বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত ও বেতন সম্পর্কে জানুন

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত? আসলে ভাড়াটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের বিমানে যাবেন। চলুন, কোন বিমানের ভাড়া কেমন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে বিমানের মাধ্যমে গেলে খরচ একটু বেশি হবে। তবে যদি আপনি আগে থেকে টিকিট বুকিং করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কম খরচ হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত ও বেতন সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত

সুইডেন যেতে বিমান ভাড়া কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার একটি ধারণা থাকবে। চলুন, বিমানের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাড়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে হলে বিভিন্ন কোম্পানির গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে টিকিটের দাম কোম্পানি ভেদে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির খোঁজখবর নিয়ে বিমানের টিকিট আগে থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন। এতে করে ভাড়া কম হবে, চলুন কোন বিমানের কি রকম ভাড়া সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। তবে যদি আপনি আগে থেকে বুকিং করতে পারেন, তাহলে কম পাবেন।

থাই এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যাতায়াত করলে ভাড়া পড়বে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।

সুইস এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে, এক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার মত।

আপনি যদি কাতার এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। এছাড়া যদি বিজনেস ক্লাস বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।

এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাস বিমানের মাধ্যমে গেলে খরচ হবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত।

তুর্কিস্ট এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে গেলে খরচ পড়বে ৮৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত লাগবে। তবে বিজনেস ক্লাসের বিমানের জন্য ভাড়া পড়বে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত।
ইতিহাদ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মত। তবে বিজনেস ক্লাসের সিটের জন্য ভাড়া পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত।

লুফথানসা এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত খরচ পড়বে। বিজনেস ক্লাসিক্যাল সিটের জন্য ভাড়া পড়বে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।

আপনি যদি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাসের জন্য ভাড়া হবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

শ্রীলংকা এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া বিজনেস ক্লাসের সিটের বিমানের ক্ষেত্রে আরও খরচ বেশি হবে, সেক্ষেত্রে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে।

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত। এছাড়া বিজনেস ক্লাসের সিটের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।

কুয়েত এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত। এছাড়া বিজনেস ক্লাসের বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত খরচ পড়বে।

উপরোক্ত বিমানগুলোর ভাড়া সম্পর্কে একটি আপনাকে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে আপনি প্রত্যেকটা বিমানে যাওয়ার ক্ষেত্রে সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি জেনে নিতে পারেন অথবা তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দামাদামি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেকটা ছাড় পেতে পারেন।

এছাড়া আপনি যদি ২ থেকে ৩ মাস আগে থেকে টিকিট করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ২০% এর মতো ছাড় দিয়ে থাকে। তাছাড়া শেষের দিক দিয়ে কখনোই টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করবেন না, এ ক্ষেত্রে দাম কিন্তু বেশি হবে। যেহেতু উপরোক্ত যে ভাড়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেখানে হয়তো কম বেশি হতে পারে। কেননা কোম্পানি গুলো ভাড়া বিভিন্ন সময় কম বেশি করে থাকে। তবে সাধারণত আপনাকে যে ধারণা দেওয়া আছে সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা কম বেশি হতে পারে।

সুইডেন বেতন কত

সুইডেনে বাংলাদেশ থেকে অনেকে যেতে চায় কিন্তু সুইডেন বেতন কত? সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানে না। চলুন, কোন কাজের কি পরিমান বেতন হতে পারে। সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।

যেহেতু এটি সেনজেন ভুক্ত দেশ, এখানে আপনি কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। আর এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যদি করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে পারবেন। যদি আপনার কাজের ভালো অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি বেশি টাকা বেতন পাবেন।

তবে এ দেশের সরকার সাধারণত বেতন নির্ধারণ করেছে ঘন্টা হিসেবে। প্রতি সপ্তাহে একজন কর্মী ৪০ ঘন্টার মত কাজ করতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি করা যাবে যদি আপনি ওভার টাইম করেন, সে ক্ষেত্রে অনেকেই ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করে থাকে।

