মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয় জেনে নিন আপডেট তথ্য জানু্ন

অনেকে জানতে চায় যে, মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়, এটা হলো এমন একটি বিষয় যা নারীদের এক সময় স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের নিশ্চয় মেনোপজ হবে। এ সম্পর্কে জানার জন্য এই পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ছবি
সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর থেকেই মহিলাদের ডিম্বাশয় দ্রুত কর্ম ক্ষমতা হারায় এবং ডিম্বাশয় কর্তৃক নিঃসৃত হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টরের ঘাটতি ঘটে এবং স্থায়ীভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাই মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমেনোপজের পর কি বাচ্চা হয় জেনে নিন আপডেট তথ্য জানু্ন

মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়

অনেকে জানতে চায় যে, মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়? এ ক্ষেত্রে মেনোপজ পর গর্ভধারণের জন্য কিছু কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে। চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেনোপজের পর বাচ্চা হওয়ার জন্য কিছু কাজ করতে হবে তার মধ্যে নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ওজন বজায় রাখা, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা। যদি আপনার বয়স ৩৫ এর উপরে হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। এছাড়াও আরো কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে মেনোপজ এর পরেও গর্ভধারণ করা সম্ভব। যদি ওই মহিলার জরায়ু ভালো থাকে। যদিও ডিম্বাশয় নিঃসরণ বন্ধ করে দেয় তবে দাতা্র ডিম ও সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবহারের ফলে গর্ভধারণ সম্ভব। এছাড়াও এক ধরনের ইনজেকশন রয়েছে সেটার মাধ্যমেও মেনোপজ পরও একজন মহিলা গর্ভধারণ হতে পারবে।

মেনোপজ কি

প্রতিটি নারীর নিজ শরীরে ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টরনের প্রভাবে মাসিক বা ঋতুচাপ শুরু হওয়া থেকে মেনোপজ বা রজনীবৃত্তি পর্যন্ত একটি শরীরবৃত্তীয় ছন্দের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। মাসিক আরম্ভ হওয়ার মতোই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি সম্পন্ন স্বাভাবিক শরীর বৃত্তীয় ব্যাপার। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর পর থেকেই মহিলাদের দ্রুত কার্যক্ষমতা হারায় এবং ডিম্বাশয় কর্তৃক নিঃসৃত হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টরের ফলে মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় একেই মেনোপজ বলে।

তাড়াতাড়ি মেনোপজ কি কি কারনে হয়

অনেকে জানতে চায় যে তাড়াতাড়ি মেনোপজ কি কি কারনে হয়? এ সম্পর্কে প্রত্যেকটা নারীর জানা প্রয়োজন। কেননা এই সময়টা সবারই আসবে। তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

খাদ্য অভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম এবং আপনার জীবনযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হতে পারে। নিয়মিত ধূমপানের কারণে অ্যাস্ট্রোজন হরমোনের অভাব দেখা দেয় যার ফলশ্রুতিতে অতি তাড়াতাড়ি মেনোপজ হতে পারে। যে সকল মহিলা অনেক হালকা পাতলা এবং চিকন তাদের ইস্ট্রোজন খুবই কম থাকে এবং তাদের তাদের স্টকে যে ইস্ট্রোজন রয়েছে সেটা কমতে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল মহিলা শরীর চর্চা করে না এবং সূর্য আলোর সংস্পর্শে আসে না তাদের শরীরে ইস্ট্রোজন সংখ্যা কমে যায়, তাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ দেখা যায়।

আপনার মা-বোন এদের যদি তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়। তাহলে আপনারাও হতে পারে, তাই হওয়ার আগেই তার জন্য আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। ফাজাইল এক্স সিনড্রম বা টার্নার সিনড্রম। যে সকল মহিলার মধ্যে এ গুলো রয়েছে। তাদের ডিম্বাণুও কাজ করে না,বিধায় তাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়। এ রোগের কারণে মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিধায় তাদের শরীরে ইমুনিটি কম থাকে এ কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়। যাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ শুরু হয়, তাদের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হয় বিধায় তাদের খিচুনি হওয়ার প্রভাব ফেলে।

