বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য জানুন
অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? বিমান ভাড়া সম্পর্কে নির্ভর করে বিমানের সার্ভিসের উপরে। এক্ষেত্রে ভালো মানের বিমানে ভাড়া বেশি হবে। চলুন, কোন বিমানের কি পরিমান ভাড়া হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই পর্তুগালে গিয়ে কাজ করছে। তাই আপনিও যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক ও বৈধ পন্থায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য জানুন
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশের অনেক লোক পর্তুগাল যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? অনেকের হয়তো এই বিমান ভাড়া সম্পর্কে ধারণা নেই। চলুন,বিমানের ভাড়া পার্থক্য ভেদে কত টাকা হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে অনেক বিমানের মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন এবং সেই বিমান গুলোর ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। কেননা প্রত্যেকটা বিমানের গুনাগুন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যার কারণে ভাড়াও কম বেশি হয়। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল তুর্কি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বিমানের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মত। এছাড়াও ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মতো লাগবে। তবে এই বিমান গুলোর যদি বিজনেস ক্লাসের সিটের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেশি লাগবে।
অনেকে ইতিহাদ বিমানের মাধ্যমে যেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য পর্তুগাল যেতে বিমান ভাড়া পড়বে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া যদি বাংলাদেশ আইটিএ বিমান এর মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বিমানের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার মত। যদি লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার বিমানের ভাড়া পড়বে ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তাছাড়া যদি সুইস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে পর্তুগাল যান তাহলে খরচ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত।
কাতার এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে অনেকেই যেতে পছন্দ করে থাকে। এই বিমানের মাধ্যমে ভাড়া হবে ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। আবার কুয়েত এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ হবে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের মাধ্যমে পর্তুগালে গেলে আপনার খরচ হবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া আপনি যদি তুর্কীশ এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে পর্তুগাল যান সে ক্ষেত্রে আপনার ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মত লাগবে। এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পর্তুগালে গেলে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার মত।
আপনি যদি ভালো মানের বিমানে যেতে চান যেমন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পর্তুগালে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মতো। থাইল্যান্ড এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ এয়ারলাইন্স এই বিমান গুলোর যদি আপনি বিজনেস ক্লাস মানের বিমানের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের অনেক শ্রমিকেরা পর্তুগাল যেতে চায় তবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন, পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পর্তুগালে কাজের জন্য গিয়ে থাকে, তাই পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হতে পারে। কেননা এই ভিসায় যদি যেতে পারেন তাহলে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে কৃষি কাজ, ফ্যাক্টরের কাজ, ক্লিনার ইত্যাদি কাজ গুলো সুন্দর মত করতে পারবেন। আপনি যখন এই ভিসা করবেন এতে আপনার খরচ হবে প্রায় ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মত। তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন কোন দালালের খপ্পরে না পড়েন।
তাছাড়া আপনি এদেশে মেডিকেল পড়াশোনার জন্য অথবা মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়। তাই মেডিকেল ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া যদি ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যেতে খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকার মতো। যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে স্কলারশিপ নিয়ে গেলে খুবই কম টাকায় যেতে পারবেন। এতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। যদি স্কলারশিপ না পান সেই ক্ষেত্রে যদি যান ১৬ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
অনেকে ভ্রমণ করার জন্য যেতে পছন্দ করে থাকে, তাই ভ্রমণ ভিসায় অনেকে যায়। তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ থাকে ৯০ দিন, এই সময়ের মধ্যেই আপনাকে আবার ফিরে আসতে হবে অর্থাৎ ভিসার মেয়াদ থাকে মাত্র তিন মাস তবে ছয় মাসও দিয়ে থাকে সেটা ভিন্ন কথা, তিন মাসের মধ্যেই আপনাকে বাড়ি আসতে হবে। ট্যুর ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। এছাড়াও ভ্রমণ করার জন্য চায়না যেতে পারেন, এতে কম খরচ হবে এবং অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি
পর্তুগাল বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তবে পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নাই থাকতে পারে। চলুন, যে কাজ গুলো গুরুত্ব এবং চাহিদা বেশি থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সারা বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগালের কাজের জন্য লোকজন যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোক কাজের উদ্দেশ্যে পর্তুগালে যাচ্ছে। তবে কোন কাজের জন্য গেলে বেতন ভাতা বেশি পাবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, যে কাজ গুলো চাহিদা বেশি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। পর্তুগালে আইটি সেক্টরে জনগণ জনবল বেশি নিয়ে থাকে, তাছাড়া গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, ড্রাইভিং, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের জব, বিক্রয় প্রতিনিধি, কৃষিকাজ, ফ্যাক্টরির কাজ, ক্লিনার, খাবার ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি কাজগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য অনেকেই পর্তুগাল যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে বাংলাদেশে থেকে পর্তুগাল যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পর্তুগালে কয়েকটি উপায়ে যেতে হবে, প্রথমত অবশ্যই কাজের জন্য পর্তুগালে যেতে হলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাছাড়া পর্তুগালে যদি কোন আপনার আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমেও ভিসা করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি পর্তুগালে কাজের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রথমত কোম্পানির গুলোতে আবেদন করতে হবে। এর পরে কোম্পানি অনুমতি দিলে আপনি নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে যেতে পারবেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে আপনাকে ভারতীয় এম্বাসিতে যেতে হবে। কেননা বাংলাদেশে পর্তুগালের এম্বাসি নাই।
যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেকেই পর্তুগালে যাচ্ছে তবে বাংলাদেশ থেকে আপনি পর্তুগালে যাওয়ার জন্য ভারতের মাধ্যমে যেতে হবে। অনেকেই কাজ করার জন্য যায় কেউ আবার পড়াশোনার উদ্দেশ্যে পর্তুগালে যাচ্ছে। আবার অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসা মেডিকেল ভিসা পর্তুগালে যাচ্ছে যদিও এসব ভিসায় খরচ অনেক টাকা খরচ হবে। তবে সঠিকভাবে আপনি আবেদন করলে নিরাপদে যেতে পারবেন। পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই জব অফার লেটার লাগবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে, তাহলে আপনি বৈধভাবে যেতে পারবেন। তাই বৈধভাবে যাওয়ার জন্য নিজে আবেদন করতে পারেন।
পর্তুগাল বেতন কত
পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিন্ন রকম বেতন ভাতা দিয়ে থাকে। তাই পর্তুগাল বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সেই কাজের উপর ভিসা করে যেতে পারেন। চলুন, কোন কাজে কত টাকা বেতন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে রিসিপশন হিসাবে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের মাসে বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা। আবার যারা রেস্টুরেন্টের বা হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করেন তাদের মাসে বেতন ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত। আপনি ক্লিনার হিসেবে যদি জব করেন সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস সেক্টর রয়েছে সেখানে গার্মেন্টসের অপারেটর হিসেবে জব করেন, তাহলে মাসে বেতন ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির পণ্য গুলো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ডেলিভারি ম্যান এর প্রয়োজন হয়। তাই আপনি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারেন এ কাজের বেতন মাসে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া ড্রাইভিং কাজের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়া কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, শেফ, কৃষি ইত্যাদি কাজে মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সৌদি আরব গিয়ে থাকে অথচ সৌদি আরবের চাইতে পর্তুগালে বেশি বেতন দিয়ে থাকে। তাই আপনি পর্তুগাল যেতে পারেন।
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বয়সের নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে? অবশ্যই আপনার নির্ধারিত বয়সের পূর্বে এবং বেশি বয়স হলে যেতে পারবেন না। চলুন, পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে কত বয়স লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পর্তুগালের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বয়সের ভিন্নতাও রয়েছে। তাছাড়াও পর্তুগালে যদি আপনি পড়াশোনা অথবা ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে বয়সের ভিন্নতা রয়েছে। বিশেষ করে ভ্রমণ ভিসায় যেতে বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। তবে কাজের ক্ষেত্রে যদি আপনি পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৯ বছর এবং সর্বোচ্চ ২৭ বছরের উপরে গেলে আপনি যেতে পারবেন না। তাই অবশ্যই পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এই নির্ধারিত বয়স হতে হবে।
পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে
পর্তুগাল যেতে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে। তাই পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার ধারণা নিতে হবে, তাহলেই আগে থেকেই কাগজপত্র ও ডকুমেন্টসগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
গতকাল কাজের ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। প্রথমত বৈধ পাসপোর্ট লাগবে, সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট, কাজের অফার লেটার, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এছাড়াও পর্তুগাল ভিসা আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ দিতে হবে। এছাড়াও কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য যদি কাগজপত্র থাকে সেগুলো জমা দিতে হবে।
পর্তুগাল ভিসা এজেন্সি কোথায়
অনেকে জানতে চায় যে, পর্তুগাল ভিসা এজেন্সি কোথায়? আসলে ভিসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের এজেন্সির সম্পর্কে জানতে হবে এবং এজেন্সির ঠিকানা সম্পর্কে জানলে ভিসা করতে সুবিধা হবে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসি বা ভিসা নেই। কেননা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন পর্তুগালের এম্বাসি তৈরি হয় নাই। এক্ষেত্রে পর্তুগালের যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের লোকদের জন্য ভারতে যেতে হবে এবং ভারতের দিল্লিতে এর এম্বাসি রয়েছে। এদের মাধ্যমে যেতে পারবেন এবং অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করে যেতে হবে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন সেটা হল সরকার স্বীকৃত প্রাপ্ত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তা না হলে আপনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া কোনো দালালের খপ্পরে পড়বেন না, এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। তাই পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, পর্তুগালের ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পর্তুগাল আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই জন্য পর্তুগালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.pt.indeed.com এর মাধ্যমে ফর্মটি সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন এবং কাগজপত্র গুলো স্ক্যান করে জমা দিতে পারবেন। তাই ফর্মটা সঠিকভাবে পূরণ করবেন এবং যদি ভাষা না বুঝতে পারেন সেটা ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করে নিতে পারেন। এরপরে সকল তথ্য যুক্ত করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। তারপর আপনাকে মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে এরপর আপনি এম্বাসিতে যোগাযোগ করে ভিসা সংগ্রহ করে নিবেন
উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি পর্তুগালে যেতে চান, সেক্ষেত্রে বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। বিমানের মাধ্যমে যেতে হলে বিভিন্ন দেশের বিমান রয়েছে এবং বিমানের সার্ভিসের উপর নির্ভর করে কত টাকা লাগতে পারে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিমান যাতায়াত করে থাকে। সেক্ষেত্রে বিমান দুই ধরনের রয়েছে। ইকনোমিক এবং বিজনেস ক্লাস এই দুই ধরনের বিমান যা ভাড়া দুই রকম হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, আশা করি উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
পর্তুগাল সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
পর্তুগাল ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
পর্তুগালের টাকার চাইতে বাংলাদেশের টাকার মান কম। তাই এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত ১২৬ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এই দেশের দূরত্ব ৯০৪৭ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য সময় লাগতে পারে ৫ ঘন্টার মত। তবে এটা বিমানের উপর নির্ভর করবে।
পর্তুগাল ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে হলে এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সঠিক তথ্য দিলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে।
পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং হতে কত দিন সময় লাগে?
আপনি যদি সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করে থাকেন এবং কোন তথ্য ভুল না দিয়ে থাকেন তাহলে ভিসা প্রসেসিং হতে ৪৫ দিন থেকে ৯০ দিনের মত সময় লাগবে।



এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url