লেবু খেলে কি উপকার হয় ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন

লেবু কম বেশি সবারই খাওয়া প্রয়োজন। তাই লেবু খেলে কি উপকার হয়? এ সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে শরীরের উপকার হবে। চলুন, লেবু খাওয়ার কারণে শরীরে কি উপকার হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকেই লেবু অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে, এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে, তাহলে আপনার শরীরের উপকার হবে। তাই লেবু খেলে কি উপকার হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃলেবু খেলে কি উপকার হয় ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন

লেবু খেলে কি উপকার হয়

লেবু অনেক উপকারী একটি ফল, তাই লেবু খেলে কি উপকার হয়? এ সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিতভাবে হয়তো জানেন না। চলুন, লেবু আমাদের শরীরে কি উপকার করবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এর মধ্যে সাইট্রাস থাকে, এছাড়াও এর মধ্যে আরো পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাছাড়া এর মধ্যে ক্যালোরি কম থাকে যার কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। চলুন, এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

লেবুতে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে এবং বড় ধরনের রোগ ব্যাধি সংক্রমণ করতে পারবে না। এছাড়াও সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। তাই সর্দি কাশি ঠান্ডা হলে চিকিৎসকরা লেবু খেতে বলেন। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে, সে ক্ষেত্রে আপনি লেবু খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে ফাইবার আছে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা সকাল বেলা কুসুম গরম পানির মধ্যে এর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার যদি এসিডিটির পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাবেন। এছাড়াও লেবু আমাদের শরীরের ভিতরে খারাপ টক্সিন গুলো দূর করতে সাহায্য করে। যাদের ওজন নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন তারা নিশ্চিন্তে লেবুর পানি খেতে পারেন অথবা শরবত খেতে পারেন। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যার কারণে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই হালকা মধু মিশ্রিত করেতে পারেন।
অনেকের শরীর ফুলে যায় এবং মুখে ও পায়ে পানি জমে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এ ধরনের পানি কমানোর জন্য আপনি লেবুর শরবত খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের ফোলা ভাব কমে যাবে এবং পায়ে যে পানি আসছে সেটা দূর হয়ে যাবে। এটা আপনার হাইড্রেশনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে। কেননা গরমের দিনে প্রচুর পরিমাণ শরীর থেকে ঘামের কারণে পানি বের হয়ে যায়। এজন্য এই হাইড্রেশন দূর করার জন্য এক টুকরা লেবু নিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং হাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

যদি আপনি নিয়মিত ভাবে এর শরবত তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকবে। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন সি ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল গুলো দূর করতে সাহায্য করে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়াও এর মধ্যে ট্রাই গ্লিসারাইড থাকার কারণে খারাপ কোলেস্টেরল গুলো কমতে সাহায্য করে। যদি আপনি আয়রন শোষণ করতে চান সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন। এজন্য শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনি লেবু খেতে পারেন। এটা আপনার আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করবে যার কারণে এনিমিয়া হবে না।

আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে বা এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, সেক্ষেত্রে লেবু খেতে পারেন। এতে আপনি উপকার পাবেন, কেননা এর মাঝে সাইট্রাস থাকে যা আপনার কিডনিতে পাথরের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে পারবে। এছাড়াও এটা আপনার পাথরের বিকাশকে রোধ করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ইলেকট্রোলাইট রয়েছে যা আপনার তরল ভারসাম্য রক্ষা করবে এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইট পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিতভাবে লেবু খেতে পারেন।

যাদের মুখে অত্যন্ত দুর্গন্ধ হয় অথবা রসুন ও পেঁয়াজ খেলে মুখে প্রচুর পরিমাণে গন্ধ হয়ে থাকে। তারা এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য লেবু খেতে পারেন। এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরে আপনি পরিমাণমত লেবুর পানি খাবেন, দেখবেন আপনার এই নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ গুলো দূর হবে। এছাড়াও এটি আপনার মুখের গহবর সুস্থ থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা যে নিঃশ্বাসের সাথে দুর্গন্ধ হবে সেটাও কমে যাবে। আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য নিয়মিতভাবে লেবু খেতে পারেন, এতে আপনার শরীরেও অনেক উপকার করবে।

