বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ৫০ হাজার টাকা আয় করবেন বিস্তারিত জানুন
অনেকে জানতে চায় যে, কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? এ সম্পর্কে যদি আপনার ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে যুগে লোকজন অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? বিস্তারিত জানুন
কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়
যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা জানতে চায় যে, কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? আপনি যদি একটু কৌশলী হতে পারেন, তাহলে ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফাইবার ডট কমঃ যদি আপনার হাতে অনেক সময় ও ধৈর্য থাকে। তাহলে ফাইবার ওয়েবসাইট থেকে মাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে একটি বিষয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি আরো অনেক কাজ রয়েছে। এরপরে ফাইবার ডটকম ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপরে গিগ পাবলিশ করলে বিভিন্ন দেশের লোকজন কাজের অর্ডার দেবে। সেক্ষেত্রে যে টাকা ইনকাম করবেন, সেই টাকা থেকে ২০% ফাইবার কেটে নেবে আর বাকি টাকা আপনি পাবেন।
আপওয়ার্ক ডটকমঃ এই ওয়েবসাইট পুরাতন একটি ওয়েবসাইট। যেখানে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার নিজের একাউন্টে খুলতে হবে। এরপরে আপনার কাজের সম্পর্কে বিবরণ দিবেন, সকল কিছু বিস্তারিত আপনার পোস্টে উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ক্লাইন্ট নিয়ে আসার জন্য বিট করতে হবে, তারপর ক্লাইন্ট আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং অর্ডার দেবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটা কাজের জন্য অনেকে ১০০ থেকে ২০০ ডলার দিয়ে থাকে। আপনার এই অর্ডারের টাকা ১০% সার্ভিস চার্জ হিসাবে কেটে রাখবে, আর বাকি টাকা আপনি পাবেন।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমঃ এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনকামের ভালো ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের জব পাবেন এবং ঘন্টা হিসেবে প্রজেক্ট এর কাজ করে দিতে হবে। একটা কোম্পানিতে যে কাজ গুলো করতে হলে প্রায় ১০-১২ জন ফ্রিল্যান্সার লাগতে পারে। আপনি যদি এখানে জব পেয়ে যান তাহলে অনায়াসে মাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকায় আয় করতে পারবেন। তাই আপনি এই ওয়েবসাইটে কাজ খুঁজবেন। তারপরে বিট করার পর যদি আপনাকে পছন্দ করে তাহলে আপনি কাজটি পেয়ে যাবেন এবং এখান থেকে বড় ধরনের ইনকাম করতে পারবেন।
পিপল পার আওয়ারঃ এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ফিক্সড প্রাইসের বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট থাকে, যেখান থেকে আপনি জব পাবেন। স্বাধীনভাবে এখানে ব্যবসা করতে পারবেন, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ খুঁজে নেয়। তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি। মূলত একজন ফ্রিল্যান্সার ও বায়ারের যোগাযোগের একটা ভালো মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট। তাই এখান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন, যদি আপনার স্কিল ভালো থাকে।
নাইনটিনাইন ডিজাইনঃ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইনরা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। এখানে বিভিন্ন বায়াররা তাদের প্রজেক্ট এর কাজ গুলো দিয়ে থাকে। যারা প্রফেশনাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনার তারা এখান থেকে লোগো ডিজাইন, ওয়েব সাইট ডিজাইন বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্সের কাজ গুলো করে থাকে। এভাবে তারা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করে। তাই আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এখান থেকেও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।
গুরু ডটকমঃ এটা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ঘণ্টাভিত্তিক বিভিন্ন প্রজেক্ট এর কাজ করা হয়। এখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইনিং, আর্টিকেল রাইটিং বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। এখানে বড় বড় কোম্পানিরা কাজ দিয়ে থাকে, এছাড়াও ফ্রিল্যান্সাররা গ্রুপ বেধে এই কাজ গুলো করে থাকে।
বিল্যান্সার ডটকমঃ এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট এর কাজ করে থাকে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন দেশের ক্লাইন্ট এর কাজ করে। যদিও এটা একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট যেখানে তারা চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশের বায়ার এক জায়গায় করার জন্য, এখানে ছোট আকারের প্রজেক্ট গুলো কাজ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করা যাবে। তাই এখানে একটা একাউন্ট খুলে বিকাশ অথবা সরাসরি টাকা নিতে পারবেন।
