লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে ও বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে? এটা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের উপরে ভিসা করতে চাচ্ছেন। চলুন, কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার যদি এদেশটির কাজের সম্পর্কে ধারণা থাকে এবং যে কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট থাকে, তাহলে আপনি অনেক কম খরচে যেতে পারবেন। তাই লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃলিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে ও বেতন কত
লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া অনেকেই যেতে চায় কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে? চলুন, কোন কাজের জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
যখন এই দেশটিতে যাবেন তখন অবশ্যই যে কাজের জন্য যাবেন বা যে উদ্দেশ্যে যান না কেন তার ভিসা করতে হবে। আর এই ভিসার বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা খরচ হতে পারে। কেননা এই ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ক্যাটাগরির উপরে ভিত্তি করে। এছাড়াও আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে একটু কম খরচ হবে। এক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
যদি সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বৈধভাবে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা। তবে এটা নির্ভর করবে এজেন্সির উপরে এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিমানের খরচ কাগজপত্র তৈরি ইত্যাদি সবকিছু মিলেই আপনার ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিসায় কত টাকা খরচ হতে পারে।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
যারা কাজের ভিসার মাধ্যমে এই দেশে যেতে চাচ্ছেন তাদের মোটামুটি ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। এর চেয়ে কম বেশি হতে পারে, তবে বিভিন্ন কাজ রয়েছে তার উপর নির্ভর করে ভিসার দাম।
অনেকেই কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে এ দেশটিতে যেতে চায়, কারণ এখানে নিরাপত্তা রয়েছে এবং কোম্পানি বিভিন্ন খরচাপাতি গ্রহণ করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়াও কোম্পানি ইচ্ছা করলে আপনার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন ফ্রি করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার যে বেতন পাবেন সেই টাকাটা থেকে যাবে।
এ দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগে, যার কারণে অনেকেই এই দেশটির ভ্রমণ করতে যেতে চায় সেক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ ভিসা করতে হবে। তাই এই ভিসায় খরচ হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত। তবে যদি আপনি বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে বেড়ান সে ক্ষেত্রে আরো বেশি টাকা লাগতে পারে।
আপনি যদি এই দেশটিতে বৈধভাবে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এই ভিসাতে গেলে আপনি যেকোনো কাজ করার অনুমতি পাবেন এবং দেশটিতে নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে যদি আপনি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান একটু খরচ বেশি হবে। তাই সর্বমোট ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, আপনি যদি দক্ষতার সাথে প্রশিক্ষণ নেন এবং যদি কোন একটা কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। এতে আপনার সুবিধা হবে, সে ক্ষেত্রে যদি সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে আপনার ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
অনেকেই পরিবার নিয়ে এই দেশটিতে যেতে চায়, সে ক্ষেত্রে ফ্যামিলি ভিসা করতে হবে। এই ভিসা যদি আপনি যেতে পারেন তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং সবাই এ দেশটিতে শান্তিতে নিরাপত্তার সাথে থাকতে পারবেন। তাই এই ধরনের ভিসা করার জন্য ২ থেকে ৪ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
যদি ড্রাইভিং এর কাজের দক্ষতা থাকে এবং আপনার সার্টিফিকেট থাকে ও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এই ভিসায় যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মত।
বর্তমানে অনেকেই সরকারিভাবে এই দেশটিতে যাচ্ছে এবং নিরাপত্তার জন্য আপনিও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে এবং নিরাপদে আপনি যেতে পারবেন। এর মাঝে আপনার বিমান ভাড়া রয়েছে এবং অন্যান্য খরচাপাতি মেডিকেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে আপনি যদি কোন আত্মীয় স্বজন বা আপনার পরিচিত কারো মাধ্যমে এই দেশটিতে যেতে পারেন। তাহলে নিরাপত্তার সাথে যেতে পারবেন এবং সেখানে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন, পাশাপাশি এই ভিসা খরচ ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা কম হবে।
লিথুনিয়া বেতন কত
আপনি যদি এই দেশটিতে একটি কাজের দক্ষতা নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে অনেক বেতন পাবেন। তাই লিথুনিয়া বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি যে কোন একটি কাজের প্রতি প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপরে যেতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেতন সম্পর্কে।
