গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয় ও যেভাবে ওজন কমে
গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া লাগতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয়? এই ফলটি গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকার করবে। চলুন, কিভাবে জাম্বুরা খেলে আপনার উপকার হবে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
গর্ভবতীর গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এজন্য অনেক ধরনের ফল খাওয়া যেতে পারে। এজন্য জাম্বুরা খেতে পারবেন কিনা এ সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয় ও যেভাবে ওজন কমে
গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়, এজন্য জাম্বুরা খেতে পারেন। তাই গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয়? এটা বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। চলুন, এটা আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার করবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টির উৎসঃ এটা এমন একটি ফল যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে। যেমন বিটা ক্যারোটিন, ফলিক অ্যাসিড, এছাড়াও ভিটামিন-এ, বি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, প্রোটিন, এনজাইম সহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। এজন্য গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির জন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করেঃ এর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি যা আয়রন শোষণ করতে পারে। এজন্য অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা যায় না। তাই এক কাপ এর রস খাওয়া যেতে পারে। এতে অনেক উপকার পাবেন। তাই একজন গর্ভবতী মহিলার অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে।
দাঁত কে মজবুত করেঃ এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ব্যথা ইত্যাদি ব্যথা গুলো দূর করে। এছাড়াও দাঁত কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে পারবে। কেননা আপনার গর্ভস্থ শিশুর দাঁতকে মজবুত এবং হাড় গঠন করার জন্য জাম্বুরা খেতে পারেন।
ঠান্ডা কাশি দূর করেঃ সাধারণত গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি এর অভাব দেখা যায়, এজন্য ঠান্ডা কাশি, জ্বর ইত্যাদি হয়ে থাকে। এজন্য অনেক ওষুধ খাওয়া যায় না বিধায় আপনি অল্প পরিমাণ জাম্বুরা খেতে পারেন। এতে আপনার ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে এবং সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেকের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পটাশিয়াম জাতীয় ফল খেতে পারেন। কেননা জাম্বুরার মাঝে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং হার্টকে ভালো রাখবে। জাম্বুরার মাঝে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আপনার স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। যার কারণে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ করার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি জাম্বুরা খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণ বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া এটা ডায়াবেটিস, ঘুম হয় না ঠিকমতো, পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য পারে।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে দেখা যায় রক্ত চলাচল দ্রুত করতে পারে না। এজন্য আপনি জাম্বুরা খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, বিশেষ করে পটাশিয়াম আছে যা আপনার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দেবে, যার কারণে স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমে যাবে।
হাড় ও পেশি মজবুত করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর প্রয়োজন হয়। এতে গর্ভস্থ শিশুর হাড় ও পেশী মজবুত করার দরকার, যার কারণে আপনি জাম্বুরা খেতে পারেন। এতে আপনার হাড়ের রোগ প্রতিরোধ সমস্যা দূর করবে, এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে আপনার উপকার হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এছাড়াও এর মাঝে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকার কারণে আপনার খাদ্যনালী সুস্থ রাখবে এবং হজমজনিত সমস্যা দূর করে। কেননা গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে হজমের সমস্যা হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে।
এর মাঝে ফলিক এসিড, পাইরিড ডক্সিন ইত্যাদি থাকার কারণে আপনার আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে যা গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়াম, আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে। এজন্য এই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য জাম্বুরা খেতে পারেন।
সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ করতে পারে। এই জন্য ভিটামিন সি জাতীয় ফলগুলো খাওয়ার প্রয়োজন। তাই ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে কাজ করবে।
এছাড়াও এটা ক্ষতিকর জীবাণু গুলো দূর করতে সাহায্য করবে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে, রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে, খাবারের রুচি আসবে। এছাড়া এর মাঝে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে ও পানি থাকে যা আপনার খনিজ পদার্থ চাহিদা পূরণ করবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভবতীর যদি শরীরে কোন খারাপ কোলেস্টেরল থাকে, এটা দূর করার জন্য জাম্বুরা খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে ফাইবার রয়েছে, যা আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে ভালো উপকার করে। তাই নিয়মিত ভাবে জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে।
যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার শরীরের বাত ব্যথা বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হতে পারে। এজন্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে। কেননা এটা আপনার ইউরিক এসিড কমিয়ে নিয়ে আসবে।
তারণ্য ধরে রাখেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে বয়স্ক মনে হতে পারে। তাই আপনি ত্বককে ভালো করার জন্য জামুরা জুস খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার বয়সের ছাপ দূর করবে তারণ্য দেখাবে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ অনেকের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার ইত্যাদি প্রতিরোধ করার জন্য জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে ভিটামিন সি থাকে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
জাম্বুরা খেলে কি ওজন কমে
