বর্তমানে আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানুন

অনেকে জানতে চায় যে, আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আলজেরিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে, সেক্ষেত্রে ভিসার দাম ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। চলুন, আলজেরিয়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভিসার কত দাম হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আলজেরিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে কিন্তু এই কাজের জন্য কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে আলজেরিয়ার ভিসা খরচ কত টাকা হয় জেনে নিন

আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আলজেরিয়াতে অনেক কাজের জন্য যাচ্ছে কিন্তু আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সে সম্পর্কে জানেনা। কেননা আলজেরিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিসা রয়েছে এবং বিভিন্ন ভিসার দাম গুলো আলাদা রকম রয়েছে। চলুন, আলজেরিয়াতে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আলজেরিয়াতে আপনি কয়েকটি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন এবং ভিসা গুলোর দাম সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। তাই আলজেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি আলজেরিয়াতে যেতে পারবেন। তাই কোন ভিসার কত দাম সে সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। কেননা বর্তমানে অনেকে এজেন্সি আছে যারা আপনার থেকে বেশি টাকা নিয়ে থাকে। তাই চলুন প্রত্যেকটা ভিসার কত টাকা দাম হতে পারে এবং সুবিধা কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কাজের ভিসাঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে যায়। সাধারণত কাজ করার মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করবে সে জন্য তারা আলজেরিয়াতে অনেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি আলজেরিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ১ বছর আপনার ভিসার মেয়াদ থাকবে। এরপর আপনাকে বাড়িয়ে নিতে হবে আবার অনেকেই এখানে ১ বছরের কাজের জন্য ভিসা রয়েছে। এ ভিসায় অনেকে যাচ্ছে আবার ৬ মাসের জন্য অনেকেই কাজ করার জন্য এ দেশে যায়। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী কাজ করার জন্য যায়।

তবে আপনি যখন কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে। তার জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট লাগবে, যার মেয়াদ থাকতে হবে। তাছাড়া চাকরির অফার লেটার জমা দিতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তারপরে ভিসা আবেদন ফি ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে, ভিসা ফি, বিমান ভাড়া এবং কাগজপত্র গুলো দূতাবাসে জমা দিবেন। আপনি যদি আলজেরিয়াতে কাজের ভিসায় এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
টুরিস্ট ভিসা খরচঃ আপনি যদি আলজেরিয়াতে আপনার ভ্রমন করতে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এজন্য আপনার বিভিন্ন খরচ হতে পারে, তার মধ্যে প্রথমত আপনার ভিসা ফি ১৯ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। তাছাড়া বিমান ভাড়া খরচ ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমে যদি আপনি আলজেরিয়ার টুরিস্ট ভিসা করেন, সে ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। আর যদি নিজে আবেদন করেন সেই ক্ষেত্রে কম খরচ হবে।

এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আলজেরিয়াতে ৯০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। এর বেশি থাকতে পারবেন না, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই আপনাকে দেশে ফিরতে হবে। কেননা আপনার সময় অতিরিক্ত হয়ে গেলে আপনার জেলে যেতে হতে পারে। আপনি যদি আলজেরিয়াতে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আবেদন পত্রে সঠিকভাবে তথ্য দিতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্ট বৈধ হতে হবে, তাছাড়া সকল ডকুমেন্টস গুলো সঠিকভাবে জমা দিতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ আপনি যদি আলজেরিয়াতে পড়াশোনা করতে যান, সে ক্ষেত্রে আপনার স্টুডেন্ট ভিসার ফি ১০ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকার মত। এ ছাড়া বিমান ভাড়া আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে আবেদন করেন তাহলে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন। আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আলজেরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাগজপত্র আলজেরিয়ার দূতাবাসে জমা দিবেন।

এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আলজেরিয়ার যে কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়ার সময় সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলজেরিয়ার দূতাবাসে জমা দিতে হবে। তবে এ দেশে একটি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, আপনি পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন। যদি আপনি আরবি বা ফার্সি ভাষা ভালো পারেন সেক্ষেত্রে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং আপনি কিছু পার্ট টাইম চাকরি করেও পড়াশোনা খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া এই ভিসা প্রতিবছরে নবায়ন করতে হবে।

