প্রবাসীদের জন্য কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা ও নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ
প্রবাসীরা বিদেশি মেয়েদেরকে বিবাহ করতে চায় কিন্তু কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ? এ সম্পর্কে অনেকে জানেনা। চলুন, যে সকল দেশের মেয়েদেরকে সহজ শর্তে বিয়ে করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিবাহ পদ্ধতি খুবই সহজ এবং প্রবাসীদেরও বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে প্রত্যেক দেশের কিছু আইন ও শর্ত থাকে। তাই কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রবাসীদের জন্য কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা ও নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ
কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ
প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশের মেয়েদেরকে বিবাহ করে থাকেন। তাই কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ? মূলত বিষয়টা এ রকম নয়। প্রশ্ন হল যে প্রবাসীরা যে দেশে বসবাস করছে ওই দেশের মেয়েদেরকে বিবাহ করা কতটা সহজ। সেই সকল দেশের বিয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কিছু দেশের বিয়ের জন্য আইন-কানুন একটু সহজ রয়েছে। বিশেষ করে প্রবাসীদেরকে বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে থাকে এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বিয়ে করা সহজ কোনো জটিলতা নেই অথবা সেই বরের কোন ব্যাকগ্রাউন্ড জানার প্রয়োজন নাই। তারা শুধু দেখবে যে দেশে বৈধভাবে বসবাস করছে কিনা এবং তাদের কিছু শর্ত থাকে বিবাহের জন্য সেই শর্তগুলো যদি পূরণ করতে পারে, তাহলে সে বিবাহ করতে পারবে। তাছাড়াও কিছু দেশে ধর্ম জাতীয়তা ইত্যাদি নির্ভর করে। চলুন প্রবাসীদের জন্য বিয়ের শর্ত ও যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডেনমার্কঃ এ দেশটি অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র যেখানে মানুষজন শান্তি প্রিয় ভাবে বসবাস করে। এদেশের বিবাহ প্রক্রিয়া খুবই সহজ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। এদেশের বিবাহ নিয়ম হল যদি কেউ ১০ থেকে ১২ দিন কারো সাথে থাকে সেক্ষেত্রে বিয়ে করতে পারবে। এর জন্য কিছু শর্ত থাকে যেমন তার ডকুমেন্টস হিসাবে পাসপোর্ট, জন্ম সনদ এছাড়াও জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সে যে অবিবাহিত তার একটি সার্টিফিকেট। এছাড়া পৌরসভায় বিয়ের জন্য লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবার বিয়ের নিবন্ধন করতে হবে ইত্যাদি শর্তগুলো আপনার মানতে হবে।
উরুগুয়েঃ এ দেশটিতে বিবাহ পদ্ধতি খুবই সহজভাবে হয়ে থাকে। এ দেশে মাস খানেক যদি আপনার কারো সাথে পরিচিত থাকে সে ক্ষেত্রেও বিয়ে করতে পারবেন। তবে সকল ডকুমেন্টস গুলো সঠিক ও বৈধ থাকতে হবে। এ দেশের নাগরিকদের সাথে অন্য দেশের লোকজনের বিয়ে করা যেতে পারে এবং এক্ষেত্রে খুবই সমাজব্যবস্থা সহানুভূতিশীল। তাই আপনি যদি এদেশে নারীদেরকে বিবাহ করতে চান সেক্ষেত্রে কিছুদিন এখানে বসবাস করতে হবে এবং কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস সকল কিছু যদি বৈধ থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ নরওয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত জানুন
ফিলিপাইনঃ ফিলিপাইনের মেয়েরা সাধারণত ভিন্ন দেশের মানুষ জনকে খুবই পছন্দ করে থাকে। সেক্ষেত্রে এদেশের সমাজ ব্যবস্থা খুবই সহজভাবে বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয়। বিদেশীদেরকে তারা পছন্দ করে থাকে বেশি। তাছাড়া এ দেশের ভাষা সাধারণত ইংরেজিতে কথা বলা যায়। তাই আপনার সাথে যদি তাদের ভালো যোগাযোগ থাকে এবং আপনার সঠিক কাগজপত্র ও বিয়ের যে নির্দিষ্ট ফর্ম রয়েছে সেগুলো পূরণ করে ১০-১৫ দিনের মধ্যে আপনি বিয়ে করতে পারবেন। তাছাড়া অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট, অবিবাহিত সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ ইত্যাদি লাগবে।
