বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে? আসলে বাহরাইনের কাজের ভিসার দাম অন্যান্য ভিসার চাইতে একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই চলুন বাহরাইন যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বাহরাইন যাচ্ছে কেননা এ দেশের বেতন ভাতা বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে কাজের ভিসার দামও বেশি। তাই বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক বাহরাইন যায় তবে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে? হয়তো এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই বাহরাইনের ভিসার দাম সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাহারাইন বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে, তাই সেই সকল কাজের ভিসার দাম ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাছাড়া আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ হয় যেমন পাসপোর্ট তৈরি করা, বিমানের টিকেট, ভিসা আবেদন ফি, ভিসা তৈরি করা, এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে। যদি আপনি ভালো কোন কাজের ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হবে। তাছাড়া আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে যদি বেসরকারি বা কোন সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ৮ লক্ষ টাকার মত।
বাহরাইনে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকজন সাধারণত শ্রমিক হিসাবেই কাজ করতে যায়, সে ক্ষেত্রে বাহরাইনের বিভিন্ন ফ্যাক্টরি রয়েছে এই কাজের উপর যদি আপনি ভিসা করতে পারেন। তাহলে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়া আপনি যদি বাহরাইনের কোন কোম্পানির মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে খরচ খুবই কম হবে। আবার অনেকে বাহরাইনে ড্রাইভিং কাজের জন্য ভিসা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেই লাইসেন্স মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে।
অনেকেই বাহারাইনে ভ্রমণ করতে যায় এই ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে আপনার বাহরাইনের ৩০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৩০ দিনের জন্য যদি যান তাহলে আপনার ভিসা আবেদন ফি খরচ হবে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার মতো। এছাড়া আনুষঙ্গিক কিছু খরচ রয়েছে এবং আপনি যদি ৯০ দিনের জন্য যান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা আবেদন ফি ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকার মতো লাগবে। যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় ১৪ দিনের জন্য যান সে ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকার মত খরচ হবে। তাছাড়া সব কিছু মিলে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
অনেকেই বাহারাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য উদ্দেশ্যে বিজনেস ভিসা করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি এই ভিসায় ৩০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ভিসা আবেদন খরচ হবে ১৮ হাজার টাকার মত এবং আপনি যদি ৯০ দিনের জন্য বিজনেস ভিসা করেন সেক্ষেত্রে ২৭ হাজার টাকার মত লাগবে। তাছাড়া যদি ১৪ দিনের জন্য বিজনেস ভিসা করে থাকেন তাহলে ১৬ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তাছাড়া সব মিলিয়ে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। এছাড়া আপনার থাকা-খাওয়া প্রতিদিন খরচ ১ হাজার থেকে ২০০০ টাকার মতো।
বাহরাইন ভিসা কবে খুলবে
অনেকে জানতে চায় যে বাহারাইন ভিসা কবে খুলবে? আসলে এটা নির্ভর করবে বাহরাইন সরকার এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। তাই এ বিষয়ে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। চলুন, বাহরাইন ভিসা খোলার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
অনেকদিন আগে থেকে বাহরাইন বাংলাদেশের লোকজনের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত বাহরাইন যেতে পারছে না। তাই মানুষ বাহারাইনে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে না, কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কাজ করার জন্য যায় অথবা ভ্রমন করার জন্য গিয়ে থাকে। তাই ভিসা যেন আবার খুলে সে সম্পর্কে অতি আগ্রহ রয়েছে কিন্তু তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সরকার অনুমতিতে এজেন্সির মাধ্যমে জানতে হবে। তাছাড়া এ দেশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জানতে পারবেন।
বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বাহারাইন যায়, তবে বাহারাইন ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা বাহারাইনে যদি আপনি অবৈধভাবে চান সে ক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হবেন। তাই চলুন, বৈধভাবে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাহারাইনে সহজ ভাবে যেতে চান বা কম খরচও যেতে চান সে ক্ষেত্রে সরকারি মাধ্যমে যেতে পারেন। এর মাধ্যমে গেলে নিরাপদে যেতে পারবেন। তাই বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে একাউন্ট করতে হবে এবং চাকরির সার্কুলার অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে বাহারাইন যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি হবে। কেননা সকল কাজ কর্ম তারাই করে দেবে এছাড়া আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে।
বাহারাইন আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, হজ বা উমরার ভিসা, স্টুডেন্ট, পারিবারিক, বিজনেস, ভিজিট ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। তাছাড়া আপনাকে বাহারাইনে যেতে হলে অবশ্যই কোম্পানির জব অফার লেটার লাগবে। এরপরে নিজে নিজে যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ কম হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার কিছু বৈধ কাগজপত্র লাগবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট লাগবে, জাতীয় পরিচয় পত্র, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি কাগজপত্র বাহরাইনের দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
