গরমের দিনে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
অনেকে জানতে চায় যে গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি টিনের ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন, এই ধরনের কিছু কৌশল জানতে হবে। চলুন, কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গরমের দিনে টিনের ঘর গুলো প্রচণ্ড পরিমাণ গরম থাকে, এজন্য ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু পদ্ধতি জানতে হবে এবং সেই পদ্ধতি গুলো প্রয়োগ করলে অবশ্যই ঘর ঠান্ডা থাকবে। তাই গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানুন
গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়
গ্রীষ্মকালে টিনের ঘর প্রচন্ড পরিমাণ গরম থাকে, তাই গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারবেন। এজন্য কিছু কৌশল রয়েছে, চলুন এই কৌশল গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
টিনের ঘর সাধারণত প্রচন্ড পরিমাণ তাপমাত্রার কারণে গরম হয়ে থাকে, সে তাপমাত্রা আমাদের শরীরে লাগে যার কারণে গরম বেশি দেখা যায়। এজন্য টিনের ঘর ঠান্ডা রাখতে হলে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনার ঘরটি ঠান্ডা থাকবে এবং আপনার শরীরে ঠান্ডা লাগবে। তবে টিনের ঘরের চালের উপর যদি গাছপালা বা আশেপাশে গাছ না থাকে। তাহলে ঘর বেশি গরম হবে। তাই রৌদ্র যেন সরাসরি চালের উপরে না পড়ে সেজন্য গাছপালা লাগাতে হবে। বিশেষ করে যে গাছ গুলো ঝাপড়া হয়ে থাকে এবং রৌদ্রে ঠেকাতে পারবে সেই ধরনের গাছ গুলো লাগাবেন।
চালের উপর কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে খড় অথবা এ জাতীয় কোন জিনিস ভিজিয়ে উপরে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে দেখবেন চাল অনেক ঠান্ডা থাকবে, যার কারণে তাপমাত্রা কম লাগবে। এছাড়া আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন বর্তমানে চালের উপর পানি ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য ঝরনা পাওয়া যায়, সেই ধরনের ঝর্ণা লাগাতে পারেন। উত্তপ্ত তাপের সময় এই ঝর্ণা চালু করে দিতে পারেন। সারা চাল যখন ভিজে যাবে তখন ঘরটা ঠান্ডা লাগবে। এই পদ্ধতিটা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় বিশেষ করে যাদের মুরগির ফার্ম আছে তারা এই ধরনের ব্যবস্থা করে থাকে।
ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য সিলিং দিতে হবে, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের তৈরি সিলিং ব্যবহার করে থাকে। কেননা এই ধরনের সিলিং গুলো তাপমাত্রা রক্ষা করতে পারবে এবং তাপ শোষণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপ সরাসরি আপনার শরীরে লাগবে না, সেলিং এর উপরে পড়বে। যার কারণে আপনার তাপমাত্রা অনেকটাই কম মনে হবে। তাছাড়া অনেকেই ঘরের সৌন্দর্যের জন্য হার্ডবোর্ড দিয়ে সেলিং দিয়ে থাকে, দেখতে সুন্দর লাগে এবং তাপমাত্রা অনেকটা শোষণ করে থাকে। তাই আপনিও এই হার্ডবোর্ড দিয়ে সেলিং দিতে পারেন।
টিনের ঘরের চাল ঠান্ডা রাখার জন্য আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, সেটা হল সোলার প্যানেল লাগাতে পারেন। কেননা এতে সূর্যের তাপ সরাসরি সোলারের উপরে পড়লে বিদ্যুৎ তৈরি হবে যার কারণে ঘরে তাপমাত্রা কম লাগবে। কেননা তাপটা সোলার শোষণ করে নেবে, এক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধা হল বিদ্যুৎ না থাকলে এই সোলার ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও এই সোলার ব্যবহার করলে খুবই কম খরচ হবে। কেননা এটা প্রাকৃতিক উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত মহিলারা টিনের ঘরের চালে বিভিন্ন ধরনের লতা পাতা গাছ লাগায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকে, কিছু সবজিও খাওয়া যায়। তাই লাউ, কুমড়ো, শিম ইত্যাদি গাছগুলো লাগাতে পারেন। এতে প্রাকৃতিক গতভাবে ছায়া দেবে, এছাড়াও চাল ঠান্ডা রাখবে এবং তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। আপনিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে আপনার শাকসবজি খাওয়া হলো এবং ঘরও অনেকটা ঠান্ডা থাকবে। কেননা সরাসরি তাপমাত্রা এই লতাপাতার উপরে পড়বে, যার কারণে ঘরকে গরম থেকে রক্ষা করবে।
