বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় ও ভিসা খরচ কত জেনে নিন

আয়ারল্যান্ড উন্নত একটি রাষ্ট্র তাই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যেতে হয়। চলুন, আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অনেক মানুষ আয়ারল্যান্ডে কাজ করার উদ্দেশ্যে যায় কিন্তু অনেকেই আয়ারল্যান্ডে কিভাবে যাবে সে সম্পর্কে জানে না। এজন্য তাদের এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড কিভাবে যাওয়া যায় ও ভিসা খরচ কত 

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায়

যারা বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন তারা বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। তাই কিভাবে আয়ারল্যান্ডে যাবেন চলুন আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। তাই যে সকল ভিসার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যাওয়া যাবে সে সম্পর্কে জানতে হবে। প্রত্যেকটা ভিসায় কিভাবে যাবেন এবং সহজ পদ্ধতিটা জেনে নেওয়া যাক। আপনি আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসায় বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং বিজনেস ভিসায় যেতে পারবেন। এখন এই সকল ভিসায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন এ সকল ভিসার মাধ্যমে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার উপায়ঃ আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার কিছু নিয়ম কানুন জানতে হবে। প্রথমত কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য এই ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কোম্পানির জব অফার লেটার লাগবে। এই জব অফার লেটারটা পাওয়া খুবই কঠিন বিষয়। তাই বাংলাদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে এই জব খুঁজতে হবে। এজন্য আপনি বিদেশী বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে, সেগুলোতে খুঁজতে পারেন। তারপরে আপনি কোম্পানির ওয়েবসাইটে আবেদন করবেন।

আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই নির্দেশনা পড়ে নিবেন, নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানির ওয়েব সাইটে আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে আপনি একজন দক্ষ লোকের পরামর্শ নিতে পারেন। তারপরে আপনার আবেদন যদি সঠিক হয় তাহলে কোম্পানি যাচাই-বাছাই করে আপনাকে জব লেটার পাঠিয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে আপনার আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য যাওয়া সুযোগ হবে। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস নাই। তাই আয়ারল্যান্ডের দূতাবাসে যেতে হবে মূলত এটা কলকাতার রয়েছে।
স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার উপায়ঃ আয়ারল্যান্ড অনেক উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রী যায়। এখানে স্নাতক এবং স্নাতকত্তর করার জন্যই অনেকে যায়। এ ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। তাই আপনি যখন স্টুডেন্ট ভিসায় যাবেন সেক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে এবং আইএলটিএস করা থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন লেটার পাঠিয়ে দেবে।

টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার উপায়ঃ আয়ারল্যান্ড একটি সুন্দর প্রাকৃতিক মনমুগ্ধকর দেশ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহ্য এবং প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। যেগুলো ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা আসেন। তাই আপনি বাংলাদেশী হিসেবে দেশটিতে ঘুরে আসতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করা লাগবে। এই জন্য কিছু শর্ত ও নিয়ম কানুন মানতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ভিসায় আপনি সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে। আবেদন করার ক্ষেত্রে এই সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এই ভিসায় যাওয়ার পরে আপনি কখনোই কাজের ভিসা বা অন্য কোন ভিসা করতে পারবেন না। এই ভিসায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাসে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে, ভিসা ফি জমা দিতে হবে, সবকিছুই তাদের দেশের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেখান থেকেই বিস্তারিত জেনে নিবেন এবং ওই অনুযায়ী আবেদন করবেন।

বিজনেস ভিসায় যাওয়ার উপায়ঃ আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে ব্যবসা করতে যেতে চান সেজন্য আপনাকে অবশ্যই বিজনেস ভিসা আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আয়ারল্যান্ডের দূতাবাসে যেতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ব্যবসার জন্য অনেকেই এ দেশে গিয়ে বিভিন্ন সম্মেলন বা মিটিং করে থাকেন বা কনফারেন্স করেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ করে থাকেন এবং বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত করেন। আপনিও যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে।

