কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় ২০২৫ সর্বশেষ তথ্য জানুন

অনেকে জানতে চায় কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তবে কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈধভাবে যেতে হবে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। চলুন, কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যে নিয়ম কানুন গুলো জানলে আপনি সহজভাবে পর্তুগালে যেতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্টসূচিপত্রঃকাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় ২০২৫ সর্বশেষ তথ্য জানুন

অনেকে জানেনা কিভাবে কাতার থেকে পর্তুগাল যাবে। তাই কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনি সঠিক তথ্য জানেন, তাহলে বৈধভাবে যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে বৈধভাবে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের মানুষের সাধারণত ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে। তাই তারা প্রথমে বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যাওয়ার জন্য প্রথমে কাতারে ভিজিট ভিসা যায়। পরবর্তী সেখান থেকে দালালেরা পর্তুগালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন তারা সমুদ্র পথ দিয়ে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকে। প্রথমে তারা বিভিন্ন ভাবে এই সকল লোকদেরকে উৎসাহিত করে থাকে। পরবর্তীতে কাতার থেকে সমুদ্রপথে যাওয়ার পর যখন গ্রিসে পৌঁছায় তখন বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা শেষ হয়ে যায়। তাই এ সকল এজেন্সি বা দালাল থেকে দূরে থাকবেন।

তাই আপনি যদি কাতার থেকে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে বৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কাতার গিয়ে কাজ করার পরে আবার আপনি পর্তুগালে এত সহজভাবে ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারবেন না। এজন্য কাতারে যে কোন একটি কাজের জন্য আপনাকে ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর সেখানে দীর্ঘ ১ বছর কাজ করতে হবে, তারপরে আপনার মালিক এরপরে সেই কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি পর্তুগালে যেতে পারবেনা আবার সেখান থেকে ডিজিটাল বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে অনায়াসে যেতে পারবেন

তাছাড়া প্রথমত আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাতারে কাজের ভিসা যেতে পারেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১ বছর কাজ করার পরে সেখান থেকে আবার পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি ভাবে যেতে পারেন, তাছাড়া আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে সেটা হল আপনি দুবাইতে বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট বা পার্টনারশিপ ভিসা এর মাধ্যমে কাতারে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিজনেস পার্টনার যে রয়েছে এত সহজভাবে আপনি ইতালিতে ভ্রমণ করতে পারবেন অথবা ভ্রমণ বিষয়ে যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই এই কাজের উপর ১ থেকে দেড় বছরের মতো অভিজ্ঞতা লাগতে হবে।

তাছাড়া আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাতারে টুরিস্ট ভিসায় এসে থাকেন সেখানে কিছুদিন অপেক্ষা করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। এরপরে ১ থেকে ২ বছর সেখানে স্থায়ীভাবে কাজ করতে হবে। তারপরে আপনি কাজের অভিজ্ঞতা আলোকে অনেক দূরে অগ্রসর হতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি কাজের ভিসার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কৃষিকাজের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং ফুড প্যাকেজিং, কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং ইত্যাদি কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তাই আপনি যদি বৈধভাবে যেতে চান, তাহলে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে, তবে সেক্ষেত্রে আপনার কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তার মধ্যে আপনি যে কাতারে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। কমপক্ষে ১ বছরের ব্যাংক স্টেটম্যান জমা দিতে হবে। এছাড়া আপনি কাতার থাকার কারণে পাসপোর্ট এর কমপক্ষে ১ বছর বয়স থাকতে হবে। তাছাড়া পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট লাগবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে, এছাড়াও সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে আপনি বিশ্বস্ত একটি এজেন্সির মাধ্যমে দূতাবাসে জমা দিবেন।

কাতার থেকে অনেকে পর্তুগাল যেতে চায়, তাই কাতার থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়া উচিত, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ভিসায় কত টাকা লাগবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাতার থেকে অনেকে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। তাদেরকে কিছু বিষয়ে জানতে হবে তাহলেই আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাতারে ভিজিট ভিসায় যান, পরবর্তীতে পর্তুগালে ভিজিট বিষয়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি অথবা দালালরা আপনাকে বিভিন্নভাবে বোঝাবে যে আপনি কাতার থেকে ভিজিট ভিসায় পর্তুগাল যেতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করতে পারবেন। এটা কখনোই সম্ভব না, এতে আপনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বৈধভাবে কাতার থেকে পর্তুগাল যেতে হবে।

