বর্তমানে মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন ও বেতন কত ২০২৫
অনেকে জানতে চায় যে, মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন? আসলে শপিং মলের কাজ অন্যান্য কাজের চাইতে সহজ এবং খুবই পরিপাটি হিসেবে কাজ করা যায়। চলুন, শপিং মলের কাজের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই শপিং মলের কাজের জন্য মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে। তবে শপিংমলের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে কিন্তু বেতন অন্যান্য কাজের তুলনায় কম। তাই মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন? সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন ও বেতন কত ২০২৫
মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন
মালয়েশিয়া বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে তার মধ্যে মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন? এ সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই এই শপিং মলের কাজ সম্পর্কে জানলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ায় শপিং মলের কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন জানতে হবে। যেমন প্রত্যেকটা কোম্পানি তার শপিং মলের কাজের কর্মচারীকে নির্দিষ্ট পোশাক দিয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই সেই পোশাক পরিধান করতে হবে এবং পরিপাটি হয়ে শপিং মলের প্রবেশ করবেন। এরপরে প্রথমে সকাল বেলা কোম্পানির মালামাল গাড়িতে আসে সেই গুলো নামিয়ে গোডাউনে রাখতে হবে এবং কিছু ডিসপ্লে করার জন্য সাজাতে হবে। তাছাড়া এই শপিং মলে বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যেমন ফুড শপিং মল, ভেজিটেবল গ্রোচারি ইত্যাদি কাজগুলো রয়েছে। চলুন, এই কাজ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফুড শপিং মল সেক্টরঃ মালয়েশিয়ায় ফুড শপিংমল গুলোতে যে কাজ করা হয় তাহলো, বিভিন্ন দেশ থেকে কোম্পানি এই ফুড গুলো আমদানি করে থাকে। সেগুলো গাড়ি থেকে নামাতে হবে এবং প্যাকেট গুলো যাচাই-বাছাই করতে হবে। ফলগুলো চেকিং করতে হবে কোনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো আলাদা করতে হবে। এরপরে শপিংমলের দোকান গুলোতে সাজাতে হবে। এই ফল গুলোর মধ্যে যেমন হতে পারে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, বেদানা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফল থাকতে পারে। সেগুলো আপনাকে প্যাকিং করতে হবে। এই ধরনের কাজ গুলো সাধারণত করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি এই সেক্টরে কাজ করতে আসেন সে ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। কেননা মালয়েশিয়ায় সাধারণত শহর অঞ্চলে শপিংমলগুলো হয়ে থাকে, সেখানে আপনি সুন্দর পরিবেশে থাকতে পারবেন এবং পরিপাটি হয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে একটু অসুবিধা আছে সেটা হল আপনার উপরে যদি বস থাকে সে সার্বক্ষণিক আপনার তদারকি করবে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য আদেশ করবে, ভুল ত্রুটি ধরে থাকে এবং সারা দিনে আপনাকে কাজ করাবে। একটার পর একটা কাজ দিয়ে থাকে, এজন্য হয়তো বিরক্ত লাগতে পারে তবে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ভেজিটেবল শপিং মল সেক্টরঃ আপনি যখন শাকসবজি এর শপিংমলে কাজ করবেন সে ক্ষেত্রে এই শাকসবজি গুলো প্যাকেটিং করা, বাছাই করা, খারাপ গুলো আলাদা করা, এই ধরনের কাজগুলো করতে হবে। এই শাকসবজির মাঝে রয়েছে যেমন বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, পটল, গাজর, লাউ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সবজি গুলো পাওয়া যায়। এগুলো প্যাকেটিং করতে হবে এবং সুন্দর করে দোকানে সাজাতে হবে। অবশ্যই ফল গুলো টাটকা আছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আপনার উপরে যে কর্মকর্তা রয়েছেন সার্বক্ষণিক তদারকি করবে এবং কাজগুলো তাড়াতাড়ি করার জন্য নির্দেশনা দিবে।
আরো পড়ুনঃ লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
গ্রোসারি সেক্টরঃ গ্রোসারি সেক্টর বলতে বাংলাদেশের যে মুদি দোকান বলে থাকি। যেখানে শুকনা জাতীয় যে দ্রব্য বা পণ্যগুলো আমরা ক্রয় করে থাকি। মালয়েশিয়ায় সেগুলোর শপিংমলে কাজ করতে হয়। শুকনা জাতীয় জিনিসের মধ্যে যেমন চাল, ডাল, চিনি, লবণ, মসলা, তেল, শ্যাম্পু ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের শুকনা জাতীয় জিনিস রয়েছে। যেগুলো আপনাকে প্যাকেটিং করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং ক্রেতার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলতে হবে। এই পণ্যগুলো বিক্রি করাই মূলত দায়িত্ব। এই কাজের ক্ষেত্রে তেমন একটা অসুবিধা হয়না। খুবই আরামদায়ক একটি কাজ।