তাই আপনি এই ভিসায় যাওয়ার পরে নির্দিষ্ট মেয়াদী থাকতে পারবেন, এরপর আপনাকে চলে আসতে হবে। অন্য কোন চাকরি বা কিছু করা যাবে না। এটা একটি স্বল্পমেয়াদী ভিসা এখানে আপনি ৯০ দিন থাকতে পারবেন তবে ১৪ দিনের জন্য এই ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন। তাই এই বিজনেস ভিসা পেতে হলে অবশ্য আপনার কিছু শর্ত পূরণ করা লাগবে। এজন্য আপনার যত ডকুমেন্টস রয়েছে সেগুলো আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে এবং আবেদনটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কলকাতায় আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস রয়েছে সেখানে আপনি কাগজপত্র গুলো জমা দিবেন।

আয়ারল্যান্ড বেতন কত

আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার বেতন সম্পর্কে জানাও প্রয়োজন। তাই আয়ারল্যান্ড বেতন কত? বিভিন্ন কাজের বেতন আলাদা হয়ে থাকে চলুন আয়ারল্যান্ডে কোন কাজের বেতন কিরকম পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।

আয়ারল্যান্ডে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে কত টাকা বেতন পাবেন। যদি আপনার কাজের দক্ষতা থাকে সেই ক্ষেত্রে বেশি বেতন পাবেন। আপনার যদি কাজের দক্ষতা না থাকে আপনি নতুন হিসেবে যাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। আর যদি আপনার কাজের দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ থেকে থেকে ৪ লক্ষ টাকা টাকার মতো বেতন পাবেন। তাছাড়া যারা বিভিন্ন পেশাদার এই কাজের জন্য যান তাদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে থেকে ৫ লক্ষ টাকা বেতন পেয়ে থাকে।

আপনার যদি আইটি সেক্টরের কাজের দক্ষতা থাকে, আপনি যদি কোন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা ডেভলপার হন সে ক্ষেত্রে আপনাকে আয়ারল্যান্ডে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও যারা ডাক্তার নার্স তারাও সাধারণত ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পায়। যারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তারা যদি দক্ষতা থাকলে তারা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তাছাড়া যারা বিভিন্ন ধরনের আয়ারল্যান্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এদেশে বেতন অনেক বেশি খরচও বেশি।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি আয়ারল্যান্ড যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা খরচের সম্পর্কে জানতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিভিন্ন ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যায়, কিন্তু ভিসার দামের ক্ষেত্রে কম বেশি হয়ে থাকে। কেননা এজেন্সি গুলো ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত এবং সরকার অনুমোদিত এজেন্সি থেকে ভিসা করার জন্য। তাই আপনি যদি বেসরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ১০ থেকে ১২লাখ টাকার মত খরচ হবে। আর যদি সরকার অনুমোদিত কোন এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। তবে বিভিন্ন সময় এই ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি কাজের ভিসায় আয়ারল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভারতের কলকাতায় আয়ারল্যান্ডের এম্বাসিতে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি জমা দিতে হবে আরো আনুষঙ্গিক খরচ ও বিমান ভাড়া ইত্যাদি হবে। তাছাড়া আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা আয়ারল্যান্ডে যান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসার দাম ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত হবে। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা এবং বিজনেস ভিসা পুলিশ ভেরিফিকেশন সাধারণত কম টাকায় হয়, সেক্ষেত্রে আপনার ৩ লাখ থেকে শুরু করে ৫ লাখের মধ্যেই যেতে পারবেন। তবে কাজের ক্ষেত্রে ভিসার দাম বেশি।