শাটার স্টকঃ এই ওয়েবসাইটটা এতটাই জনপ্রিয় যেখানে অনেক গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ফটোগ্রাফাররা কাজ করে থাকে। মূলত এখানে ছবি বিক্রি করে তারা ইনকাম করে। তাই আপনি যদি কোন ফটোগ্রাফার অথবা গ্রাফিক ডিজাইনার হন সেক্ষেত্রে এখানে ভালো মানের ছবি বিক্রি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে, এক্ষেত্রে কোন টাকা পয়সা লাগবে না। যদি আপনি প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফার অথবা ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে মাসে ৫০ হাজার টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন।
বিডি জব ডটকমঃ এই ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের চাকরি খোঁজা হয়, এখানে প্রচুর লোকজন চাকরি খুজে থাকে। তাই আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে চাকরি খুজে কাজ করতে পারেন। এখানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনেক কাজ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনি এখান থেকে কাজ নিয়ে করে দিতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরেও ইনকাম করতে পারবেন, যদি আপনার কাজের দক্ষতা থাকে।
অর্ডিনারি আইটিঃ এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের জব দেওয়া হয়। তাই আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য বিভিন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে তাহলে এখানে জব করে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি এখান থেকে ৭ দিনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে জব করতে পারেন। আপনি পার্টটাইম হিসেবেও এই জব করতে পারবেন।
Etsy ডটকমঃ এই ওয়েবসাইট অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশেষ করে যে সকল জিনিসপত্র হাতে তৈরি করা হয়, যেটাকে হস্তশিল্প বলা হয়। এই ধরনের পণ্য গুলো আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এখানে নিজের হাতের তৈরীর পণ্য গুলো ছবি তুলে এই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবেন। আপনার এই পণ্য উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারবেন। তাই এখানে একটি একাউন্ট করে ছবি গুলো পোস্ট করতে পারেন, তাহলে দেখবেন অনেক বিক্রি হয়ে যাবে। এটি একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এই ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।
দারাজ ডটকমঃ বাংলাদেশে এই ওয়েবসাইটটা অত্যন্ত জনপ্রিয়, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তারা বিক্রি করে থাকে। তাই আপনি এখানে ইচ্ছা করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট গুলো আপনি মধ্যম ব্যক্তি হয়ে অন্যের কাছে যদি বিক্রি করে দিতে পারেন, সেখান থেকে কমিশন পাবেন। এভাবেও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং ভালো ভাবে মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম
এতক্ষণে আমরা জেনেছি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় কিন্তু নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকামঃ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেক্ষেত্রে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে হবে, সেগুলো পাবলিশ করতে হবে রেগুলার এবং গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য ভালো মানের এসইও জানতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলো যদি গুগলের প্রথম পেজে থাকে, তাহলে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর ও ক্লিক আসবে। এজন্য গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিবে সেখান থেকে আপনার কমিশন হিসেবে টাকা পাবেন।
এজন্য আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করা লাগবে, এতে যত ক্লিক আসবে এবং প্রতি ক্লিকের বিনিময়ে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে মাসে আপনার ৫০ হাজার টাকা এক সময় ইনকাম করা কোন ব্যাপারই হবে না। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলো যেন ইউনিক হয়। কপিরাইট হলে আপনার ওয়েবসাইট সাসপেন্ড হতে পারে সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন এবং কোন ভাবেই কোন আইডি থেকে কপি করা যাবেনা।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকামঃ আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করেও দিতে পারেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লেখা আছে, যেগুলো অন্য একজনের ব্যবসায়ের জন্য ওয়েবসাইটটা খুবই প্রয়োজন। সেই ক্ষেত্রে আপনি এই ওয়েবসাইটটা অনেক টাকায় বিক্রি করে দিতে পারেন। একটা ওয়েবসাইট যদি ভালো পারফরম্যান্স থাকে সেই ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার উপরেও বিক্রি করা যাবে। ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
আর্টিকেল লিখে আয়ঃ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের কোম্পানিতে চাকরি করে মাসে ৫০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারেন অথবা যদি কোন কোম্পানি আপনাকে একটি বিষয় নিয়ে লিখে দিতে বলে সেটা আপনি ভালোভাবে এসিও করে এবং গুগল র্যাংকে আনতে পারেন, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আবার বড় ধরনের মার্কেট প্লেসেও আপনার আর্টিকেল গুলো গিগ পাবলিশ করেও ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে ইনকাম করার ওয়েবসাইট
অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যায়, তাই অনলাইনে ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কোন ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জিপিটি সাইটঃ এই সাইট থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে অথবা গেম খেলে, ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনি এই সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে এই ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের লিংক দেওয়া থাকে সেগুলোতে ক্লিক করে দিতে হবে। তাই আপনি এখানে কাজ করার পরে সঠিকভাবে টাকা নিতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা হবে না, এদের সাইডে গিয়ে সাইনআপ করবেন এরপরে এ ধরনের কাজগুলো করে দিলে আপনাকে ব্যাংক ট্রান্সফার করার মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিবে।
ক্যাপচা সলভঃ এই সাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা আছে সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সলভ করে দিলে, আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা ইমেজ গুলো দেওয়া থাকবে যেটা আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং দ্রুত টাইপ করা লাগবে। এক্ষেত্রে এই সাইটগুলো থেকে আপনার দিনে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাপচা দিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে দিনে ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করা যায়। তাই যারা এই ধরনের কাজের জন্য আগ্রহ বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনি সাইন আপ করতে পারেন।
জরিপ কাজঃ আপনি যদি জরিপ কাজের উপরে অভিজ্ঞতা থাকে, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জরিপের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভে করে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, আপনার নিজের প্রোফাইল থাকবে এরপরে আপনি কাজ শুরু করবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের জরিপের কাজ দেওয়া থাকে, বিভিন্ন প্রশ্ন করবে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া লাগবে। এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে এই সাইড গুলো টাকা প্রদান করবে।
অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
বাংলাদেশী বিভিন্ন সাইট হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাই অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সহজ ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, বাংলাদেশী সাইট গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ড্রপ শিপিং করে ইনকামঃ মনে করেন বাংলাদেশের অনেক ছোট ছোট দোকান রয়েছে, যাদের পণ্য গুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারেন, এতে আপনি কমিশন পাবেন। মনে করেন দোকান গুলোতে পণ্য এর দাম ৫০ টাকা সেটা আপনি অনলাইনে শহরে যদি ১৫০ টাকা বিক্রি করলেন, এক্ষেত্রে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে আপনি ড্রপ শিপিং করতে পারেন এছাড়াও মনে করেন বিভিন্ন ধরনের সবজি গ্রাম অঞ্চলে খুবই কম দাম হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে একটি সবজি ১০ টাকা দিয়ে কিনলেন সেটা শহরে ৫০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
অনলাইনে পড়াশোনাঃ যারা শিক্ষকতা করতে পছন্দ করেন সে ক্ষেত্রে আপনি একটি কোচিং সেন্টার দিলেন, সেই কোচিং সেন্টারের নামে ফেসবুক পেজ খুললেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের ছাত্র পড়ানোর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। দেখা যাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে ৫০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। এতে আপনার কোন কোচিং সেন্টারে ঘর তৈরি করা লাগলো না, জায়গা লাগলো না। শুধুমাত্র আপনার মেধা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন
পুরাতন জিনিস বিক্রি করেঃ অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন জিনিস কিনতে পছন্দ করে। বিশেষ করে যে সকল পণ্যগুলো অনেকদিন নষ্ট হবে না। এই ধরনের প্রোডাক্টগুলো আপনি বিক্রি করতে পারেন। এজন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে এই ধরনের প্রোডাক্টের ছবিগুলো আপলোড করে এবং এর গুনাগুন সম্পর্কে উল্লেখ করে দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি লাভ করতে পারেন। এ ধরনের বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে সেখানে আপনি প্রোডাক্টটা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক টাকায় লাভ হবে।
সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট
সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তাই সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে এই সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ করা হয়, সেক্ষেত্রে অল্প কিছুদিনের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। যেমন আদমশুমারি কাজ করা হয় এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের এলাকায় অল্প সময়ের জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং কিছু টাকাও তাদের সম্মান করা হয়। এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে জরিপ করতে হয়, তাই অবশ্যই সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আদমশুমারির কাজ গুলো করবেন, এক্ষেত্রে আপনার মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