তবে আপনার বস সার্বক্ষণিক আপনাকে কাজের চাপে রাখার চেষ্টা করবে। তবে আপনি আপনার নিজের মতো করে বসের সাথে ভালো ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নিবেন। এখানে খাবার জাতীয় যে জিনিস গুলো রয়েছে এই গুলোর চাকরির চাইতে সুবিধা হয় যে দোকান গুলো খাবার জাতীয় পণ্য নাই, সে দোকান গুলোতে আপনি আরামদায়কভাবে চাকরি করতে পারবেন। যেমন বাচ্চাদের খেলনা, বাচ্চাদের পুতুল ইত্যাদি এই ধরনের ছোট খাটো যে জিনিসগুলো রয়েছে সেগুলো দেখাশোনা করবেন।এ ধরনের চাকরি খুবই সহজ এবং আরামে জব করতে পারবেন।
তাছাড়া মালয়েশিয়ায় শপিংমল গুলোতে ক্লিনার হিসেবে অনেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা সাধারণত গোডাউনের মালামাল উঠানামা করে। তারপরে মার্কেটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করে থাকে। এছাড়া অনেকে লেবার বা শ্রমিক হিসেবে এই মার্কেটগুলোতে পণ্য এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও শপিংমলের পণ্য নিয়ে হোম ডেলিভারি করা, এই ধরনের কাজগুলো করা হয়ে থাকে। একটা কোম্পানির বিভিন্ন সেক্টরে তারা নিয়োগ দিয়ে থাকে তাই আপনি আপনার ভিসায় কোন কাজের উপরে যাবে সেটা উল্লেখ করে নিবেন।
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে সর্বনিম্ন বেসিক বেতন তারা দিয়ে থাকে ১৭০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৪৮ হাজার টাকার মত। এই বেসিক কাজ মূলত ৮ ঘণ্টার মত হয়ে থাকে। তবে এই সকল কাজগুলোতে একটু ওভার টাইম কম হয়ে থাকে। ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মতো তারা ওভার টাইম পেয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টাকা অনুযায়ী আপনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আরো কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই শপিং মলের পাশেই থাকার জায়গা দেবে। তবে খাবার নিজের খরচে বহন করতে হবে।
মালয়েশিয়াতে এই ধরনের কাজে বেতন কম দিয়ে থাকে এবং বেতন ভাতা বাড়তে থাকে না। একই বেতনে দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করতে হয়। রবিবারে মালয়েশিয়াতে ছুটি থাকে কিন্তু আপনি যদি শপিংমলের চাকরি করেন সেই ক্ষেত্রে রবিবার দিনে লোকজন বেশি এই ক্ষেত্রে আপনি ছুটি পাবেন না। তাছাড়া এই কাজে কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, আপনার শারীরিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। আপনি একটা শহরে বসবাস করতে পারতেছেন। এছাড়া আপনার শরীর ভালো থাকবে কিন্তু বেতনের দিক দিয়ে একটু কম রয়েছে। তারপরও মাসে ৫০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্ট কাজ কেমন
মালয়েশিয়া অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাই মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্ট কাজ কেমন? এ সম্পর্কে বাংলাদেশী অনেক লোকজন জানতে চায়। তাই আপনি যদি রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য যেতে চান সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ার রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য যেতে হলে অবশ্যই কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আগে কোম্পানি সাথে যোগাযোগ করে, এরপরে ভিসা লাগিয়ে যেতে পারবেন। মালয়েশিয়া অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে কাজকর্ম করা খুবই সহজ। তাই আপনি এই কাজে যদি বাংলাদেশ থেকেও কাজে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। তবে যদি আপনি অদক্ষ হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে কাজে শিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার বেতন ভাতা কম হবে। তবে দক্ষ যখন এই কাজের অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে তখন বেতন অনেক হবে।
এই কাজের সুবিধা হল মালয়েশিয়ার রেস্টুরেন্টে যারা খেতে আসে তারা সাধারণত কর্মচারীদেরকে টিপস দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার বেতনের চাইতে টিপস এর টাকা বেশি হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনি যদি এই রেস্টুরেন্টের কাজে আসেন সে ক্ষেত্রে মোটামুটি মাসে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। যদি আপনি একটু সিনিয়র হতে পারেন কাজের অভিজ্ঞতা হয় সেক্ষেত্রে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পাবেন। তবে রেস্টুরেন্টে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। তারা যদি খুবই সুন্দরভাবে সেবা করতে পারে তাহলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেতন পাবে।
