতন পাবেন। তবে অবশ্যই ভালো কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে।
এজন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। এছাড়াও এস্তোনিয়ায় আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন কৃষি কাজ, বাড়ির কাজ, বাগান বাড়ির কাজ, খাবার তৈরির কাজ, গবাদি পশু পালনের ইত্যাদি কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

এই কাজ গুলোর প্রতি যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে এ দেশে গিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন এবং অনেক টাকাই বেতন পাবেন। তবে যদি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে কাজ করে তেমন একটা বেতন পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কাজের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন করে নিলে আপনার বেতন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।

এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী

অনেকে জানতে চায় যে এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে। যদি যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা করতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি বা অফিসের মাধ্যমে কে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কত টাকা খরচ হবে ভিসা এজেন্সি থেকে আপনি জানতে পারবেন। এছাড়া আপনি দেশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাই এদের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে পারেন।

এস্তোনিয়া ভিসা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি এদেশে ভিসা আবেদনের করার জন্য করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। আর যদি কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে তো অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। চলুন, শেখ কাগজপত্রগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ ছয় মাস থাকা লাগবে

জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হবে

সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি রঙিন ছবি লাগবে

ইন্সুরেন্স পলিসি যদি থাকে সেটাও সংগ্রহ করতে হবে

আপনি যদি অন্য কোন দেশে ভ্রমন করেন সেক্ষেত্রে তার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

যদি বিমানের টিকিট বুকিং করেন তার ফটো হবে প্রয়োজন হবে

যদি আপনি উপরোক্ত এই কাগজপত্র যদি থাকে তাহলে অবশ্যই ও পারমিট ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।

এস্তোনিয়া দেশ কেমন

এই দেশটি সাধারণত ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছে , তাদের আইটি সেক্টর এবং প্রযুক্তিগত উন্নত হয়েছে। এখানে ইন্টারনেট উন্নত মানের শিক্ষা ই গভর্নেন্স ইত্যাদি রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র যেখানে আপনি কাজ করলে এক টাকা ইনকাম করতে পারবেন । অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে এ রাষ্ট্রের প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে যার কারণে আপনি বাংলাদেশ থেকে এখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

এ দেশটি এমনভাবে ডিজিটালাইজড হয়েছে যেখানে সমাজের প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে তারা অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। তাছাড়া দেশটি দেখতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত সুন্দর। যেখানে আপনি কাজ করলে মনের ভিতর প্রশান্তির সৃষ্টি হবে ভ্রমণ করার জন্য সুন্দর একটি দেশ যা আপনি ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারেন।

এস্তোনিয়া ভিসা অনলাইন আবেদন

আপনি যদি এদেশে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে ভিসা করতে হবে। সেক্ষেত্রে এস্তোনিয়া ভিসা অনলাইন আবেদন করতে হবে। চলুন কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেন এবং কি ডকুমেন্টস গুলো লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
প্রথমে আপনি এদেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করবেন। এছাড়া যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে স্ক্যান করে আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ভিসা করার জন্য যে ফি দিতে হবে সেটা ভিসা কার্ড অথবা অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করা লাগবে।
কিছু ক্ষেত্রে বা কিছু কোম্পানি আপনাকে ভাইবার জন্য ডাকতে পারে সেখানে আপনাকে অংশগ্রহণ করতে পারে সর্বোপরি আপনার আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই করার পর জানানো হবে এবং আপনি যাওয়ার অনুমতি পাবেন

এস্তোনিয়া সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন

এস্তোনিয়া টাকার মান কত?

এদেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১৩৯ টাকার মতো।

এস্তোনিয়া যেতে কত সময় লাগে?

এদেশে যাওয়ার জন্য কত সময় লাগতে পারে এটা মূলত নির্ভর করে বিমানের ট্রান্সলেট এর উপরে উপরে ট্রানজিটের উপরে। তাই বাংলাদেশ থেকে এ দেশে যাওয়ার জন্য প্রায় ১০ থেকে ১৫ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে।

এস্তোনিয়া যেতে কত বয়স লাগে?

আপনি যদি এদেশে কাজের ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৬ বছর হতে হবে।

বাংলাদেশের এস্তোনিয়া দূতাবাস কোথায়?

বর্তমানে আমাদের দেশে এর দূতাবাস নেই। আপনি যদি ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাধ্যমে করতে হবে, সেখানে এদেশের দূতাবাস রয়েছে।

এস্তোনিয়া কি সেনজেন দেশ?

হ্যাঁ, এটা ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি এস্তেনিয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে আপনি কাজ করতে পারবেন আপনার কাজ করতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে এই ভিসা একটু খরচ বেশি হয়ে থাকে তাই বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি উপকার হবে তাই পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