যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

যারা প্রাকৃতিক গতভাবে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে চান, তাদের যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এর থেকে তৈরিকৃত খাবার কিভাবে উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যাদের অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি ও চর্বি রয়েছে এবং অনেক স্বাস্থ্য হয়ে যাচ্ছে। তারা ডায়েট করার জন্য যবের ছাতু খেতে পারেন, তাহলে অনেকে উপকার পাবেন। তাই যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃযবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কোথায় পাওয়া যায় জেনে নিন

যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে যবের ছাতুর অনেক উপকার আছে। তাই যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে অনেক উপকার পাবেন। এটা কিভাবে খেলে উপকার পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যবের ছাতু অনেকের কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে এবং শরীরের জন্য খুবই উপকার। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এর ছাতু খেতে পছন্দ করে। সাধারণত কিছুটা লোনতা লাগে এবং উষ্ণ থাকে। এর মধ্যে গ্লুকোজ, স্যাকারিন, লেসিথিন, এমাইলেস, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন রকমের উপকার করে থাকে। এর ছাতু কার্ডিওভাসকুলার রোগের ক্ষেত্রে ধারণ কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খেলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে, যার কারণে এই ছাতু খেতে পারেন।

গবেষণায় দেখা গেছে যে যবের ছাতু মুখে সুস্বাদু লাগে এবং খাদ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। এছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন ব্যথা, ঘাম, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দূর হবে। এর ছাতু যদি আপনি খেতে থাকেন, তাহলে রক্তের টক্সিন দূর হয়ে যাবে। এর কারনে বড় ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এতে শরীরে শক্তি পাবেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিতভাবে যবের ছাতু খেতে পারেন।

যবের ছাতুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আপনার বর্তমানের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং রক্তের সাথে মিশে যাবে। যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা ভালো থাকবে, এজন্য নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। এছাড়াও যবের আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আপনার ত্বকের এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকবে।
যব থেকে তৈরি কৃত রুটি যদি আপনি খেতে পারেন, তা হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং শক্তি পাবেন। এছাড়াও পেটের সমস্যা দূর করবে, কফ কাশি দূর করবে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এর ছাতু খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মাথা ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ব্যথা, ফুলে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের পেটের মেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মোটা হয়ে যাচ্ছেন তারা এর ছাতু অথবা এর রুটি খেতে পারেন। এতে আপনার চর্বি কমে যাবে।

পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বা বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করার জন্য যবের ছাতু খেতে পারেন, যার অত্যন্ত কার্যকারিতা রয়েছে এবং প্রতিষেধক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসবে, ডায়াবেটিস হৃদরোগ এবং কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর মাঝে আছে ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম কপার, ভিটামিন, ক্রোমিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকার কারণে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি বিশেষ করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

যবের ছাতুর অপকারিতা

এই ছাতুর উপকার রয়েছে তবে যবের ছাতুর অপকারিতা আছে। চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। আসলে এটা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে। তবে অনেকের শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেটে প্রচুর পরিমানে গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে হজমের সমস্যা হবে। তাছাড়া যারা ডায়াবেটিস হাই প্রেসার এবং বড় ধরনের রোগ রয়েছে, তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে অসুবিধা হবে। এছাড়াও এটা এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার যা অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে।

যবের ছাতু কি

যবের ছাতু শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। তাই যবের ছাতু কি? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নেই। যবের ছাতু কিভাবে উপকার করে সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকে হয়তো জানেন না যবের ছাতু কি দিয়ে তৈরি হয়। এটা জানা প্রয়োজন। চলুন, যবের ছাতু কি দিয়ে তৈরি হয়। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যব দেখতে প্রায় গমের মতো এটা গুড়ো করলে ছাতু হয়ে যায়। যেটা অনেকেই খেতে পছন্দ করে। গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত এ ধরনের যবের ছাতু খেয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। যা শরীরের জন্য অনেক উপকার। কেননা আমাদের নবী করীম সাঃ যবের ছাতু খেতে পছন্দ করতেন। তাই আপনিও নিয়মিতভাবে এই যবের ছাতু খেতে পারেন। যবের ছাতু শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।

