বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে ও খরচ কত ২০২৫

যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের জানা প্রয়োজন যে সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে? চলুন, সৌদি মেডিকেল করার জন্য যে কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে প্রচুর লোক সৌদি আরবে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তাদের মেডিকেল এর প্রয়োজন হয়। তাই সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে ও খরচ কত ২০২৫

সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে

যে সকল বাংলাদেশী সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা মেডিকেলে যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সৌদি আরব যেতে পারবেন না। চলুন, মেডিকেল করার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন যেমন ভিসা করা থেকে শুরু করে যত ধরনের খরচ হয়েছে সকল কিছু সম্পন্ন করলেন। এরপরে অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল রিপোর্টের প্রয়োজন হবে। এখন বাংলাদেশের কোথায় করাবেন কত টাকা লাগবে, কি কি ডকুমেন্টস, কি কি টেস্ট দিতে পারে ইত্যাদি এবং মেডিকেল ফি কত হতে পারে সবকিছু তথ্যগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। তাই চলুন আজকের আর্টিকেলে সৌদি যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট বিষয়ক সকল তথ্য উপস্থাপন করা যাক।

এই দেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ বছর মেয়াদ থাকতে হবে। এই পাসপোর্ট এর ফটোকপি সহ মেডিকেল টেস্ট করার জন্য নিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক ছবি তুলেছেন এই ধরনের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে হবে। সৌদি আরব মেডিকেল করার জন্য গামকা মেডিকেলকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে গামকা মেডিকেল স্লিপ নিতে হবে। অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন ও ফি জমা দিয়ে গামকা মেডিকেলে টেস্ট করাতে পারবেন।

তাছাড়া সৌদি আরব মেডিকেল টেস্ট করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে, এছাড়া আপনার বাসার যদি বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি থাকে সেটাও নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে, তাহলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি নিতে হবে। এই কাগজ গুলো অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে এবং এগুলো ছাড়া কিন্তু আপনি সৌদি আরবের মেডিকেল টেস্ট করতে পারবেন না। তাছাড়া আরও যদি কোন ডকুমেন্টস লাগে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের থেকে জেনে নিবেন। ইতিমধ্যে যারা সৌদি আরবে গেছে তাদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
আপনি যখন সৌদিতে কাজের জন্য যাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। আর এই ভিসা করার ক্ষেত্রে আবার মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে এবং সেই মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট এর সাথে বর্তমানে কোভিট-১৯ টেস্টও করতে হয়। এগুলো সব কিছু টেস্ট আপনার নিজের খরচে করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি টেস্টে কোন বড় ধরনের রোগ দেখা দেয়, তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। তাই মেডিকেল টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এজন্য আগে থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

সাধারণত যে কোন দেশেই যাওয়ার ক্ষেত্রে যে মূল বিষয়গুলো আপনার টেস্ট করা হবে। তার মধ্যে প্রথমত ব্লাড নেবে, এরপর প্রসাব পরীক্ষা করা হবে পাশাপাশি এক্সরে করা হবে। তাই সৌদিতে যাওয়ার জন্য আপনার এই মৌলিক টেস্টগুলো অবশ্যই করানো হবে কিন্তু এই মেডিকেল টেস্ট নিয়ে পূর্বে সিন্ডিকেট দেখা যেত অর্থাৎ এজেন্সি গুলো নির্দিষ্ট কিছু মেডিকেলের কথা বলতো, যেখানে মেডিকেল টেস্টে প্রায় অনেক টাকা লাগতো। তাই এই বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে বর্তমানেও কিন্তু অনেক দালাল রয়েছে যাদের খপ্পরে যদি পড়ে যান সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

বর্তমানে সৌদিতে বা যে কোন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্টটা বাংলাদেশে খুবই সহজভাবে হয়েছে। কেননা বর্তমানে দালালমুক্ত তাই আপনার ইচ্ছামত বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি মেডিকেল থেকে সৌদি আরবের যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে খরচও খুবই কম হবে, দ্রুতই আপনার রিপোর্ট দিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে আপনি রিপোর্টটা নিয়ে এজেন্সিতে দিতে পারবেন, এতে কোন সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে আপনার ব্লাড টেস্টের মধ্যে যেগুলো থাকতে পারে রক্তের টাইফয়েড, নেশাগ্রস্ত কিনা, ক্যান্সার আছে কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা গুলো যাচাই বাছাই করা হয়।

