বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

বেলজিয়ামে অনেকে যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নাই। চলুন, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের লোকজন ভিসা করার জন্য কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের লোকজন অনেকে ইউরোপের দেশে যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ইউরোপে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে জানেন না। তাই বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে? আসলে বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। সেই ভিসার খরচও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। চলুন, এই ভিসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে বেলজিয়ামে যেতে পারবেন না। কেননা বর্তমানে বেলজিয়ামে বাংলাদেশের শ্রমিক নিচ্ছে না, শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন। তবে পার্শ্ববর্তী ভারত দেশের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন যেমন সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, মালয়েশিয়াতে যারা কাজ করছে, তারা ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এই দেশের সকল কাগজপত্র যদি বৈধ থাকে তাহলে কাজের ভিসায় বেলজিয়াম যেতে পারবেন।

বেলজিয়ামে বিভিন্ন কাজের জন্য তারা লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে বিশেষ করে তারা প্রফেশনাল কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে যেমন আইটি সেক্টরে বেশি লোক নিয়গ দেয়। এছাড়াও নির্মাণ, ওয়েল্ডিং, ফ্যাক্টরির ইত্যাদি ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি এই ধরনের কাজের জন্য ভিসা করতে চান সেক্ষেত্রে সরকারি ভাবে গেলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগবে। এছাড়া যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। এটা এজেন্সির উপরে নির্ভর করবে। তবে যদি বেলজিয়ামে আপনার কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যান তাহলে কম খরচ হবে।

তবে বেলজিয়ামে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে এবং এর পূর্বে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করবেন। এরপরে কোম্পানি আপনাকে যাচাই বাছাই করে ভিসার জন্য অনুমতি দিবে। বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতি মাসেই দেখা যায় তারা লোক নিয়ে থাকে। তাই এই জব গুলো ওয়েবসাইটে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। এজন্য বেলজিয়ামে চাকরি খোঁজার জন্য VDAB ওয়েবসাইট অথবা Randstad এ সকল প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে, আপনি বেলজিয়ামের বিভিন্ন ধরনের সরকারি বা বেসরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারবেন।
আপনি যদি বেলজিয়ামে স্টুডেন্ট ভিসা যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা খোলা রয়েছে। তাই আপনি এ দেশের যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েবসাইটে আবেদন করবেন। এরপরে যদি তারা অনুমতি দেয় তাহলে অ্যাপ্লিকেশন লেটার নিয়ে ভিসা জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইএলটিএস ও ইংরেজি ভাষা জানতে হবে। এখানে অনেকে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়। তাই আপনি মাস্টার্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল সাইন্স, বা ব্যবসার প্রশাসন কোর্সগুলো করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। অবশ্যই আপনার ডাচ ভাষা শিখতে এই ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার থেকে ৩৫০০ ইউরো খরচ হতে পারে। এছাড়াও আপনার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি ১৮০ ইউরো মত খরচ হতে পারে। তাছাড়া বার্ষিক যে টিউশন ফি রয়েছে সেখানে ৮৪০ ইউরো থেকে শুরু করে ৯ হাজার ইউরো পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করবে। তবে যদি আপনি স্কলারশিপ পান সে ক্ষেত্রে টিউশন ফি কমে আসবে এবং তারা মাসিক ভাতা ও আপনাকে দিতে পারে। এর জন্য আপনি স্কলারশিপ সেকশনে আবেদন করতে পারেন।

তবে আপনার স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে অবশ্য আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ৮০৪০ ইউরোর মত রাখতে হবে। এছাড়া আপনার স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। চাইলে আপনি বাহির থেকেও পড়তে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে থাকা খাওয়া বাবদ প্রায় মাসে ৪০০ থেকে ৮০০ ইউরোর মত খরচ হবে। এছাড়া অনেকের ১ হাজার ইউরো খরচ হতে পারে। তাছাড়া আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টার মত পার্টটাইম কাজের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অফিসিয়াল ভাষা জানতে হবে, না জানা থাকলে আপনি জব করতে পারবেন না।

আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় বেলজিয়ামে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৯০ দিনের ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে পারবেন। ভ্রমণ ভিসা সাধারণত প্রায় ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে, পাশাপাশি এর সাথে আরো বিমান ভাড়া ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়া আপনার প্রতিদিন থাকা খাওয়া বাবদ খরচ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মত খরচ হবে। ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ক্ষেত্রে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মতো দেখাতে হবে। এছাড়া মেডিকেল খরচ, ভিজিট ভিসা আবেদন ফি প্রায় ১১ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।

