ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয় ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
অনেকের ঘন ঘন ঠান্ডা কাশি বা ব্রংকাইটিস এর সমস্যা দেখা দেয়, তাই ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এতে অনেকটা সুস্থ থাকবেন। চলুন, ব্রংকাইটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনেকের দেখা যায় ঘন ঘন ব্রংকাইটিসের সমস্যা দেখা যায়, এতে অনেকের শ্বাসকষ্ট অথবা বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয় ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয়
বড় বা ছোট প্রায় সবার সাধারণত এই রোগ হয়ে থাকে, তাই ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয়? এ রোগ থেকে কিভাবে আপনি রক্ষা পাবেন, সে সম্পর্কে সাধারণ কিছু জানলে উপকার হবে। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ব্রংকাইটিস রোগ হলে সাধারণত এই রোগীর বুকের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে অনেকটা কষ্ট হবে এবং নিশ্বাস কমে যাবে, বুক শক্ত হয়ে যাবে। জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকবে, যখন আপনি কাশি দিবেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে মিউকাস যে বের হবে সেটা পরিষ্কার অথবা ফ্যাকাসে হলুদ কালারের এবং অনেক সময় রক্তের মত দেখা যেতে পারে।শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা করতে পারে। অনেকর কাশির সময় বুকে ব্যথা লাগে, শ্বাস-প্রশ্বাস যখন নিতে যাবেন তখন দেখবেন বুকের ভিতর শব্দ হবে, শক্ত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অসুবিধা হতে পারে। যখন আপনি কাঁশি দিবেন তখন অনেক সময় কফের সাথে রক্ত বের হতে পারে।
ব্রংকাইটিস রোগ হলে সাধারণত গলায় প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে, টনসিল ফুলে যেতে পারে, নাক দিয়ে পানি আসা ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তবে এই উপসর্গ গুলো সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকের ঠিক হয়ে যেতে পারে কিন্তু যদি আরো বেশি দিন দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক সময় ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যদি আপনার শরীরে সংক্রমণ করে থাকে, তাহলে রোগ হয়েছে মনে করতে হবে। এতে আপনার শ্বাষনালী ফুলে যেতে পারে, বুকে অতিরিক্ত কফ জমা হতে পারে।
ব্রংকাইটিস কি
ব্রংকাইটিস রোগটা সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে। এক ধরনের ফুসফুসের মধ্যে শ্বাসনালীর ব্যথা শুরু হয়। যার কারণে শ্বাসনালী অনেক সময় ফুলে যায় এবং অতিরিক্ত কাশি হয়। শ্বাসনালী অনেকটা চিকন হয়ে যায়। যার কারণে বায়ু চলাচল করতে সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও কাশি শ্বাসকষ্ট, বুকের ভিতর শব্দ হওয়া, অতিরিক্ত শ্লেষ্মা দেখা যায়, এর সাথে ইনফেকশনও হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট প্রচুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যার কারণে দেখা যায় অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি হতে হওয়া লাগতে পারে। এছাড়াও পরবর্তীতে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।
ব্রংকাইটিস কত প্রকার
ব্রংকাইটিস মূলত দুই রকমের হয়ে থাকে ১। তীব্র ব্রংকাইটিস ২। দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস
তীব্র ব্রংকাইটিস হলো মনে করুন আপনার হালকা ঠান্ডা লেগেছে এতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। যার কারণে দেখা যায় তেমন একটা সমস্যা হয় না কিন্তু তারপরেও এটা এক ধরনের রোগ বলা হয়। প্রতিবছর প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, সাধারণত কয়েক সপ্তাহ যাবত দেখা যেতে পারে, তারপর সাধারণত একাই সেরে যায়। দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস হলো; এ ধরনের ব্রংকাইটিস গুরুতর অবস্থা করে দেবে। কেননা দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস শ্বাসনালীর ভেতর ব্যথা করতে থাকে এবং এটা অতি তাড়াতাড়ি সারতে চায় না। যারা ধূমপান করে তাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ব্রংকাইটিস এর কারণ
