বর্তমানে আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনি আমেল মঞ্জিল ভিসায় কি কাজে যাচ্ছেন। চলুন, আমেল মঞ্জিল ভিসার দাম ভিন্ন ধরনের হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি আমেল মঞ্জিল ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, তাহলে খরচ কম হবে। তাই আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআমেল মঞ্জিল ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় ও বেতন সম্পর্কে জানুন
আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে
আমেল মঞ্জিল ভিসায় অনেকেই যেতে চায় কিন্তু আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো জানে না। তাই এই ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন, আমেল মঞ্জিল ভিসায় কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমেল মঞ্জিল ভিসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে, সেক্ষেত্রে এজেন্সি গুলো অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি এ সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন কত টাকা তারা বেশি নিয়ে থাকে। যদিও এই ভিসা খুবই কম দামের হয়ে থাকে, যার কারণে এই ভিসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের দালাল বেশি। তাই আপনাকে সাবধানতার সাথে ভালো দালালের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। এছাড়া যে এজেন্সি গুলো ভালো, সরকার অনুমোদিত সেই এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন। যদি আপনার কোন আত্মীয় স্বজন থাকে তার মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে খুবই কম টাকায় যেতে পারবেন।
এছাড়া যদি সরকারিভাবে যেতে পারেন তাহলে আরো অনেক কম খরচে যেতে পারবেন। বিশেষ করে এই সকল ভিসায় সাধারণত নারী-কর্মী বেশি গিয়ে থাকে। আমেল মঞ্জিল কাজের মধ্যে গৃহকর্মী, রান্না বান্নার কাজ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ঘরোয়া কাজের জন্য যে সকল লোক নিয়ে থাকে তাদের আসলে আমেল মঞ্জিল বলা হয়। এক্ষেত্রে যারা আমেল মঞ্জিল ভিসায় যাবেন, তারা শুধুমাত্র মালিকের নিজের কাজ করতে পারবেন। বাহিরে কাজ করতে গেলে অসুবিধা হবে, তাই সতর্ক থাকবেন।
যেহেতু আমেল মঞ্জিল ভিসায় সাধারণত ঘরোয়া কাজ করবেন, তাই এই ভিসার খরচ অনেক কম। এক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা খরচ, বিমান ভাড়া ও ভিসা খরচ সব মিলিয়ে আপনার সরকারি ভাবে গেলে ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার মত লাগবে। কিন্তু যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমেল মঞ্জিল ভিসায় যান, সে ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাছাড়া আপনি যদি কোন আত্মীয়র মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করেন,তাহলে ভিসা খরচ ১ লক্ষ টাকার মত হবে। তবে প্রতিবছরে এই ভিসা নবায়ন করতে হবে সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা লাগবে।
তবে আমেল মঞ্জিল ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি চিন্তা-ভাবনা করে যাবেন। কারণ এটা মূলত গৃহ-কর্মী হিসেবে কাজ করবেন, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার মালিক ভালো হয় তাহলে ভালো থাকবেন। আর যদি মালিক খারাপ হয় সেক্ষেত্রে আপনার অনেক কষ্ট হবে। তাই চেষ্টা করবেন আপনার কোন নিকট আত্মীয় যে এই দেশে কাজ করছে তার মাধ্যমে গেলে সবচাইতে ভালো হবে। তাছাড়া আপনার যদি মালিক সহযোগিতা করে এবং ভালো হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি বেতনে বেশি পাবেন, পাশাপাশি আরো দুই একটা বাড়িতে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেতন আরো বেশি পাওয়া যাবে।