আয়ারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি

আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তাই আয়ারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? আপনি কোন কাজের জন্য যাচ্ছেন সে কাজের চাহিদা আছে কিনা সেটা আপনাকে জানতে হবে। চলুন আয়ারল্যান্ডের কাজের চাহিদা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং অর্থনীতি শিল্প সকল কিছুই উন্নত। যার কারণে এ দেশে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কেননা এদেশের জনসংখ্যা খুবই কম যার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে তারা লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে কৃষি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং কনস্ট্রাকশন, ক্লিনার হোটেল রেস্টুরেন্ট ড্রাইভিং ইলেকট্রিশিয়ান ফুড, ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই সকল কাজের উপরে ভিসা করতে চান তাহলে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। যেহেতু এই দেশে কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং বেতন প্রচুর পরিমাণে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড বিমান ভাড়া কত

আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? আসলে এ দেশটি যেহেতু অনেক উন্নতমানের তাই বিমান ভাড়াও বেশি হয়ে থাকে। তবে বিমানের কোয়ালিটি অনুযায়ী আপনার ভাড়া কম বেশি হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিমানের কোয়ালিটির উপরে নির্ভর করবে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স,কাতার এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগবে। এর চেয়ে ভালো মানের বিমানে যদি আয়ারল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তাছাড়া সাধারণত এই বিমান গুলোর ভাড়া একটু কম বেশি হয়ে থাকে।

তাছাড়া আপনি যদি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই এইগুলোর মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এটা মূলত নির্ভর করবে বিমানের কোম্পানির উপরে। মোটামুটি মানের বিমানে যদি আপনি আয়ারল্যান্ডে যেতে চান সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। আর আপনি যদি লাক্সারি এবং বিলাসবহুল বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন

আপনি যেহেতু আয়ারল্যান্ডে যেতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে হবে। এজন্য অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা লাগবে। এতে আপনার কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদন সঠিকভাবে করতে হবে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যখন আয়ারল্যান্ডে ভিসা আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে এ দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে আপনি আবেদন করতে পারেন অথবা ভারতের কলকাতায় আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস রয়েছে, সেখানে সরাসরি গিয়েও আবেদন করতে পারেন এবং সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তাই আপনার যে সকল কাগজপত্র লাগতে পারে, আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদও থাকা লাগবে, জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি, এছাড়াও পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
এগুলো সকল কিছু আপনি সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যাবেন। এগুলো আয়ারল্যান্ডের দূতাবাসে জমা দিতে হবে অথবা আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে তাদের কাছে জমা দিতে হবে। তবে চেষ্টা করবেন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই আবেদন করবেন। সেক্ষেত্রে এই কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসগুলো নিয়ে আপনাকে ভিসা এম্বাসিতে যেতে হবে এবং সরাসরি জমা দিতে হবে। তারপর আপনি যে কোম্পানিতে আবেদন করেছেন, সেখানে তারা যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দিবে, তাহলে আপনি ভিসা এবং বিমানের টিকিট করে আয়ারল্যান্ডে চলে যেতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

আয়ারল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে?

বিমানের কোয়ালিটির উপরে নির্ভর করবে কত সময় লাগতে পারে, সেই হিসেবে ১২ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টার মত লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড কত কিলোমিটার?

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত তাই এ দেশের দূরত্ব হবে ৮৪৩০ কিলোমিটারের মতো।

আয়ারল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

বর্তমানে এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১৩২ টাকার কাছাকাছি, হয়তো কম বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশে কি আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস আছে?

না, বাংলাদেশে এ দেশের কোন দূতাবাস নেই পার্শ্ববর্তী ভারতে কলকাতায় দূতাবাস আছে।

আয়ারল্যান্ড ভিসা করতে কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে?

আপনি যদি পর্যটন ভিসা এবং বিজনেস ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার দৈনিক হিসেবে খরচ ধরা হবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিন বাংলাদেশের টাকায় ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় ও ভিসা খরচ কত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যাওয়া লাগবে। এজন্য এ দেশটিতে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আপনি নিজেও আবেদন করে যেতে পারবেন অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে যেতে পারবেন। তবে আপনি নিজে আবেদন করে গেলে খরচ অনেক কমে যাবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url