ব্যাংক থেকে কিভাবে নারী উদ্যোক্তারা সহজে লোন পাবেন বিস্তারিত জানুন

বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্তা হতে বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানা থাকলে তারা সহজভাবে লোন নিতে পারবে। চলুন, নারী উদ্যোক্তারা কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে লোন নিতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি নারীর উদ্যোক্তা হয়ে সফলতা অর্জন করতে চান, তাহলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। তাই উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃনারী উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বিস্তারিত জেনে নিন

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়

বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্তা হতে চায়, তাই উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নারীরা কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে লোন নিতে পারবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্তা হতে চায় কিন্তু মূলধন না থাকার কারণে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারে না। এজন্য মূলধনের প্রয়োজন হয়। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই সকল নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে বা অনেকে বড় ধরনের লোন নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি সহজ পদ্ধতিতে লোন শোধ করতে পারবেন। তাছাড়া খুবই কম লাভে এই সকল প্রতিষ্ঠান গুলো লোন দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি কোন উদ্যোক্তা হতে চান সেক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

লোন পেতে উদ্যোক্তার করণীয়ঃ আপনি যদি ছোট খাটো কোন ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে আপনার লোন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে, সে সকল প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এরপরে আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি যে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে জমা দেওয়া লাগবে। এছাড়াও আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ জমা দেওয়া লাগবে। তাছাড়া পূর্বে যদি কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে তার ডকুমেন্টসহ জমা দিতে হবে।

বর্তমানে ব্যাংক বা যে সকল প্রতিষ্ঠান লোন দিয়ে থাকে, তারা সাধারণত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ভিন্ন একটি ইউনিট চালু করার ব্যবস্থা করেছে। সেখান থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারবেন। এছাড়াও নারীদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক আলাদা ইউনিট করে দিয়েছে। এখান থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন, এই শাখা মূলত নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ব্যবসা প্রমোশন, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন ইত্যাদি কর্মসূচি গুলো মনিটরিং করে থাকে। এছাড়াও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা একটি নারী উদ্যোক্তা ইউনিটে রয়েছে।
লোনের নীতিমালা সমূহঃ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো খুবই সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। তবে তাদের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা রয়েছে, সেই নীতিমালা গুলো অনুসরণ করতে হবে। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠান গুলো বড় ধরনের পরিকল্পনা করে থাকে, নারী উদ্যোক্তারা কি ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করবে সে ক্ষেত্রেও পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি নারীর উদ্যোক্তা যারা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মাত্র ৭% সুদ নিয়ে থাকে। এছাড়াও যদি কোন নারী উদ্যোক্তা বড় ধরনের লোন নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে জামানত দিতে হবে। তবে জামানত ছাড়া ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।

এই ধরনের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা একটি ইউনিট রয়েছে, তারা নারী উদ্যোক্তাদেরকে খুঁজে বের করে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১ বছর, ৩ বা ছয় মাস ইত্যাদি ধরনের লোন রয়েছে। তারা প্রথমে উদ্যোক্তাকে এই ধরনের লোন গুলো দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে তারা যদি ব্যবসায় ভালো উন্নত করতে পারে সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময়ের জন্য লোন দিয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যাংক গুলো সাধারণত যে শাখা খুলেছে সেই শাখাতে তিনজন নারী উদ্যোক্তা পছন্দ করে থাকে। যারা কখনোই ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে নাই। প্রথমে তাদের প্রশিক্ষণ দেয় এরপরে ঋণ দিয়ে থাকে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ লোনঃ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু ব্যাংক বিশেষ লোন দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যে সকল নারী উদ্যোক্তারা ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের কাজ করে থাকে, তাদেরকে সাধারণত এই ব্যাংক গুলো দুই বছরের জন্য লোন দিয়ে থাকে। তবে সেই উদ্যোক্তার অবশ্যই ব্যাংকের সাথে যুক্ত থাকা লাগবে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও গুলো ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে থাকে যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, আশা ইত্যাদি এনজিও গুলো সাধারণত ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে গ্রামীণ অঞ্চল গুলোতে তারা উদ্যোক্তা তৈরি করেছে এবং যারা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ যে সকল কাগজপত্র জমা দিবেন সে সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। যে ডকুমেন্ট গুলো অবশ্যই দিতে হবে তা হল; লোন আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স, জমা দেওয়া লাগবে। আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট করবেন ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর স্বাক্ষর নিতে হবে। আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া লাগবে, ইলেকট্রিক্যাল, টেলিফোন, গ্যাস, ট্যাক্স ইত্যাদি বিলের ফটোকপি এবং বাড়ির দলিল দেখাতে হবে। চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

