বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ তথ্য জানুন

অনেকে জানতে চায় যে, আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানার জন্য প্রথমে জানতে হবে কোন ভিসার দাম কত। চলুন, কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
ছবি
আজারবাইজান তাদের দেশের খনিজ সম্পদ উত্তোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণের জন্য লোক নিয়ে থাকে। এজন্য আপনি কাজের ভিসার সঠিক দাম জেনে যেতে পারেন। তাই আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ তথ্য জানুন

আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের অনেক লোকজন আজারবাইজান যায়, তাই আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে? আজারবাইজান বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে।চলুন, আজারবাইজান ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আজারবাইজান বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কৌশলী হয়ে থাকেন তাহলে ভিসার দাম কমে যেতে পারবেন। এজন্য যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন আজারবাইজান থাকে তাদের মাধ্যমে ভিসা কার্যক্রম করে যেতে পারেন, তাহলে অনেক কম খরচে যাওয়া যাবে। তাছাড়া যদি সরকারি মাধ্যমে আজারবাইজান যাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা করতে ৩ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মত লাগবে। তবে যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আজারবাইজানে যান তাহলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আজারবাইজান দুইটা পর্যায়ে যাওয়া যায়। আপনি টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে আবেদন ফি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। আর যদি অল্প সময়ের জন্য থাকতে চান সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মত লাগবে। তাছাড়া আরো বিমান ভাড়া এবং আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে, সব মিলে আরো অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
আজারবাইজানে বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং এখানে বাংলাদেশ থেকে যদি কোন স্টুডেন্ট পড়াশোনা করতে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি অল্প টাকার মধ্যেই পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। এছাড়াও পাশাপাশি কাজেরও সুযোগ রয়েছে। তাই স্টুডেন্ট ভিসা খরচের ক্ষেত্রে প্রথমে ভিসা আবেদন ফি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং অন্যান্য আরো যাবতীয় খরচ রয়েছে। আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে আজারবাইজান স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে তিন লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।

অনেকেই আজারবাইজানে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গিয়ে থাকে। এছাড়াও অনেকে এ দেশে উদ্যোক্তা হয়ে থাকে এজন্য আপনার বিভিন্ন মিটিং করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার বিজনেস ভিসা করতে হবে, আর এই বিজনেস ভিসায় ৩ থেকে ৬ মাসের মত থাকতে পারবেন। তবে প্রতিদিনের খরচ কিন্তু আপনাকে বহন করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে আপনার সকল কিছু মিলে ভিসা আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ মিলে এজেন্সির মাধ্যমে বিজনেস ভিসায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত লাগবে।

তাই আপনি বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যদি কাজের উদ্দেশ্য যান, তাহলে প্রথমে আজারবাইজানের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন করবেন। এরপরে যদি কোম্পানি আপনাকে সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়, তাহলে আপনি জব অফার লেটার পাবেন। এরপর আপনি সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে অনলাইনে ভিসা আবেদন করবেন। এছাড়াও সকল কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস গুলো আজারবাইজানের দূতাবাসে জমা দিবেন। তবে অবশ্যই দালাল থেকে বিরত থাকবেন কেননা অনেক দালাল আপনাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাবে।

আজারবাইজান যাওয়ার উপায়

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আজারবাইজান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। তাহলে আপনি সহজ ভাবে যেতে পারবেন, এছাড়াও এদেশে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজানে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কেননা বৈধভাবে যদি না যেতে পারেন, তাহলে আপনার বিপদ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে ভিসা গুলোর মাধ্যমে আপনি বৈধ ভাবে যেতে পারেন। তাহল; ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট, টুরিস্ট ভিসা, ব্যবসা ভিসা, পারিবারিক ভিসা গুলোর মাধ্যমে সহজ ভাবে যেতে পারেন। এজন্য আপনি দুটি উপায় যেতে পারেন তার মধ্যে প্রথমত সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে নিরাপদে যেতে পারবেন। এছাড়া যদি আজারবাইজানে আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে কম খরচ হবে।

যদি বেসরকারিভাবে আজারবাইজান যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে হবে। তা না হলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া দালালের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না, কেননা আজারবাইজানে বিভিন্ন ধরনের চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা প্রতারণা করতে পারে। সেজন্য আপনি এই ধরনের প্রতারণা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। তবে যদি এই দেশে আপনার আত্মীয় স্বজন কোন কাজ করে, তাহলে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার খরচ কম হবে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।