বিজনেস ভিসা খরচঃ বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আলজেরিয়াতে ব্যবসা করার জন্য যায়, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে সমাবেশ করেন অথবা মিটিং করে থাকেন। আলজেরিয়াতে বিজনেস ভিসায় ৯০ দিনের জন্য যেতে পারবেন। বিজনেস ভিসায় আবেদন করার জন্য আবেদন ফি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত লাগবে। তাছাড়া হোটেল বুকিং খরচ, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এছাড়াও বিজনেস লেটারের প্রয়োজন হবে, সকল কিছু ঠিক থাকলে আপনার এই ভিসা পাওয়ার জন্য ১০ দিনের মত সময় লাগবে।

আলজেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

মূলত গার্মেন্টস ভিসা নামের কোন ভিসা হয় না। তাই আলজেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কারণ গার্মেন্টস ক্ষেত্রে আলজেরিয়াতে অনেক জনপ্রিয়। এই কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এই কাজে যেতে পারেন। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আলজেরিয়াতে সাধারণত গার্মেন্টস এর কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকজন এই কাজের জন্য অনেক দক্ষতা রয়েছে, যার কারণে অনেক লোক গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করছে। বিশেষ করে মেশিন অপারেটর, কোয়ালিটি অফিসার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পদে তারা জব করছে। এক্ষেত্রে তারা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। তাই আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি আলজেরিয়াতে কাজের ভিসা মাধ্যমে গিয়ে গার্মেন্টসেক্টরে চাকরি করতে পারেন।
আলজেরিয়াতে বিভিন্ন গার্মেন্টস সেক্টরে সাধারণত দক্ষতা যাদের নেই তাদেরও চাকরি দিয়ে থাকে। তবে এদের ক্ষেত্রে বেতন একটু কম হতে পারে, কিন্তু অন্যান্য দেশে অদক্ষ লোকের মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু এই দেশটিতে এসে গার্মেন্টস সেক্টরে দক্ষতা কম থাকলেও তারা কাজ করতে পারে। দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করতে গিয়ে পরবর্তীতে পার্ট টাইম হিসেবে গার্মেন্টসে চাকরি করে থাকে। যদিও উন্নত দেশগুলো করে না কিন্তু আলজেরিয়া এই সুযোগটা দিয়েছে। সাধারণত গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টার মতো ডিউটি করতে হয়।

আলজেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকেই জানতে চায় যে আলজেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? আসলে আলজেরিয়া একটি মরুভূমির দেশ যেখানে কৃষিকাজের চাহিদা একটু কম রয়েছে। তবে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে চলুন কোন বিষয়ে কাজ করলে আপনি বেশি বেতন পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু এই দেশটি মূলত খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল, সেই ক্ষেত্রে তেল গ্যাস ইত্যাদি সেক্টরের প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই যারা এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন তারা আলজেরিয়াতে খুব সহজভাবেই কাজ পেতে পারেন। এজন্য তেল ও গ্যাস ইত্যাদি বিষয়ের সাথে যারা জড়িত সেই সকল শ্রমিক বা লোকজন যেতে পারেন। এক্ষেত্রে এই ধরনের কাজের চাহিদা বেশি কেননা এই তেল বা গ্যাস উত্তোলনের কাজের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান বা শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

যেহেতু আলজেরিয়াতে শিল্প কলকারখানা রয়েছে তাই এই ধরনের শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আলজেরিয়াতে প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ দেয়। তাই আপনার যদি নির্মাণ ও ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, সেই ক্ষেত্রে যেতে পারেন। তাছাড়া আলজেরিয়াতে অনেক গার্মেন্টস রয়েছে এবং গার্মেন্টস ক্ষেত্রে ভালো সুনাম রয়েছে। যার কারণেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সিজনাল কৃষি কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে। ডাক্তার নার্স যারা দক্ষতা রয়েছে তারাও এখানে জব করতে পারবেন।

আলজেরিয়া বেতন কত

আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে বেতন বেশি পাবেন। তবে আলজেরিয়া বেতন কত? সেটা অনেকের জানা প্রয়োজন। কেননা প্রতিটা দেশের বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়, দেশের অর্থনৈতিকের উপর নির্ভর করে। চলুন, বেতন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রত্যেকটা দেশেই তার শ্রমিকদের বা কর্মচারীদের দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আলজেরিয়াতেও যাদের কাজের দক্ষতা আছে তারা তুলনামূলকভাবে বেশি বেতন পেয়ে থাকে। তাছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এছাড়াও কাজের ধরন, বিভিন্ন কাজের বেতন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যারা নতুন শ্রমিক রয়েছে তাদের সাধারণত আলজেরিয়াতে বেতন দিয়ে থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো। আর যারা দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন তারা সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে।