অনেকে জানতে চায় যে জাম্বুরা খেলে কি ওজন কমে? আসলে এর খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। তাই আপনি জাম্বুরা খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে ফাইবার রয়েছে যা খাওয়ার কারণে অনেকক্ষণ যাবৎ অন্য কোন ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হবে না। এজন্য আপনার ওজন কমতে থাকবে। তাই আপনার যখন ক্ষুধা লাগবে অল্প পরিমাণ খেতে পারেন।
এতে আপনার ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে, এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এটা দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকবে যার কারণে আপনার অন্য খাবার খাওয়া লাগবে না। এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যা আপনার পেট ভরা মনে হবে খিদে লাগবে না। তাই আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান এবং ডায়েট করতে চান সেই ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে জাম্বুরা খেতে পারেন।
জাম্বুরা খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফল খেতে হবে। তাই জাম্বুরা খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে অনেক উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। এতে তাদের পুষ্টির অভাব হয়ে থাকে, এজন্য আপনি জাম্বুরা খেতে পারেন। এতে আপনার ইনসুলিনের রেজিস্ট্যান্ট কমাবে।
তাছাড়া আপনার রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া এটা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিবে যার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এজন্য আপনি যদি পুষ্টি নিতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনে অল্প পরিমাণ করে জাম্বুরা খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়ার অপকারিতা
জাম্বুরার অনেক উপকার আছে তবে গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তাই এই ফলটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন, এটা গর্ভবতীদের কি ক্ষতি করে সে সম্পর্কে জানা যাক।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে অনেকের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সে ক্ষেত্রে টক মিষ্টি জাতীয় ফল খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই এটা পরিমাণমতো জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে।
যেহেতু এই ফলটি টক জাতীয় যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রাস থাকে যা আমাদের পেটের গ্যাস বৃদ্ধি করতে পারে, পেট ফুলে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েরা এই ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।
অনেক গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এলার্জির সমস্যা হয়, তাই জাম্বুরা খাওয়ার ফলে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
যে সকল লোকের কিডনির সমস্যা থাকে তারা এই জাতীয় ফল খেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা দেখা দেবে। এছাড়া পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যার কারণে কিডনির সমস্যা আরো বেশি হতে পারে।
অনেকের এজমা এর কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও শরীরের চুলকানি শুরু হয় তাই জাম্বুরা খেলে হয়তো আরো বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই ক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময় এসিডিটির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, পেটে প্রচন্ড পরিমাণে গ্যাস থাকে, এছাড়াও দাঁতের এনিমেলের ক্ষতি করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে বিবেচনা করে জাম্বুরা খাওয়া যাবে না। কেননা এটা আমাদের পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যে সকল গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত পেটের সমস্যা রয়েছে বা ঘন ঘন ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা অথবা আমাশার সমস্যা রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এসিডিটি জাতীয় খাবার গুলো না খাওয়াই ভালো, সে ক্ষেত্রে জাম্বুরা খেলে আরো সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
জাম্বুরার সাথে কি কি খাওয়া যাবে না
এই ফলটি খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনি নিয়ম অনুযায়ী খান এক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। যদি এর সাথে আরো কিছু খাবার মিশিয়ে খান। এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিবে না। তবে এর সাথে যদি কমলালেবু জাতীয় খাবার গুলো খান এতে আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জাম্বুরা লিভারের জন্য ক্ষতিকর কেন
যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই ফলটির সাথে আপনি আঙ্গুর মিশিয়ে খাবেন না। এতে আপনার লিভারের ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও এই জাম্বুরা আপনার লিভারের এনজাইম গুলো নষ্ট করে দিতে পারে, কার্যকারিতা ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কারণ এর মাঝে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আপনার লিভারের ক্ষতি করবে। তাই অবশ্যই এটা পরিমান মত খেতে হবে এবং যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা জাম্বুরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়ার নিয়ম
গর্ভবতী মায়েদের এ সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং কি পরিমান খাবেন। সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত জাম্বুরা যদি সঠিক টাইমে না খেতে পারে, তাহলে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই এ সময় শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করবে।
সকালবেলা আপনি কোন কিছু খাবারের পর যদি এই ফলটি খেতে পারেন। তাহলে আপনার সমস্যা হবে না, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না। তাই সকাল বেলা খাওয়ার পরে খাওয়া যেতে পারে। যদি সকাল বেলায় খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে শক্তি পাবেন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে।
যদি আপনার কোন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে দুপুরে খাওয়ার পরে এটা খেতে পারেন। তাহলে এই ধরনের সমস্যা গুলো দূর হবে। তবে দুপুরে খাওয়ার পরে যদি আপনি এটা খেতে পারেন, তাহলে উপকার করবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
বিকেল বেলা যদি কোন কিছু খাবারের পরে হালকা পরিমাণ খেতে পারেন, তাহলে আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্রোটিনের অভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় পেটের সমস্যায় অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, সে ক্ষেত্রে জাম্বুরা খাওয়া যাবে না। কেননা এটা আপনার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করতে পারে। তাছাড়াও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url