এই দেশটি সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত যার কারণে আপনি অনেক টাকা বেতনে চাকরি করতে পারবেন। যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আরো বেশি বেতন পাবেন।
বর্তমানে এই দেশটিতে সাধারণ যে কোন কাজ করলে বা সর্বনিম্ন পর্যায়ের যদি কোন কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আরো বেশি বেতন পাবেন। সেই ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মত বেতন পেতে পারেন।
যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বেতন আরও বেশি পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে আপনার মাসে ৯০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার মত বেতন পেতে পারেন অথবা এর উপরেও বেতন হতে পারে।
অনেকেই ট্রাক ড্রাইভার অথবা টেক্সি ড্রাইভার হিসেবে কাজের দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে এই কাজগুলো করতে পারলে মাসে ১ লক্ষ ৫০ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পেতে পারেন।
এই দেশটিতে বিক্রয় কর্মী এবং সেলসম্যান এর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে অনেক মানুষ এদেশে কাজের জন্য গিয়ে থাকে। এতে অনেক বেতন পাবেন, তবে ওভারটাইম কম থাকার কারণে অন্যান্য কাজের বেতনের তুলনায় একটু কম হয়ে থাকে।
তবে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং এ দেশের ভাষা অল্প সময়ের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না এবং সে ক্ষেত্রে কাজ করলে প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন দিবে। তবে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন রকমের বেতন দিয়ে থাকে।
যদি আপনি ফুড প্যাকেজিং বা ফ্যাক্টরির বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে যেতে চান, সেক্ষেত্রে কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। একজন ফ্যাক্টরির কর্মীর হিসেবে কাজ করলে সেই ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো।
যদি বিভিন্ন ফুড ডেলিভারির ম্যান হিসাবে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি মাসে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। তবে এ কাজ পূর্ণকালীন করা যায় আবার অনেকেই পার্টটাইম হিসেবে করে থাকে। পাশাপাশি আরো অন্য কোন কাজ করলে এর চেয়ে অতিরিক্ত বেতন পাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব মিলে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পাওয়া যাবে।
এ দেশে কৃষি কাজের অনেক মর্যাদা এবং শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বহু শ্রমিক এই কাজের জন্য গিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তারা প্রতি ঘন্টায় ৬ থেকে ১০ ইউরোর মত বেতন দিয়ে থাকে। যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এর চেয়ে আরো বেশি বেতন পাবেন।
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনি যদি এ দেশে যেতে চান তাহলে যে কোন একটি কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তাই লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আপনার আগে জানতে হবে। তাহলে সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে অনেক টাকা বেতন পাবেন। চলুন, কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নির্মাণ শ্রমিকঃ যেহেতু এই দেশটি উন্নত রাষ্ট্র, সে ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। কেননা বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, রাস্তা, সেতু অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কনস্ট্রাকশন ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। যেমন কাঠ মিস্ত্রি, প্লাম্বার, পেইন্টার ইত্যাদি কাজের উপর যেতে পারবেন।
ইলেকট্রিক্যাল কাজঃ যেহেতু শিল্পকল কারখানা এবং বড় বড় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা আছে, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার ইলেকট্রিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন। যদি আপনি ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে থাকেন অথবা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হন সে ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট যদি থাকে তাহলে ভালো জব করতে পারবেন এবং অনেক টাকা বেতন পাবেন।
ড্রাইভিং এর কাজঃ যদি আপনার এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এর উপরে ভিসা করতে পারেন। কারণ এই দেশটিতে এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রেই অনেকের ড্রাইভার এর প্রয়োজন হয়। তাই তারা প্রতিবছরে ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ট্রাক ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার, ডেলিভারি ড্রাইভার ইত্যাদি ধরনের ড্রাইভার এর প্রয়োজন থাকে। তাই ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে আপনি অনেক টাকায় বেতন পাবেন।
ওয়েল্ডিং এর কাজঃ যেহেতু বিভিন্ন ধরনের শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করার ক্ষেত্রে ওয়েল্ডারের প্রয়োজন আছে, সে ক্ষেত্রে আপনার যদি এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি কনস্ট্রাকশন ভিসার উপরে যেতে পারেন।
ফ্যাক্টরির কাজঃ যেহেতু দেশটি শিল্প কলকারখানা এবং অনেক ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে উৎপাদন লাইনম্যান, প্যাকেজিংয়ের কাজ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার ইত্যাদি শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রোডাকশন বা কুয়ালিটি অপারেটর হিসেবে যেতে পারেন।
