কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া যায় ও ইনকাম করার উপায়

অনেকে জানতে চায় যে, কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? আসলে কম্পিউটারের কাজ যদি জানা থাকে তাহলে সুন্দর ক্যারিয়ার করতে পারবেন। চলুন, কম্পিউটারের কোন বিষয় গুলো শিখলে আপনি ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বর্তমানে যেহেতু বিভিন্ন অফিস আদালত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই কম্পিউটারে জ্ঞান থাকতে হবে। তাই কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃকম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব ও ইনকাম করার উপায়

কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব

অনেকে কম্পিউটারে কাজ শেখেন কিন্তু ক্যারিয়ার গড়তে পারে না। তাই কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? এ সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। চলুন, কম্পিউটারের কাজ শিখে কিভাবে আপনি ইনকাম করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের যদি কম্পিউটারের বেসিক কিছু জানা থাকে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগে। বিশেষ করে অফিস আদালত বা স্কুল কলেজ প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে কিছু বেসিক জিনিস প্রয়োজন হয়। তাই আপনার কম্পিউটারের বেসিক ট্রেনিং নিতে হবে। আবার অনেকেই যারা এই কম্পিউটারের ট্রেনিং করে ক্যারিয়ার করতে চান তারাও ভালোভাবে এই ট্রেনিং নিতে পারেন। এই কম্পিউটার ট্রেনিং করে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে অফিস আদালতে কম্পিউটার পদে চাকরি করা যায়। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

টাইপিং দক্ষতাঃ কম্পিউটারের বেসিক ট্রেনিং এ প্রথমে আপনাকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখাবে। আর এর মাধ্যমে সাধারণত আপনি দ্রুতগতিতে টাইপিং করা শিখতে পারবেন। এছাড়াও যুক্ত বর্ণ কিভাবে লিখতে হয় সেগুলো বিস্তারিত এই মাইক্রোসফটের মাধ্যমে শেখানো হয়। আপনি যদি কোন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বেসিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে, তাহলে আপনি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতে পারবেন। তবে এই টাইপিং দক্ষতা ভালো থাকতে হবে।

তাছাড়া বিভিন্ন কাজ করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যেমন কোন একটা দোকান খুলে সেখানে আপনি যদি বিভিন্ন এসাইনমেন্ট বা টাইপিং এর কাজ করেন সেক্ষেত্রে প্রচুর ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ দেবে। এক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটারের বেসিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ড জানার কারণে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই এই টাইপিং কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। তাছাড়া আরো কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেমন ফোকাস রাইটার, রাইট মানকি, ফ্রি অফিস টেক্সট মেকার, লাইব্রেরী অফিস রাইটার ইত্যাদি সফটওয়্যার।

হিসাব নিকাশের কাজঃ কম্পিউটারে আরো একটি বেসিক কাজ রয়েছে সেটা হল মাইক্রোসফট এক্সেল। যদি আপনার এই কাজ জানা থাকে তাহলে হিসাব নিকাশ কম্পিউটারের মাধ্যমে খুবই সহজ এবং দ্রুতগতিতে করতে পারবেন। ব্যাংকের চাকরি ক্ষেত্রে তাদের হিসাব নিকাশের কাজ অথবা বড় বড় কোম্পানিতে হিসাব নিকাশের কাজের জন্যই মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করা হয়। তাই আপনার এই কাজের যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই ধরনের কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারেন। তাই আপনি এই কাজ শিখতে পারেন।

মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে সবচাইতে দ্রুতগতিতে কাজ করা যায়, বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানির অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সেলারি তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করা যায় এবং একসাথে অনেকগুলো কর্মচারীর সেলারি শীট তৈরি করা যায়। তাই এই মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজটি করেও আপনি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ডাটাএন্ট্রির কাজ করেতে পারেন। তাই জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো মাইক্রোসফট এক্সেল।
প্রেজেন্টেশন তৈরি করাঃ কম্পিউটারের বেসিক প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ হলো মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন এর কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিতে কোন উপস্থাপনা করতে গেলে সে ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশন করতে হয়। এছাড়াও সবচাইতে জনপ্রিয় হলো প্রাইভেট জব ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে সুন্দরভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করার জন্য পাওয়ার পয়েন্ট এর সাহায্য নিতে হয়। তাই এই পাওয়ার পয়েন্ট এর সম্পর্কে যাদের ভালো দক্ষতা রয়েছে তারা খুব সুন্দর ভাবে প্রেজেন্টেশন করতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির প্রজেক্ট তৈরি করে দিতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরিও করতে পারবেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করেও বিভিন্ন ক্লাইন্টের অর্ডার নিয়ে আপনি কাজ করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে আপনি প্রেজেন্টেশনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। এছাড়াও গুগল স্লাইড, হাইকোটেক। তাই প্রেজেন্টেশনের সাথে বিভিন্ন ছবি যোগ করতে পারবেন, মিউজিক তৈরি করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন কিছু কাস্টমাইজ করা যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ কম্পিউটারের বেসিক কাজের মধ্যে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ শিখতে পারেন। কেননা অনেক আগে থেকেই এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ চলে আসছে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই সম্পর্কে যাদের ধারণা রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে পারে। বিশেষ করে ব্যানার, পোস্টার বিভিন্ন ধরনের ছবির ডিজাইন, এডিট করা ইত্যাদি কাজ গুলো করা হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন অফিসের ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরি করার জন্য গ্রাফিক ডিজাইনার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি কাজের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনার প্রয়োজন হয়।

বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানি পোস্টার, ব্যানার তৈরি করার জন্য একজন গ্রাফিক ডিজাইনার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনার যদি ফটোশপ এবং ইলাস্টেটরের জ্ঞান থাকে, তাহলে দক্ষতার মাধ্যমে অফলাইনে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ফাইবার একাউন্ট খুলেও বিভিন্ন ক্লাইন্টের কাজ করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন অথবা অফলাইনে কোন দোকান দিয়ে সেখানে ভিজিটিং কার্ড করা বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানের কার্ড তৈরি করা। এজন্য কিছু সফটওয়্যার এর ব্যবহার করতে হয় যেমন এডোবি ইলেস্টেটর, এডোবি ফটোশপ, ক্যানভা ইত্যাদি।

ইমেইল পাঠানোঃ কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি ইমেইলের কাজ করতে পারবেন। যদি আপনার এ সম্পর্কে বেসিক দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি একটি কোম্পানির বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা কর্মকর্তা বা কর্মচারী একসাথে একযোগে ইমেইল সেন্ড করা যাবে। আগের যুগে দেখা যেত যে সাধারণত ডাকযোগে যোগাযোগ করা হতো কিন্তু বর্তমানে ইমেইলের মাধ্যমে সকল তথ্য আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং হিসেবে কাজ করতে পারেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং এ ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব রয়েছে। কেননা একটা কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের ইমেইল মার্কেটারের প্রয়োজন হয়।

চাকরির জন্য কম্পিউটার কোর্স

কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখে মানুষ জব করে থাকে। তাই চাকরির জন্য কম্পিউটার কোর্স করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি আউটসোর্সিং করেও টাকা ইনকাম করা যাবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ইন্টারনেট ব্রাউজিংঃ বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কাজের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের কাজটা জানতে হবে। কেননা কিভাবে বিভিন্ন ধরনের তথ্য গুলো আপনি খুঁজে বের করবেন এবং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেটের ব্রাউজিং এর জ্ঞান থাকতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, রেজাল্ট দেখতে হয়, ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে হয়।

ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ এর ব্যাসিক জানাঃ আপনি যদি কোন অফিসে চাকরি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার চাকরির জন্য কম্পিউটারের কাজ জানা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটারে বেসিক সম্পর্কে কোর্স করলে আপনার ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কিভাবে চালাতে হয় এবং এই দুটি কাজ একই রকমের হয়ে থাকে। তবে কিছুটুকু পার্থক্য রয়েছে যেমন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে কোন কিছু আলাদা করে ব্যবহার করতে হয় না কিন্তু ডেস্কটপ এর ক্ষেত্রে আলাদা কিবোর্ড মাউস মনিটর আলাদা ভাবে ব্যবহার করতে হয়। এজন্য আপনাকে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ এর বেসিক ধারণা গুলো জানা থাকতে হবে।
কাগজ প্রিন্ট করাঃ চাকরির জন্য বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারের কোর্স করা হয়, তার মধ্যে প্রিন্ট করা এটাও একটি অন্যতম কাজ। তাই আপনার এই কাজটি যদি জানা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র ও ফাইল প্রিন্ট করে বের করতে পারবেন অথবা বিভিন্ন ধরনের কালার ছবি প্রিন্ট করে বের করাতে পারবেন। এছাড়াও কিভাবে একটা প্রিন্টার মেশিন ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ এর সাথে সংযুক্ত করবেন সেই সম্পর্কে জানতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ইন্সটল সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হবে।