বর্তমানে অনেকে টিনের চাল না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সিমেন্ট দিয়ে তৈরি টিন ব্যবহার করে থাকে অথবা তাপরোধক এক ধরনের টাইলস রয়েছে যেগুলো অত্যাধিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই ধরনের টাইলস দিয়েও আপনি ঘর তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার তাপমাত্রা কম লাগবে এবং ঘরের ভিতর ঠান্ডা থাকবে। যদিও এটা একটি ব্যয়বহুল ব্যবস্থা যার কারণে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা এই ব্যবস্থা করতে পারেন অথবা সিমেন্টের টিন ব্যবহার করতে পারেন। সিমেন্টের টিন ঘরকে অনেক ঠান্ডা রাখবে এবং তাপ শোষণ করে নেবে।
গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই ঘরের উপরে চাল কিন্তু চারিদিকে দেয়াল পাকা করা থাকে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের দেওয়ালে এক ধরনের তাপরোধক রং ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার তাপটা শোষণ করে নেবে, এজন্য ঘর অনেক ঠান্ডা থাকবে। তাই যাদের ঘরে এই ধরনের দেওয়াল রয়েছে তারা সাধারণত সাদা রং ব্যবহার করতে পারেন। কেননা সাদা রং তাপ শাসন করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য দেওয়ালে সাদা রং ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার ঘর অনেক ঠান্ডা থাকবে।
আগের যুগে সাধারণত লোকজন ঘরের বেড়া দিতেন বিভিন্ন ধরনের বাঁশের বেড়া, চাটাই দিয়ে। যার কারণে বাহিরের বাতাসগুলো ভেতরে প্রবেশ করত। এজন্য ঘর অনেকটা ঠান্ডা থাকতো, তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আবার টিনের ঘরে মাটির দেয়াল দিয়ে থাকে। এই ধরনের মাটির ঘর গুলো গরম কালে ঠান্ডা হয় এবং শীতকালে ঘরের ভিতর গরম লাগে। এই ধরনের মাটির ঘরকে সাধারণত প্রাকৃতিক এসি বলা হয়ে থাকে। তাই আপনিও প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য এই মাটির ঘর দিতে পারেন।
আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জানালা রাখতে হবে। যেন সারা বছর বাতাস আসে সেই দিকে জানালা ও দরজার রাখার ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে পারেন, এতে করে ঘরের তাপমাত্রাগুলো বাহিরে চলে যাবে।এজন্য ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ দরজা জানালা রাখতে পারেন। এছাড়া ঘরের সাথে রান্না ঘর দেবেন না। এজন্য রান্না ঘরটা একটু দূরে রাখতে হবে, তাহলে তাপমাত্রা অনেকটা কম লাগবে। এছাড়াও রান্না ঘরে তাপমাত্রা বের হওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখবেন।
আপনার ঘরে জানালা খোলার পরে হালকা যদি রোদ আসে এই রোদকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই রং রোদের তাপমাত্রাকে শোষণ করতে পারে। এছাড়া টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন, এক্ষেত্রে তাপমাত্রা কম লাগবে। কেননা টেবিল ফ্যানের বাতাস অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে থাকে। তাছাড়া ঘরের ভিতরে লাল আলোর বাতি লাগাবেন না, এই ক্ষেত্রে এলইডি সাদা বাল্ব ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এই ধরনের বাতিগুলো সাধারণত তাপমাত্রা কম হয়ে থাকে। এছাড়া সার্বক্ষণিক টিভি, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এগুলো বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।
আপনার টিনের ঘরে যদি মেঝে পাকা করা থাকে সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে ঘন ঘন মুছে নিবেন, এতে মেঝেটা অনেক ঠান্ডা থাকবে এবং আপনি যখন এর উপর চলাফেরা করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের তাপমাত্রাটাও কমে যাবে এবং ঠান্ডা অনুভূত হবে। সব সময় চেষ্টা করবেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার। তাই আপনি যখন ঘরের মেঝে পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন, সেই ক্ষেত্রে পানি গুলো বাষ্প আকারে বাতাসের সাথে এসে আপনার শরীরে লাগবে, তখন তাপমাত্রা খুবই কম মনে হবে। এতে আপনার শরীর ঠান্ডা ঠান্ডা মনে হবে।