নারী উদ্যোক্তার জন্য জামানত ছাড়া লোন

বর্তমানে নারীরা জামানত ছাড়াই লোন পায়, তাই নারী উদ্যোক্তার জন্য জামানত ছাড়া লোন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, জামানত ছাড়া লোন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।

বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য লোনের ব্যাংক এতটাই সহজ করে দিয়েছে যে তারা জামানত ছাড়াই ব্যাংক থেকে সহজ উপায়ে লোন নিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় নির্দেশনা থাকে, এক্ষেত্রে সাধারণত নারী উদ্যোক্তারা ক্ষুদ্রঋণ পাবেন। আপনি যদি লেনদেন ভালোভাবে করতে পারেন সে ক্ষেত্রে লোনের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। এই ধরনের লোনে মাত্র ৯ শতাংশ সুদ দিতে হবে। এজন্য অনেক নারী উদ্যোক্তা এই ধরনের ঋণ নিয়ে থাকে। তবে এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণ দিতে হবে, তাহলে লোন নিতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন

বর্তমানে সোনালী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদেরকে লোন দিয়ে থাকে। তাই সোনালী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে সহজ ভাবে আপনি লোন নিতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

এটি সরকারি একটি ব্যাংক কিন্তু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ধরনের লোন বা স্কিম চালু করেছে। যা নারী উদ্যোক্তা লোন নামে পরিচিত। এই লোনটি নারী উদ্যোক্তাদের সহজ নিয়মে দিয়ে থাকে। এই ধরনের লোনের ক্ষেত্রে একজন নারী উদ্যোক্তা যদি জামানত দিতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। আর যদি জামানত না দিতে পারে সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত ঋণ দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। এছাড়াও এই ব্যাংকটি সাধারণত উদ্যোক্তাদেরকে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেন।

নতুন ব্যবসার জন্য লোন

যারা নতুন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তারাও লোন নিতে পারবেন। তাই নতুন ব্যবসার জন্য লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। চলুন, নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে কিভাবে লোন নিবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি নতুন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, ব্যবসাটাকে আরো বড় করতে চাচ্ছেন এবং মজবুত করতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে আপনার কিছু লোনের প্রয়োজন। তাই আপনি নতুন ব্যবসায়িক হিসাবে তরুণ উদ্যোক্তা হতে পারেন। তাই নতুন ব্যবসায়ী হিসাবে আপনি লোন নিতে পারবেন। অনেকে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা রয়েছে তারা কিছু ছোটখাটো ব্যবসা করতে চায়, সেই ক্ষেত্রে কিছু মূলধনের প্রয়োজন। যেহেতু আপনি একজন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা সে ক্ষেত্রে আপনার মূলধন খুবই প্রয়োজন। তাই আপনি বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে পারেন।
বিভিন্ন ব্যাংক বা সংস্থা গুলো আপনাকে ক্ষুদ্র ঋণ দিবে, তবে ক্ষুদ্র বা নতুন ব্যবসায়ী তারা কিভাবে লোন নিবেন, কোথা থেকে লোন নিবেন। এ সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন, তাই এই লোনগুলো সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংক দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ব্যবসা করার জন্যই এই ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। মূলত এই ধরনের ব্যাংক রয়েছে তিনটি যারা এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক তিনটি ব্যাংক এই ধরনের ঋণ গুলো দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এ সকল ব্যাংকের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সে নিয়ম কানুন মেনে আপনাকে লোন নিতে হবে।

জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জনতা ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। তাই জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন কিভাবে নেবেন এবং আপনার যোগ্যতা কি থাকতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

জনতা ব্যাংক নারীর উদ্যোক্তাদেরকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা সহজ পদ্ধতিতে লোন দিয়ে থাকে এবং তাদেরকে ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেয়। তবে নারীর উদ্যোক্তাদের লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ডকুমেন্টসের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি কোন ছোটখাটো বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন বা কোন দ্রব্যমূল্য তৈরীর ক্ষেত্রে লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার আবেদন করতে হবে এবং আবেদন পত্রের সাথে ট্রেড লাইসেন্স এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

এই ব্যাংক থেকে সাধারণত নারীরা যে লোন নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে সুদের হার খুবই কম। মাত্র ৪ থেকে ৮% এর মতো সুদ নেওয়া হয়ে থাকে। যেহেতু ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা আপনি নিতে পারবেন, এই ক্ষেত্রে জামানত দিতে হবে না। নারী উদ্যোক্তাদের এই লোন নেওয়ার জন্য জনতা ব্যাংকের আলাদা একটি ইউনিট রয়েছে। এখান থেকে আপনি যেকোনো ধরনের সহযোগিতা পাবেন। তবে এই ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে তদন্ত করবে কেননা আপনাকে ঋণ দেওয়া যাবে কিনা, এরপর তারা আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই করে সহজে লোন দিয়ে দিবে।