আপনি বাংলাদেশ থেকে কাতারে ভিজিট ভিসায় যাওয়ার পরে সেখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ১ থেকে ২ বছর কাজ করবেন। তারপরে আপনি কাতার থেকে পর্তুগালের ভিজিট ভিসা যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পর্তুগালে যান সে ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো হবে। এজন্য আপনাকে কাতারে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে হবে এবং আপনার ব্যাংকে টাকা জমাতে হবে। তারপরে আপনি কাতার থেকে পর্তুগালে যেতে পারবেন। এছাড়াও কাতারে আপনি পার্টনারশিপ ভিসা বা বিজনেস ভিসা যদি কাজ করতে পারেন, তাহলে বিজনেস করার উদ্দেশ্যে আপনি কাতার থেকে পর্তুগালে যেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে পর্তুগালে যাওয়ার আপনি অনুমোদন পাবেন। কেননা বিজনেস করার ক্ষেত্রে আপনার যদি সকল ডকমেন্স থাকে এবং ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে, তাহলে আপনি যদি ওই দেশে ইনভেস্ট করতে চান বা ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু এ দেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। আপনি কাতারে বিভিন্ন বসবাস করতে পারেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভিজিট ভিসা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কমপক্ষে আপনার চার থেকে পাঁচটি দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই বৈধভাবে যদি আপনি কাতার থেকে পর্তুগালে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।

অনেকে কাতার থেকে পর্তুগালে ভ্রমণ করতে চায়, তাই কাতার থেকে পর্তুগাল ভিজিট ভিসা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজভাবে পর্তুগালে ভিজিট ভিসায় যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে পর্তুগালে ভিজিট ভিসায় যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকে স্বপ্ন দেখে থাকেন যে কাতার থেকে পর্তুগালে যাবেন তবে এক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসায় অনেকেই যেতে চায়, আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত কাতারে কাজ করেন বা কাজের ভিসায় দেশে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি পর্তুগালে ভিজিট ভিসার অনুমোদন পাবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে বা ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে এবং পর্তুগালের হোটেল বুকিং তাছাড়া খাবার খরচ, বিমানে আসা যাওয়ার বুকিং এর প্রিন্ট কপি ইত্যাদি ডকুমেন্টস গুলো থাকতে হবে এবং এর খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। তাছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে যেমন পাসপোর্ট থাকতে হবে, পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।

তাছাড়া আপনার কাতার সরকারের অনুমোদন থাকতে হবে, এছাড়া কাতারের ভালো হসপিটাল থেকে আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষার সার্টিফিকেট থাকতে হবে, পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকতে হবে। সকল তথ্য যখন আপনার সঠিক থাকবে সেই ক্ষেত্রে আপনি পর্তুগালে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং আপনার সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে আবেদনের ফর্মটা পূরণ করতে হবে। যদি আপনি পর্তুগালে ভিজিট ভিসায় যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সেনজেনভুক্ত দেশে ফ্রি ভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।

তবে আবেদনের ক্ষেত্রে যদি আপনার বয়স ১৮ এর নিচে হয় সেক্ষেত্রে অভিভাবকের সকল তথ্য দিতে হবে এবং তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি আপলোড করে অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তাছাড়াও আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে, যদিও ইউরোপের অনুমোদন সাইজ। তাছাড়া ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট। এছাড়াও হোটেল বুকিং, খাওয়া-দাওয়া খরচের সক্ষমতা থাকতে হবে।

অনেকে পর্তুগালে কাজ করার জন্য যেতে চায় তাই কাতার থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তা না হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। চলুন, কিভাবে কাতার থেকে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর অনুমোদন পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি কাতার থেকে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্তুগালের যে কোন কোম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং সেই চাকরি যদি আপনি নিশ্চিত হয়ে যান এবং নিয়োগ কর্তা যদি আপনাকে পছন্দ করে থাকে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি কাতারে যে কাজ করছেন অর্থাৎ লেবার অথবা শ্রমিক কৃষি ইত্যাদি কাজে আপনার দক্ষতা থাকতে পারে। সেই কাজের উপরে আপনি পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই পর্তুগালের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখতে হবে যে কোন কোন কাজ লোক নিচ্ছে সেই কাজের উপর যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করবেন। এরপরে যদি আপনাকে জব লেটার দেওয়া হয় তাহলে আপনি সেই ভিসাতে যেতে পারবেন। এছাড়াও আরো কিছু লোকজন নিয়ে থাকে যেমন উচ্চ শিক্ষিত বা উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন লোকদের কেউ পর্তুগালের বিভিন্ন সময় নিয়ে থাকে। বিশেষ করে যেমন আইটি সেক্টরে বিভিন্ন গবেষক কাজের অভিজ্ঞতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এই ভিসায় যেতে পারবেন।

এছাড়াও পর্তুগাল বিভিন্ন ধরনের লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে যেমন সিজনাল কৃষি কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে, কনস্ট্রাকশনের কাজ, ওয়েল্ডিং লেবার সিকিউরিটি, গার্ডেনার ইত্যাদি ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে। আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গিয়ে এগুলোর কাজের যদি দক্ষতা থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। কোম্পানি যদি পছন্দ করে তাহলে জব অফ লেটার পাঠাবে সে অনুযায়ী ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে যেমন আপনার পাসপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমতা থাকতে হবে।