লাস ভেগাস যুক্তরাষ্ট্রঃ আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে লাস ভেগাস যুক্তরাষ্ট্রে এই অঞ্চলে বসবাস করেন। সে ক্ষেত্রে কিছু দিনের পরিচয় এর মধ্যেই আপনি সহজ ভাবে বিয়ে করতে পারবেন। যাকে ইনস্ট্যান্ট ম্যারেজ বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ম্যারেজ লাইসেন্স করতে হবে এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট এগুলো বৈধ থাকতে হবে। বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এগুলো সাধারণত সঙ্গে সঙ্গে আপনি পাবেন এবং বিয়ের ক্ষেত্রে কোন সাক্ষী বা অন্য কিছু লাগে না। খুব সহজ পদ্ধতিতে আপনি এই অঞ্চলটিতে বিবাহ করতে পারবেন।
ইন্দোনেশিয়াঃ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়ায় বিবাহ হয়ে থাকে। এখানে মুসলিম বেশি, যার কারণে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে তারা অনেকটাই পছন্দ করে থাকে। তাই আপনিও যদি এই ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমদেরকে বিবাহ করতে চান, সে ক্ষেত্রে খুবই সহজ পদ্ধতিতে বিবাহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই স্থানের ধর্মীয় রীতি নীতি ও এদেশের আইন খুবই সহজ। বিবাহের ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড অবিবাহিত সনদ এবং ধর্ম মুসলিম হতে হবে। এদেশে বিশেষ করে পর্যটন শিল্পে অনেকেই পরিচয় হয়ে বিয়ে করে ফেলে। তবে তাদের আইন শর্তাবলী মানতে হবে।
ওমানি মেয়েদের বিয়ে করার সহজ উপায়
বাংলাদেশের অনেক লোক ওমানে বসবাস করে, তাই ওমানি মেয়েদের বিয়ে করার সহজ উপায় সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে অতি সহজেই এদেশের মেয়েদেরকে বিবাহ করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে এদেশের বিবাহ পদ্ধতি সহজ সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশের সামাজিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ এবং শান্তিপ্রিয়। তাই অতি সহজেই আপনি দাম্পত্য জীবন শুরু করতে পারবেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোতে সাধারণত বিদেশি নাগরিকরা অনেকেই থাকেন। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা ওমানের মেয়েদেরকে বিয়ে করছে, তবে বিদেশীদের জন্য কিছুটা আইনে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বিদেশীদের বিবাহের বিষয়টি একটি জটিল প্রক্রিয়া হলেও বর্তমানে এখন সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে এ দেশের নারীরা খুব সহজে অন্য কোন দেশের নাগরিককে বিয়ে করতে পারে, সেক্ষেত্রে আগের মত আর কোনো অসুবিধা হয় না।
পূর্বে বিদেশি কোন নাগরিককে যদি বিবাহ করার আগ্রহ সৃষ্টি হতো সে ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া লাগতো। এছাড়াও বয়সের ক্ষেত্রে শর্ত ছিল তবে বর্তমানে অনেকটাই সহজতর করেছে এবং বিদেশীরা এদেশে বিবাহ করে। এই ক্ষেত্রে তারা অন্য দেশের লোকদেরও বিবাহ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে এবং খুবই সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। তবে বিদেশীদের ক্ষেত্রে এদেশের মেয়েদেরকে বিবাহ করলে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। ইসলামী শরীয়ত মতে বিবাহ করতে হবে এবং ইসলামের শরীয়তের আইন মানতে হবে। তাছাড়া এদেশে বিদেশি অর্ধেক মানুষ বসবাস করে।
কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়
এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বিয়ে করলে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। তাই বিশ্বের ৮টি দেশের মেয়েদের বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে আপনি জানলে সুবিধা হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা যাক।