সেই হিসেবে প্রতি ঘন্টায় বেতন দেওয়া হয় ১২ থেকে ১৩ ডলার যেখানে বাংলাদেশে ১৩৫০ টাকার মত হবে। তাহলে ১ মাস হিসেবে ১২০ ঘন্টার মত কাজ করে, এক্ষেত্রে আপনার বেতন প্রতি মাসে ২ লক্ষ উপরে হবে। অনেকে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে।

যেহেতু এই দেশটি উন্নত একটি রাষ্ট্র, যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৯৯% সেই ক্ষেত্রে তারা অনেক অভিজ্ঞ। তাই আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলে এখানে কাজ পাওয়া সম্ভব না। তাই আপনার অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে আর অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি প্রায় ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত বেতন পেতে পারেন।

এ দেশে সাধারণ কাজগুলো যারা করে থাকে তাদের মধ্যে যেমন ড্রাইভিং অথবা রেস্টুরেন্টের কাজ তাদেরও বেতন প্রায় মাসে ২ লক্ষ টাকার উপরে। এছাড়া আরো অনেকেই প্লাম্বিং এর কাজ করে থাকে তারা প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো বেতন পায়।

তাছাড়া অনেকে গ্লাস ফিটিং এর কাজ করে যা এই কাজের অনেক চাহিদা আছে। তাই যদি আপনি গ্লাস ফিটিং এর কাজ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পেতে পারেন। এছাড়া অনেকে আবার বিভিন্ন হোটেলের বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ করে থাকে, সেখানেও তারা ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পেয়ে থাকে।

সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে বিভিন্ন ভিসা দাম সম্পর্কে জানতে চায়, তাই সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আপনার সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। চলুন, কোন কাজের কত টাকা বেতন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যেহেতু দেশটি অনেক উন্নত। তাই অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য যেতে চায়। সেখানে পড়াশোনা করলে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া যাবে।

তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। তবে যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো লাগবে।
তাছাড়া আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে। এছাড়াও টুরিস্ট ভিসায় একটু খরচ কম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে অনেকের টুরিস্ট ভিসায় যেতে চায় সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত। তবে বিভিন্ন এজেন্সির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের দাম হয়ে থাকে।

আবার অনেকে বিজনেস ভিসা নিয়ে যেতে চায় সেক্ষেত্রে একটু বেশি টাকা খরচ হয়ে থাকে। তবে এ দেশের বিজনেস খুবই ভালো, আপনি যদি এই বিজনেস ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।

তাছাড়া আপনি যদি পরিবারসহ যেতে চান সে ক্ষেত্রে ফ্যামিলি ভিসা করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে লোক সংখ্যার উপর নির্ভর করবে আপনার খরচ। সেক্ষেত্রে আপনি যদি পুরো পরিবার নিয়ে যেতে চান তাহলে প্রতি ব্যক্তির জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত খরচ পড়বে।

সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা

অনেকেই সুইডেনে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চায়, তাই সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে সুইডেনে গেলে কত টাকা খরচ হতে পারে। সে সম্পর্কে উপরে  বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পরে স্থায়ী হওয়া যায় সে সম্পর্কে।

অনেকেই স্টুডেন্ট হিসেবে এ দেশে যাওয়ার পরে স্থায়ী হওয়ার চিন্তাভাবনা করেন। তাই কিছুদিন থাকার পর সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করা যায়। তবে আপনি যদি এখানে স্থায়ী হতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।

মাস্টার্স লেভেল এর ক্ষেত্রে আপনাকে ৩০ ক্রেডিট পূরণ করা লাগবে। এছাড়াও একটি স্থায়ী চাকরি করা লাগবে এবং মাসিক বেতন এই দেশের ১৩০০০ টাকার মত লাগবে। তাহলে আপনি এ দেশের স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সুইডেন টুরিস্ট ভিসা

আপনি যদি সুইডেন ভ্রমণ করতে চান, সে ক্ষেত্রে সুইডেন টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, টুরিস্ট ভিসায় কত টাকা খরচ হবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