রেস্টুরেন্টের কাজঃ এ দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং বিভিন্ন ক্যাফে রয়েছে। যেখানে কর্মীর প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে খাদ্য প্রস্তুত, রান্নাবান্না করার ক্ষেত্রে অথবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে শেফ, ওয়েটার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে যেতে পারেন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজঃ দেশটি যেহেতু উন্নত মানের দেশ সেক্ষেত্রে বিভিন্ন অফিস আদালত বা হোটেল আবাসিক এলাকা ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার ক্ষেত্রে ক্লিনারের প্রয়োজন হয়। সেই ক্ষেত্রে তারা প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। আপনি যদি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে হাউস কিপার, অফিস ক্লিনার হোটেল ক্লিনার ইত্যাদি ভিসায় যেতে পারেন।
উপরুক্ত এই কাজগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে যদি যেতে পারেন তাহলে আপনি অনেক জব পাবেন এবং সে অনুযায়ী ভালো বেতন পাবেন।
লিথুনিয়া কাজের ভিসার জন্য কি কি লাগে
যেকোনো কাজের জন্য ভিসা করতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য লাগবে। তাই লিথুনিয়া কাজের ভিসার জন্য কি কি লাগে? এ সম্পর্কে যদি জানা থাকে তাহলে আপনি এই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
- বৈধ পাসপোর্ট লাগবে কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে
- ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজনীয়
- এছাড়া আপনার সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে
- আপনাকে যে কোম্পানি নিয়োগ দিবে সেই কোম্পানির আমন্ত্রণপত্র বা চিঠি প্রয়োজন হবে
- এছাড়াও যদি আপনি কাজের ক্ষেত্রে যেতে চান সেক্ষেত্রে আয়ের উৎসর প্রমাণও দিতে হবে
- মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট লাগবে
- যে কাজের প্রতি দক্ষতা রয়েছে তার বৈধ সার্টিফিকেট।
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে এরপর আপনাকে এই বিষয়ে আবেদন করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। এছাড়া আপনার ইংরেজি অথবা এই দেশটির ভাষা জানতে হবে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
আপনি যদি বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন এর মাধ্যমে যেতে হবে। তাই আবেদনটি সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। চলুন জানা যাক।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা হতে পারে। তাই আপনাকে সহজ পদ্ধতি জানতে হবে। চলুন, কিভাবে আপনি আবেদন করলে ঝামেলা মুক্ত হবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং এখানে একটা একাউন্ট খুলতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট, চাকরির অফার লেটার মেডিকেল সার্টিফিকেট ইত্যাদি আপলোড করতে হবে।
আপনি এই দেশে যাওয়ার জন্য তাদের দূতাবাস এ গিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জমা দিতে হবে।
তাছাড়া আপনি যে ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ভিসা ফি দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ৩০০ ইউরোর মত লাগতে পারে।
তবে এই ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কেননা এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করতে হবে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে যদি আবেদন করেন তাহলে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
এই ভিসায় গেলে আপনার সব খরচ মিলিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। এছাড়াও যদি সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে খুবই কম খরচ হবে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
তাছাড়া যদি এই ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে ৮০০ থেকে ১২০০ ইউরো মত বেতন পাবেন। এছাড়া যদি আপনি আইটি সেক্টর বা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো মত বেতন পেতে পারেন।
লিথুনিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে FAQ কিছু প্রশ্ন জানুন
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এই দেশের দূরত্ব প্রায় ৬৩৮১ কিলোমিটারের মতো।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে একটি নূন্যতম বয়স নির্ধারণ করা হয় তাহলো ২১ বছর। তবে যদি ভ্রমণের ক্ষেত্রে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিলেই হবে।
লিথুনিয়া যেতে কত সময় লাগে?
যদিও দেশটিতে দূরত্ব একটু বেশি সেক্ষেত্রে আপনার ট্রানজিটের উপর ভিত্তি করে সময় প্রায় ১০ থেকে ২২ ঘণ্টার মতো লাগতে পারে।
লিথুনিয়া টাকার মান কত?
এই দেশটির ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের ১২৬ টাকার মত।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
আপনি যদি এই ভিসায় আবেদন করেন সেই ক্ষেত্রে আবেদন করার পর থেকে ভিসা পাওয়ার সময় লাগতে পারে ১ থেকে ৩ মাসের মত।
শেষ কথাঃ লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে ও বেতন কত
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি লিথুনিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে কোন ক্যাটাগরির কাজ করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। তাই লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url