বেলজিয়াম বেতন কত

অনেকে বেলজিয়ামে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছে কিন্তু বেলজিয়াম বেতন কত? এ সম্পর্কে হয়তো জানা নাই। চলুন, বেলজিয়ামের কোন কাজের কি পরিমান বেতন দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বেলজিয়ামে প্রতি বছরে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করে থাকে। তবে এদেশের সরকারের নির্ধারিত বেতন রয়েছে। একজন শ্রমিক যে কোন কাজের জন্য যদি যায় যেমন নির্মাণ, কনস্ট্রাকশনের কাজ হতে পারে এই ধরনের কাজে যদি যায় সেই ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রায় ৯০ হাজার টাকার মত বেতন পেতে পারে। এছাড়াও যদি রেস্টুরেন্টের ভিসায় কাজের জন্য যায় সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১ লাখ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পারে। বেলজিয়ামের বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে।

বিভিন্ন পোশাক উৎপাদনের যারা কাজ করে, তারা মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। যদি আপনি ড্রাইভিং কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে মাসে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। এছাড়াও যারা প্রফেশনাল হিসাবে আইটি সেক্টরের কাজ করে তাদের প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত বেতন হয়ে থাকে। তাছাড়া ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে তারা মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা বেতন পায়। তাছাড়া অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে যেমন বেলারুশের বেতনের সাথে যদি তুলনা করেন সেই হিসেবে এ দেশের বেতন বেশি পাওয়া যায়।

বেলজিয়ামে কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকে জানতে চায় যে, বেলজিয়ামে কোন কাজের চাহিদা বেশি? আসলে বেলজিয়ামে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, প্রায় প্রত্যেকটা কাজের চাহিদা রয়েছে এবং অনেক বেতন দিয়ে থাকে। চলুন, কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ইউরোপের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র বেলজিয়াম। তাই এদেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে তারা বেশি বেতন পায় এবং তাদের কাজেরও গুরুত্ব রয়েছে। বেলজিয়ামে সাধারণত নির্মাণ শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট অথবা ফ্যাক্টরির, ড্রাইভিং কাজ গুলোতে বেশি লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাছাড়া এদেশে আইটি সেক্টরের কাজের অনেক দাম রয়েছে, যদি আপনার সফটওয়্যার এর কাজের অভিজ্ঞতা থাকে যেমন গেম ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং এই ধরনের কাজে মাসে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বেতন পায়।

বেলজিয়াম যেতে কি কি লাগে

বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগে। তাই বেলজিয়াম যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, বেলজিয়ামে যাওয়ার ক্ষেত্রে কি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে, সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে এবং সেগুলো যদি না থাকে তাহলে আপনার ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চলুন, যে ডকুমেন্টগুলো লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক; প্রথমত অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, এছাড়াও আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে, পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেটের লাগবে, এছাড়াও ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে এবং অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যাওয়ার উপায়

অনেকে বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি বৈধভাবে যেতে পারবেন, চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামে বর্তমানে কাজের ভিসার জন্য যেতে হলে অবশ্যই ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে এবং ইন্ডিয়াতে আপনার ভিসা আবেদন করতে হবে। ভারতের দিল্লিতে এ দেশের দূতাবাস রয়েছে, এই দূতাবাসে গিয়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আপনি যেতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে কোন লোকজন বেলজিয়ামের বর্তমানে নিচ্ছেনা। তবে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে বেলজিয়ামে শ্রমিক হিসাবে যাচ্ছে। তবে ভারত থেকে বেলজিয়ামে যেতে খরচ একটু বেশি হতে পারে। যদি দালালের মাধ্যমে যেতে চান, তাহলে প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বেলজিয়াম টাকার মান

অনেকে বেলজিয়াম যেতে চায় তাই বেলজিয়াম টাকার মান সম্পর্কে হয়তো জানেনা। আসলে বাংলাদেশের টাকার চাইতে বেলজিয়ামের টাকার মান অনেক বেশি। এদেশের মুদ্রা সাধারণত ইউরোতে ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে এদেশের ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের ১১৮ টাকার মত। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টাকার চাইতে বেশি টাকা হয়ে থাকে। আপনি যদি ১০০ ইউরো বাংলাদেশি টাকায় পরিবর্তন করেন সে ক্ষেত্রে প্রায় ১২ হাজার টাকার মত হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের অনেকে মালয়েশিয়া যায় কিন্তু মালয়েশিয়ার টাকার চেয়ে বেলজিয়ামের টাকার মান বেশি। সে হিসেবে বেলজিয়ামে যেতে পারেন।

