বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
অনেকে কাজাখস্তানের ভিসা খরচ সম্পর্কে জানে না। তাই কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে? এজন্য কোন ভিসার কত দাম সে সম্পর্কে আপনাকে ধারণা নিতে হবে। চলুন, কাজাখস্তান কোন ভিসার কত দাম সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অনেক লোক কাজাখস্তানে কাজের ভিসার জন্য যেতে চায় কিন্তু এই ভিসার দাম সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তবে যদি আপনি নিজে আবেদন করে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে কম খরচ হবে। তাই কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের অনেক লোক কাজাখস্তানে যায় তবে কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো জানেনা। যদি আপনি কাজাখস্তানের ভিসা সম্পর্কে না জানেন। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়বেন। চলুন, কাজাখস্তানের ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভিসা করতে হবে। তবে আপনি যদি কাজের ভিসার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ভিসার চেয়ে দাম বেশি। তাছাড়া আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা রয়েছে। এই সকল ভিসা গুলোর মাধ্যমে আপনি কাজাখস্তান যেতে পারবেন। তাই এই ভিসা গুলো সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। কেননা কোন ভিসার দাম কত? সে সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা থাকতে হবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কাজাখস্তান সরকারি ভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে সর্বমোট ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। তাছাড়া যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার মত খরচ হবে। তবে কোন কাজে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কেও জানার প্রয়োজন। বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। কেননা বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিমান আছে, সে ক্ষেত্রে অনেকের ২ থেকে ৩ লাখ টাকাও খরচ হতে পারে। তাছাড়া ভিসা আবেদন ফি ও অন্যান্য খরচ প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগবে।
আপনি যখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা ফি দিতে হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার লাগতে পারে। এটা বিমানের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে। তাছাড়া এজেন্সি ফি ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এছাড়া আরো অন্যান্য মেডিকেল খরচ, কাগজপত্র ইত্যাদি সকল কিছু মিলে আরো ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। তাই সর্বোপরি চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য সেই ক্ষেত্রে আপনার কম খরচ হবে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসা খরচঃ অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসায় কাজাখস্তানে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে খরচের সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। যার কারণে এজেন্সিতে বেশি টাকা দিয়ে তারা স্টুডেন্ট ভিসা করে যাচ্ছে কিন্তু যদি আপনি একটু নিজে চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার অনেক টাকা কম লাগবে। চলুন কিভাবে আপনি নিজে আবেদন করবেন এবং কত টাকা লাগতে পারে সেটা সম্পর্কে জানা যাক। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মত লাগবে। এক্ষেত্রে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করবেন।
এরপর যাচাই বাছাই করে আপনাকে নির্বাচিত করলে, কাগজপত্র পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিস হিসাবে আরো ৫ হাজার টাকা লাগতে পারে। এছাড়া সকল কিছু যাচাই বাছাই করার পরে আপনাকে যখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এপ্লিকেশনের জন্য অনুমোদন দিবে, সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তারপরে বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। সর্বমোট আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে কিন্তু যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাবে।
টুরিস্ট ভিসা খরচঃ আপনি যদি ভ্রমণ করার জন্য কাজাখস্তান যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬০ মার্কিন ডলারের মত খরচ হবে। এছাড়াও আপনার আরো কিছু খরচ রয়েছে সে ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে না, যার কারণে অধিকাংশ মানুষ টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে পরবর্তী ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পরিবর্তন করে থাকে কিন্তু এই ধরনের চিন্তা ভাবনা নিয়ে অনেকেই যাওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে ৯০ দিন পার হয়ে যায় কিন্তু কোন কাজের সন্ধান করতে পারেনা। এতে অনেক কষ্টে হয়।
