বাংলাদেশ থেকে লাওস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ (সর্বশেষ তথ্য জানুন)

বাংলাদেশ থেকে অনেকে লাওস যায়, তবে লাওস যেতে কত টাকা লাগে? আপনি কোন ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে। চলুন, লাওস এর বিভিন্ন ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের লোকজন অনেকে লাওসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য যায়। প্রতিবছর লাওসের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিয়ে থাকে। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে লাওস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ (সর্বশেষ তথ্য জানুন)

লাওস যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে অনেকে লোক লাওসে যায়। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিসা রয়েছে, তাই ভিসার দামও ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। চলুন, লাওসের ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায় যাক।

সাধারণত লাওসে ভিসা আবেদন করার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে ই ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ই ভিসা ফি প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো লাগবে। তবে ভিসা ফি এর সাথে সার্ভিস চার্জ দেওয়া লাগবে, সব মিলে আরো একটু বেশি খরচ হবে। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করবেন। এই ভিসা প্রসেসিং করতে ৩ থেকে ৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের জন্য সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করবেন। বর্তমানে ই ভিসার মাধ্যমে লাওসের ভিসা আবেদন করে থাকে।

লাওসে যেতে পূর্বে অন এরাইভাল ভিসা করা লাগত। এতে অনেক সময় লাগতো এবং ঝামেলা সৃষ্টি হতো। এছাড়াও এয়ারপোর্টে গিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো কিন্তু ই ভিসা করার কারণে এই ধরনের সমস্যা হয় না। বাংলাদেশ থেকে লাওস যাওয়ার জন্য বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। তাই আগে থেকে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। তবে যদি আপনি আগে থেকে টিকেট করতে পারেন, তাহলে অনেক খরচ কমে যাবে। আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে লাওস বিমানে যাবেন, সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া হবে ৬৫ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত। তবে অনেক সময় কম বেশি হতে পারে।

লাওসে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিমান থাকে, তাই বিমানের সার্ভিসের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হতে পারে। তবে আপনি ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে গেলে ১ লক্ষ থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তবে একটু কমে যেতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলোর অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা আগে থেকে যদি টিকিট বুকিং করে রাখতে পারেন, তাহলে অনেক খরচ কমে যাবে। মাঝে মাঝে টিকিটের দাম কম বেশি হয়। যখন দেখবেন কম দাম সেই সময়ে টিকিট করে রাখতে পারেন। এতে টিকিটের দাম অনেক কম পাবেন।

আপনি যখন লাওস ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যাবেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আপনি যদি ভালো বিলাসবহুল হোটেলে থাকার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে। তবে আশে পাশে খোঁজ নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে ভালো মানের হোটেলে কম খরচে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা পেতে পারেন। আপনি যদি মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে চান, তাহলে প্রতি রাত্রিতে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। যদি এর চেয়ে আরো ভালো মানের হোটেলে থাকার পরিকল্পনা করেন, সে ক্ষেত্রে প্রতি রাতে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
তাছাড়া কম দামের কিছু রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে খাবারের দাম খুবই কম এক্ষেত্রে এক বেলা খাওয়ার খরচ হবে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার মতো। লাওসের খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়, তাছাড়া দাম কম হয়ে থাকে। শুধুমাত্র বিমান ভাড়া এবং থাকা খাওয়ার বিষয় যে খরচ হবে তা কিন্তু নয়। এছাড়াও আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ হয়, এতে আপনার আরো কিছু টাকা খরচ হতে পারে। তাছাড়া যদি লাওস এর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন, সে ক্ষেত্রে বাসের মাধ্যমে যেতে পারেন অথবা বিভিন্ন পরিবহন রয়েছে তার মাধ্যমে গেলে দিনে প্রায় ৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

এছাড়াও যদি দেশটিতে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন স্পট রয়েছে যেখানে ঘুরতে গেলে কিছু টাকা-পয়সা লাগে। সে ক্ষেত্রে কতগুলো স্পটে অংশগ্রহণ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে খরচ। দিনে প্রায় ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তাই আপনি যদি মোটামুটি এক সপ্তাহ থাকার পরিকল্পনা করেন, সেক্ষেত্রে ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া এবং সকল কিছু মিলে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। আপনার ভ্রমণের উপর নির্ভর করবে কত টাকা খরচ হবে। আপনি যত ভ্রমণ করবেন তত বেশি টাকা খরচ হবে।