বেলজিয়াম দেশ কেমন

ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম তাই বেলজিয়াম দেশ কেমন? এটা অনেকেই হয়তো জানতে চায় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা ভ্রমণ করার জন্য জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

বেলজিয়াম ইউরোপের একটি দেশ যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বিশ্বের উন্নত মানের অনেক দেশগুলোও এখানে বিভিন্ন ধরনের সম্মেলন করে থাকে। বিভিন্ন সংস্থার সদর দপ্তর এই বেলজিয়ামের রাজধানীতে অবস্থিত। তাই ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রই বলা হয়ে থাকে বেলজিয়ামকে। সে ক্ষেত্রে বেলজিয়ামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেলজিয়ামের কিছু জিনিস রয়েছে যেটা বিশ্ব বিখ্যাত তার মধ্যে যেমন কাঁচ, এটা দিয়ে সারা আমরা ঘরবাড়ির জানালা অথবা অন্যান্য পন্য তৈরি করে থাকি। বিশ্ববাজারে এর স্থান রয়েছে। বেলজিয়ামের এই কাঁচ সারা বিশ্ব খ্যাতি অর্জন করেছে।

এছাড়া আরো কিছু জিনিস রয়েছে যেমন বেলজিয়ামের চকলেট,বিয়ার এগুলো অনেক উন্নত মানের। সারা বিশ্বের চাইতে এদেশের এই পণ্যগুলো খুবই উন্নতমানের। এছাড়াও বেলজিয়াম বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি অবস্থিত যেমন ফ্রান্স, জার্মানির সীমান্তবর্তী অবস্থিত। যার কারণে এদেশ থেকে আপনি অন্য দেশগুলোতে যেতে পারবেন। এ দেশটি সাধারণত উন্নয়নশীল দেশ যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন রয়েছে। এদেশের তিনটি ভাষা রয়েছে ফরাসি,ডাচ এবং জার্মানি। বেলজিয়ামের বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে এবং বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে দেশটি স্বাবলম্বী হয়েছে।

বেলজিয়াম ভিসা প্রসেসিং

বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বেলজিয়াম ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে যদি না জানেন সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা বাতিল বা বৈধতা পাবেন না। চলুন, এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে অবশ্য আপনার বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। তার মধ্যে যেমন বৈধ পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট লেটার থাকতে হবে অর্থাৎ কোম্পানির অফার লেটার থাকতে হবে। তাহলে আপনি কাজের জন্য ভিসা করতে পারবেন। এছাড়া আপনার স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে, মেডিকেল সার্টিফিকেট অবশ্যই দিতে হবে। আপনি যে জায়গায় থাকবেন তার প্রমাণ পত্র দিতে হবে, আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে তার প্রমাণপত্র দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট দিতে হবে, এর পরে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
প্রথমে চাকরির আবেদন করার জন্য এ দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে আপনার নিয়োগকর্তা যদি আপনাকে পছন্দ করে থাকে, তাহলে আপনাকে জব অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। সে ক্ষেত্রে আপনি ভিসা আবেদন ফি এবং সকল কাগজপত্র গুলো নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারতের কলকাতাতে এ দেশের দূতাবাস রয়েছে সেখানে জমা দিতে পারেন। অথবা সরকার অনুমোদিত যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে সকল ডকুমেন্টস গুলো জমা দিতে পারেন। যখন জমা হয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন রেজিস্ট্রেশনে নাম ভুক্ত করে নেবে এবং আপনার আইডি কার্ডের জন্য ফিঙ্গার নেবে।

লেখকের শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলা যায় যে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য সবারই স্বপ্ন থাকে। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বেলজিয়ামে সরাসরি কাজের জন্য যেতে পারবেন না। শুধু পড়াশোনা এবং ভ্রমণ ভিসা ছাড়া অন্যান্য ভিসা করতে ভারতের মাধ্যমে যেতে হবে অথবা অন্য কোন দেশ থেকে যেতে পারবেন তবে সেই দেশের বৈধ কাগজ পত্র থাকতে হবে। এক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে, তাই বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে? আর্টিকেলে ভিসার দাম সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url