ব্রংকাইটিস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তাই এ সম্পর্কে আপনার জানার প্রয়োজন। তাহলে আপনি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন কি কারনে আপনার ব্রংকাইটিস হচ্ছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
যখন আপনি ধুলাবালি ও রাসায়নিক ধোয়ার পরিবেশে যদি কাজ করতে থাকেন বা কোন কারনে সেখান দিয়ে যেতে থাকেন তাহলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি একটি জায়গায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করেন এবং সেই জায়গাটা যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সব সময় যদি স্যাতস্যাতে ধূলিকণা আবহাওয়ার ভিতরে থাকেন তাহলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পার। অনেকের আবার বাবা-মার বা বংশগত কারণেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে শ্বাসনালীতে এক ধরনের সিলিয়া থাকে সেটা নষ্ট করে দিতে পারে।
শিশুর ব্রংকাইটিস এর লক্ষণ
আপনার শিশুর ব্রংকাইটিস হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য শিশুর ব্রংকাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে, তাহলে আপনি নির্ণয় করতে পারবেন। চলুন, শিশুর ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত শিশুদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে তাদের হালকা জ্বর থাকে, নাক দিয়ে পানি আসে, কিছু খেতে চায়না, কান্না করতে থাকে, গলা বসে যেতে পারে, শিশু হাসতে পারে না, ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে, শ্বাসকষ্ট দেখা যায় এগুলো সাধারণত শিশুদের ব্রংকাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও তাদের দ্রুত শ্বাস নিতে দেখা যায়, মিনিটে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ এর বেশি দেখা যেতে পারে এবং বুকের পাঁজরের নিচে অনেক সময় দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক শিশুর ঠোঁট বা হাত নীল হতে পারে। এছাড়া বুকের ভিতর শব্দ করছে, এতে সাধারণত শিশুরা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে অসুস্থ হয়।
যে সকল শিশু বুকের দুধ আর খেতে পারেনা, ওজন কমে যাচ্ছে বা জন্ম থেকেই ওজন কম অথবা তার পিতা-মাতা ধূমপান করেছে, এই ধরনের শিশুর অসাধারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটাকে এক ধরনের ব্রংকাইটিস বলা হয়ে থাকে। তামাকের ধূয়া ঠান্ডা বাতাস বায়ু দূষণের কারণেও এই ধরনের ব্রংকাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। শিশুদের সাধারণত এই ধরনের ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে, ভাইরাসের কারণে দেখা যায়। অনেক সময় বড়দের থেকে এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে, তাই যে সকল মানুষের ব্রংকাইটিসের সমস্যা রয়েছে, তারা শিশুদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
শিশুর ব্রংকাইটিস হলে করণীয়
আপনার শিশুর ব্রংকাইটিস লক্ষণ বুঝতে পারলে, শিশুর ব্রংকাইটিস হলে করণীয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকলে, শিশু অনেকটাই সুস্থ করতে পারবেন। চলুন, এ ধরনের সমস্যার করণীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার শিশুর যখন এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা যাবে, তখন অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য অবশ্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং তিনি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। এজন্য তার রক্ত অথবা প্রসাব স্পুটাম এর নমুনা অথবা আঙ্গুলের মনিটর ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুদের রক্তের অক্সিজেন মাত্রা পরীক্ষা করা। এইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর একজন চিকিৎসক নিশ্চিত হওয়া ব্রংকাইটিসের সমস্যা রয়েছে কিনা, যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা যায় অথবা বুকের এক্সরে করার পর অনেক সময় এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা যায়।
