বাংলাদেশ থেকে কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায় এর ১০টি উপায় জানুন
অনেকে হয়তো জানেন না যে, কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে তাহলে খুবই সহজভাবে বিদেশে জব পাবেন। এজন্য বিভিন্ন অনলাইন জব বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখতে হবে। চলুন, কিভাবে বিদেশে জব পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিভিন্ন ধরনের বিদেশি জব ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে নিয়মিত ভাবে নিযুক্ত থাকতে হবে। তাই কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায় এর ১০ টি উপায় জানুন
কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায়
অনেকে জানতে চায় যে, কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায়? আসলে বিদেশে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, সে কাজগুলো করতে পারলে আপনি বিদেশে জব করতে পারবেন। চলুন, জব করার জন্য যে কাজ গুলো করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পাসপোর্ট তৈরি করতে হবেঃ বিদেশে যাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে। কারণ আপনি কোন দেশের নাগরিক সেটার বৈধতার জন্য পাসপোর্ট করা খুবই জরুরী। কেননা যে কোন মুহূর্তে আপনার জন্য চাকরির অফার চলে আসলো তখন পাসপোর্ট করতে পারলেন না। এক্ষেত্রে আপনি বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকেই পাসপোর্ট করে রেখে দিবেন। এছাড়াও আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে, সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে তৈরি করে রেখে দিতে হবে।
জব লেটার লাগবেঃ আপনি যে বিদেশে গিয়ে চাকরি করবেন সেজন্য আপনাকে কাজের ভিসা করতে হবে। এছাড়াও চাকরির জন্য যে ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো জমা দেওয়া লাগবে। তাছাড়া কোম্পানি যদি আপনাকে জব লেটার দিয়ে থাকে, তাহলে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন এবং সরাসরি গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তাই অবশ্যই আবেদন করার পূর্বে কোম্পানির জব লেটার নিতে হবে। তাই কোম্পানি যদি আপনাকে জব লেটার দেয়, তাহলে আপনি নিশ্চিত বিদেশে গিয়ে জব করতে পারবেন।
ভাষা শিক্ষাঃ প্রত্যেকটা দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করা। আপনার যদি ভাষা জ্ঞান ভালো থাকে তাহলে আপনি ভালো জবের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আপনি জবের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হবেন। কেননা প্রত্যেকটা কোম্পানি চায় ভাষা দক্ষতার জ্ঞান সম্পন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার জন্য, সে ক্ষেত্রে যদি আপনি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে জব পাওয়া সহজ হবে। তাছাড়া আপনি ইংরেজি ভাষাও শিখতে পারেন কেননা ইংরেজি ভাষা হলো আন্তর্জাতিক ভাষা যার মাধ্যমে আপনি কথা বলতে পারবেন।
চাকরি খোঁজাঃ আপনি যেহেতু বিদেশে জব করতে চাচ্ছেন, সেই ক্ষেত্রে চাকরি খুঁজতে হবে। অনেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে থাকে যখন তার পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তার চাকরি খুঁজতে হয়। তাই চাকরি খোঁজার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি জব ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজতে পারেন এরপরে কোম্পানির ওয়েবসাইটে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি আপনার আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে নির্বাচিত করতে পারেন। তাই এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জবের জন্য আবেদন করতে পারেন।
চাকরির জন্য আবেদনঃ বিদেশে চাকরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিতে হবে। কেননা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে এখন অনলাইনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এজন্য বিভিন্ন কোম্পানি অনলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করে জবের জন্য আবেদন করতে পারেন, এক্ষেত্রে তারা দেখে যাচাই বাছাই করে আপনাকে নিয়োগ দেবে।
ইন্টারভিউঃ ইন্টারভিউ সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে থাকে। বিশেষ করে ভিডিও কলে তারা ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে, তাই আপনাকে অবশ্যই অনলাইন সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। তারা আপনাকে বিভিন্ন কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে, সে সকল বিষয়ে আপনার আগে থেকে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। ভাষা জানা আছে কিনা সে সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন। তাই ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আগে থেকেই বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে পারেন, তাহলে আপনি কোম্পানির জন্য উপযুক্ত হবেন এবং চাকরি পেয়ে যাবেন।