তাছাড়া মেডিকেল টেস্টের মধ্যে আরো কিছু টেস্ট রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে বর্তমানে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার পজিটিভ আসে তাহলে কিন্তু অসুবিধা হবে। তাহলে আপনি সৌদি আরবে যেতে পারবেন না। এছাড়াও সৌদি আরবে বিমানবন্দরের নামার পরেও কিন্তু সেখানে কোভিড-১৯ স্যাম্পল দিতে হবে। সেখানে আপনাকে তারা প্রায় ৭২ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখবে। যখন রেজাল্ট দেখার পর যাওয়ার অনুমতি পাবেন। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গুলো কমপ্লিট করে যেতে হবে।

সৌদি মেডিকেল করতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে সৌদিতে যাওয়ার জন্য অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকে সৌদি মেডিকেল করতে কত টাকা লাগে? আসলে মেডিকেল খরচ বর্তমানে খুবই কম লাগে। তবে হয়তো কম বেশি কিছু হতে পারে চলুন, এ বিষয়ে জানা যাক।

আপনি যখন সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মেডিকেল করবেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে কোন সরকারি মেডিকেল থেকে করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮৫০০ টাকার মতো লাগবে। তাছাড়া এজেন্সির মাধ্যমে যদি মেডিকেল টেস্ট করান সেই ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কেননা বর্তমানে যেহেতু আপনি সরকারিভাবে মেডিকেল করতে পারছেন তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করবেন কেন। এছাড়া এই মেডিকেল রিপোর্ট বা স্লিপ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আপনার আরো ১৫০০ টাকার মত লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল করার পর আবার সৌদি আরবে গেলেও মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফি জমা প্রায় ১০ হাজার টাকার মত, মেডিকেল টেস্টের যে স্লিপ সেটা অনলাইনের মাধ্যমে উঠানোর জন্য ১০ ডলার দিতে হবে। এই ১০ ডলার কিন্তু পরিশোধ করার জন্য আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লাগবে। তবে এজেন্সির মাধ্যমে এই টাকা পরিশোধ করলে বেশি লাগবে। তারপরও দেখা যাচ্ছে আপনার ১৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে, এরপরে বাকি ৮৫০০ টাকা সৌদি আরবের মেডিকেল সেন্টারগুলোতে দিতে হবে। এছাড়াও সৌদি ভিসা খরচ সহ আরো অনেক টাকা খরচ হবে।

সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন

সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে মেডিকেল রিপোর্ট চেক দেওয়া প্রয়োজন। তাই সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। চলুন, নিজেই অনলাইনে চেক দিতে পারবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট চেক দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা লাগবে, এক্ষেত্রে কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে আপনি মেডিকেল রিপোর্ট দিতে পারবেন চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক। এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং জাতীয়তা ইত্যাদি কিছু অপশন রয়েছে। সেগুলো আপনি পূরণ করলেই আপনার ভিসা চেক হয়ে যাবে। পাসপোর্ট দিয়ে সৌদি আরব মেডিকেল রিপোর্ট যখন চেক করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সৌদি আরবের যে মেডিকেল রিপোর্টের ওয়েবসাইট লিংক রয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য আপনি wafid.com medical এই লেখাটিতে প্রবেশ করবেন।
এরপরে যখন আপনার সামনে ওয়েবসাইট আসবে তার ভিতরে ভিজিট করতে পারেন। তারপরে দেখবেন পাসপোর্ট নাম্বার এর অপশন রয়েছে সেখানে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার টা প্রবেশ করাবেন। আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক সেটা বোঝানো হবে সে অপশনটিতে সিলেক্ট করে দিবেন। এরপরে পাসপোর্ট নাম্বার এবং সকল কিছু যদি সঠিক থাকে তাহলে চেক অপশনে চাপ দিলে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনি সৌদি আরবের মেডিকেল চেক করার জন্য যে ওয়াফিদ স্লিপ পাবেন সেটা অনুযায়ী ওই আগের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখতে পারবেন।

