বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া ও কাজের ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশের অনেক লোক জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? আসলে এটা নির্ভর করবে বিমানের সেবার উপরে। চলুন, কোন দেশের বিমান ভাড়া কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিউজিল্যান্ডের কাজের ভিসা করে থাকে, সেক্ষেত্রে বিমান ভাড়া সম্পর্কেও জানতে চায়। তাই বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া ও কাজের ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত
নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত রাষ্ট্র সেখানে বিমান বাড়াও বেশি হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন, বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার বিমান ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে যখন নিউজিল্যান্ডে বিমানের মাধ্যমে যাবেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে যেতে হবে। তবে টিকিটের দাম বিমানের সেবার উপরে নির্ভর করে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বিমানের খরচ হতে পারে ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের বিমান রয়েছে তার উপর নির্ভর করে টিকিটের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। চলুন, কোন বিমানের কত টাকা হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যেতে চান অথবা চায়না স্টার্ন এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে গেলে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। তাছাড়া আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে যান তাহলে বিমান ভাড়া হবে ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মত। আপনি যদি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এবং হাইনান এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া সাংঘাই এয়ারলাইন্স এর ভাড়া ৯৫ হাজার টাকা।
আপনি যদি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে যান তাহলে বিমান ভাড়া হবে ৯২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া আরো ভালো মানের একটি বিমান ক্যাথে প্যাসিফিক এর মাধ্যমে যদি নিউজিল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৯৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত। এছাড়াও আপনি যদি ব্যাংকক এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত।
আপনি যদি ইয়ার নিউজিল্যান্ড বিমানের মাধ্যমে যান তাহলে বিমান ভাড়া হবে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মত। সবচেয়ে ভালো মানের বিমান কাতার এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যদি নিউজিল্যান্ড যেতে চান, সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যান তাহলে ভাড়া পড়বে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তাই উপরোক্ত বিমানগুলো ভাড়া আপডাউন করে থাকে সে ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। তবে আপনাকে শুধু ধারণা দেওয়ার চেস্টা করেছি মাত্র।
নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
আজকে যদি বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে। চলুন, নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য কোন ভিসার কত টাকা দাম সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। এজন্য এই ভিসা গুলোর দাম পার্থক্য হয়ে থাকে। কেননা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম অন্যান্য ভিসার চাইতে বেশি। তবে বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত কাজের বেশি নিউজিল্যান্ডের গিয়ে থাকে। কেননা এই ভিসার মাধ্যমে তারা কাজ করতে পারবে। সেজন্য খুবই প্রয়োজন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। যদি এই ভিসার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে সরকারিভাবে যান, সে ক্ষেত্রে আপনার ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগবে। আর এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
তবে আপনি যদি কোম্পানির মাধ্যমে জব পান তাহলে নিজেই আবেদন করে যেতে পারেন। নিউজিল্যান্ডে যদি আপনার কোন আত্মীয় স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। এছাড়া যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ডে যেতে চান সেক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। আর স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার লাগবে। এর পরে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত। এছাড়াও যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় নিউজিল্যান্ডে যান তাহলে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
তাছাড়া সাধারণত ভিসা আবেদন ফি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লাগবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট ইত্যাদি খরচ হবে। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডে থাকা বাবদ খরচ হবে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকার মত। এটা নির্ভর করবে আপনি কেমন ধরনের হোটেলে থাকবেন। এছাড়া নিউজিল্যান্ডে যদি কোনো রেস্টুরেন্টে একবেলা খাওয়া হয় তাহলে ৪০০ টাকা ৬০০ টাকা খরচ হবে। তাছাড়া দৈনন্দিন বাজার এবং অন্যান্য খরচ সব মিলে ১ মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাছাড়া গাড়ি ভাড়া বা ভ্রমণ করা সব মিলে আরও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায়
আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায় উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি সহজ ভাবে এবং বৈধভাবে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে বৈধভাবে যাওয়া যায় সে পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