তবে আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী যেতে পারেন বা আপনার যদি কোন পরিচিত ব্যক্তি থাকে তাহলে আপনি সুন্দরভাবে যেতে পারবেন। তাছাড়া খরচের বিষয়ে যেটা বলা যেতে পারে আপনার আবেদন ফি এবং বিমান ভাড়া সব মিলে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তাই এই দেশের ওয়েবসাইটে সকল কিছু আলোচনা করা হয়েছে আপনি সেখান থেকে দেখে আবেদন করতে পারেন।
বিজনেস ভিসা খরচঃ অনেকেই বিজনেস ভিসায় কাজাখস্তান যাচ্ছে পরবর্তীতে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পরিবর্তন করে থাকে। তবে এই বিষয়ে অনেকটাই ঝুঁকি রয়েছে, তাই আপনি ভেবেচিন্তে তারপরে যাবেন। আপনার বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৯০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলারের মত। এছাড়া আরো অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বমোট আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান সে থেকে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়ে যাবে। তাই একটু নিজে পরিশ্রম করে আবেদন করেন।
কাজাখস্তান বেতন কত
যারা কাজাখস্তান যেতে চাচ্ছেন তাদের বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই কাজাখস্তান বেতন কত? এ সম্পর্কে জেনে তারপর আপনি কোন কাজের উপরে যাবেন, তাহলেই বেতন সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। চলুন, কোন ধরনের কাজের কত বেতন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কাজাখস্তান সাধারণত যারা ক্লিনারের কাজ করে থাকে তাদের সাধারনত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন দেয়। তাছাড়া যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে এবং দক্ষ শ্রমিক হন সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো এবং ভাষা দক্ষতা রয়েছে তারা ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো বেতন পাবেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অবশ্যই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর এই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি বেশি টাকা বেতন পাবেন।
এছাড়া যারা বিভিন্ন কাজের উপরে গিয়ে থাকে যেমন আইসিটি এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করে তারা ২ লাখ টাকার উপরেও বেতন পেয়ে থাকে। এছাড়াও যারা ইলেকট্রিশিয়ান বা প্লাম্বার বা নির্মাণ কাজ করেন তারা সাধারণত ৭০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পেয়ে থাকে। এছাড়া যারা ইঞ্জিনিয়ার বা আইটি সেক্টরে চাকরি করে থাকে তারা সাধারণত ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ ৫০ হাজার টাকার মতো মাসে বেতন পায়। তাছাড়া যারা ওভারটাইম করবেন তাদের অতিরিক্ত বেতন বাড়বে, সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় আরো ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেশি পাওয়া যেতে পারে।
কাজাখস্তান কোন কাজের চাহিদা বেশি
যদি আপনি কাজাখস্তান কাজের সম্পর্কে জানেন তাহলে বেতন বেশি পাবেন। তাই কাজাখস্তান কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। চলুন, কোন কাজের সবচাইতে বেতন বেশি এবং চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশটিতে সাধারণত খনিজ পদার্থ ও শিল্প কলকারখানা ইত্যাদি অনেক বেশি দেখা যায়। যার কারণে এই শিল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি যেতে চান তাহলে এই বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তাহলে আপনার ৮০ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মতো বেতন দেবে। তাছাড়া কাজাখস্তানের খনিজ সম্পদ রয়েছে যার কারণে এই ধরনের কাজের শ্রমিক নিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কাজের বিষয় যেতে হবে।
যদি আপনি এই কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অনেক টাকা বেতন পাবেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। নির্মাণ কাজ বা ব্যবসা দেখাশোনার কাজ করতে পারেন অথবা ছোট পর্যায়ে আরো অনেক কাজ রয়েছে, এছাড়াও আপনি এদেশের বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনার কাজ। বিভিন্ন নির্মাণ, কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে পারেন। এই ধরনের কাজ গুলোতে অনেক চাহিদা থাকে।
কাজাখস্তান যেতে বয়স কত লাগে
অনেকে জানতে চায় যে কাজাখস্তান যেতে বয়স কত লাগে? আসলে বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে আপনার বয়স কত হবে এবং ভিসার উপরে নির্ভর করবে কত বয়স লাগতে পারে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।
যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২১ বছর এর মধ্যে থাকতে হবে। এর কম বেশি চলবে না, তাছাড়া যদি টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে বয়সের জন্য অভিভাবক যে ডকুমেন্টস দেবে তার নির্ভর করবে। তবে কাজের ক্ষেত্রে বয়স কিন্তু খুবই জরুরী বিষয় এর মধ্যে কোন ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। যদি আপনি কোন কারণে বয়স কম বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই বয়সের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