ব্র্যাক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়। এখন জানবো ব্র্যাক ব্যাংক কিভাবে লোন দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। বিশেষ করে যারা ক্ষুদ্রঋণ বা ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক। যে কারণে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এই নারী শক্তি লোন চালু করেছে। এই লোনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। এই লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী আপনাকে লোন দেওয়া হবে। সহজ কিস্তিতে এবং দীর্ঘমেয়াদীতে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে না, এ ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আপনি আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনাকে প্রশিক্ষণ করাবে।

ইসলামী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন

ইসলামী ব্যাংক নারীদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্য ইসলামী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন এর ব্যবস্থা করেছে। এত নারীরা ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে বড় ধরনের ব্যবসা করতে পারছে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ইসলামী ব্যাংক সাধারণত নারীদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আহ্বান করে থাকে। এছাড়াও তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে থাকে। তারা ইসলামের শরীয়ত ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি লোন ইউনিট রয়েছে। সেখানে গিয়ে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন, তবে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ভোটার আইডি কার্ড, ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, ছয় মাসে ব্যাংকের সাথে লেনাদেন করেছেন তার ডকুমেন্টস লাগবে।

এছাড়াও আবেদন ফরম পূরণ করবেন, ছবি লাগবে। বর্তমানে গৃহস্থলীর কাজ করার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারা সাধারণত অনলাইনের পোশাকের ব্যবসা, অনলাইনে কসমেটিকের ব্যবসা, ফুড প্রসেসিং ইত্যাদির কাজগুলো করে যাচ্ছে। যার কারণে ব্যাংক তাদেরকে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে। তাই তারা জামানত বিহীন বা বিনা সুদে ইসলামী ব্যাংক লভ্যাংশ হিসেবে তারা কিছু শর্ত দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে। তাই আপনি যদি নারী উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে ইসলামী ব্যাংকে থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।

সিটি ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন

সিটি ব্যাংক নারীদের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সিটি ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তারা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত সিটি ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো নারীদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করা। সিটি ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে একটি লোনের ব্যবস্থা করেছে এবং আলাদা একটি ইউনিট খুলেছে। এর মাধ্যমে আপনি বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবেন। এছাড়াও আপনি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। এরপরে আপনি খুবই কম লাভে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। তাছাড়া এই ব্যাংক ব্যবসা করার জন্য আরও বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনাকে লোন দিবে।
এছাড়াও সিটি ব্যাংক হোম লোন নিতে পারবেন। তাছাড়া এই ব্যাংক সাধারণত নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই ব্যবসায় ভালো করার ক্ষেত্রে আপনাকে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হবে। তাই নারী গ্রাহকরা এই সিটি ব্যাংক থেকে সুবিধাটি নিতে পারেন এবং এদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি প্রশিক্ষণ নিয়ে ছোটখাটো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হতে পারবেন। তাই আপনি যদি নারীর উদ্যোক্তা হতে চান সে ক্ষেত্রে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

নারী উদ্যোক্তা ইনস্টলমেন্ট লোন

বর্তমানে নারীরা উদ্যোক্ত হওয়ার জন্য লোন নিতে পারবেন। তাই নারী উদ্যোক্তা ইনস্টলমেন্ট লোন নেওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতির রয়েছে। চলুন, কিভাবে আপনি লোনটা নেবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বর্তমানে কিছু জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা অবহেলিত নারী। তারা মূলধনের অভাবে মেধা থাকা সত্ত্বেও ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে পারে না। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা বঞ্চিত নারীগুলো তাদের দক্ষতা ও মেধা থাকা সত্ত্বেও তারা মূলধনের অভাবে কিছু করতে পারছে না। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প, হস্তশিল্প এর কাজ জানে কিন্তু মূলধনের অভাবে ব্যবসা করতে পারে না। এজন্য এই সকল পরিবারের জন্য সহযোগিতা করা উচিত। তাই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো ক্ষুদ্র লোন দিয়ে যাচ্ছে। এদের থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করে লোন নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেছে।

তাই বিভিন্ন সংস্থা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো বিভিন্ন ধরনের এসএমই ইনস্টলমেন্ট লোন চালু করেছে। যে সেবাটির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে পারবে যেমন প্রিন্টিং এর কাজ, প্যাকেজিং, বুটিক হাউস, বিউটি পার্লার, ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি ধরনের কাজগুলো নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ইনস্টলমেন্ট লোন নিতে পারবেন এবং নারীদের এই লোন ব্যবসার ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম কেনা যাবে। তাই আপনি এই ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করবেন

সমাপনী কথাঃ নারী উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে বর্তমানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা উদ্যোক্তা হলে তাদের চাকরি করতে হবে না। কেননা নারীরা চাকরি করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য নারীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হতে পারেন। তাই বর্তমানে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক গুলো এই ধরনের নারী উদ্যোক্তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের লোন এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাই নারী উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url