লেবুর সাথে যে সকল খাবার গুলো খাবেন না

দুধ এক প্রকার এসিড এবং লেবু এসিড সে ক্ষেত্রে এই দুইটা যদি মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে সমস্যা সৃষ্টি হবে। এতে আপনার পেটের এসিডিটি বৃদ্ধি পাবে অথবা পেট ফাঁপা দিতে পারে। লেবু যেহেতু টক জাতীয় ফল সেক্ষেত্রে যদি মিষ্টি জাতীয় ফলের সাথে মিশানো যায়, সেই মিষ্টিটা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কোন উপকার পাবেন না। এজন্য পরিমাণ মতো লেবুর রস ব্যবহার করতে থাকেন। এটা ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে এবং মুখের রুচিবোধ বৃদ্ধি করে, তবে যদি আপনি এর সাথে লেবু রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

পালং শাকের সাথে যদি আপনি লেবুর রস মিশ্রিত করেন, সেক্ষেত্রে আপনার সবুজ রং নষ্ট হয়ে গারো রং হবে। এটা আপনার সবুজ সবজিগুলো আসল চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে এবং পুষ্টিগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। লেবুর সাথে আপনি লবঙ্গ বা এলাচের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন, এতে আপনার খাওয়াটা সুস্বাদু হবে। অনেকেই টমেটো সালাদ খেতে পছন্দ করে সে ক্ষেত্রে এতে লেবুর রস মিশানো যাবে না। কেননা এ দুটি মারাত্মক ক্ষতি করবে এজন্য টমেটো এবং বাতিল থেকে বিরত রাখতে হবে কারণ এক দুইটি অনেক উপকার করেছে।

ত্বকের জন্য লেবুর উপকারিতা

অনেকেই ত্বকে লেবু ব্যবহার করে থাকে তাই ত্বকের জন্য লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। লেবুর ত্বকের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে, বিশেষ করে ত্বককে উজ্জ্বলতা করে। চলুন, লেবু আমাদের ত্বকে কিভাবে উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান থাকে তা আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতা সৃষ্টি করবে। তাছাড়া শরীর থেকে আপনার ফ্রি রেডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যদি আপনার ত্বকে কোন প্রদাহ থাকে সেক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল রং দেখা যাবে। তাই নিয়মিতভাবে আপনি ত্বকের জন্য লেবু ব্যবহার করতে পারেন।

অনেকের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ অথবা দাগ হয়ে থাকে, এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য লেবুর রস আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এছাড়া আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্রণ বেশি হতে পারে। এজন্য আপনি লেবুর রস ও অল্প পরিমাণ চিনির সাথে মিশিয়ে যদি ত্বকে লাগাতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার এ ধরনের সমস্যা দূর হবে। অনেকের নখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে বিশেষ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে থাকে। এজন্য আপনি লেবুর রস ও অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
যাদের অনেকের ঠোঁট শুষ্ক থাকে অথবা চামড়া উঠে যায় এই ধরনের সমস্যা যাদের আছে তারা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনি রাত্রিতে ঘুমানোর পূর্বে লেবুর রস ঠোঁটে লাগাবেন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দূর হবে। অনেকের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে বলি রেখা দেখা যায়। এটা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু কাজ হয় না বরং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এজন্য লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। তাই আপনি প্রতিদিন লেবুর রস বলিরেখার উপর লাগিয়ে রাখবেন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলবেন।

যাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় বিশেষ করে শুষ্কতা দেখা যায় তারা এর রস ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। এজন্য কয়েক ফোটা ডাবের পানির মধ্যে লেবুর রস মিশাবেন এরপর আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তারা অল্প পরিমাণে বেকিং সোডা নিবেন, এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রাশ করতে পারেন। আপনার দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।

যদি আপনি বাজারের বিভিন্ন ধরনের পারফিউম ব্যবহার করতে না চান সেই ক্ষেত্রে আপনি এ লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার বিশেষ জায়গা গুলোর দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। কেননা এর মাঝে সাইট্রিক এসিড থাকে যা আপনার দুর্গন্ধ গুলো দূর করতে উপকারিতা পাবেন। বিশেষ করে যে জায়গা গুলোতে আপনার দুর্গন্ধ হয় সেখানে এই লেবুর রস লাগাতে পারবেন। অনেকের নাকের উপর বা ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ব্ল্যাকহেড দেখা যায়, এতে আপনার সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায়। এই ধরনের ব্ল্যাকহেড দূর করার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত

অনেকেই জানতে চায় যে, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত? এজন্য সঠিক পদ্ধতি জানতে হবে। না জানলে পেটের ভিতরে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিবে। প্রতিদিন আপনি দুই থেকে তিনটি লেবু খেতে পারেন। তবে একসাথে খাওয়া যাবে না। বিভিন্ন খাবারের সাথে এটা অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। এতে আপনার অনেক উপকার পাবেন। তবে যদি অতিরিক্ত খান সেক্ষেত্রে আপনার এসিডিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং মাইগ্রেনের রোগী যারা রয়েছেন তাদের মাথা ব্যাথা বেশি হতে পারে। এছাড়াও এনামেলের ক্ষতি হতে পারে।

লেবু খাওয়ার নিয়ম

লেবু আসলে সাধারণত পানিতে দ্রবণীয় কেননা এটা ভিটামিন সি এজন্য আপনি শরবত বানিয়ে খেতে পারেন অথবা ভাতের সাথেও খাওয়া যাবে। যদি আপনি সকালবেলা অন্য কোন খাবারের সাথে না খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া আপনি লেবুর রস দিয়ে ছানা বানিয়ে খেতে পারেন। এটাও দারুন কাজ করবে তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন লেবু খাওয়ার পর আপনি দুধ খাবেন না। এতে আপনার আরো এসিডিটির পরিমাণ বেড়ে যাবে আবার অনেকেই লেবুর সাথে গরম পানি মিশিয়ে খেতে চায় এতে আপনার ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যাবে।

লেবু খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আপনি যদি অতিরিক্ত লেবু খান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। তাই লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি আপনার এসিডিটি থাকে, সেক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো। চলুন, লেবুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খায় সে ক্ষেত্রে এর মাঝে সাইট্রিক এসিড থাকার কারণে আপনার দাঁত ক্ষয় হতে থাকে। এছাড়াও দাঁতে দেখা যায় সাদা স্তর পড়তে পারে, এজন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিংকস খায় তাদের দাঁতের সমস্যা হয়েছে। এক্ষেত্রে লেবু একই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাছাড়া যারা প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই লেবুর পানি খেতে চান, তাদের অবশ্যই দিনে দুইবার ব্রাশ করা লাগবে। তাহলে দাঁতের সমস্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত এই লেবু খেতে থাকেন এবং অতিরিক্ত খান সেক্ষেত্রে আপনার মুখের মধ্যে যে নরম কোষ গুলো আছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেখা যাবে মুখের মধ্যে ফোড়া উঠবে বা ফুসকুড়ি হতে থাকে, এটা মূলত সাইট্রিক এসিড বেশি হওয়ার কারণে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরের ভিতরে নিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এসিডিটির সমস্যা বেশি হতে পারে। এজন্য লেবুর পানি সাধারণত অল্প পরিমাণে খেতে হবে, যদি আপনার পেটের সমস্যা থাকে।

যদি আপনার হজম বা আইবিএস এর কোন সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে লেবুর রস যদি আপনি নিয়মিত ভাবে এবং অতিরিক্ত খান সে ক্ষেত্রে এটা হজম হতে দিবে না। তাই অবশ্যই আগে আপনার একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে লেবু খেতে পারেন। যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করে এছাড়া আয়রনকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এজন্য লেবুর পানি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে ভিটামিন সি বেশি হয়ে যাবে যা রক্তের পরিমাণ সংরক্ষণ করা কঠিন হবে। এতে আমাদের ক্ষতিকর হবে।

অনেকের এলার্জির সমস্যা আছে তারা লেবু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। বিশেষ করে যখন আপনি রোদ যাবেন সে ক্ষেত্রে আপনার স্কিনের লাল র‍্যাশ উঠে থাকে। এছাড়াও আপনার ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে, এজন্য ডাক্তাররা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা এর মধ্যে সাইট্রিক এসিড থাকে যা সূর্যালোকের বিক্রিয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত যদি আপনি ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্কিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

লেখকের শেষ বক্তব্যঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে লেবু অত্যন্ত একটি উপকারী ফল যা আমরা বাড়ির আশেপাশে পেয়ে থাকি। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন চাহিদা পূরণ করবে। তাই লেবু খেলে কি উপকার হয়? সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি হবে সে সম্পর্কেও বর্ণনা করা হয়েছে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url