সরকার বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ইনকামের সাইটগুলোকে অনুমোদন দিয়ে থাকে, এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে এবং এই অ্যাপ গুলো সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। তাহলে আপনি এর মাধ্যমে সঠিকভাবে ইনকাম করতে পারবেন। এগুলো সাধারণত সরকার অনুমোদিত এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত যার কারণে এখানে কাজ করলে, আপনার প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই আপনি এই ধরনের কাজ গুলো করতে পারেন।
বিডি স্কিলঃ এটা একটি সরকারি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান কেন্দ্র এই এখান থেকে আপনি সরকারিভাবে বিভিন্ন স্কিল এর উপরে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এই সরকারি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ শেষে অবশ্যই আপনাকে সার্টিফিকেট দেবে এবং স্থানীয় বা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারেন অথবা আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করতে পারবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংকঃ এই ব্যাংক সাধারণত সরকারি একটি ব্যাংক এদের ইনকামের সাইড রয়েছে। এখানে আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন এবং এই ব্যাংকে থেকে অল্প পরিমাণ লাভে ঋণ নিয়ে যে কোন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করবেন। এছাড়া অনলাইনে মাধ্যমে আপনি সেই ব্যবসার পণ্যগুলো বিক্রি করবেন। এতে দেখবেন আপনার ভালো টাকা ইনকাম হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে আপনাকে আরও বড় ধরনের ব্যবসা করার জন্য বেশি টাকা ঋণ দিবে। তাই আপনি এখান থেকে ঋণ নিয়ে ছোটখাটো উদ্যোক্তা হতে পারেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ এটা অত্যন্ত ভালো একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে যুবকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের অফলাইন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে সেলাইয়ের মেশিনের কাজ শেখানো হয়, মোবাইল সার্ভিসিং, কম্পিউটার ফ্রিল্যান্সিং এই সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন অথবা অফলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারেন। এতে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না, এখান থেকে আপনি শেখার পর অনলাইনে ব্যবসা করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং করে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারেন।
আইসিটি ডিভিশনঃ এই ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি আইসিটি বিষয়ে দক্ষ উদ্যোক্তা হতে পারবেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এছাড়াও এখান থেকে তারা আর্থিক সহযোগিতা করে, আপনি এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি টিম গঠন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রজেক্ট এর কাজগুলো করে দিতে পারবেন। এতে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই সরকারি এ সকল আইসিটি ডিভিশন থেকে আপনি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এখানে কোন প্রশিক্ষণ ফি নেওয়া হবে না।
লার্নিং ও আর্নিং ইউনিভার্সিটিঃ বাংলাদেশের এই বিষয়ে একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ঘরে বসে আপনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং আপনার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজগুলো শিখতে পারবেন। এখানে শিক্ষকতা কোর্স, সাংবাদিকতা ডিজিটাল মার্কেটিং আরো বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে এ প্র্যাকটিকালে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অথবা ফ্রিল্যান্স হিসেবে জব করে অনেক টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ এই ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি ঋণ নিতে পারেন এবং একজন উদ্যোক্তা হতে পারেন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে কৃষিকাজ এবং পশু পাখি লালন-পালন করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয় অথবা কম লাভে ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণ নিয়ে আপনি বড় ধরনের উদ্যোক্তা হতে পারেন। এতে আপনার টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে পারলেন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হল।
লেখকের মন্তব্যঃ বর্তমানে কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো হবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার। এজন্য আজকের আর্টিকেলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এর সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। তাই কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার ইনকাম হবে। এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার উপকার হলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url