এই রেস্টুরেন্টে আরো একটি কাজ আপনি করতে পারেন যদি রান্নার কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে এই কাজে করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা থাকলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ভিসায় আসার জন্য সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আসতে হবে। এই ভিসা খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। ৩ ঘন্টা ওভার টাইম পাবেন, এই কাজগুলো বেশি একটা চাপ থাকে না। তবে যেগুলো ভালো মানের রেস্টুরেন্ট সেখানে প্রচুর পরিমাণে চাপ থাকে এবং বেশি ডিউটি করতে হয়। যারা এই ভিসায় যেতে চান তাহলে ভিসা আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ সহ ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগবে।
মালয়েশিয়া পাম বাগানের কাজ কেমন
মালয়েশিয়াতে পাম বাগানের জন্য বিখ্যাত। তাই মালয়েশিয়া পাম বাগানের কাজ কেমন? বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই পাম বাগানে কাজ করতে যায়। যদিও এই কাজের পরিশ্রম বেশি তবে অনেক টাকা বেতন পাওয়া যায়। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ার পাম বাগানে কাজ করতে অনেক শক্তি লাগে, সেক্ষেত্রে আগে থেকে যারা কৃষি কাজ করেন এবং পরিশ্রম করতে পারেন তারা এই কাজের জন্য ভিসা করতে পারেন। এখানে যদি আপনি কষ্ট করে কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক টাকায় বেতন পাবেন। অনেকে নতুন অবস্থায় গিয়ে এ ধরনের পরিশ্রম করতে পারেনা পরে পালিয়ে গিয়ে অন্য কাজ করতে চায় কিন্তু পরবর্তীতে ধরা খেয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হয়। তাই চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি পাম বাগানের কাজের উপরে ভিসা করবেন, এখানে অনেক কষ্ট রয়েছে তবে বেতন বেশি পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যে লোকগুলো পাম বাগানে কাজের জন্য যায়। তারা একটা কোম্পানির মাধ্যমে যায়। কোম্পানি পাম বাগানের পাশেই একটা ক্যাম্প তৈরি করে দিবে, সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবে এবং খাওয়াটা নিজেদের। এখানে আপনি দুই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারেন, চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ করতে পারেন অথবা কোম্পানির চাকরি হিসেবে কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এই ক্যাম্পে গিয়া হাজিরা দিয়ে তারপর কাজ করবেন। আর যদি আপনি চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে কোন একটা কোম্পানির সাথে চুক্তি নিয়ে কাজ করলে বেতন বেশি পাবেন।
মালয়েশিয়ায় পাম বাগানের কাজে পরিশ্রম বেশি রয়েছে তবে বেতনও বেশি পাওয়া যায়। যারা বেসিক হিসেবে কাজ করেন তারা সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করে থাকে এবং ৮ ঘন্টার ডিউটি করতে হবে। এছাড়াও ২ থেকে ৩ ঘন্টার মত ওভার টাইম পাওয়া যায়। তবে বেসিক বেতন ১৭০০ রিংগিত দিয়ে থাকে। আর ওভার টাইম দিয়ে মোট ২ হাজার রিংগিত এর মত পাবেন। সেক্ষেত্রে মাসে বাংলাদেশের টাকায় ৫০০০০ টাকার মত বেতন পেতে পারেন। তবে প্রথম অবস্থায় তিন মাস ওভার টাইম পাবেন না, শুধুমাত্র বেসিক পাবেন। তবে কোম্পানি ভাল হলে সিডিউল অনুযায়ী ওভারটাইম দেবে।
যদি আপনি বেসিক হিসেবে চাকরি করে থাকেন তাহলে কোম্পানির পাম বাগানের যাবতীয় কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে পাম বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করা, সার, কীটনাশক দেওয়া, ফলগুলো কাটতে হবে, প্যাকেটিং করতে হবে এবং সেগুলো গাড়িতে লোড করতে হবে। এই কাজগুলো খুবই কষ্টদায়ক বা অনেক শক্তি দিয়ে করতে হয়, সে ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, তবে সেখানে কোম্পানির ফ্রি চিকিৎসা রয়েছে। তবে এই কাজে আসলে পরিশ্রম বেশি করতে হবে কিন্তু বেতনও বেশি পাবেন। যারা চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ করে তারা ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ রিঙ্গিত পায়।
মালয়েশিয়া কৃষি কাজ কেমন
