বাংলাদেশ থেকে সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও জলদস্যু সম্পর্কে জানুন
সোমালিয়া এমন একটি দেশ যেখানে অনেকে যেতে চায়, তাই সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে কাজের উপরে। চলুন, কোন কাজে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সোমালিয়া পশু পালনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এজন্য এই ধরনের কাজের জন্য ভিসা করতে কত টাকা লাগতে পারে। সেটা আপনাকে জানতে হবে তাই সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে সোমালিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয় ও জলদস্যু সম্পর্কে জানুন
সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চায় যে, সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এই দেশটিতে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে কোন উদ্দেশ্যে যাবেন সেটা আগে নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন, ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি এই দেশটিতে বৈধভাবে যেতে চান অর্থাৎ সরকারি ভাবে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ কম হবে। আর যদি সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ একটু বেশি হবে। চলুন, কোন কোন ক্যাটাগরিতে এই দেশটি ভিসা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জানা যাক।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন
- স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যাবে
- এনজিও ভিসায় যাওয়া যায়
- পর্যটন ভিসায় যেতে পারবেন
- বিজনেস ভিসায় যাওয়া যায়
- ডিপ্লোম্যাটিক ভিসায় যেতে পারবেন।
আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজনকে শ্রমিক হিসাবে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয় না। আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা বা মানবতা সেবার ক্ষেত্রে যে সকল সংস্থাগুলো রয়েছে, তাদেরকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে, বা ভিসা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে।
আপনি যদি বেসরকারিভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে বেসরকারি এনজিও ও বিদেশে কর্মরত, আত্মীয়-স্বজন যদি থাকে কিংবা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা যেগুলো বৈধ সংস্থা রয়েছে তাদের মাধ্যমে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বা এনজিও চাকরির করার উপলক্ষে যেতে পারবেন বা ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে দালাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। সরকারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাওয়ার চেষ্টা করা লাগবে, অবশ্যই সরকারি বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মত এবং আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলে সর্বমোট ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
আপনি যদি বেসরকারি উপায়ে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা এবং বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ সর্বমোট মিলে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
তবে একটা বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে সেটা হলো বাংলাদেশ থেকে এদেশের কোন দূতাবাস নেই, সরাসরি বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভারতের সহযোগিতার মাধ্যমে ওই দেশের দূতাবাস থেকে ভিসা এবং সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
সোমালিয়ার বর্তমান অবস্থা
সোমালিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন, যদি আপনি এই দেশটিতে যেতে চান তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি উপর নির্ভর করে যেতে হবে। তা না হলে বিপদে পড়তে পারেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
এই দেশের বর্তমানে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল কৃষিকাজ। এদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মানুষ জন মৎস্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। পরবর্তীতে তারা জলদুস্য করে জীবিকা উপার্জন করেছে কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চল ব্যতীত যে সকল কাজ করা যাবে তার মধ্যে কৃষি কাজ, অন্যতম পশু পালন করা।
তারা ফসলের চাইতে এই কাজগুলো বেশি করত এবং এই পশুগুলো বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। কৃষি কাজ করে তারা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছে, তার মধ্যে যেমন পশু পালন করা, জমি চাষ করা, এছাড়া পশু পালনের মধ্যে যে সকল পশু পালন করা হতো তাহলো; ছাগল, ভেড়া, উট, গবাদি পশু এইগুলোকে লালন পালন করার করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