দেশ সম্পর্কে জানাঃ আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের চাকরি কেমন, বেতন কত, ততক্ষণ ডিউটি করতে হয়, সুযোগ সুবিধা কি রকম, নিয়ম-কানুন, জীবনযাপন, ভাষা দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে আগে থেকে জেনে নিতে হবে। এই সব বিষয় সম্পর্কে আপনি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েও জানতে পারবেন। এতে আপনার ওই দেশে গিয়ে চাকরি পেতে সহজ হবে। তাই বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালেয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই ইত্যাদি দেশের সংস্কৃতি, আইন কানুন, আবহাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে ইন্টারভিউ এর সময় প্রশ্নের উত্তর দিতে সহজ হবে।
টাইম জোন সেট করাঃ আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের সাথে বাংলাদেশের কত সময়ের পার্থক্য রয়েছে, সেটার পার্থক্য করে আপনি অবশ্যই মোবাইলে টাইম জোন সেটআপ করে রাখবেন। তাহলে ওই দেশের কখন কোন সময় অফিসে যেতে হয়, কখন কি করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এছাড়াও ইন্টারভিউ দিতে আপনার সুবিধা হবে এবং ইন্টারভিউ এর সময় জানা যাবে। তাই অবশ্যই আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের সময় অনুযায়ী মোবাইলে টাইম জোন সেটাপ করে রাখবেন।
অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাঃ আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সে দেশের চাকরি করার পূর্বে আপনাকে আগে ওই দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা এদেশের অর্থনীতি কেমন সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার ইন্টারভিউ দিতে সুবিধা হবে এবং কোম্পানি আপনাকে পছন্দ করেবে। তাহলে আপনি সহজ ভাবে চাকরি পেতে পারেন। এই সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করে প্রত্যেকটা দেশের অর্থনীতি বা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন।
ড্রাইভিং দক্ষতাঃ আপনি যদি জব করার উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্য ড্রাইভিং এর দক্ষতা থাকতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা লাগবে। যাতে করে সেখানে গিয়ে আপনি ড্রাইভিং করতে পারেন এবং বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কোম্পানি ড্রাইভিং এর কাজ করতে বলতে পারেন। যদি আপনার ড্রাইভিং এর প্রতি দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে জব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে এবং ভালো টাকা বেতনের জব করতে পারবেন। তাই আগে থেকেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং চালানোর দক্ষতা অর্জন করে নিবেন।
কম্পিউটারে দক্ষতাঃ আপনি যেহেতু বিদেশি কোম্পানিতে জব করবেন, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের বেসিক ধারণা থাকতে হবে। কেননা বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে সকল ধরনের কাজকর্ম হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কম্পিউটারের কাজ জানা থাকতে হবে। তাহলে আপনার জব পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে, বিশেষ করে মাইক্রোসফট অফিস, পাওয়ার পয়েন্ট, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এই সকল প্রাথমিক কম্পিউটারের ধারণা গুলো জানা খুবই প্রয়োজন। তাই আগে থেকেই কম্পিউটারের এই প্রাথমিক জিনিস গুলো প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা নিয়ে বিদেশে যাবেন।
বিদেশে পড়ার পাশাপাশি চাকরি পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশের অধিকাংশই ছাত্ররা বিদেশে পড়ার পাশাপাশি চাকরি পাওয়ার উপায় জানতে চায়। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার জন্যই যায়। তাই কিভাবে কাজ করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো চলন, জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্ববিদ্যালয় চাকরিঃ যারা বিদেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যায় সে ক্ষেত্রে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বিকল্প কাজ করার জন্য জব করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে টিচারদের সহকারী হতে পারেন। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানির লেখালেখির জন্য লোক লাগে সেখানে আপনি জব করতে পারবেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সেন্টার থাকে ইত্যাদি আপনি পার্ট টাইম হিসেবে জব করতে পারবেন। তাছাড়া আবেদন পত্র সিভি তৈরি করতে হবে তাহলে পার্টটাইম হিসেবে জব পাবেন। তাছাড়া এদেশের ভাষা জ্ঞান বা ভাষা দক্ষতার উপর ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে
ক্যাফে জবঃ আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার উদ্দেশে যেতে চান যাওয়ার পরে সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যে রেস্তোরা বা ক্যাফে ক্যারিয়ার রয়েছে। সেখানে আপনি জব ভিসা পার্ট টাইম হিসেবে জব করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে ভাষা জ্ঞান অবশ্যই জানতে হবে। আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে ওয়েটার, রান্নাবান্না সহকারে ইত্যাদি কাজ গুলো আপনি করতে পারবেন। এছাড়াও আস্তে আস্তে আপনি এই কাজগুলো করার পর দক্ষতা হয়ে যাবেন।