এ দেশটি সাধারণত সেনজেনভুক্ত যার কারণে আপনি সেনজেন ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে। এজন্য আপনি এ দেশের এম্বাসি থেকে টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত সুইডেনের এম্বাসি থেকে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা ফি প্রদান করবেন। তারপরে যাচাই-বাছাই করার পরে সকল কিছু ঠিকঠাক থাকলে অল্প দিনের মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন, এরপর আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন।

সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি সুইডেনে কাজ করতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা লাগবে। এজন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই দেশে যাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখে এবং জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজ করার উদ্দেশ্যেই গিয়ে থাকে। তাই কাজ করার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য ভিসার তুলনায় এই ভিসার খরচ বেশি হয়। তাছাড়া আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আরো বেশি খরচ হবে। তবে যে কোন বিশ্বাস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন।

প্রতিবছর এ দেশের সরকার তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে। তাই সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করার জন্য চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনার এজেন্সি ভেদে খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।

সুইডেনে কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকে সুইডেনে বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে থাকে, তবে সুইডেনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে, আপনি সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। চলুন, কোন কাজের গুরুত্ব বা চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বিভিন্ন কোম্পানি ক্লিনার হিসেবে লোক নিয়ে থাকে, তাই এই কাজে যেতে পারেন। এর অনেক চাহিদা আছে।

হাউস কিপিং হিসেবে যাওয়া যেতে পারে এর অনেক চাহিদা।

ইলেকট্রিশিয়ান কাজের জন্য যেতে পারেন।

ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যাওয়া যাবে।

ওয়েল্ডিং এর কাজের চাহিদা আছে।

প্লাম্বিং এর কাজ করতে পারেন।

উপরোক্ত এই কাজ গুলোর যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, এছাড়া পাশাপাশি ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি এ দেশে খুব সহজেই কাজগুলো খুঁজে পাবেন, অনেক বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

সুইডেন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে সুইডেন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে ভিসা আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
ভিসা ক্যাটাগরির অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। তাই ফরম ফিলাপ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। চলুন, সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি লাগবে তা জেনে নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড দিয়ে সঠিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।

বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ ছয় মাস রয়েছে।

সাম্প্রতিক তোলা রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।

ভ্রমণ বীমা এর ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
আপনি যে হোটেলে থাকবেন তার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

আর্থিক সামর্থনের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।

যদি আপনি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে কাজের ছুটির প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

যদি আপনি পড়াশোনা উদ্দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র দিতে হবে।

কাজের জন্য গেলে কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট দিতে হবে।

আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অফার লেটার লাগবে।

কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দিতে হবে।

ভাষার প্রতি যদি দক্ষতা থাকে তাহলে অবশ্যই সার্টিফিকেট দিতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট দিতে হবে।

মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিবেন।

উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সাধারণত সকল ক্যাটাগরি ভিসার ক্ষেত্রেই দেওয়া লাগে। তবে কিছুটা আলাদা রয়েছে, এই বিষয়ে আপনি অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নেবেন এবং এজেন্সির মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে তারা সকল কিছুই ব্যবস্থা করে দেবে। এরপরে আপনার সকল কাগজপত্র সুইডেনের দূতাবাসে জমা দিবেন, তারপর তারা আবেদন পত্রটা যাচাই-বাছাই করবে। এরপরে আপনাকে উপযুক্ত মনে হলে ভিসা প্রদান করবেন।

সুইডেন যাওয়ার বিষয়ে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ থেকে সুইডেন দূরত্ব কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে এ দেশের দূরত্ব প্রায় ৬ হাজার ৭৪৩ কিলোমিটারের মতো।

বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে যেহেতু এ দেশটি অনেক দূরত্ব রয়েছে। তাই ভালো বিমানের মাধ্যমে গেলে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মত সময় লাগবে।

সুইডেন ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন এবং বৈধ কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসগুলো জমা দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। 

সুইডেনে ফ্যামিলি ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি পরিবার নিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আবেদন করার পরে প্রায় ১৩ মাসের মত সময় লাগতে পারে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত ও বেতন সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি সুইডেনে বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হবে। কেননা এর দূরত্ব অনেক বেশি তবে যদি আপনি বিমান সংস্থা কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। তাহলে আপনি কম খরচে যেতে পারবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