নিউজিল্যান্ড যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কি কোন কাজ অথবা পড়াশোনা বা ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাবেন সেটা আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন, এজন্য আপনাকে অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে আপনাকে অবশ্যই আগে বিভিন্ন কোম্পানির অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপরে যদি কোম্পানি আপনাকে জব অফার লেটার দেয়, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এরপরে সকল কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট নিউজিল্যান্ডের দূতাবাসের জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
তাছাড়া আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় নিউজিল্যান্ডে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে এবং যাবতীয় খরচ থাকার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ ভিসা ব্যতীত আপনার আরো অনেক আনুষঙ্গিক খরচ রয়েছে, সেগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাই আপনি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কিন্তু নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেন। অনেকেই নিউজিল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করে থাকে, এরপরে নিউজিল্যান্ডের এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে যদি অ্যাপ্লিকেশন লেটার পাঠিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে আপনি যাবতীয় সকল কিছু তথ্য জমা দিয়ে এরপরে যেতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড কাজের বেতন কত
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনেক লোকজন কাজের উদ্দেশ্যে যায়। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড কাজের বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। চলুন, নিউজিল্যান্ডের কাজের অনুযায়ী কি ধরনের বেতন দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এটি উন্নত রাষ্ট্র তাই প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই আবেদন করে থাকে। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডে দক্ষ শ্রমিকদেরকে অনেক বেতন দিয়ে থাকে। আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেন। তবে বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত শ্রমিক হিসেবে বেশি যায়, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিকাজ, ফার্মে কাজ, ক্লিনার হিসাবে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে মাসে প্রায় ২ দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন পায়। তাছাড়া ওভারটাইম করলে মাসে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো ইনকাম করা সম্ভব।
নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশের লোকজন বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চায়। তাই নিউজিল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি জানা থাকে, তাহলে সহজে কাজের ভিসা পাবেন। চলুন কিভাবে এই কাজের ভিসা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।
নিউজিল্যান্ড সাধারণত দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে যখন কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। অবশ্যই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে কাজের অফার লেটার নিতে হবে। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন জব নিউজ পোর্টাল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাকরি পেতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের এবং বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইট গুলোতে ভিজিট করতে হবে এবং ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে।
বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করবেন এবং সেখানে বিভিন্ন দেশের জব নিয়োগ দেয়, সেগুলো সবসময় নজরে রাখবেন। এর পরে আপনি ঘরে বসে ভিসা আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিজিট করবেন এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের চাকরির অফার থাকবে সেখানে আবেদন করবেন। এরপরে আপনার তথ্য তারা যাচাই-বাছাই করে আপনাকে নিয়োগ দিবে। দালাল থেকে মুক্ত থাকবেন, কেননা আপনি প্রতারিত হতে পারেন। তবে আপনার নিউজিল্যান্ডে যদি আপন ব্যক্তি থাকে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে যেতে পারেন।
নিউজিল্যান্ড যেতে কি কি লাগে
নিউজিল্যান্ডে ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু বৈধ কাগজপত্র লাগে। তাই নিউজিল্যান্ড যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা নিতে হবে। তাহলে আপনি আগে থেকেই কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, যে সকল কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
আপনি নিউজিল্যান্ডের যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার যে কাগজপত্রটি বা যে ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে, তার মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, ভিসা আবেদন ফরম অনলাইন থেকে ডাউনলোড দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করবেন। এছাড়াও পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে, ভিসার ফি জমা দিবেন, এছাড়া বিমানের রিটার্ন টিকিট কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে ভর্তির অফার লেটার লাগবে, ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা, আইএলটিএস, স্বাস্থ্য বীমা, দক্ষতার সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র জমা দিতে হবে।