কল সেন্টারঃ আপনার যদি কম্পিউটারের দক্ষতা ভালো থাকে এবং যোগাযোগ বিষয়ে ভালো উপস্থাপন করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি কল সেন্টারে জব করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার কাজের পরিবেশ অনেক ভালো থাকবে বেতনও অনেক চমৎকার দেবে। তাই আপনার ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা থাকতে অথবা যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষাকে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করবেন তাহলে দেখবেন আপনি বিভিন্নভাবে উপার্জন করতে পারবেন পরবর্তীতে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন।
ইন্টার্নশিপঃ আপনার যদি কাস্টমার সার্ভিসের কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে সেই ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আপনি পার্ট টাইম হিসাবে চাকরি করতে পারবেন। এটা আপনার পড়াশোনায় তেমন একটা সমস্যা হবে না এক্ষেত্রে আপনি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন পার্ট টাইম হিসেবে জব করলে। আপনি দুই থেকে তিন ঘন্টা বা ৫ ঘণ্টার মতো জব করতে পারেন, সে আকারে জব করা যায়। তাই আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজের প্রতি যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কাস্টমার সার্ভিস হিসেবে চাকরি করতে পারেন। এ বিষয়ে আপনার উপস্থাপনা সুন্দর হতে হবে এছাড়া আপনি অনেক স্মার্ট ভাবে কথা বলতে হবে।
বিদেশে চাকরির ওয়েবসাইট
বিদেশে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ওয়েবসাইট চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা। তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জবের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে জব হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। চলুন, বিদেশে জব সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।
ইজি এক্সপাটঃ এর সাইটে যদি আপনি প্রবেশ করতে পারেন, এতে বিদেশের যত চাকরি আছে সব একসাথে দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের গাইডলাইন মানতে হবে এবং নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। এই ফোরামে আপনি যোগদান করতে পারবেন এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রবাসী যুক্ত থাকে। যারা আপনার চাকরি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করলে উত্তর দেবে। এই ফোরাম থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সম্পর্কে জানতে পারবেন। কখন কোন কোম্পানি লোক নিচ্ছে সেটাও জানতে পারবেন। তাই এখান থেকেও আপনি জবের অফার পেতে পারেন।
গো ওভারসেসঃ জব সম্পর্কে জানতে সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ইন্টার্ন এর কাজ পেতে পারেন। এছাড়াও বিদেশী বিভিন্ন জবের নিয়োগ দেখতে পারবেন, এছাড়াও স্টুডেন্ট যদি হয়ে থাকেন স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারবেন। এখানে কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি এখানে নিয়মিত ভাবে যদি যুক্ত থাকতে পারেন, তাহলে আপনার জব হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই এই ওয়েবসাইটে আপনি সাইনআপ করে রাখতে পারেন।
সিইও ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ডঃ যখন বিদেশি জব খুঁজছেন সে ক্ষেত্রে আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেন। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানি গুলো নিয়োগ প্রকাশ করে থাকে, এখানে গিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। আপনি কোন কাজের উপরে যেতে চাচ্ছেন সেই কাজ লিখে সার্চ করলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তারা লোক নেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়েছে। সেখানে আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারেন, যদি তারা আপনাকে পছন্দ করে তাহলে জব হবে।
ইনডিড ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ডঃ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিদেশের বিভিন্ন ধরনের জব খুঁজে পাবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের জবের অফার পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আপনি বিস্তারিত জেনে তারপরে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই বিভিন্ন জবের ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটটি দারুন কাজ করে থাকে। এই ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৬৫ টা দেশের জব নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাই আপনি ওয়েব সাইটে নিয়ম থাকতে পারেন। আশা করি আপনার যেকোনো একটি জবের অফার লেটার পেয়ে যাবেন।