এরপরও যদি শিশু স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে এবং খাওয়া দাওয়া করে জ্বর যদি বেশি না থাকে, অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে, তাহলে বাড়িতেই আপনি চিকিৎসা করতে পারেন। মাথাটি উচু করে রাখবেন, বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, এছাড়াও যদি ৬ মাসের বয়স বেশি হয় সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক খাবার গুলো দিবেন এবং পর্যবেক্ষণ করবেন যদি সমস্যা না থাকে, খাবার খেতে থাকে এবং শ্বাসকষ্ট যদি বেড়ে যেতে চাচ্ছে এবং জ্বরও যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। এতে অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হবে এবং যদি খেতে না পারে তাহলে নাকের ভিতরে নল দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
এজন্য অবশ্যই নেবুলাইজার করা যেতে পারে এতে শিশু নিঃশ্বাস নিলে তার কাশি এবং শ্বাসকষ্টটা অনেকটাই কমে যায়। সাধারণত চিকিৎসা করা হয় এছাড়াও সালভিউটামল দিয়ে অনেক সময় নেবুলাইজার করলে শিশুর অনেকটা উপকার হবে এবং শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যাবে অথবা উচ্চমাত্রায় স্যালাইন দিয়ে অনেক সময় নেবুলাইজার করার কারণে বুকের শ্লেষ্মা কমে যেতে পারে কমে যায়। উপরোক্ত কাজগুলো করার পরও যদি শিশুর অবস্থা ভালো না দেখেন, তাহলে অবশ্যই শিশুকে হসপিটালে নিতে হবে/ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ তাই এটি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে অনেক সময় কাজ নাও হতে পারে।
ব্রংকাইটিস রোগ নির্ণয়
সঠিক চিকিৎসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে রোগ নির্ণয় করতে হবে। কি কারনে সংক্রমণ হচ্ছে কতটা সংক্রমণ হলো তা নির্ণয় করার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ব্রংকাইটিস রোগে ঠাণ্ডার চিকিৎসা দেওয়া হয় কিন্তু যদি সমস্যা বেশি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসা দেওয়াটা কঠিন বিষয় করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যে পরীক্ষা করা যেতে পারে, তা হলো; এলার্জি বা অন্যান্য কোন রোগ যদি থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এই রোগগুলো নির্ণয় করার জন্য আপনার থুতুর পরীক্ষা করা লাগবে। পালস অক্সিমিটার দিয়ে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করা যাবে। তাছাড়া পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করা যেতে পারে।
ব্রংকাইটিস রোগের চিকিৎসা
যদি আপনার ব্রংকাইটিস হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ব্রংকাইটিস রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য কি ধরনের চিকিৎসা নিবেন, সে সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন, এ রোগের চিকিৎসা কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই রোগ যদি আপনি চিকিৎসকের মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়ে যাবেন। রোগের অবস্থা অনুযায়ী একজন চিকিৎসক সাধারণত তার চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে থাকে। বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তীব্র কষ্ট হয়, সাধারণত ভাইরাসের জন্য এই রোগ নিরাময়ের জন্য অবশ্যই এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। যদি ব্রংকাইটিস সাধারণ হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে দুই দিনের মধ্যে এই রোগটা নিজে থেকেই ভালো হয়ে যাবে। আর যদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় এবং শ্বাসকষ্ট বেশি হয়, ঘুম কম হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসক কাশির সিরাপ দিয়ে থাকে।
অনেকের দেখা যায় বুকের কফ জমে যেতে পারে, এক্ষেত্রে সহজভাবে যদি এটা বের করতে চান তাহলে হয়তো এক ধরনের যন্ত্র রয়েছে। সেটা ব্যবহার করা যেতে পারবে, যাদের আগে থেকে ফুসফুসের সমস্যা আছে, তারা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া যাবে। এছাড়াও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করা লাগবে। তবে ধূমপান ছেড়ে দিবেন, তরল পদার্থ বেশি করে খেতে হবে, অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহজভাবে মুক্তি পাবেন। এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য যে ওষুধগুলো খাবেন বা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসাঃ যদি আপনার তীব্র আকারের ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করানো যেতে পারে। যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হয় আর যদি ভাইরাস যারা সংক্রমিত হয় সে ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। এন্টিবায়োটিক এর পাশাপাশি আপনার শ্বাসনালীর যে ব্যথা হয় তাকে সেটা কমানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন দেওয়া যেতে পারে। ব্রংকাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য এবং শ্বাসনালী শুরু থেকে মুক্ত করার জন্য ব্রংকাইটিস কমানোর জন্য অবশ্যই নেবুলাইজার ব্যবহার করে যেতে পারে।