মেইল আদান প্রদানঃ বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে আপনার যে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান থাকতে হয় তার মধ্যে অফিসের বিভিন্ন মেইল আদান প্রদান করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ডকুমেন্টস ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হয়। কিভাবে আপনার ইমেইল সেটআপ করবেন এবং মেইল ফরওয়ার্ডিং করবেন। ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমে সুন্দরভাবে লেখার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের মেইল বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি এই বিষয়ে জব করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সামাজিক নেটওয়ার্কিংঃ চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক চালানো বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করা, এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। সেগুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সেটা কিভাবে এডমিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিভাবে সকল কিছু পোস্টিং করবেন, এই ধরনের কাজকর্ম করার জন্য ধারণা থাকলে আপনি চাকরি করতে পারবেন। যেমন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্র কম্পিউটার জানতে হয়।

কম্পিউটার কোর্স কোনটা ভালো

কম্পিউটারের কোর্স সম্পর্কে আপনার আগে থেকে ধারণা নিতে হবে। তাই কম্পিউটার কোর্স কোনটা ভালো এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যে কাজের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে সেই কাজের কোর্স সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেওয়া সবচেয়ে ভালো হবে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ওয়েব ডিজাইনঃ আপনি কম্পিউটারে কোর্স হিসেবে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রোগ্রাম ভাষা এর কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন অফিসের ওয়েবসাইটের ডিজাইন করতে পারবেন। এই ধরনের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফটো এডিট করা লাগে, সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়েব ডিজাইন এর কাজটা করতে পারেন। তাছাড়া একজন ওয়েব ডিজাইন এর কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। এজন্য আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইনের কোর্স করতে পারেন।

সাইবার সিকিউরিটিঃ এই কোর্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা বর্তমানে অনলাইনের যুগে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ডাটা গুলো তথ্য দিতে হয়। এজন্য সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে যদি জ্ঞান না থাকে, তাহলে আপনার তথ্যগুলো গুলো সংগ্রহ করে হ্যাকাররা অনেক সময় আপনার থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক কিছু দাবি করতে পারে। আপনার ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও বিশেষ করে ব্যাংকিং যে কাজগুলো রয়েছে সেক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটির হেল্প নিতে হয়।

অ্যানিমেশনের কাজঃ অ্যানিমেশন এর কাজ বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গেমিং ও সিনেমার ক্ষেত্রে এনিমেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে বা বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য গুলো বাস্তবতায় ফুটে তুলতে পারেন। এজন্য এনিমেশন কাজের যদি অভিজ্ঞতা থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের কৌশল গুলো শিখতে পারবেন এবং সুন্দরভাবে অ্যানিমেশন করতে পারবেন। এজন্য আপনি যদি কোন কাজে লাগাতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনি অ্যানিমেশনের কাজটা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

কম্পিউটারের আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে, তাই কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আমরা এটার সঠিক ব্যবহার করতে পারবো। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কম্পিউটারের কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে, বর্তমানে সকল কাজকর্ম ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা, চিত্ত বিনোদন সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করলে নির্ভুল এবং সহজ ভাবে কাজ করা যায়। দ্রুত গতিতে করা যেতে পারে, এছাড়াও কম্পিউটারের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যখন সুযোগ-সুবিধা বা প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে তথ্যগুলো দ্রুত গতিতে বের করা যায় এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের গণনা কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি কিন্তু কিছু অসুবিধা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে যদি কোন যান্ত্রিক ত্রুটি হয়ে থাকে বা বিদ্যুৎ চলে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে যে কাজগুলো করে থাকি। সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়ে থাকে, এছাড়াও বিদ্যুৎ সরবরাহ যদি না করা হয় তাহলে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করার কারণে দেখা যায়, মনিটর অনেক ছোট হয়ে থাকে যার কারণে দীর্ঘ সময় কাজ করা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে যায় এবং চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অনেকক্ষণ যাবত আপনার কাজ করতে গেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