আপনি যদি মালয়েশিয়া কৃষি কাজের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া কৃষি কাজ কেমন? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা বাংলাদেশের কৃষি কাজের সাথে এখানে পার্থক্য রয়েছে। চলুন এ কৃষি কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে কৃষি কাজের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এখানকার মাটি অত্যন্ত ভালো যা চাষাবাদ এর জন্য উপযুক্ত। তবে এখানে কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার করে খুব সহজভাবে কাজ করা যায়। এখানে কৃষি কাজের জন্য যা চাষাবাদ করা হয় যেমন শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। শাকসবজির মধ্যে যেমন লাউ, গাজর, শসা, বেগুন, আলু, পিয়াজ এক কথায় আমরা বাংলাদেশে যে সবজিগুলো আবাদ করে থাকি এখানে এগুলো চাষাবাদ করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে কোম্পানি অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই ভালো করবে।
একজন কোম্পানি ৮ থেকে ১০ জনের মতো লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই মালয়েশিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা কোম্পানি যাচাই-বাছাই করে তারপরে ভিসা আবেদন করার অনুমতি দেবে। এই কোম্পানির শাকসবজির চাষাবাদ করতে হবে অথবা ফল ফলের বাগান রয়েছে সেখানে আপনার দেখাশোনা করতে হবে। এই সবজি গুলোর চারা রোপন করতে হবে তারপর পানি দিতে হবে, নিড়ানি, আগাছা পরিষ্কার করতে হবে, সার কীটনাশক দিতে হবে। এরপরে ফলগুলো উঠাতে হবে আবার প্যাকেটিং করতে হবে। সেগুলো গাড়িতে লোড করে দিতে হবে।
তবে কোম্পানিগুলো অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে কেননা ৮ ঘন্টা ডিউটি করবেন এবং পাশাপাশি দুই ঘন্টা ওভারটাইম করতে পারবেন। এছাড়া থাকার ব্যবস্থা করে দেবে তবে এই কৃষি কাজে যারা আসে তারা সাধারণত সবজিগুলো নিয়ে বাসায় খেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার শাকসবজি কিনতে হয় না এখানে অনেক টাকায় আপনার বেঁচে যায়। আপনার প্রায় ৫০০ রিংগিত এর মত বেঁচে যায়। এছাড়াও চাইলে আপনি মালিকের থেকে সামান্য জায়গা নিয়ে সেখানে চাষাবাদ করে বাজারে বিক্রি করে অতিরিক্ত কিছু টাকা আয় করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ রিংগিত এর মত হবে।
মালয়েশিয়া নার্সারি কাজ কেমন
মালয়েশিয়াতে অনেকেই নার্সারি কাজের জন্য যাচ্ছেন। তবে মালয়েশিয়া নার্সারি কাজ কেমন? এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা অনেকেই এই কাজে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চলুন নার্সারীর কাজের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়াতে নার্সারি কাজ বলতে যে কাজগুলো করতে হয় তাহলো, গাছের বীজ বপন, সেগুলো পলিব্যাগ করা, পানি দিতে হবে, গাছের পরিচর্যা, নার্সারিতে সাড়িবদ্ধভাবে রাখতে হবে। আবার পলিব্যাগ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামের ভিতরে মাটির ভরাট করে সেখানে রাখতে হবে। তাছাড়া গাছ গুলোতে পানি স্প্রে করতে হবে, সার, কীটনাশক দেওয়া লাগে। সে ক্ষেত্রে একটু পরিশ্রম রয়েছে, কেননা এখানে সারাদিন রোদের ভিতর কাজ করতে হয়। তবে যারা আগে থেকে অভ্যস্ত হয়েছেন তাদের কোন অসুবিধা হয় না। এছাড়া সারাদিন আপনাকে কোম্পানিগুলো একের পর এক কাজ করাবে।
এই ভিসায় আসার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্লান্টেশন ভিসায় আসতে হবে। নার্সারি কাজ খুবই সহজ পরিশ্রম কম রয়েছে। তবে একটু কষ্ট বেশি, এই কাজগুলো সাধারণত আপনি বেসিক হিসেবে কাজ করতে পারেন বা চুক্তিবদ্ধ ভাবেও করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে আপনি যদি নার্সারি কাজের জন্য মালয়েশিয়াতে যান তাহলে বেসিক বেতন হবে ১৭০০ রিংগিত পাশাপাশি ওভার টাইম করলে মোট ২০০০ রিংগিত পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে আপনার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো আসতে পারে। তাছাড়া কোম্পানি আপনাকে থাকার জায়গা দেবে। ৮ ঘন্টা ডিউটি, সপ্তাহে ১দিন ছুটি পাবেন।
শেষ কথাঃ বর্তমানে মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন ও বেতন কত ২০২৫
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি মালয়েশিয়াতে শপিং মলের কাজে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে চাকরি নিশ্চিত করবেন। তারপরে যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন। চাকরি নিশ্চিত না করে গেলে আপনি অসুবিধা পড়বেন। এই ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং ভালো পরিবেশে আপনি থাকতে পারবেন। তাই মালয়েশিয়া শপিং মলের কাজ কেমন? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url