ব্রংকাইটিস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রংকাইটিস এর লক্ষণ বুঝতে পারেন, তাহলে ব্রংকাইটিস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে, তাহলে আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারবেন। চলুন, ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যে সকল খাবার গুলোর মত অতিরিক্ত তেল থাকে তা হজমের সমস্যা দেখা যায় এবং রোগীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত মসলা দিয়ে খাবার খেলে বৃদ্ধি পেতে পারে শ্বাসনালীর ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য ব্রংকাইটিস রোগীদের সাধারণত মসলা জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে যদি ঠান্ডা জাতীয় খাবারগুলো খান তাহলে আপনার ব্যথা আরো বেড়ে যাবে এবং অনেক কষ্ট হবে। তাই রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবার গুলো খাওয়া যাবে না।
ব্রংকাইটিস রোগীর জন্য কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনার অনেকটা ভালো লাগবে এবং ব্রংকাইটিস কমে যাবে, চলন জেনে নেওয়া যাক; বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়া লাগবে, যাতে এর ভিতরে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ আছে, সেই গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এ ধরনের রোগীদের সাধারণত পানি শূন্যতা দেখা যায় তাই এ ধরনের রোগীদেরকে সাধারণত পানি শূন্যতা দূর করতে হবে এবং প্রদাহ থেকে বের হওয়ার জন্য তরল জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরী। সাধারণত এই সময় খাদ্য হজম হতে সমস্যা লাগে এজন্য হালকা খাবার খাওয়া যেতে পারে।
এ ধরনের রোগীদের জন্য সতর্ক ভাবে জীবন যাপন করতে হবে, তাহলেই অনেকটা সুস্থ হবে। যখন আপনি বাড়ির বাইরে চলে যাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করা লাগবে, এতে আপনার এলার্জির সমস্যা এবং হাচি-কাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যদি একবার ব্রংকাইটিসের সমস্যা দেখা যায় সেক্ষেত্রে বারেবারে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এই ধরনের সংক্রমণ দূর করার জন্য এক ধরনের টিকা নিতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে নিতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকা জরুরী, এছাড়াও কেউ যদি ধূমপান করে তার কাছ থেকে চলে যেতে হবে।
এইসব রোগীরা দুইবার গরম পানি আদা দিয়ে কুলি করা লাগবে এবং হালকা করে খেতে পারেন। তাছাড়া গোসল করার সময় অবশ্যই হালকা গরম পানিতে গোসল করতে হবে, ঠান্ডা পানিতে গোসল না করা, কেননা ঠান্ডা লেগে যাবে। এছাড়াও গরম পানির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে যদি ভাপ নিতে পারেন তাহলে আপনার অনেকটাই কমে যাবে। যে খাবার বা ফল খেলে আপনার শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে সেই সকল ফল খাবেন। যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন এবং তার কাছাকাছি যারা থাকেন, তাদের তীব্র ব্রঙ্কাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শেষ কথাঃ ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয় ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে এজমা, এলার্জির বা হাঁপানি এই ধরনের যাদের রোগ রয়েছে, তারা সাধারণত ব্রংকাইটিস সমস্যায় ভুগে থাকে। তাই আপনি ব্রংকাইটিস রোগে ভুগছেন কিনা, রোগ হয়েছে কিনা এই সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হবেন। এরপরে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ খাবেন। কোনোভাবেই কোন ফার্মাসি থেকে নিজের ইচ্ছামত ওষুধ কিনে খাবেন না। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, কেননা এটা হলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে, সেজন্য সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। তাই ব্রংকাইটিস রোগ হলে কি কি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url