আমেল মঞ্জিল ভিসায় কি কি কাজ করা যায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে আমেল মঞ্জিল ভিসায় আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ছোট্ট আকারে বলা যেতে পারে যে এ দেশের সাধারণত আমেল মঞ্জিল ভিসায় যে কাজগুলো করা হয় সেটা মূলত বাড়ির বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য তারা লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এটাকেই মূলত আমেল মঞ্জিল কাজ বলা হয়। এ সকল চাকরির ক্ষেত্রে আপনার বেতন খুবই কম দিয়ে থাকে কিন্তু অনেক মালিক ভালো হওয়ার কারণে দেখা যায় আপনার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এ ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য অবশ্যই দীর্ঘদিন যাবত এ দেশে কাজ করতে হয়।
তাই যে কাজ গুলো আমেল মঞ্জিল ভিসার মাধ্যমে আপনি করতে পারবেন, তাহল গৃহকর্মী যিনি বাড়ির সকল কাজকর্ম করবে, দেখাশোনা করবে ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করবে। এছাড়াও বাগান পরিচর্যার ক্ষেত্রে গার্ডেনার ও কেয়ারটেকার নিয়োগ, হাউস ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ পাবেন। এছাড়াও রান্নার কাজের জন্য লোক নেয় এবং ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে অনেকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমেল মঞ্জিল ভিসায় গেলে আপনি উপরোক্ত এই কাজ গুলো করতে পারবেন। তাই আপনার যদি সুযোগ থাকে তাহলে এই ভিসায় যেতে পারেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা বেতন কত
আমেল মঞ্জিল ভিসায় বেতন খুবই কম, তাই আমেল মঞ্জিল ভিসা বেতন কত? সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। কেননা এজেন্সি গুলো আপনাকে বেশি বেতনের কথা বলে আকর্ষণ করে থাকে। চলুন, বেতন সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানা যাক।
যদি আপনি আমেল মঞ্জিল ভিসায় যান সে ক্ষেত্রে এ দেশের বেতন খুবই কম হয়ে থাকে। সাধারণত এই সকল ভিসায় সর্বোচ্চ ৬০০ রিয়াল দিয়ে থাকে, যা বাংলাদেশী টাকায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মত কিন্তু এজেন্সিরা বলে থাকে প্রায় ১২০০ রিয়াল দেবে। এটা একদমই ভুল তথ্য তাই আপনি সঠিক তথ্য জেনে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। দেখবেন এজেন্সিরা কখনোই আপনাকে চুক্তিপত্রটা দেখাবে না।পরবর্তীতে যাওয়ার মুহূর্তের সময় আপনাকে চুক্তিপত্রটি ধরিয়ে দেবে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন যদি তারা ১২০০ রিয়ালের কথা বলে সেক্ষেত্রে ধরে নিবেন ৬০০ রিয়াল বেতন পাবেন।
আপনি যদি আমেল মঞ্জিল ভিসায় হাউস ড্রাইভার বা কোন মালিকের ব্যক্তিগত গাড়ি চালান সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে সর্বোচ্চ মাসে ৬০০ থেকে ৮০০ রিয়াল। তাছাড়া আপনি যদি কাজের বুয়া বা গৃহকর্মী হিসাবে বাসা বাড়িতে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ রিয়াল পাবেন। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক মালিক ৫ থেকে ৬ মাস বেতন বন্ধও রাখে। তবে যদি মালিক ভালো হয় সেক্ষেত্রে আপনি মাঝে মাঝে হাদিয়া পাবেন। যা আপনার বেতনের চেয়ে বেশি টাকা পেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
আপনি যদি আমেল মঞ্জিল ভিসায় গার্ডেনার হিসেবে কাজ করেন অর্থাৎ বাগানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বাগানের ঘাস কাটা, আগাছা পরিষ্কার করা এই ধরনের যদি কাজ করেন, তাহলে মাসে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ রিয়াল এর মত বেতন পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি বাড়ী দেখাশোনার অর্থাৎ কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে মাসে ৬০০ থেকে ৮০০ রিয়ালের মতো বেতন পাবেন। তবে অনেক সময় যদি মালিক ভালো না হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে দিয়ে বাড়ির যাবতীয় কাজ কর্ম করাবে।