তবে আপনি যদি বিভিন্ন কাজ করার জন্য লাওস যেতে চান তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা লাগবে। কাজের ভিসায় গেলে আপনি ১ বছর কাজ করতে পারবেন। এরপর পুনরায় ভিসা রিনিউ করা লাগবে। সরকারী ভাবে লাওসে যেতে খরচ কম হবে। সরকারিভাবে কাজের ভিসায় যেতে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে বেশি খরচ হবে, এক্ষেত্রে খরচ হবে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির খরচের উপরে। এছাড়া আপনার যদি লাওসে কোন আত্মীয় স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে ২ লাখ টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন।

আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান তাহলে প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত মনে করলে তারা আপনাকে ভর্তির জন্য অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। সে ক্ষেত্রে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে, এজন্য ভিসা ফি খরচ পড়বে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে, সব মিলিয়ে খরচ হবে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মতো।

লাওস কাজের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় লাওস যায়। তবে লাওস কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, লাওস কাজের ভিসা যাওয়ার জন্য কি করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অনেক লোকজন লাওস বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চায়। তবে আপনি যদি লাওস কাজের জন্য ভিসা করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা লাগবে। তাহলে আপনি এ দেশে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে পারবেন, পর্যটন গাইড হিসেবে, কৃষি , কনস্ট্রাকশনের কাজ, এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা আছে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাধারণত নির্মাণ বা বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করে থাকে। আবার কৃষি কাজের জন্য বাংলাদেশের লোকজন বেশি যায়। কেননা এই কাজের অনেক চাহিদা আছে।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ লাওসে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যায়, সে ক্ষেত্রে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেও বিভিন্ন প্রকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে লাওসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করেন, সেক্ষেত্রে ১ বছরের মত থাকতে পারবেন। এরপর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আবার রিনিউ করতে হবে। এছাড়া লাওসে বিভিন্ন ধরনের সিজনাল কাজ রয়েছে সে কাজের উপরে ভিসা করে যেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের জন্য কাজ করলেও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া বেলারুশ যেতে পারেন এখানে বিভিন্ন কাজ রয়েছে এবং অনেক টাকায় বেতন পাবেন।

লাওস কোন কাজের চাহিদা বেশি

লাওসে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই লাওস কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সেই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিসা করলে অভিজ্ঞতার কারণে অনেক টাকা বেতন পাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যেহেতু উন্নয়নশীল একটি দেশ যার কারণে কনস্ট্রাকশন কাজের চাহিদা আছে। এছাড়া প্লাম্বার বা ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের চাহিদা আছে। লাওসে বিভিন্ন ধরনের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট আছে, তাই রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানির ক্লিনার কাজের লোক নিয়ে থাকে তাই এই কাজের অনেক চাহিদা আছে। এছাড়া কুক বা রাধুনী, গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ফুড প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রেও শ্রমিক, কোম্পানির ফুড ডেলিভারি ম্যান এর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজের চাহিদা রয়েছে।

লাওস ভিসার জন্য কি কি লাগে

লাওস ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু কাগজপত্র লাগে, তাই লাওস ভিসার জন্য কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, যে প্রয়োজনেনীয় কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লাওস ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ রয়েছে। সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি দেওয়া লাগবে। লাওসে ভ্রমণ করতে হলে হোটেল বুকিং আমন্ত্রণ পত্রের প্রমাণপত্র লাগবে। তাছাড়া ফিরতি বিমানের টিকিট বুকিংও জমা দেওয়া লাগবে। ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে অবশ্যই ব্যাংকে ব্যালেন্স থাকতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে। তাছাড়া মামলা আছে কিনা সেটা প্রমাণপত্র হিসেবে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।

লাওস বেতন কত

লাওসে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং বেতন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে, তাই লাওস বেতন কত? আসলে বেতন নির্ভর করবে আপনি কি কাজ করবেন তার উপর। চলুন, লাওসের বেতন বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

উন্নত রাষ্ট্র কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই লাওসে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। তাই অবশ্যই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লাওসে গেলে বেশি বেতন পাবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে কাজের দক্ষতা নিয়ে গেলে অনেক টাকা বেতন পাবেন। তাই চলুন, লাওসের বেতন সম্পর্কে জানা যাক। যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্ট বা ট্যুর গাইড হিসেবে জব করেন, তাহলে মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এছাড়া যদি কৃষি কাজ করেন, বিশেষ করে ধান চাষ এবং ফল বাগানের কাজ করে, তারা মাসে ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

যদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা থাকে, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষকদের অনেক চাহিদা আছে। তাই যদি লাওসে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে পারেন, তাহলে মাসে বেতন হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে মাসে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার উপরে। যদি আইটি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। যদি লাওসে যেতে পারেন তাহলে অন্যান্য দেশ যেমন সৌদি আরবের তুলনায় বেশি বেতন পাবেন।

কিভাবে লাওসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়

অনেকে লাওসে স্থায়ী বসবাস করতে চায় কিন্তু এটা জটিল প্রক্রিয়া। তাই কিভাবে লাওসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়? এজন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। চলুন, স্থায়ী বসবাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি লাওসে অনেকদিন যাবত কাজ বা চাকরি করেন, সেই ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক চাইলে আপনাকে সরকারের নিকট স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করার ব্যবস্থা করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার যে কোন কোম্পানিতে ৩ থেকে ৫ বছর কাজ করার বা বসবাস করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি যদি এখানে বড় ধরনের বাজেট নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চান সে ক্ষেত্রে ব্যবসা করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে, তাহলে আপনি এখানে স্থায়ী বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

আপনি যদি দীর্ঘদিন বসবাস করার পরে লাওসের স্থায়ী নাগরিককে বিয়ে করতে পারেন, তাহলে আপনি স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন এবং সরকার আপনাকে স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গ্রহণ বসবাস করার অনুমতি দেবে। এছাড়াও যারা বার্ধক্য রয়েছেন অর্থাৎ ৫৫ বছরের বয়সের বেশি, তারা স্থায়ী বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এদেশে গিয়ে অবসরকালীন সময় কাটাতে পারবেন। স্থায়ীভাবে নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে সামর্থ্য থাকতে হবে এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট প্রমাণ দেওয়া লাগবে।

লাওস দেশ কেমন

অনেকে জানতে চায় যে, লাওস দেশ কেমন? আসলে প্রত্যেকটা দেশের সৌন্দর্য নির্ভর করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর উপর। তাই লাওস এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন হবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন এদেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লাওস প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর এখানে অনেকে ভ্রমণ করতে যেতে চায় এবং প্রতিবছরে এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভ্রমন করতে আসে। লাওসে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়-পর্বত রয়েছে। তাছাড়াও অনেক বন জঙ্গল রয়েছে এখানে প্রচুর পরিমাণে হাতি দেখা যায়। এই দেশটিকে হাতির দেশ বলা হয়ে থাকে। এদেশের প্রায় মানুষ কৃষি উপর নির্ভরশীল। তাদের প্রধান খাদ্য ভাত, যার কারণে ধান চাষ করা হয়ে থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। লাওসের প্রধান রপ্তানিকারক ফসল হলো কফি। এদেশে কফির জন্য বিখ্যাত যা বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।

লাওস কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

লাওস কাজের ভিসা করার জন্য অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। বর্তমানে ই ভিসায় আবেদন করা লাগে। এক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। চলুন, আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
লাওসে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে, সেগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখবেন। আপনি প্রথমে এদেশের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করবেন, এছাড়া ভিসা আবেদনটি সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে। এরপরে আবেদন করা সম্পন্ন হয়ে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এ দেশের দূতাবাসের নিকট জমা লেওয়া লাগবে। এরপর আপনার আবেদন ও কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে। তারপর যদি সকল কিছুই সঠিক থাকে, তাহলে দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করার অনুমতি দিবে।

উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে লাওস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ (সর্বশেষ তথ্য জানুন)

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি কাজ করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা করার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তবে একটু জটিলতা রয়েছে, এক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগবে। এছাড়া খরচও বেশি হয়। যদি লাওসে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

লাওস যাওয়া সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

লাওস ই ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদনপত্রে তথ্য দিয়ে থাকেন এবং ডকুমেন্টস সঠিক থাকে, তাহলে ৩ থেকে ৫ দিনের মত সময় লাগতে পারে।

লাওসে কত দিন থাকতে পারবেন?

আপনি যদি পর্যটক বা ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৬০ দিন থাকতে পারবেন।

লাওস ভিসা প্রসেসিং করতে কত সময় লাগে?

দূতাবাসে আবেদন করার পর থেকে প্রায় ১৫ দিনের মত সময় লাগতে পারে।

লাওসে জীবন যাত্রার খরচ কেমন?

আপনি যদি এদেশে থাকা খাওয়া বাবদ মাসে খরচ হবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত।

লাওসে কাজের ভিসা ছাড়া কাজ করা যায়?

এদেশে ভিসা ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। এটা অবৈধ পন্থা এজন্য জরিমানা এবং জেলে যাওয়া লাগতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।