সৌদি আরবের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে। তাই সৌদি আরবের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগবে। কিভাবে আবেদন করবেন সকল কিছু আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

এদেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট করার জন্য যে কাজগুলো আপনাকে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করা লাগবে। কেননা বর্তমানে সকল কিছু অনলাইনের মাধ্যমে হয়। এরপরে আবেদন করার জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগবে তার মধ্যে যেমন বৈধ পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগবে, ছবি ইত্যাদি উপরোক্ত কাগজগুলো স্ক্যান করে দিতে হবে। তাছাড়া সরকারি ফি ৫০৩ টাকা বিকাশ রকেট বা যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

তবে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা রয়েছে অবশ্যই অনলাইনে যখন আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে পাসপোর্টের সাথে সকল কিছু মিল রেখে সঠিকভাবে পূরণ করবেন। যখন আপনি আবেদন করবেন অবশ্যই আবেদন সঠিক হলে সেক্ষেত্রে সাকসেসফুল দেখাবে এবং আপনি যে টাকা পরিশোধ করেছেন সেটার নিশ্চিত দেখাবে। আপনার যে নিকটস্থ থানা রয়েছে সেখানে থেকে পুলিশ অফিসার কল দেবে, এরপর পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে কিছু যাচাই বাছাই করবে। এরপরে আবেদনের কপি প্রিন্ট করতে পারবেন। 

তারপর সার্টিফিকেট ওই থানার ওসি সাহেবের স্বাক্ষর পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার পরে আপনি নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সকল কিছু শেষ করার জন্য ৭ থেকে ১০ দিনের লাগতে পারে। সকল কিছু যখন হয়ে যাবে তখন মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। একটা সতর্কবাণী হলো পুলিশকে কখনো অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে পুলিশরা সহযোগিতা করবে এবং দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে দিবে। তারা কোন টাকা পয়সা দাবি করবে না।

সৌদি মেডিকেল আনফিট কেন হয়

সৌদি আরবের মেডিকেল করতে অনেকে আনফিট হয়ে থাকে। তাই সৌদি মেডিকেল আনফিট কেন হয়? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

সৌদি আরবসহ বিদেশের যে কোন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট করতে হবে, তা না হলে আপনি যেতে পারবেন না। কেননা বিভিন্ন রোগের কারণে আপনার হয়তো মেডিকেল টেস্ট আনফিট হলে আপনি আর যেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই আগে থেকেই জানতে হবে যে রোগগুলো থাকলে মেডিকেল রিপোর্টে সমস্যা হবে। তার মধ্যে যেমন গুরুত্বপূর্ণ চর্মরোগ, হার্টের সমস্যা, করোনা ভাইরাস, এইচআইভি, ক্যান্সারের জীবাণু, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, যক্ষা ইত্যাদি ধরনের রোগ গুলো যদি আপনার টেস্টে ধরা পড়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি সৌদি আরবে যেতে পারবেন না।

যদি আনফিট হন তাহলে পরবর্তীতে চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য পুনরায় ভিসা আবেদন করতে হবে এবং আপনার মেডিকেল করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির রিপোর্টের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আনফিট হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্ট এর ক্ষেত্রে যদি আনফিট হয়ে যান তাহলে পুনরায় যখন আবার মেডিকেল রিপোর্ট করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ৩ থেকে ৬ মাস সময় পাবেন। পরবর্তীতে আবার মেডিকেল টেস্ট করবেন। এর মধ্যে যদি চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট ভালো আসতে পারে।

সৌদি আরবের মেডিকেল কোথায় হয়

অনেকে জানতে চায় যে সৌদি আরবের মেডিকেল কোথায় হয়? আসলে যদি আপনি সঠিক জায়গায় মেডিকেল টেস্ট না করাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। তাই এই বিষয়ে জানা খুবই প্রয়োজন চলুন জানা যাক।