নিউজিল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই নিউজিল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। কেননা আপনি বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে যে কাজের অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপর ভিসা করলে ভালো হবে। চলুন, বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত রাষ্ট্র সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি শিল্পকল্প কারখানা এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা লোকজন নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কাজের জন্য নিউজিল্যান্ডে যেতে পারেন। কেননা এই কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি কৃষি কাজের উপর দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে ভিসা করতে পারেন। মৌসুমী কৃষি শ্রমিক নিয়ে থাকে সেটা উপর ভিসা করতে পারেন, এর অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ক্লিনার, ডেলিভারি ম্যান, ফুড প্যাকেজিং, এছাড়াও ইলেকট্রিশিয়ান, ফ্যাক্টরির শ্রমিক, ক্লিনার, হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ইত্যাদি কাজের অনেক চাহিদা আছে।
আপনার যে কাজটিতে অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপর ভিসা করবেন। তবে বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু কৃষি নির্ভরশীল তাই কৃষি কাজের উপর দক্ষতা রয়েছে। নিউজিল্যান্ডেও বিভিন্ন ফার্ম বা কৃষি, মৎস্য কাজের খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই আপনি এই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিউজিল্যান্ডের কৃষি কাজের জন্য যেহেতু উন্নত মানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকেই কৃষিকাজের এই প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। এতে আপনার কাজের সুবিধা হবে এবং বেশি বেতনের চাকরি করতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বাংলাদেশের যেহেতু অধিকাংশ মানুষ নিউজিল্যান্ডে কাজের জন্য যায়। তাই নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। চলুন নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হলে কি কি দক্ষতা এবং ডকুমেন্টস লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
নিউজিল্যান্ডে যখন আপনি যেতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভালো হবে এবং আপনি কাজকর্ম বুঝতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বেতন ভাতা বেশি পাবেন এবং এক্ষেত্রে আইএলটিএস করা যেতে পারে। তবে যেহেতু যারা পড়াশোনা করেননি তারা যেতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাষা শিক্ষা নিতে হবে। তারপরে বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করার পর নিউজিল্যান্ডের কোম্পানি জব লেটার দেবে, এর ভিত্তিতে আপনি ভিসা প্রসেসিং করে সকল কাগজপত্র নিউজিল্যান্ডের দূতাবাসের জমা দেওয়ার পরে আপনি যেতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন
নিউজিল্যান্ডে যখন আপনি ভিসা আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন করার জন্য যে নিয়ম কারণ রয়েছে, সেটা আপনাকে জানতে হবে। চলুন ভিসা আবেদন করার নিয়ম-কানুন এবং সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যখন আপনি কাজের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করলেন, এর পরে পছন্দ করলে তারা আপনাকে জব অফার লেটার দিবে। সেই জব লেটারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য নিউজিল্যান্ডের যে সরকারি ওয়েবসাইট আছে সেখানে আবেদন করবেন এবং সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এরপরে কাগজপত্র বা ডকমেন্টস আবেদনের সাথে স্ক্যান করে নিউজিল্যান্ডের দূতাবাসের জমা দেওয়া লাগবে।
আবেদনের জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তার মধ্যে প্রথমে আপনি অবশ্যই তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং আপনি কোন ধরনের কাজের জন্য যাচ্ছেন সেই অপশনটা সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যেমন পাসপোর্ট, ছবি, পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেডিকেল ইত্যাদি সকল কিছুই এই আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এরপরে ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে এবং জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এরপরে কোম্পানি আপনাকে ভাইবা নেবে তারপর জব লেটার দেবে। এরপরে সকল প্রক্রিয়া কার্যক্রম করার পরেই কিন্তু আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
নিউজিল্যান্ড যেতে কত বয়স লাগে?
আপনি যদি কাজের ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ২১ বছর হওয়া লাগবে।
ভিজিটর ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে কতদিন থাকা যায়?
আপনি যদি ভ্রমণ ভিসায় এদেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ৬ মাসের বেশি থাকতে পারবেন না।
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডের দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশের দূরত্ব ১১২৬৪ কিলোমিটার এর মত, কম বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে?
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে এই দেশের দূরত্ব অনেক বেশি সেক্ষেত্রে সময় একটি বেশি লাগবে। তবে এটা বিমানের উপরে নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রায় ১৬ ঘন্টার মত লাগতে পারে।
নিউজিল্যান্ড টাকার মান কত?
যেহেতু নিউজিল্যান্ডে ডলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ১ ডলার সমান বাংলাদেশের টাকায় ৭০ টাকার মত।
উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? বিস্তারিত জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের থেকে যদি আপনি নিউজিল্যান্ডের যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে বিমানের ভাড়া কেমন হবে সেটা নির্ভর করবে বিমানের সার্ভিসের উপরে। বিভিন্ন দেশের বিমানের দাম ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি বিমান ভাড়া নিয়ে আপনি একটি ধারণা পেয়েছেন। এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে সে ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url