যব থেকে কি তৈরি হয়

যব এমন একটি উপাদান যার ব্যবহার বিভিন্ন ভাবে করা যায়। তাই যব থেকে কি তৈরি হয়? এটা মূলত এর ছাতু বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যব এর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার আছে যেমন মানুষের খাবার হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও গবাদি পশুকে সাধারণত এটা খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। তাছাড়া এটা বিভিন্ন ধরনের পানীয় খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজন প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এর স্যুপ তৈরি করা যায় অথবা এর রুটি বানিয়ে অনেকে খেয়ে থাকে। এর সাথে গুড় দিয়ে খাওয়া যায় তবে আমাদের দেশের সাধারণত এর ছাতু খেতে পছন্দ করে। এটা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যবের ছাতু খেতে পারেন। এতে আপনার পেট পরিষ্কার হবে এবং শরীরে শক্তি পাবেন। আপনি যদি ডায়েট করতে চান সেক্ষেত্রে এর ছাতু খেতে পারেন। এতে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা মনে হবে, যার কারণে অন্য কোন খাবারে আকর্ষণও থাকবে না যার কারণে ওজন কমবে। বাচ্চারা সাধারণত শক্ত খাবার খেতে পছন্দ করেনা, এজন্য নরম খাবার খেতে চায়। তাই তাদের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এর ছাতু পানি দিয়ে নরম করে খেতে দিতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ থাকে যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করে।
যে সকল ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন, তারা সাধারণত ডায়েট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। সবচেয়ে ভালো একটি খাবার হল এই ছাতু খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই সকাল বেলা এটা পরিমান মত খেতে পারবেন। সাধারণত সন্ধ্যাবেলা আমাদের হালকা নাস্তার প্রয়োজন হয়। এজন্য আমরা এর ছাতু খেতে পারি নাস্তা হিসেবে। এতে আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং ডায়েট এর ক্ষেত্রে ধারণ কাজ করবে। এর সাথে দই বা ফলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চামচ ছাতু মিশিয়ে নিবেন, এরপরে অল্প পরিমাণ লবণ দিতে পারেন। চাইলে অল্প পরিমাণ চিনি বা আখের গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এর শরবত খেতে পারেন। এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে, এক বাটি এর ছাতু দেবেন এর মধ্যে অল্প পরিমাণ লবণ এবং বিচি কলা খেতে পারেন। অনেকে ছাতু দিয়ে রুটি বানিয়ে খেয়ে থাকে, এই রুটির সাথে হালকা ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে দেখবেন দারুন সুস্বাদু হবে এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও বিভিন্ন খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে এই ছাতু ব্যবহার করতে পারেন।

যবের ছাতুর পুষ্টিগুণ

যবের ছাতু আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে, তাই যবের ছাতুর পুষ্টিগুণ আছে। যা আমাদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নত করবে। এর প্রধান পুষ্টিগুণ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

যবের ছাতুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা আমাদের শরীরে কোষের গঠন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে পেশি গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধারণ কাজ করে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে এবং হজম শক্তি দ্রুত কাজ করবে। যাদের ভিটামিন-এ, এর অভাব রয়েছে তারা এই ছাতু খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ পদার্থ ভরপুর থাকে যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

যবের ছাতুর খেলে হাড় গঠন, দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নত ঘটাতে পারে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে। তাদের আয়রনের চাহিদা পূরণ করার জন্য খাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির সংক্রমণকে প্রতিহত করতে সাহায্য করবে। যাদের শরীর অত্যন্ত দুর্বল একটু কাজের পরে হাপিয়ে যান তারা এর ছাতু খেতে পারেন। এছাড়া এটা খেলে ক্লান্তিবোধ লাগবে না, বিশেষ করে শ্রমিকরা এই ধরনের খাবার খেয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে পারেন।

যবের ছাতু তৈরি করার পদ্ধতি

অনেকে হয়তো জানে না যবের ছাতু তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে। কেননা এটা সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে বেশি তৈরি করা হয়ে থাকে। চলুন, গ্রাম অঞ্চলের লোকজন কিভাবে যবের ছাতু তৈরি করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যবের ছাতু তৈরি করা খুবই সহজ, তবে এর পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কিভাবে বানাবেন সেই নিয়ম কানুন জানতে হবে। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমত যব গুলো খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করতে হবে। এরপরে যব গুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপরে ভেজে নিতে হবে এরপর ঢেঁকিতে অথবা গম বা ভুট্টা ভাঙ্গানো মেশিনে গুড়া করতে পারেন, এরপরে এর ভিতর গুড়, চিনি বা মধু, নারিকেল দিয়ে যবের ছাতু তৈরি করতে পারবেন। দেখবেন অনেক সুস্বাদু হবে এবং অনেক ভালো লাগবে। তাই এই ছাতু নিয়মিত ভাবে খেলে অনেক উপকার পাবেন।