বাংলাদেশ থেকে যখন আপনি সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে মেডিকেল করার জন্য সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সিগন বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মেডিকেলে টেস্ট করাতে বলে। এক্ষেত্রে সেখান থেকে আপনি মেডিকেল টেস্ট করতে পারেন। তাছাড়া আপনি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন মেডিকেল হাসপাতাল রয়েছে যেগুলো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদন রয়েছে, সেগুলো থেকে আপনি মেডিকেল টেস্ট করতে পারবেন। আপনি এই মেডিক্যাল রিপোর্ট টেস্টটা জমা দিতে পারবেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু মেডিকেল নির্দিষ্টতা করে দিতে পারে।
এছাড়াও কিছু টেস্ট ভিন্ন রয়েছে যেগুলো সব হাসপাতালেই মেডিকেল টেস্ট করা যায় না। সে ক্ষেত্রে একজন এজেন্সি যে মেডিকেলে ভালো সেখান থেকে আপনি করে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি যোগাযোগ করে সেখান থেকেও জানতে পারবেন। মেডিকেল টেস্ট করলে ভালো হবে সাধারণত সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সাধারণত গামকা মেডিকেল এর পরীক্ষা নিরীক্ষা বেশি দিয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে মেডিকেল স্লিপ অনলাইনের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে টেস্টের জন্য অনুমতি নিতে হবে। বাংলাদেশের গামকা মেডিকেল কলেজ অনেকগুলো রয়েছে।

সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট মেয়াদ কতদিন থাকে

অনেক সৌদি আরব প্রবাসীরা জানতে চায় সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট মেয়াদ কতদিন থাকে? আসলে এই মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ সাধারণত ৩ মাসের মত থাকে। যদিও বর্তমানে সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়ার নিয়ম হল দুই মাসের মত অর্থাৎ আপনি পুনরায় আবার যদি আনফিট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আবার দুই মাস পরেই মেডিকেল রিপোর্ট করাতে পারবেন। এছাড়া আপনি মেডিকেল উপযুক্ত হওয়ার জন্য দুই মাসের মত সময় পাবেন। এর মধ্যে আপনি ভিসা করতে পারবেন তাই এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনি মেডিকেল রিপোর্ট পেয়ে যাবেন।

সৌদি আরবের মেডিকেল টেস্ট কি কি চেক করতে হয়

বাংলাদেশের লোকজন সৌদি আরব যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করে। তবে সৌদি আরবের মেডিকেল টেস্ট কি কি চেক করতে হয়? এ সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। চলুন কি কি চেক করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য আপনাকে যে বিষয়গুলো চেক করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বুকের এক্সরে করবে, রক্ত পরীক্ষা, প্রসাব পরীক্ষা, উচ্চতা ওজন চোখের পরীক্ষা ইত্যাদি টেস্ট গুলো সাধারণত হয়ে থাকে। তবে যেসব রোগের ক্ষেত্রে আপনার টেস্ট করা খুবই জরুরী তা হল হেপাটাইটিস বি, সি, এইচআইভি, যক্ষা, ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ পরীক্ষা। এছাড়াও মহিলারা সাধারণত সৌদিতে আমেল মঞ্জিল ভিসায় কাজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এজন্য মহিলাদের মেডিকেল টেস্টের জন্য গর্ভবতী কিনা তা পরীক্ষা নিয়ে থাকে। 

উপসংহারঃ বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে ও খরচ কত ২০২৫

সৌদি আরবের মেডিকেল করার ক্ষেত্রে সর্বশেষ কথা হল আপনার শরীরের যদি কোন বড় ধরনের রোগ থাকে। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভিসা না করাই ভালো, কেননা বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল টেস্ট করার পর কিন্তু সৌদি আরবে মেডিকেল টেস্ট দিতে হবে। তাই আপনার সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তাছাড়া আপনার যদি কাগজপত্র কোন সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আগে থেকেই সমাধান করে নিবেন। তাই সৌদি আরবের মেডিকেল করতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি, যেন আপনার উপকার হয়। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url