অনেকে জানতে চায় যে কাতার থেকে পর্তুগাল যেতে কি কি লাগে? আসলে কাতার থেকে যখন আপনি পর্তুগালে যাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক তথ্য জমা দিতে হবে। তাই চলুন কি কি ডকুমেন্টগুলো লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাতার থেকে যদি আপনি কাজের ভিসা অথবা ব্যবসা ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং প্রমাণপত্র দিতে হবে। তবে যে সকল কাগজ আপনার লাগবে তা নিম্নর আলোচনা করা হলো অবশ্য আপনার কাতারে যে কাজ করছেন তার বৈধ কাগজপত্র লাগবে এবং সর্বনিম্ন ১ বছর সেখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া আপনি যে কাজের জন্য যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন সেখানে সেই কাজের লোক নেবে কিনা সেটা আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং সেই কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।

আপনার সকল ডকুমেন্টস গুলো আবেদনের সাথে আপলোড করে দিতে হবে। এছাড়াও কাতারের পাসপোর্টের মেয়াদ আপনার কমপক্ষে ১ বছরের থাকতে হবে। এছাড়া আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করছেন সেই কাতার কোম্পানিতে এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র লাগবে। তাছাড়াও কাতারের আপনার পুলিশের ভেরিফিকেশন এর প্রমাণপত্র থাকতে হবে। এছাড়াও পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে এই সকল কাগজপত্র গুলো এম্বাসিতে জমা দেবেন। এরপরে আপনি ভিসা আবেদন করে চলে যেতে পারবেন।

কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সঠিক আবেদন করতে হবে। তাই কাতার থেকে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে কাতার থেকে পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাতার থেকে পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ভিসা আবেদন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ১৫ দিন আগে আপনাকে আবেদন করা লাগবে এবং ভ্রমণ যদি করতে চান সে ক্ষেত্রে ১৪ দিনের আগেই আপনাকে ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়াও কাতার থেকে যখন আপনি পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে ৬০ দিন এর মত থাকতে পারবেন। এজন্য আপনি কাতারের দোহায় পর্তুগিজ দূতাবাস রয়েছে সেখানে যেতে হবে এবং সকল ডকুমেন্টস নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হবে, অনলাইনে আবেদন ও ফি পরিশোধ করা লাগবে।

কাতার থেকে অনেকেই পর্তুগালে যাচ্ছে d7 ভিসায়। তাই কাতার থেকে পর্তুগাল ডি7 ভিসা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে, তাহলে আপনি সহজ ভাবে যেতে পারবেন। চলুন, d7 ভিসা কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাতার থেকে পর্তুগালে d7 ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে ৯০ ইউরোর মত। ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। এছাড়াও এখানে পৌঁছানোর পরে আপনাকে পারমিটের জন্য আরো ৯০ ইউরো জমা দেওয়া লাগবে। এটা আপনি চেক বা মানি অর্ডার নগদ এর মাধ্যমেও পর্তুগিজ এম্বাসিতে জমা দিতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে যেমন ভ্রমণ করার স্বাস্থ্য বীমা থাকার ব্যবস্থা হোটেল বুকিং সকল কিছু বিমানের টিকিট বুকিং ইত্যাদি আপনাকে জমা দিতে হবে। তাছাড়া আপনি ভিসার জন্য বা দুই মাসের মত সময় পাবেন, এজন্য আপনার সম্পন্ন ভিসা বা সকল কিছু পারমিট পেতে ৪ মাসের মত সময় লাগবে।

অনেকে জানতে চায় যে কাজের জন্য পর্তুগাল দেশ কেমন? আসলে পর্তুগাল একটি ইউরোপীয় উন্নতশীল দেশ যেখানে কাজের জন্য ভালো পরিবেশ রয়েছে। চলুন, এদেশে কাজের পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পর্তুগাল যেহেতু একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুখী একটি দেশ, যেখানে বিভিন্ন প্রবাসীরা ভ্রমণ করতে আসে। এছাড়াও জীবন যাপন করছে তার মধ্যে এখানে কম খরচে ভালো জীবন যাপন করতে পারবেন। এ দেশে বিভিন্ন দেশের কর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থান করছে। যেখানে ভালো বেতন ভাতা উন্নত মানের জীবন যাপন করতে পারবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং খুবই সহজ। এ দেশটিতে প্রবাসীরা কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই যাচ্ছে পরবর্তীতে নাগরিকত্ব লাভের সুবিধা পায়, এছাড়াও সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি কাতার থেকে পর্তুগাল যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বৈধ উপায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এজন্য অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে এবং কাতারে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে হবে। এরপর আপনি পর্তুগালে যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি কখনোই কাতার থেকে ভিজিট ভিসায় সরাসরি পর্তুগালে যেতে পারবেন না।তাই কাতার থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