আজারবাইজান কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি আজারবাইজান কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে কোন কাজের বেতন বেশি সেটা জানতে হবে। তাই আজারবাইজান কোন কাজের চাহিদা বেশি? চলুন, আজারবাইজান বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং সেই কাজের চাহিদা কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
প্রায় দেশেই বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্মের জন্য বহির্বিশ্ব থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। তাই আজারবাইজান বাংলাদেশ থেকে অনেক ধরনের শ্রমিক নিয়ে থাকে। বিশেষ করে তারা নির্মাণ কাজের জন্য নির্মাণ শ্রমিক, কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে। এছাড়াও ইলেকট্রিশিয়ান সাহায্যকারী, মেকানিক্যাল এর সাহায্যকারী। এছাড়াও ফ্যাক্টরির বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মের জন্য যেমন ফুড ডেলিভারি ম্যান, উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছু শ্রমিক লাগে। শিল্পকল কারখানার মাঝে যেমন গার্মেন্টস অনেক উন্নত রয়েছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে থাকে।
তাছাড়াও আজারবাইজান আরো বিভিন্ন ধরনের নিম্ন পর্যায়ে অনেক শ্রমিক নিয়ে থাকে যেমন; পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী অথবা হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ও টাইলস মিস্ত্রি ইত্যাদি। এছাড়া কনস্ট্রাকশনের কাজ, ড্রাইভিং এর কাজ যদি আপনার জানা থাকে সেক্ষেত্র আপনি যেতে পারেন। এই ধরনের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই উপরোক্ত এই কাজ গুলোতে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি আজারবাইজান গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং এর ভিত্তিতে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এ দেশে কাজের জন্য যাচ্ছে, তাই আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সুবিধা হবে। চলুন, কিভাবে এই ভিসা করবেন এবং কি ডকুমেন্টস গুলো লাগবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আজারবাইজান দেশে বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদ রয়েছে, তাছাড়া অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত একটি দেশ। সেক্ষেত্রে আজারবাইজানে অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি কাজের জন্য এই ভিসা করতে পারেন। তাহলে আপনি আজারবাইজানে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন। যেহেতু আজারবাইজানে তেল ও গ্যাসের মজুদ রয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে বিনিয়োগ করে থাকে এবং এই খাতে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক কাজ করে থাকে। তাই আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারেন।

আপনি যখন কাজের ভিসা করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির জব লেটার লাগবে। জব লেটারে বেতন এবং যে সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে উল্লেখ থাকবে। এরপর আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে, তাদের মাধ্যমে যেতে পারেন অথবা নিজে অনলাইনে আবেদন করেও যেতে পারবেন। আজারবাইজানের দূতাবাসে সকল ডকুমেন্টস জমা দেওয়া লাগবে। অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমেই ভিসা আবেদন করতে হবে। এছাড়া আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের ভিসা করতে পারেন, ট্রানজিট ভিসা, পর্যটন ভিসা এবং ব্যক্তিগত ভিসা করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে। তার মধ্যে যেমন আপনার বয়স ১৮ বছর কমপক্ষে হতে হবে। এছাড়াও আপনি যে কাজের জন্য যাবেন তার প্রমাণপত্র থাকতে হবে অর্থাৎ কোম্পানির জব লেটার প্রয়োজন হবে। এছাড়াও জব অফার লেটার আবেদনের সময় জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আরো কিছু ডকুমেন্টস লাগবে যেমন পাসপোর্ট থাকতে হবে, সাম্প্রতিক তোলা ছবি, যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকে অবশ্যই প্রমাণপত্র দিবেন, এছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন ইত্যাদি জমা দিবেন।

আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে ভিসা পেতে ৩০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। এছাড়া আপনি যদি ভিসা বাতিল করতে চান তাহলে ৫ দিন সময় পাবেন। এরপর আপনি লিখিতভাবে আবেদন করে জমা দিতে পারবেন। এরপর আজারবাইজান যার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ফি জমা দিতে হবে। এজন্য যদি আপনি ৩ মাসের জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা। আর ৬ মাসের জন্য ৪৫ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়াও ১২ মাসের জন্য পারমিট ভিসায় ফি ৭৫ হাজার টাকার মত লাগবে।