এছাড়াও দ্বিতীয় প্রধান জীবিকা উপার্জন হিসাবে তারা কৃষিকাজ বা ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে কাজ করতেন যেমন দক্ষিণ ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হতো যার কারণে কৃষি কাজ করা সুবিধা হতো। এই সকল জমিগুলোতে তারা বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করত যেমন ভুট্টা, তিল, মটরশুঁটি শাকসবজি, ফল উৎপাদন ইত্যাদি করে। এছাড়া আরো কিছু কৃষি পণ্য উৎপাদন করত তার মধ্যে যেমন কলা, আখ, ধান, শাকসবজি তুলা, জাম্বুরা, আম, পেঁপে ইত্যাদি
এছাড়াও তাদের আরো কিছু উপার্জনের উৎস ছিল তার মধ্যে যেমন কাঠ, কয়লা উৎপাদন করা। বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করতো যেগুলো সুগন্ধি কাঠ হিসেবে পরিচিত, সুগন্ধি আঠা জাতীয় বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করে সেগুলো থেকেও অর্থ উপার্জন করত।
এছাড়াও সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের লোকগুলো তারা বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরে, সেগুলো শুকিয়ে শুটকি মাছ হিসাবে বিক্রি করত। যেগুলো বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে কিন্তু পরবর্তীতে এই অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং অন্যান্য দেশের লোকজন এসে যখন মাছ ধরার বৃদ্ধি পায়।
তখন ছোট ছোট ক্ষুদ্র জেলেরা দস্যবৃত্তি শুরু করে। তাই এই সকল অঞ্চলগুলোতে না যাওয়াই ভালো হবে। আপনি উপকূলীয় অঞ্চল ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বৈধ উপায়ে যেতে পারেন। এখানেও আপনি জীবিকা উপার্জন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
সোমালিয়া বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে, সোমালিয়া বেতন কত? আসলে এদেশে সাধারণত বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করার অনুমতি নাই বা সরকারিভাবে পাঠানো হয় না। তবে আপনি চাইলে পার্শ্ববর্তী ভারতের মাধ্যমে এ দেশটিতে শ্রমিক হিসাবে যেতে পারবেন।
সেই হিসেবে আপনার কত টাকা বেতন হতে পারে সে সম্পর্কে জানা দরকার। তাই বিভিন্ন এনজিও কর্মী বা চাকরির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে বেতন দিয়ে থাকে। চলুন, অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে যে বেতন দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
যদি আপনি পরিছন্নতা কর্মী বা সাধারণ কনস্ট্রাকশনের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলারের মতো বেতন পাবেন।
আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন যেমন ড্রাইভার বা টেকনিশিয়ান এই ধরনের কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ মার্কিন ডলার বেতন দেবে।
আপনি যদি কোন এনজিও কর্মী বা আন্তর্জাতিক সংস্থাতে চাকরি করেন, সে ক্ষেত্রে ১ হাজার থেকে ২ হাজার মার্কিন ডলারের মত বেতন পাবেন।
এ দেশটিতে চাকরি করার ক্ষেত্রে বা কাজ করার ক্ষেত্রে মাসে বেতন দিয়ে থাকে তা বাংলাদেশী টাকায় ২২ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো। এটা মূলত নির্ভর করবে কাজের উপরে।
সোমালিয়া জলদস্যু
সোমালিয়া জলদস্যু সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না, এ দেশটিতে কিভাবে মূলত জলদস্যুর উত্থান হলো; এ দেশটির জন্ম থেকেই শুরু করে সামরিক শাসনের কারণে এ দেশটিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। যার কারণে বছরের পর বছর যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকত এবং দেশটি ধ্বংসের দিকে প্রায় চলে যায়। যার কারণে এই দেশে দীর্ঘদিন যাবত কোন সরকার ছিল না।
এই দেশের কার্যকর সরকার না থাকার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বা জলসীমা নিরাপত্তায় না থাকার কারণে বা কোন পোস্ট গার্ড বাহিনী না থাকার কারণে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিদেশিরা মাছ ধরতে এখানে আসে। আস্তে আস্তে এগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে, এতে করে স্থানীয় জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তারা দস্যুবৃত্তি শুরু করে এভাবেই তারা জলদস্যুতে পরিণত হয়।
যখন তারা দস্যুতা শুরু করলো তখন দেখল মৎস্য আয়ের চাইতে এই পথে আয় করলে তাদের প্রচুর টাকা ইনকাম হয়। যার কারণে তারা এই পেশা হিসেবেই দীর্ঘদিন যাবত করে আসছে, এতে দেখা যাচ্ছে দেশটিতে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনীরা বিশেষ করে ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীরা এ দেশটিতে অপারেশন চালায় এতে অনেকটাই দস্যুতা কমে আসে।