আপনার যদি কম্পিউটারে কাজ জানা থাকে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে কম্পিউটারের ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে কম্পিউটারের ব্যবহার জানা থাকলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ আপনার যদি কম্পিউটারের কাজ জানা থাকে, তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পড়ালেখা করানো হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরও কম্পিউটারের বেসিক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ করা হয়, বিশেষ করে প্রশ্নপত্র তৈরি করা পরীক্ষার ফলাফল রুটিন এবং কিভাবে কাজ করবে সে কাজের পরিধি ইত্যাদি কাজগুলো সাধারণত কম্পিউটারের মাঝে খুব সহজভাবে করা যেতে পারে।

ব্যবসার ক্ষেত্রেঃ বর্তমানে ব্যবসার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, বিশেষ করে বড় ধরনের ব্যবসায়ীরা সাধারণত কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ বা সঠিক তথ্য ফলাফল জানার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। বিভিন্ন বাজারে বা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা তারা বিভিন্ন সফটওয়্যার কে ব্যবহার করে ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজকে দ্রুত করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও খুবই সহজ ভাবে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা এবং কর্মীদের তথ্য রেকর্ড করা এবং ব্যবসার আয় ব্যয় বিক্রয় মজুদ করা সকল কিছু তথ্যই কম্পিউটারে সেভ করে রাখা যায়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার অত্যন্ত সময়োপযোগী। কেননা এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে অনেক দূরবর্তী মানুষের ভিডিওর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে যাকে আমরা টেলিমেডিসিন বলে থাকি। অনেক বড় ধরনের রোগ নির্ণয় করা বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে পেটের ভিতর খাদ্যনালীতে কোন সমস্যা দেখা দিলে এন্ডোসকপি অথবা ক্লোনোস্কপির মাধ্যমে লিভার বা বিভিন্ন ধরনের তথ্যগুলো ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যেতে পারে। এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বাচ্চার অবস্থান দেখা যেতে পারে।

চলচ্চিত্রের কাজঃ বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সিনেমা কার্টুন অ্যানিমেশন বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে আকর্ষণীয় করার জন্য এবং এনিমেশন করে বিভিন্ন কাজকে সহজতর করেছে। তাছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাফিক্সের কাজগুলো এবং এনিমেশন করে এডিটিং করা ফিল্মকে আরো সময়োপযোগী তৈরি করার জন্য এই ধরনের কম্পিউটারের মাধ্যমে বিনোদন পাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন কার্টুন তৈরি করা যেতে পারে সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার অনস্বীকার্য।

সামরিক বাহিনীতে কম্পিউটার কাজঃ কম্পিউটারের সাহায্যে সামরিক বাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে তথ্য জানা এবং যুদ্ধের কৌশলের বিষয় প্রস্তুতি নেওয়া। এছাড়াও সাবমেরিন ইত্যাদি বিষয়ে বর্তমানে কম্পিউটার কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো সাধারণত তারা কম্পিউটারের মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের সামগ্রিক কাজগুলো করে থাকে। এছাড়াও হাইড্রোজেন এবং পারমাণবিক বোমার ক্ষেত্রেও কিন্তু এই কম্পিউটারের মাধ্যমেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে এবং এই ধরনের কাজগুলো সবকিছুই সম্ভব হয়েছে।

উপসংহারঃ কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে বর্তমান যুগে কম্পিউটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে এবং মানুষের জীবনযাপন অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে। এছাড়াও আমরা এই কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পেশার কাজ করতে পারি। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কম্পিউটারের কাজের দক্ষতা সবারই থাকা প্রয়োজন। তাই কম্পিউটার শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব সম্পর্কে আর্টিকেলের বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।