যবের ছাতু খাওয়ার নিয়ম

যবের ছাতু বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়, তাই যবের ছাতু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলে আপনার পেটে গ্যাস হবে না বা বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া নিতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে আমরা দেখেছি যবের ছাতু পানিতে ভিজিয়ে একটি প্লেটের মধ্যে রেখে দেয়। তবে অনেকে পানি বেশি নেয়, তরল জাতীয় হিসেবে খায়। আবার অনেকে শক্তভাবে খেতে পারে, এটা অনেকে আবার হালকা লবণ, মিষ্টি দিয়ে থাকে। অনেকে শরবতের মতো করে খেতে পারে আবার এর ভিতর লবণ মিষ্টি জাতীয় যেমন গুড় চিনি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারবেন। সকাল বেলা নাস্তার ক্ষেত্রে আপনি এই যবের ছাতু দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ভালো উপকার হবে, এর ভিতর ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকলেও তা দূর হবে। অনেকে রুটি বানিয়ে খেয়ে থাকে।
প্রথমত এক গ্লাস পানি নিবেন এর ভিতর দুই চামচ পরিমাণ যবের ছাতুর নিতে পারেন। তারপরে পরিমাণ মতো লবণ নিবেন এরপর মিষ্টি দিয়ে খেতে চাইলে চিনি অথবা গুড় দিতে পারেন। এভাবে তরল করে যদি আপনি বানাতে চান সেক্ষেত্রের শরবত হয়ে যাবে যা আপনার সকাল বেলা খালি পেটে খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং হজম সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এরপরে একটি বাটির মধ্যে অল্প পরিমাণে পানি নিয়ে এরপর যবের ছাতু নিবেন তার সাথে কলা দিয়েও খেতে পারেন। অনেকে রুটি বানিয়ে হালকা ঘি বা তরকারি বিভিন্ন ধরনের ভাজি দিয়েও খেতে পারেন।

যবের ছাতু কোথায় পাওয়া যায়

অনেকে জানতে চায় যে যবের ছাতু কোথায় পাওয়া যায়? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনার চাহিদার উপরে। চলুন, এই যবের ছাতু কোথায় আপনি পাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

গ্রামের লোকজন এই যবের ছাতু বেশি খেয়ে থাকে, কেননা গ্রাম অঞ্চলে যবের ছাতু প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। গ্রামের মানুষজন সাধারণত সকাল বেলা এই ছাতু খেয়ে থাকে। এতে করে তাদের অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না এবং এর ভিতরে ক্যালোরি থাকার কারণে অনেক শক্তি পাওয়া যায়। এটা বানানো খুবই সহজ পদ্ধতি। যার কারণে গ্রাম অঞ্চলে বাজারগুলোতে পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। তবে গ্রাম অঞ্চলেই এটা সাধারণত বেশি পাওয়া যায়। তবে কিছু বড় দোকান গুলোতে পেতে পারেন। সাধারণত এক কেজির দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মত।

গর্ভাবস্থায় ছাতু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। তাই ছাতু খেতে পারেন, কেননা গর্ভাবস্থায় ছাতু খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চলুন, কিভাবে এই ছাতু খেলে আপনার শরীরে উপকার হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে আয়রন ক্যালসিয়াম ফলিক এসিড ইত্যাদি যা বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করতে পারেন। বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি যবের ছাতু খাওয়া যেতে পারে। কেননা এটা খুবই উপকার করে থাকে এর মাঝে ক্যালসিয়াম ভিটামিন, আয়রন, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি রয়েছে। যা গর্ভবতী মায়েদের খুবই উপকার করে থাকে। তবে এটা ভিজিয়ে তরল করে খাওয়াটাই সবচাইতে ভালো হবে। তবে এটা শরবত বানিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এছাড়াও এই ছাতুর সাথে নারিকেল দিয়ে খেতে পারেন।

আজকে আর্টিকেলের লেখকঃ
মোঃ মাহমুদুল ইসলাম
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার
উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।

শেষ কথাঃ যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি যবের ছাতু নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে উপকার হবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ যদি খেয়ে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে শরীরে জন্য ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিকের রোগী রয়েছেন বা পেটের সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে তাদের পেট ফুলে যেতে পারে আবার অনেকের অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই যবের ছাতুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, আশাকরি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url