প্রি মেনোপজ কি

অনেকে জানেনা যে, প্রি মেনোপজ কি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। তাহলে আপনার অসুবিধা হবে না, চলুন কিভাবে অসময়ে মেনোপজ হলে কি করবেন? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
৪০ এর কাছাকাছি বা আশেপাশে যে সকল মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাদেরকে প্রি মেনোপজ বলা হয়ে থাকে। প্রি মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো হল; অনিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ রেগে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, ঘুম না হওয়া, দুশ্চিন্তা করা, এছাড়াও ঘুমের মধ্যে বেশি ঘাম হওয়ার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ কারণে এই সকল লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে প্রি মেনোপজ হয়েছে। তাই অতিশীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময় যদি আপনি চিকিৎসা না নিতে পারেন, তাহলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

মেনোপজ হলে কি হয়

অনেকে নারীর মেনোপজ হলে বুঝতে পারে না, তাই মেনোপজ হলে কি হয়? সম্পর্কে প্রত্যেকটা নারীরই জানা প্রয়োজন। তাহলে তারা আগে থেকেই সতর্ক থাকবে এবং কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা জানতে পারবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বেশিরভাগ মহিলার ক্ষেত্রে মেনোপজ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে মাসিক চক্রের পরিবর্তন আসে। যেমন এই সময় দীর্ঘ সময় ধরে মাসিক চলতে পারে বা দীর্ঘ সময় বারবার মাসিক হতে পারে। আবার অনেক সময় দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর মাসিক হতে দেখা যায়। এই সময় ডিম্বাশয়ের ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় বলে শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসে। ডিম্বাশয় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং নিয়মিত আর মাসিক হয় না। এই সময় সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হলো হঠাৎ করে গরম অনুভূত হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা অনুভব করা।

তাছাড়া ত্বকের শুষ্কতা ও দাগ পড়া, বুক ধরফর করা, জীমনি ভাব হওয়া ব্যক্তিভেদে খাওয়ার ইচ্ছা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটা, পেটে বিভিন্ন সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রসাব নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা, স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যা যেমন হতাশা উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, বিরক্তিবোধ,মাথাব্যথা অনিদ্রা, দুর্বলতা বোধ করা ইত্যাদি। মেনোপজ এর সময় হাড়ের ক্যালসিয়াম এবং রক্তের স্টেজ ওজনের মাত্রা কমে যায় বলে হাড়ের ভঙ্গতা বেড়ে যায়, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বিপাকীয় পরিবর্তন যেমন রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যায়।

মেনোপজ হলে করণীয়

অনেক নারীর মেনোপজ হয়ে থাকে এক্ষেত্রে মেনোপজ হলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা এর যদি প্রতিকার করতে না পারেন তাহলে অসুবিধা হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

উপরের লক্ষণ গুলো দেখলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে যেতে পরামর্শ দেবেন। ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করলে তা ফলোআপ করবেন। রোগীকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে দিবেন। রোগীকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে বলবেন, যেমন দুধ, ছোট মাছ, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মেনোপজ রোগীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে রোগীর শারীরিক পরিবর্তন মেনে নিতে সহায়তা করবেন এবং বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন।

মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়

অনেকে জানতে চায় যে, মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়? আসলে এই মেনোপজ সাধারণত ৪০ বছরের পরেই হয়ে থাকে, তবে অনেক নারীর আগেও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে হবে, চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অধিকাংশ মহিলার ৪০ এর পর থেকে ৫৫ বছর বয়সেই সাধারণত মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে অনেক মহিলার ৩০ বা ৪০ বছরের আগেও হতে পারে। আবার অনেক সময় ৬০ বছরের নাও হতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে একজন মহিলার বা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন মহিলার গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়। আবার অন্যদিকে একজন মহিলার ৫৫ বছর বয়সেও মেনোপজ হতে পারে। সাধারণত যে নারীর পূর্বের মা খালা দাদীর যে বয়সে মেনোপজ হয়, তারও একই বয়সী হতে পারে। আবার অনেকের ৫৫ বছর পরেও হতে পারে যেটাকে লেট মেনোপজ বলা হয়ে থাকে।