ছাদ ঠান্ডা রাখার উপায়
আপনার ঘরের ছাদ যদি ঠান্ডা রাখতে পারেন তাহলে গরম কম লাগবে। তাই ছাদ ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন। চলুন, কিভাবে ঘরের ছাদ ঠান্ডা রাখা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
সব সময় ঘরের ছাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে, যদি আপনার একতলা বিশিষ্ট ঘর হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সবুজ গাছপালা লাগাতে পারেন এবং সেগুলো পরিচর্যা করতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। তা না হলে ছাদ নষ্ট হয়ে যাবে, এতে সমস্যা দেখা দিবে। অনেকেই ছাদের উপরে নোংরা করে রাখে বা বিভিন্ন আবর্জনা দেয়, এর কারণে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সব সময় ছাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখবেন।
আপনার বাড়ি যদি একতলা বিশিষ্ট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সূর্যের তাপ ছাদে পড়লে, ভিতরে প্রচন্ড পরিমাণে তাপমাত্রা হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে একতলা বিশিষ্ট বাড়ির ভিতরে প্রচুর পরিমাণে গরম হয়। তাই সন্ধ্যার পূর্বে অবশ্যই পানি দিয়ে ছাদ ভিজিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন ছাদে হালকা রঙের প্রলেপ দিতে পারেন। তবে সাদা রঙ দিতে পারেন কেননা সাদা রং তাপমাত্রা শোষণ করতে পারবে। তবে কখনই কালো রং ব্যবহার করবেন না, এতে তাপমাত্রা বেশি বৃদ্ধি করবে।
যাদের বাসার ছাদ রয়েছে তারা এই ছাদকে ঠান্ডা রাখার জন্য সবচাইতে ভালো হবে ছাদ বাগান করা। এক্ষেত্রে ছাদে আপনি বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষাবাদ করতে পারেন অথবা ফুল ফলের গাছ লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি শাক-সবজি, ফল মূল এবং ফুলের সুভাষ নিতে পারলেন। এছাড়াও আপনার ঘরের তাপমাত্রা কম হবে। কেননা সূর্যের আলো গাছের উপরে পড়ার কারণে ঘর অত্যন্ত ঠান্ডা থাকবে। তাই আপনার বাড়ির ছাদে বাগান করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে।
এছাড়াও আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সেটা হল বাড়ির ছাদের উপরে সোলার প্যানেল বসাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার তাপমাত্রা সোলার প্যানেল শোষণ করে নিবে, যার কারণে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে। এই সোলার প্যানেল আপনার বিদ্যুৎ না থাকলে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। কেননা সূর্যের তাপ শোষণ করে এই সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন এই ধরনের সোলার আপনার বাসার ছাদের উপরে বসাবেন, যেন আপনার ঘর ঠান্ডা থাকে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন।
এসি ছাড়া রুম ঠান্ডা করার উপায়
যাদের দালান বাড়ি রয়েছে তারা এসি লাগায় কিন্তু এসি ছাড়া রুম ঠান্ডা করার উপায় সম্পর্কে যদি জানা থাকে। তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে এসি ছাড়া আপনার রুম ঠান্ডা করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অত্যন্ত তাপের কারণে অনেকেই দেখা যায় ঘরে এসি লাগায়, যার কারণে ঘর ঠান্ডা থাকে কিন্তু এই এসি ছাড়া আপনি কিভাবে ঘরকে ঠান্ডা করবেন সে ক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে দিনের বেলায় জানালা খুলে দিতে হবে এবং সাদা রংয়ের পর্দা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এই ধরনের পর্দা লাগিয়ে দিবেন এতে করে হালকা বাতাস আসবে গরম কম লাগবে। তাছাড়া জানালা থাকার কারণে বাইরের বাতাস ভেতরে প্রবেশ করবে, আর পর্দা সাধারণত রোদকে ঠেকানোর চেষ্টা করবে।