ওভারসিজ জবঃ বিদেশি জব পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি ওয়েবসাইট যেটা আপনি নিয়মিতভাবে প্রবেশ করতে পারেন। এখানে গিয়ে আপনার চাকরি বিষয়ে সার্চ করতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনাকে জব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিবে। পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন জবের জন্য অফার করে থাকবে এবং বিভিন্ন কোম্পানির পেজে আপনাকে নিয়ে যাবে। এছাড়া আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পেইজে সিভি ড্রপ করতে পারে। তাই চাকরি ও পেয়ে যেতে পারেন ওয়েবসাইটে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
অনলাইনে বিদেশে চাকরি আবেদন
আপনি যদি বিদেশে জব করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে। তাই অনলাইনে বিদেশে চাকরি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি সরকারের মাধ্যমে আবেদন করতে চান সেই ক্ষেত্রে বয়েসেলার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার এই ওয়েবসাইটে সরকারি ভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে বিদেশের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির জব দিল এই ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়। তাই আপনি ওয়েব সাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন গুলো দেখে জব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখে আপনি ওয়েবসাইটের প্রবেশ করে আবেদন করতে পারেন কেননা এই ওয়েবসাইটগুলোতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন জব এর সার্কুলার দিয়ে থাকে তাই আপনি এই সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে নিয়মিত প্রবেশ করতে পারেন।
তাছাড়া বিদেশি চাকরি পাওয়ার যদি ইচ্ছা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে www.bmet.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি অনলাইনের আবেদন সম্পন্ন করবেন। এছাড়াও আপনা এই ওয়েবসাইটে যদি আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে আপনি যাচাই-বাছাই করতে পারবেন এবং আবেদন ফরম পূরণ করার পরে আপনাকে একটি বার্তা পাঠানো হবে সেখানে আপনার নিবন্ধন ফ্রি দিবে এরপরে আপনি টেলিটকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন এছাড়া আপনি রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিদেশে জব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
কোন দেশ গুলোতে বাংলাদেশীরা বেশি কাজের সুযোগ পায়?
আপনি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ পাবেন, বিশেষ করে জাপান, মালয়েশিয়া আর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশগুলোতে কাজের সুযোগ পাবেন।
বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে ভাষার গুরুত্ব কতটুকু?
আপনি যদি বিদেশে জব পেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সে দেশের ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করলে ভালোভাবে জব করতে পারেন। ভালো কোম্পানিতে জব করতে পারবেন কেননা স্থানীয় ভাষা অবশ্যই জানতে হবে।
কিভাবে দালাল থেকে সাবধান থাকা যায়?
দালাল থেকে সাবধান থাকার জন্য অবশ্যই সরকার অনুমোদিত যে সকল এজেন্সি রয়েছে, সেখানে সে এজেন্সির মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন। কোন দালালকে টাকা পয়সা দেবেন না। তাই সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে আবেদন করতে পারেন।
বিদেশে চাকরির জন্য কোন প্রশিক্ষণ দরকার?
বিদেশে জবের জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই ভালো জব পাবেন এক্ষেত্রে আপনি কারিগরি শিক্ষা নিতে পারেন কৃষি, নির্মাণ কাজ আইসিটি ইত্যাদি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য কোথায় আবেদন করা যায়?
বিদেশে জব পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি ভয়েস হানার মাধ্যমে ভয়েস এল বোয়েসেলের মাধ্যমে এবং সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করবেন। তাছাড়া বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য বিদেশি ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে আবেদন করে পারেন করতে পারেন।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায় এর ১০ টি উপায় জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে চান কাজ করার জন্য যেতে অথবা আপনি যদি বিদেশে জব পাওয়ার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমত ভালো কোন উপায়ে আপনাকে যেতে হবে এছাড়া আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে তাছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনাকে চাকরির জন্য যোগাযোগ করতে হবে। তাই এছাড়াও ভাষা দক্ষতার জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তাহলে আপনার জব পাওয়া সুবিধা হবে। তাই কিভাবে বিদেশে জব পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আপনার কাজে লাগবে পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url