মেনোপজ কারণে যে সমস্যা হয়

আসলে মেনোপজ এর কারণে যে সমস্যা গুলো হয় নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো; যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, প্রসাবের সমস্যা হওয়া, হার্টের সমস্যা হওয়া, হাড় ক্ষয় হওয়া, মেটাবলিক সিনড্রোম, ক্যান্সার হওয়া, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি। তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে সেজন্য মেনোপজ হলে বা এর লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিবেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে আশা করা যায় দ্রুত সেরে যাবে।

মেনোপোজের সময় ডায়েট চার্ট

এ সময় মেয়েরা সাধারণত শরীরের প্রতি তেমন একটা যত্ন নেন না। কারণ তার শরীরের ভিতরে ভালো লাগেনা। তাই খাবার-দাবারও খুব কম খেয়ে থাকে, এছাড়াও শাকসবজি জাতীয় খাবার খায় না। এই সময়ে তাকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং খুব কম বা বেশি খাবার খাওয়া যাবে না।

এই সময় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের অভাব হয়ে থাকে, তাই তাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।যেমন- দুধ, ডিম, শাকসবজি, মাছ এছাড়াও তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে এবং পোশাকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যেন এই রোগের কারণে আবার অন্য রোগ না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে।

মেনোপজের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি

চল্লিশের পরে গর্ভবতী হলে সে সকল নারীর সাধারণত প্রি একলামশিয়া হওয়া, বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ হওয়া, এই সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আরো বিপদ রয়েছে নিম্নে আলোচনা করা হলো; পিরিয়ড মিস হওয়া,স্তন ফুলে যাওয়া, বমি ছাড়া বমি বমি ভাব হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য,খাদ্য সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই গর্ভধারণের ঝুকি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মেনোপজের চিকিৎসা

যে সকল নারীর মেনোপজ হয়েছে তাদের মেনোপজের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তাহলে সে সুস্থ থাকবে আর যদি চিকিৎসা না করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন এর চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এটা সাধারণত আশিভাগ একাই সুস্থ হয়ে যায় অর্থাৎ ১০ জনের ৮ জন সুস্থ হয়ে যায়। দুজনের সমস্যা হতে পারে এটা সাধারণত হরমোন জনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তাই একজন চিকিৎসক হরমোন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কিছু মেডিসিন ও দিয়ে থাকেন। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে বলেন বিশেষ করে নারীদের ৪০ বছর পার হলে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। বিধায় তাদেরকে কিছু ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকে। আপনি যদি মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো দেখতে পান। তাহলে প্রতিদিন ৫০০ অথবা ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
আরেকটা বিষয় চিকিৎসকরা দেখে থাকেন সেটা হল ভিটামিন ডি এর অভাবে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন। কেননা একজন মহিলা সাধারণত সূর্য আলোকে খুবই কম আসেন এবং মহিলারা পোশাক পরিধান করে ঢেকে থাকে বিধায় তাদের ভিটামিন ডি এর অভাব হয়ে থাকে। তাই আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার ও সূর্যালোকে আসতে হবে। অনেক মহিলার হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। 

সবার ক্ষেত্রেই এই থেরাপি দেওয়া যাবে না বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বেশি রয়েছে তাদেরকে এ থেরাপি দেওয়া যাবে না। কেননা হরমোন থেরাপি দেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সবচেয়ে ভয়ানক। এটার কারণে জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে, এজন্য চিকিৎসকরা সব সময় খুবই সতর্কতার সাথে এটা দিয়ে থাকে এবং ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলা যেতে পারে এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। যদি কারোর ভিতরে এই লক্ষণ গুলো দেখা যায়, তাহলে অতিদ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। কেননা নারীরা এ বিষয়ে খুবই অসচেতন এবং লজ্জার কারণে তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে চলে। এজন্য এই বিষয়ে লজ্জা না পেয়ে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে পরামর্শ করবেন। তাছাড়াও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তা না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়? বিষয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আপনার বাচ্চা হবে নাকি এ বিষয়ে পরামর্শ দিবেন। যদি আপনার পোস্টটা ভাল লাগে, তাহলে বন্ধুদের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।