আজারবাইজান বেতন কত

আজারবাইজান বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে, তাই আজারবাইজান বেতন কত? অনেকে জানতে চায়। এজন্য আপনাকে কাজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং কাজের চাহিদা অনুযায়ী বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। চলুন, আজারবাইজান কেমন বেতন হয়ে থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজানে কাজ করতে যান সে ক্ষেত্রে বেতন নির্ধারণ করবে আপনি কেমন ধরনের কাজ করবেন, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা আছে কিনা, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনার বেতন ভাতা। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়া যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ যারা কাজ করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ দেশে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত বেতন পায়। যদি ওভারটাইম করেন সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে আরো ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া আরও বিভিন্ন সেক্টরের কাজের ক্ষেত্রে বেতন ভাতা বেশি হয়ে থাকে, তার মধ্যে যেমন প্রযুক্তির উপরে কাজের দক্ষতা থাকলে ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পাবেন। তাছাড়া যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে বা শিক্ষকতা করতে চান সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতন ৭০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত। এছাড়াও যদি আপনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তার বা নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে আজারবাইজার কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন দিয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন নির্মাণ শ্রমিক এবং কৃষি ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়।

আজারবাইজান ভিসা চেক

আপনি যদি আজারবাইজানে যান সে ক্ষেত্রে ভিসা চেক করতে হবে। তাই আজারবাইজান ভিসা চেক করার জন্য নিয়মকানুন আপনাকে জানতে হবে। এজন্য কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে আপনার ভিসা চেক করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমেই ভিসা আবেদন করতে হবে, এজন্য অনলাইনের মাধ্যমে আপনার চেক করতে হবে। এজন্য আজারবাইজানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে, সেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। তারপরে রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে যে ঘর রয়েছে সেখানে আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিবেন। তারপর পরবর্তীতে আরো যে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করতে বলবে সেগুলো করে নিয়ে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার আসল ভিসা দেখতে পারবেন। পাসপোর্ট এর নাম্বার দিয়েও কিন্তু চেক করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করবেন।

আজারবাইজান যেতে কি কি লাগে

আজারবাইজান যাওয়ার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। তাই আজারবাইজান যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে যদি জানা থাকে তাহলে আজারবাইজানের যাওয়ার জন্য যে ডকুমেন্টস লাগে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
প্রথমত আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, সে ক্ষেত্রে আজারবাইজানের ওয়েবসাইটে চলে যাবেন এবং সেখানে থেক আবেদন ফরম ডাউনলোড দেবেন। এরপর আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তারপর ভিসা ফি প্রদান করতে হবে এবং সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। আজারবাইজান ভিসার জন্য আপনাকে অনলাইনে কাজের জন্য দক্ষ হতে হবে, তাহলে নিজে আবেদন করলে সুন্দর মত যেতে পারবেন।

তাছাড়া যে সকল কাগজ গুলো আপনাকে দিতে হবে তাহল; বৈধ পাসপোর্ট, সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি, কোম্পানির জব লেটার, জাতীয় পরিচয় পত্র,মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। তাছাড়া আপনার পাসপোর্ট এর কিছু খালি পৃষ্ঠা জমা দিতে হবে এবং পাসপোর্ট এর অবশ্যই ছয় মাস মেয়াদ থাকে। তাছাড়া আরো যদি কাগজপত্র লাগে সেটা এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিবেন। এ ছাড়াও আপনি সরাসরি কোম্পানির সাথেও যোগাযোগ করে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে সকল কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।

আজারবাইজান দেশে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর FAQ

বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে বিমান ভাড়া কত?

আপনি যদি বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আজারবাইজান পর্যন্ত বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা মতো।

আজারবাইজানের ভিসার মেয়াদ কতদিন?

প্রকৃতপক্ষে আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে মেয়াদ হবে ৩ মাস থেকে ৩ বছর।

আজারবাইজান কর্ম ঘন্টা কত?

আপনি যদি এদেশে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ২ দিন সপ্তাহে ছুটি পাবেন, তাছাড়া ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা।

আজারবাইজান এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

এদেশের মুদ্রা বাংলাদেশের চাইতে দাম বেশি রয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের রেট অনুযায়ী ১ টাকা সমান ৭০ টাকার মত।

আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ কতদিন?

আপনি যদি এ দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যান তাহলে ১ বছরের মেয়াদ থাকবে এরপর আপনাকে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হবে।

উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে? জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি আজারবাইজান যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে ভিসার দাম। এজন্য আপনি আগে থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিবেন। আজারবাইজান যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে উন্নতশীল একটি দেশ। এজন্য যে কাজের চাহিদা বেশি সেই ভিসাটা করবেন। নিজেই আবেদন করলে কম খরচ হবে। তাই আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আজকের পোস্টে সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।