আলজেরিয়াতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, এখানে প্রচুর পরিমাণে শিল্প কলকারখানা, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সে ক্ষেত্রে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাধারণত যাদের অভিজ্ঞতা কম তারা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত বেতন পায় কিন্তু যারা দক্ষ শ্রমিক তারা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে খনিজ সম্পদ তেল ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য বা বিক্রি করবে এই ধরনের কাজের জন্য অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের মাসে প্রায় ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পায়।
আলজেরিয়াতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার লোকের প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে তারা লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একজন ক্লিনারের বেতন সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো বেতন হয়। এছাড়াও কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে, তাদের কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত বেতন পায়। তবে দক্ষতা অর্জন করলে সেক্ষেত্রে আরো ১০ হাজার টাকার মত বেশি পেতে পারে। এছাড়াও প্লাম্বার, কৃষি কাজ, গার্ডেনার ইত্যাদি কাজ গুলোতে সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত বেতন দিয়ে থাকে।

তাছাড়া যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে যেমন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, এছাড়াও কম্পিউটার সাইন্স, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পেশা রয়েছে এবং যারা শিক্ষকতা করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রেও বেতন বেশি দিয়ে থাকে। বিশেষ করে আইটি সেক্টরে যারা দক্ষতা অর্জন করেন আলজেরিয়াতে তাদের বেতন দেওয়া হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।

আলজেরিয়া ভিসা আবেদন

আপনি যদি আলজেরিয়াতে যে কোন ভিসা যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে সব ভিসার ক্ষেত্রেই আবেদনের নিয়ম ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয় একই রকম হয়ে থাকে। কিছু কম বেশি হতে পারে। চলুন, কিভাবে আবেদন করবেন এবং কি ডকুমেন্টসগুলো জমা দেবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আলজেরিয়াতে ভিসা আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। আর যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন লেটার থাকতে হবে। তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। চাকরির ক্ষেত্রে যে কোন কোম্পানির অফার লেটার প্রয়োজন হবে। তাই আপনি আগে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আলজেরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানির জবের ওয়েবসাইটগুলো থেকে বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করবেন। তারা যদি আপনাকে পছন্দ করে এবং জব লেটার পাঠিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারেন।

আপনাকে আলজেরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটিতে আবেদন করতে হবে। এরপরে আপনার তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে আপনাকে ভিসা আবেদনের জন্য বা কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার জন্য অফার করবে। আপনি সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করবেন এবং আলজেরিয়ার দূতাবাসে গিয়ে আপনার ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। এছাড়া বৈধ পাসপোর্ট যার অবশ্যই মেয়াদ থাকা লাগবে। এরপরে পাসপোর্ট রঙিন ছবি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন ইত্যাদি প্রয়োজন হবে। এরপর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন।

আলজেরিয়া সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

আলজেরিয়া থেকে স্পেন কত কিলোমিটার?

মূলত এ দেশের রাজধানী থেকে স্পেনের দূরত্ব ৭৫০ কিলোমিটার এর মত, কম বেশি হতে পারে।

আলজেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

বাংলাদেশের টাকার চাইতে এ দেশের টাকার মান একটু কম রয়েছে। এক্ষেত্রে এই দেশের ১ টাকা বাংলাদেশের ০.৮৬ টাকার সমান হবে।

আলজেরিয়া কি মুসলিম প্রধান দেশ?

অবশ্যই এটি মুসলিম প্রধান দেশ এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান, কিছু ইহুদি খ্রিস্টান রয়েছে।

আলজেরিয়া যেতে কত সময় লাগে?

আপনি যদি ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ ঘন্টার মত।

আলজেরিয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া যায় কি?

আপনার পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ দীর্ঘদিনের হতে হবে, তাহলে আপনার স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেতে পারবেন।

শেষ মন্তব্যঃ বর্তমানে আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি আলজেরিয়াতে কাজের জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের দক্ষতা নিয়ে যাবেন। আলজেরিয়াতে যেহেতু গার্মেন্টস সেক্টরে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে তাই এই সেক্টরে অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। তাহলে অনেক টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন। তাছাড়া এ দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা খরচ ইউরোপীয় দেশগুলোর চাইতে খুবই কম। তাই আলজেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার অনেক উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url