বাহরাইন কাজের বেতন কত
বাহরাইন বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তাই বাহারাইন কাজের বেতন কত? আসলে বিভিন্ন কাজের বেতন ভাতা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করে থাকে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যেক দেশেই সাধারনত অভিজ্ঞ এবং দক্ষতা লোকজনের মূল্যায়ন করে থাকে। তাই আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তাহলে বেশি টাকার বেতনে চাকরি পাবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাধারণত কাজের জন্যই বাহরাইনে যায়। সে ক্ষেত্রে কাজের ভিসায় যখন যাবেন তাহলে অভিজ্ঞতা নিয়েই যাবেন। তবে একটি বিষয় সতর্কতা হল এজেন্সিরা সাধারণত একটা কাজের কথা বলে অন্য কাজে নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই চেষ্টা করবেন নিজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে কোম্পানির চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পরে যাবেন।
সাধারণত বাহরাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে যেমন কনস্ট্রাকশনের কাজ, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, ড্রাইভিং এর কাজ প্রচুর পরিমাণে চাহিদা থাকে। তাছাড়াও এগুলো কাজের বেতন ভাতা অনেক বেশি। যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশী টাকা হিসেবে মাসে প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মত বেতন পেতে পারেন। তাছাড়া অনেকেই হোটেল বা রেস্টুরেন্টের, বাগানের, রোড ইত্যাদির ক্লিনার কর্মী হিসেবে কাজ করে, সেক্ষেত্রে প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়।
বাহরাইনে অনেকেই রান্নাবান্না কাজের জন্য শেফ নিয়ে থাকে সে কাজে যেতে পারেন। এছাড়াও শপিংমলের চাকরি করতে পারেন, বাসা বাড়ির কাজ ও কৃষি কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এই বিষয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারাও মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত বেতন পায়। তবে ওভারটাইম যদি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো ১০ হাজার টাকা বেশি পাবেন। এদেশে সাধারণত ৮ ঘন্টা ডিউটি করা লাগে, এছাড়া আপনি ওভার টাইম করে অতিরিক্ত টাকা পাবেন। তাছাড়া ভালো কোম্পানি হলে উৎসব ভাতা এবং বাড়িতে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থাও তারা করে দিতে পারে।
বাহরাইনে গোল্ডেন ভিসা
যারা দীর্ঘস্থায়ী ভাবে থাকতে চায় তাদের জন্য গোল্ডেন ভিসা করতে হবে। তাই বাহরাইনের গোল্ডেন ভিসা মাধ্যমে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি এই ভিসা করতে পারেন। তাহলে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি পাবেন।
এদেশের এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে তার মধ্যে আপনি যদি বাহরাইনের দীর্ঘদিন যাবত কাজ করেন। বিশেষ করে মাসে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত ইনকাম করছেন। তারাই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া যারা বাহরাইনের ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এবং অনেক টাকার রয়েছে, তারাও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ লাখ ডলারের মালিক হতে হবে এবং তাছাড়া যারা দীর্ঘদিন যাবত এই বাহারাইনে বসবাস করছে, তারা বাহরাইনের এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যারা বিজ্ঞানী, ক্রিকেটার, শিল্পপতি উদ্যোক্তা অনেক মেধাবী রয়েছেন তাদেরও এই ভিসার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি যোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে বাহরাইনের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস জমা দিবেন। এছাড়া আবেদন ফি দিতে হবে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ ডলারের মত। এরপর আপনার সকল কিছু সঠিক হলে ভিসা প্রসেসিং হতে ১০ দিনের মত সময় লাগবে। এরপরে ভিসা ফি দিতে হবে ৮০০ ডলারের মত। এছাড়া আপনি পরবর্তীতে আপনার স্ত্রী এবং সন্তান বাবা-মা অনেকে নিতে পারবেন।
বাহরাইন কাজের ভিসা
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কাজের জন্য যায়। তাই বাহারাইন কাজের ভিসা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনি সহজ এবং বৈধভাবে যেতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাহরাইন কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। এই কাজের ভিসার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে যে কাজটি আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা আছে সেই কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসা করবেন, তাহলে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। তবে বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সি আপনাকে প্রলোভন দেখাতে পারে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। যে কাজের কথা বলে আপনাকে বাহরাইনে পাঠাবে কিন্তু পরবর্তীতে অন্য একটি কাজে দেওয়া হয়েছে। এতে আপনি বিপদের সম্মুখীন হবেন এবং ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন।
আপনি কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য বাহারাইনের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করবেন। এরপর জব অফার লেটার পেলে ভিসা আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ বহন করবেন। এতে অনেক টাকা কম পাবেন এবং নিরাপদে যেতে পারবেন। তাছাড়া যদি আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন তাহলে খরচ কম হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আর এজেন্সির মাধ্যমে বাহরাইন গেলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষজ সাধারণত শ্রমিক হিসেবে নির্মাণ কাজে,কৃষি কাজ, ক্লিনার ইত্যাদি কাজের জন্য যায়।