এই দেশটি ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে এই সমুদ্রপথে দিয়ে জাহাজ যাতায়াত করত। সেই ক্ষেত্রে তারা জলদস্যতা করে প্রচুর টাকা বা বিভিন্ন জাহাজকে লুট করে অর্থনৈতিকভাবে অনেক টাকাও উপার্জন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন লোকজনদেরকে তারা জিম্মি করে মুক্তিবণ দাবি করেছে। তারা ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনকাম করেছে এরকম একটা বিশ্ব ব্যাংক হিসাব দিয়েছে।
পরিসংখ্যানে বলা যেতে পারে যে তারা কি পরিমান অর্থ উপার্জন করেছে। বিশেষ করে তারা ছিনতাইয়ের করার মূল লক্ষ্য ছিল লোকজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা। তাছাড়াও তারা বিভিন্ন ধরনের তেলের ট্যাঙ্কার জল দস্যু করে এতে তারা ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মত জ্বালানি নেয়।
এজন্য পরবর্তীতে নৌ বাহিনীর অভিযানে এই দস্যুতা মোটামুটি প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছিল। এতে করে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে তারা প্রায় বছরে ৭ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলারের মত ক্ষতিগ্রস্ত থেকে উদ্ধার পেয়েছিল।
তারা যেভাবে লন্ডন করত বিশেষ করে জাহাজের মালিকদেরকে জিম্মি করতো। এছাড়াও এই জলদস্যরা ঝটিকা আক্রমণ করতো, বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে তারা এই ধরনের কাজগুলো করতো অথবা খুবই ভোরবেলায় তারা আক্রমণ করত যার কারণে লোকজন বুঝতে পারত না।
এই সকল জলদস্যদের বিচারের ক্ষেত্রে দেখা যায় আরো জটিল আকার ধারণ করে। যার কারণে বাধ্য হয়ে তাদেরকে অনেক সময় ছেড়ে দেওয়া লাগতো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই দেশগুলোকে নিয়ে অন্যান্য দেশের লোকজন বা নৌবাহিনী বা প্রশাসনের ক্ষেত্রে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার অনুমতি দিয়েছিল।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এদেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে। তাই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। যে সকল কাগজগুলো লাগবে সেগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য যে কাগজপত্র গুলো লাগবে, সেগুলো আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। নিম্নে সে কাগজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো;
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ রয়েছে
- বর্তমানে রঙ্গিন ছবি তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন
- জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি প্রয়োজন হবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে সেটাও দিতে হবে
- আপনি যে নিয়োগ পেয়েছেন সেই নিয়োগ পত্র ফটোকপি জমা দিতে হবে
- বিভিন্ন এনজিও যদি আপনাকে চাকরি দিয়ে থাকে তাদের অফার লেটার লাগবে।
সোমালিয়া FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
সোমালিয়া নিরাপদ দেশ কি?
এদেশের কিছু অঞ্চল নিরাপদ রয়েছে তবে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো নিরাপদ নয়, সেখানে গৃহযুদ্ধ, জঙ্গি, অপহরণ ইত্যাদি ধরনের কার্যকলাপ রয়েছে।
সোমালিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত দিনের হয়?
এ দেশটিতে সাধারণত এই ভিসার মেয়াদ ১ বছর হয়ে থাকে, পরবর্তীতে নবায়ন করা যায়।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট আছে কী?
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যেতে চান সেক্ষেত্রে যেতে পারবেন না। অবশ্যই ট্রানজিট হয়ে যাওয়া লাগবে, এই ক্ষেত্রে দুবাই, ইস্তাম্বুল ইত্যাদি দেশের মাধ্যমে আপনাকে ফ্লাইট করতে হবে।
সোমালিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে এই দেশটি অনেক দূরত্ব রয়েছে, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ ঘন্টার মত লাগবে। কেননা এটা ট্রানজিট হয়ে যেতে হবে যার কারণে সময় বেশি লাগতে পারে।
সোমালিয়ার মুদ্রার নাম কি?
এই দেশের মুদ্রার নাম হল সোমালি সিলিং যা ১ মার্কিন ডলার সমান প্রায় ৫৭ হাজার সোমালি সিলিং হয়ে থাকে।
আমাদের শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি সোমালিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন অঞ্চলে আপনি কাজ করবেন, কেননা এই দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে জলদস্যুরা বেশি বসবাস করে। তাই উপকূলীয় অঞ্চল ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে কাজ করতে পারবেন। তাই সোমালিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url