তারপর আপনি যদি রান্না বান্নার কাজ করেন সে ক্ষেত্রে 600 থেকে 700 রিয়াল বেতন হবে। তবে অনেক সময় মালিক যদি সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে আপনি বেতনের চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া যদি দারোয়ানের চাকরি করেন অর্থাৎ সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ রিয়াল এর মত। তবে আপনি চেষ্টা করবেন পরিচিত লোকের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য তাহলে বেতন বেশি পাবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা কাজ কি
অনেকেই আমেল মঞ্জিল বলতে বোঝেনা, তাই আমেল মঞ্জিল ভিসা কাজ কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, আমেল মঞ্জিল বলতে কি বুঝায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।
আমরা বাংলাদেশে অনেক সময় বাড়ির নামের সাথে মঞ্জিল শব্দটা ব্যবহার করি। এটা মূলত আরবি শব্দ যার অর্থ হলো বাড়ি, আর আমেল মানে কর্মী। এজন্য আমেল মঞ্জিলকে বলা হয়ে থাকে ঘরের ভিতরে যে সকল কাজের জন্য যে লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়। এক কথায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ হতে পারে অর্থাৎ আপনি যে মালিকের নিকট যাবেন তার বাড়ির সকল কাজকর্ম অনেক সময় করে দিতে হবে। আর যদি মালিক ভালো হয় তাহলে আপনি সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন।
আপনি যদি আমেল মঞ্জিল ভিসায় গৃহকর্মী হিসেবে যান সে ক্ষেত্রে বাড়ির সকল কাজকর্ম করবেন, যদি মালিক ভালো হয় দেখা যাবে ভালো খাবার দাবার হলে তারা আপনাকে দেবে। একটা থাকার জায়গা দিবে, এছাড়া আপনাকে মাঝে মাঝে হাদিয়া দেবে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসব বা ঈদের সময় আপনার পরিবারের জন্য পোশাকের জন্য টাকা দেবে। কিন্তু যদি ভালো মালিক না হয় সে ক্ষেত্রে আপনার অসুবিধা হবে। দেখা যাবে বাড়ির যাবতীয় কাজ করাবে এবং বেতন দিবে কম, খাবার দাবার দেবেনা, বাহির থেকে আপনাকে খাবার কিনতে হবে। যে টাকা বেতন পাবেন সব টাকা শেষ হয়ে যাবে।
তাছাড়া আমেল মঞ্জিল ভিসায় হাউজ ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে অর্থাৎ যার মালিকের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে শুধুমাত্র তার গাড়ি ড্রাইভ করবে। এছাড়া বাড়ির বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য গার্ডেনার নিয়োগ দেয়। বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য কেয়ারটেকার এই ভিসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। রান্না করার জন্য যাকে আমরা বাবুর্চি বলে থাকি, দারোয়ান ইত্যাদি কাজগুলো সাধারণত এই আমেল মঞ্জিল কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই সর্বোপরি কথা হল যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয় সেক্ষেত্রে ভালো কিছু করতে পারবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আমেল মঞ্জিল ভিসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস দিতে হয়। তাই আমেল মঞ্জিল ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে গুলো আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কেননা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ডকুমেন্টস গুলো লাগবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যে বাংলাদেশী তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক তোলা ছবি থাকতে হবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট ও রিপোর্ট প্রয়োজন। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে। যেমন স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সংগ্রহ করবেন। কেননা আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা সেটা তারা প্রমাণ করে প্রমাণপত্র দেবে। এছাড়াও ভিসা নাম্বারের প্রয়োজন হবে এবং ইকামা নম্বর দেওয়া লাগবে।