কাজাখস্তান ভিসা চেক
ভিসা আবেদন করার পরে অবশ্যই চেক দিবেন তাই কাজাখস্তান ভিসা চেক কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে নিজেই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা চেক দিতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু এখন যেকোনো রাষ্ট্রের ভিসার কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই আপনার অবশ্যই ভিসা চেক দিতে হবে এক্ষেত্রে আপনি যে কোন একটি ব্রাউজারে গিয়ে প্রবাসী অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নেবেন। এরপরে সেখানে ওপেন করলে যে কোন দেশের ভিসা চেক দিতে পারবেন। এজন্য এই অ্যাপস এর ভিতরে অবশ্যই একটি একাউন্ট তৈরি করা লাগবে। এরপরে একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি সেখানে প্রবেশ করে ভিসা চেক অপশনে গিয়ে আপনার ভিসা চেক দিবেন। এজন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তথ্য লাগতে পারে। সেগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।
কাজাখস্তান ভিসা আবেদন
আপনি যখন কাজাখস্তান কাজ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাই কাজাখস্তান ভিসা আবেদন সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনার অনেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ,কম খরচ হবে চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কাজাখস্তান যেতে চান তাহলে ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে এ দেশের ওয়েবসাইটে আপনাকে যেতে হবে। এরপর ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড দেবেন, তারপরে যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন এরপরে ভিসা ভি আবেদন ফি জমা দেবেন তারপর যে সকল কাগজপত্র লাগবে সেই কাগজ গুলো। এ দেশের দূতাবাসে জমা দিবেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার কোন কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রেখে দেবেন। আপনার যে সকল কাগজপত্র লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অবশ্য আপনার একটা বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ অবশ্যই ছয় মাসের মধ্যে আছে। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র এবং কমপক্ষে তিন মাসের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট। এছাড়াও বিমানের টিকিটের ফটোকপি দিতে হবে, পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষা দক্ষতা যদি থাকে তার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। তবে এই কাগজপত্র বাহিরেও আপনার আরো হয়তো কাগজপত্র লাগতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনি কাজাখাস্তানের দূতাবাসে যোগাযোগ করবেন তারা যদি আরো কোন ডকুমেন্টস লাগে সেগুলো জমা দিবেন।
কাজাখস্তান সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে জানুন ( FAQ )
কাজাখস্তান যেতে কত সময় লাগে?
যেহেতু এটা নির্ভর করবে আপনার যাতায়াতের ব্যবস্থার উপর। আপনার সর্বনিম্ন ৭ ঘন্টা থেকে ১৫ ঘন্টার মত সময় লাগবে।
কাজাখস্তান কাজের ভিসা কতদিনের জন্য দেওয়া হয়?
আপনি যে কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে কত সময় লাগতে পারে, সে ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ বছরও মেয়াদ থাকবে।
কাজাখস্তান কাজের ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
আমরা যদি সঠিকভাবে কাগজপত্র জমা দেই, সেই ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহ মতো সময় লাগবে।
কাজাখস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর উপায় কি?
আপনার ভিসার যখন মেয়াদ শেষ হবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইমিগ্রেশন অফিসে যাবেন এবং নতুন চুক্তিপত্র জমা দিতে হবে এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে যাবে।
কাজাখস্তান ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
মূলত এ দেশের ১ টাকা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে ২৩ পয়সার মত হবে।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজাখস্তান যাওয়ার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে কোন ভিসায় যাবেন, সেই সিদ্ধান্ত আগে নিবেন তারপরে কত টাকা লাগবে এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তবে বর্তমানে কাজাকাস্থানে জন্য বাংলাদেশের লোকের জন্য কাজাকাস্থানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে কিনা সেটা আপনি এজেন্সি থেকে জেনে নিবেন। তাছাড়া অন্য ভিসার মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে যাবেন না। এতে বিপদে পড়তে পারেন, তাই কাজাখস্তান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url