আপনার ঘরের ভিতরে যে গরম বাতাস থাকে সেটা বের করে দেওয়ার জন্য আপনি ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেকেই বাথরুমে অথবা রান্নাঘরে সাধারণত এই ধরনের ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা করে থাকে। যার কারণে আপনার ঘরের যে তাপমাত্রা সেটা এই ফ্যানটা বাইরে বের করে দেবে। তাই আপনার বাসায় অবশ্যই ভেন্টিলেটর লাগাবেন এবং জানালা এমন সাইটে রাখার চেষ্টা করবেন যেখানে দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বাতাস আসতে পারে, এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। বাইরের বাতাসের সাথে হালকা সিলিং ফ্যান ও চালিয়ে রাখবেন।
যখন আপনি ঘরের ভিতরে ফ্যান চালাবেন সেই ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন টেবিল ফ্যান চালানোর জন্য এবং টেবিল ফ্যানের সাথে সাধারণত ভেজা কাপড় বা ঠান্ডা বস্তু যদি ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে দেখবেন বাতাসটা অত্যন্ত ঠান্ডা লাগবে। আপনার শরীরে গরম অনুভূত হবে না, তাছাড়া আপনি যদি হালকা করে এয়ার কন্ডিশন ছাড়ার পরে হালকা সিলিং ফ্যান চালু করেন তাহলে ঘরটা সুন্দর ঠান্ডা থাকবে।
ঘরোয়া উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়
আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে ঘর ঠান্ডা রাখতে চান, সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ঘরকে সুন্দরভাবে ঠান্ডা রাখতে পারবেন। চলুন, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ঘরকে ঠান্ডা করবেন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ঘরোয়া উপায়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো, জানালাতে বিভিন্ন ধরনের সুতির পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের পর্দা গুলো সাধারণত তাপকে শোষণ করতে পারে। তাই এই ধরনের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখবে। এছাড়াও ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য সকালবেলা অবশ্যই জানালাতে পর্দা হালকা করে লাগিয়ে দিবেন। এতে একদিকে বাতাস আসবে অন্যদিকে রোদ্র শোষণ করে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার ঘরটা অত্যন্ত ঠান্ডা থাকবে, তাই আপনি এই প্রাকৃতিক উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন।
যেহেতু রাত্রিতে ঘর গুলো বেশি তাপমাত্রা হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে রাত্রিতে যেন ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। আপনি যদি নিরাপদ মনে করেন সেই ক্ষেত্রে জানালা খুলে রেখে ঘুমাতে পারেন। এক্ষেত্রে বাতাস আসলে ঘরটা অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং এসির মত ঠান্ডা মনে হবে, এতে আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন রাত্রিতে ঘরের জানালা গুলো খুলে ঘুমানো তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যেন আপনার বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য সবচাইতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, তাহলে গাছপালার ছায়াতে আপনার ঘর অত্যন্ত ঠান্ডা থাকবে। বিশেষ করে অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে পারেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের গাছ লাগাতে পারেন। বটগাছ লাগাতে পারেন, এই ধরনের গাছগুলো লাগালে দেখা যায় ঘরকে অত্যন্ত ছায়া দেবে এবং বাতাসটা খুবই ঠান্ডা হবে। জানালা খুলে রাখবেন দেখবেন গাছের বাতাস আপনার ঘরে যখন প্রবেশ করবে ঘর অত্যন্ত ঠান্ডা হবে।
শেষ কথাঃ গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি টিনের ঘরকে ঠান্ডা রাখতে চান, সেই ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে ঘর অত্যন্ত ঠান্ডা হবে। এই জন্য আজকের আর্টিকেলে টিনের ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য যে উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, আপনি যদি বাস্তবতায় প্রয়োগ করেন। আশা করি আপনার ঘর ঠান্ডা হবে। তাই গরমে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url