এছাড়াও আপনি যদি কোন স্পন্সর কর্তৃক যাচ্ছেন তার একটি প্রমাণ পত্র দিতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি প্রশিক্ষিত কোন কাজ করতে যান সে ক্ষেত্রে তার সার্টিফিকেট লাগবে যেমন ড্রাইভার হিসেবে গেলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে, তা না হলে আপনি এদেশে উপযুক্ত হবেন না। পারিবারিক নার্সিং ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার নার্সিং এর উপর কাজের অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। তাছাড়া আপনি যদি রান্না বান্না এর কাজে যান সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট নিয়ে গেলে ভালো হবে। এই বিষয় গুলোর অবশ্যই কাগজপত্র সংগ্রহ করবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং
আমেল মঞ্জিল ভিসা করার জন্য আপনার আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করা জরুরী। এই প্রসেসিংটা নির্ভর করবে যার মাধ্যমে যাবেন। তারা কতদূর অগ্রসর হয়েছে, চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই ভিসা প্রসেসিং দ্রুত হওয়ার জন্য কিছু বিষয় নির্ভর করে যেমন মেডিকেল সার্টিফিকেট রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেরি হয়। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। আবার দূতাবাসের কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দেরি হয়ে যায় বা কাজের গতি কম থাকে এজন্য আপনার কাজটা ৭ থেকে ৮ দিনের মতো লাগতে পারে। আবার যদি কোন ভালো এজেন্সির মাধ্যমে না যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এজেন্সি অনেক সময় দেরি করে এবং অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের অনেক ভুল হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার জন্য।
এছাড়াও দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সরকারি ছুটি বা অন্য কোন সমস্যার কারণে ভিসা প্রসেসিং করতে দেরি হয়। তবে সবকিছুই যদি আপনার ঠিক থাকে সেই ক্ষেত্রে বেশি একটা সময় লাগবে না। সম্পূর্ণ কাজ যদি ভালোভাবে করতে পারেন, লেগে থাকে কাজগুলো করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মতো লাগতে পারে। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মাসের মত লাগবে কিন্তু কিছু এজেন্সি আছে যারা অনেক সময় ৩ মাসও পার করে দেয়, এই সকালে এজেন্সি থেকে দূরে থাকবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা সম্পর্কে FAQ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
আমেল মঞ্জিল শব্দের অর্থ কি?
এই দুটি শব্দ হলো আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ গৃহকর্মী বা ঘরের ভিতরে যারা কাজ করেন তাদেরকে আমেল মঞ্জিল বলা হয়।
আমেল মঞ্জিল ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
যদি আপনার কাগজপত্র সঠিক থাকে এবং সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া এজেন্সি যদি দ্রুত কাজ করে সে ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভিসা পাবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা কি কাজ?
এই ভিসায় সাধারণত আপনি যে কাজ গুলো করতে পারবেন তাহল; বাড়ির গৃহকর্মী এবং হাউস ড্রাইভিং, রান্না করার কাজ অর্থাৎ বাবুর্চি যেটা বলা হয়, এছাড়াও আয়া, বুয়া ইত্যাদি কাজ গুলো করতে পারবেন।
আমেল মঞ্জিল ভিসা কতদিন পর নবায়ন করতে হয়?
এই ভিসা সাধারণত প্রতি বছরেই নবায়ন করতে হবে, এর খরচ আপনাকে বহন করা লাগবে।
শেষ কথাঃ বর্তমানে আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
পরিশেষে বলা যায় যে আমেল মঞ্জিল ভিসায় মূলত আপনি গৃহকর্মী হিসাবে বাড়ির ব্যক্তিগত কাজ গুলো করার জন্য যেতে পারবেন। তাই আপনি চাইলেও অন্য কোন কাজে যেতে পারবেন না। কেননা আপনার বিপদ হতে পারে, এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। তাছাড়া আমেল মঞ্জিল ভিসা খরচও কম। কিন্তু যদি কোন বড় ধরনের দালালের খপ্পরে পড়ে যান, সে ক্ষেত্রে বেশি টাকা লাগবে। তাই আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার অনেক উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url