বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত ও যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? বিমান ভাড়া সম্পর্কে নির্ভর করে বিমানের সার্ভিসের উপরে। এক্ষেত্রে ভালো মানের বিমানে ভাড়া বেশি হবে। চলুন, কোন বিমানের কি পরিমান ভাড়া হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই পর্তুগালে গিয়ে কাজ করছে। তাই আপনিও যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক ও বৈধ পন্থায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত ও যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশের অনেক লোক পর্তুগাল যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? অনেকের হয়তো এই বিমান ভাড়া সম্পর্কে ধারণা নেই। চলুন,বিমানের ভাড়া পার্থক্য ভেদে কত টাকা হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে অনেক বিমানের মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন এবং সেই বিমান গুলোর ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। কেননা প্রত্যেকটা বিমানের গুনাগুন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যার কারণে ভাড়াও কম বেশি হয়। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল তুর্কি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বিমানের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মত। এছাড়াও ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মতো লাগবে। তবে এই বিমান গুলোর যদি বিজনেস ক্লাসের সিটের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেশি লাগবে।
অনেকে ইতিহাদ বিমানের মাধ্যমে যেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য পর্তুগাল যেতে বিমান ভাড়া পড়বে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া যদি বাংলাদেশ আইটিএ বিমান এর মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বিমানের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার মত। যদি লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার বিমানের ভাড়া পড়বে ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তাছাড়া যদি সুইস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে পর্তুগাল যান তাহলে খরচ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত।
কাতার এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে অনেকেই যেতে পছন্দ করে থাকে। এই বিমানের মাধ্যমে ভাড়া হবে ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। আবার কুয়েত এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ হবে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের মাধ্যমে পর্তুগালে গেলে আপনার খরচ হবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া আপনি যদি তুর্কীশ এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে পর্তুগাল যান সে ক্ষেত্রে আপনার ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মত লাগবে। এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পর্তুগালে গেলে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার মত।
আপনি যদি ভালো মানের বিমানে যেতে চান যেমন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পর্তুগালে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মতো। থাইল্যান্ড এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ এয়ারলাইন্স এই বিমান গুলোর যদি আপনি বিজনেস ক্লাস মানের বিমানের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের অনেক শ্রমিকেরা পর্তুগাল যেতে চায় তবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন, পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পর্তুগালে কাজের জন্য গিয়ে থাকে, তাই পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হতে পারে। কেননা এই ভিসায় যদি যেতে পারেন তাহলে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে কৃষি কাজ, ফ্যাক্টরের কাজ, ক্লিনার ইত্যাদি কাজ গুলো সুন্দর মত করতে পারবেন। আপনি যখন এই ভিসা করবেন এতে আপনার খরচ হবে প্রায় ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মত। তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন কোন দালালের খপ্পরে না পড়েন।
তাছাড়া আপনি এদেশে মেডিকেল পড়াশোনার জন্য অথবা মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়। তাই মেডিকেল ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া যদি ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যেতে খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকার মতো। যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে স্কলারশিপ নিয়ে গেলে খুবই কম টাকায় যেতে পারবেন। এতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। যদি স্কলারশিপ না পান সেই ক্ষেত্রে যদি যান ১৬ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
অনেকে ভ্রমণ করার জন্য যেতে পছন্দ করে থাকে, তাই ভ্রমণ ভিসায় অনেকে যায়। তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ থাকে ৯০ দিন, এই সময়ের মধ্যেই আপনাকে আবার ফিরে আসতে হবে অর্থাৎ ভিসার মেয়াদ থাকে মাত্র তিন মাস তবে ছয় মাসও দিয়ে থাকে সেটা ভিন্ন কথা, তিন মাসের মধ্যেই আপনাকে বাড়ি আসতে হবে। ট্যুর ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। এছাড়াও সরকারী বা কোন পরিচিত বা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যান তাহলে খুবই কম খরচে যেতে পারবেন।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url