বাহরাইন কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাহরাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে বাহরাইন কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে। তাহলে বাহরাইনে বেশি বেতনের চাকরি করতে পারবেন। চলুন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জন বাহরাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। যেমন কনস্ট্রাকশনের কাজ, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, হোটেলের ক্লিনার, রোড ক্লিনার, গ্লাস ক্লিনার, শপিং মলের কর্মচারী, বাসা বাড়ির গৃহিণী, কৃষি কাজ ড্রাইভার ইত্যাদি কাজগুলোতে আপনি যেতে পারেন। এগুলো কাজের চাহিদা বেশি। তবে এ সকল কাজে যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বেশি বেতনের চাকরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। এরপরে যদি জব লেটার পান, তাহলে নির্দিষ্ট কাজের উপরে যেতে পারবেন।
বাহরাইন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাহরাইন যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কাগজপত্র ডকুমেন্টস লাগবে। তাই বাহরাইন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বাহরাইন যাওয়ার জন্য যে কাগজপত্র ও ডকুমেন্টসগুলো ও কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে আবেদন করে থাকেন, যখন সকল কিছু ঠিক থাকবে সে ক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস গুলো বাহরাইনের দূতাবাসে জমা দিতে পারেন। তাহলে আপনার সুবিধা হবে, যেভাবে আবেদন করবেন অবশ্যই আপনার আবেদনের জন্য ই ভিসা পোর্টাল ভিজিট করা লাগবে। সেটা পূরণ করবেন আবেদন ফি জমা দেওয়া লাগবে, এছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো স্ক্যান করে আবেদনপত্রের সাথে আপলোড করে দিবেন। এরপরে দূতাবাস আপনাকে সাক্ষাৎকার নেবে।
আপনার ভিসার জন্য যে কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সব ভিসার ক্ষেত্রে কাগজপত্র কম বেশি হতে পারে, তারপরেও কাজের ভিসার ক্ষেত্রে বা ভ্রমণ স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রায় কাছাকাছি যে কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো তুলে ধরা হলো; কমপক্ষে আপনার ৬ মাস মেয়াদ আছে এরকম বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। এছাড়াও রঙিন ছবি লাগবে, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং ড্রাইভিং যদি ভিসা করেন সে ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার দিতে হবে।
ঢাকা টু বাহরাইন বিমান ভাড়া
আপনি বাংলাদেশ থেকে যখন বাহরাইনের বিমানে যাবেন, সেই ক্ষেত্রে ঢাকা টু বাহরাইন বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানা থাকলে সুবিধা হবে। চলুন, কোন বিমানে কত টাকা খরচ সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপনি বাংলাদেশ থেকে যদি বাহরাইনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যান সেক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া হবে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়া আপনি যদি এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়াও কাতারে বিমানের মাধ্যমে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ৭৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আপনি যদি কুয়েতে এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে বাহরাইন যান সেক্ষেত্রে ৬৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
তাছাড়া আপনি যদি জাজিরা এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে বাহারাইন যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৬৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এছাড়াও ফ্লাই দুবাই এই বিমানের মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এছাড়াও গালফ এয়ার এই বিমানের মাধ্যমে বাহারাইন যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৫৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তাছাড়া আপনি যদি বিজনেস ক্লাসের বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আরো ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেশি লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যাওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন করা হয় (FAQ)
বাহরাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে?
সাধারণত আপনি যদি কাজের ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে ২১ বছর থেকে ৬০ বছরের মতো বয়স লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত এদেশের দূরত্ব ৪০০৬ কিলোমিটার এর মতো।
বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে এদেশে যাওয়ার জন্য ভালো ফ্লাইটের মাধ্যমে গেলে বিরতি না দিলে সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ ঘন্টার মত সময় লাগবে। আর যদি ট্রানজিট ফ্লাইট হয় সে ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১২ ঘন্টার মত সময় লাগবে।
বাহারাইন ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ৩২২ টাকার মত প্রায়। কম বেশি হতে পারে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই বাহরাইন কাজের জন্য যায়, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিসার দামের ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। তবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে বাহরাইনের কাজের ভিসার ক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হবে। সেক্ষেত্রে আপনি কিভাবে গেলে কম খরচ হবে এর সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার ভিসা খরচ অনেক কমে হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url