অনেক বাংলাদেশী অথবা বিভিন্ন দেশের লোকজনেরা সুন্দর জীবন যাপন করার জন্য তারা বিদেশী মেয়েদেরকে বিবাহ করতে চায় অথবা বিবাহ করে নাগরিকত্ব পাওয়ার ইচ্ছা করে থাকে। সেক্ষেত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া একটি কঠিন বিষয়। তবে কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো দেশে বিবাহ করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় এবং সহজভাবেই পাওয়া যায়। সেরকম কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করা যাক। যে দেশে বিবাহ করার পরে নাগরিকত্ব পাবেন, তবে কিছু শর্ত থাকে তাহলো বৈধ পাসপোর্ট ও কাগজপত্র থাকতে হবে। এখানে কোন মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না।
আপনি যদি তুরস্কের কোন নারীকে বিবাহ করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার কিছু শর্ত থাকবে। তার মধ্যে এদেশে আড়াই লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে এবং সম্পত্তি কিনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এদেশের স্থানীয় কোন নাগরিককে যদি বিয়ে করতে চান তাহলে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এজন্য আপনাকে তুর্কির পাসপোর্ট থাকতে হবে, এছাড়াও এই দেশে যদি আপনি ব্যবসা বাণিজ্য করে উদ্যোক্তা হতে পারেন এবং এ দেশের জন্য বিনিয়োগ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি এদেশের নাগরিককে বিবাহ করে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ তবে খুবই ছোট মাল্টা। যেখানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা রয়েছে এবং সহজ পদ্ধতি হলো এদেশের কোন নারীকে বিবাহ করলে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। তার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে, এছাড়া অন্যান্য ডকুমেন্টগুলো যাতে থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি ৬ লাখ ইউরো যদি এদেশে বিনিয়োগ করেন, সেক্ষেত্রে আপনি নাগরিকত্ব পাওয়ার অগ্রাধিকার পাবেন। দেশটিতে আপনি যদি আড়াই লক্ষ ডলার এর সম্পত্তি কিনতে পারেন বা বিনিয়োগ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি এদেশের নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাবেন।
কলম্বিয়াতে বিবাহ করার মাধ্যমে আপনি নাগরিকত্ব পেতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনার সরকারি ফান্ডের দেড় লক্ষ ডলার জমা করতে হবে এবং এগুলো দেখাতে হবে। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, কলম্বিয়াতে আপনি স্থানীয় ছেলে বা মেয়েকে বিবাহ করার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। পরবর্তীতে তারা নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করবে। এতে আপনি সহজ পদ্ধতিতে বিবাহ করতে পারবেন। এছাড়াও ৩ লাখ ডলারের মত দিয়ে রিয়েল এস্টেট কিনতে হবে।
আপনি যদি স্পেনের নাগরিকত্ব পেতে চান, তাহলে স্পেনের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেন। তবে স্পেনের মেয়েদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু শর্ত ও আইন রয়েছে সেগুলো মানতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিয়ে করার কিছুদিন পরে আপনি নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ৫ লাখের ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এরপর বিবাহের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পর্তুগালের স্থায়ী ভিসার জন্য ও স্থায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য এদেশের নাগরিককে বিবাহ করে, তারা নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে। বিশেষ করে যারা আড়াই লক্ষ ইউরো বিনিয়োগ করে থাকে, এক্ষেত্রে তারা নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে।
বাংলাদেশিরা সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবে
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সৌদিতে বিভিন্ন কাজের জন্য যায়। তাই বাংলাদেশিরা সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবে কিনা। এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। চলুন, বাংলাদেশের লোকজন সৌদি আরবের মেয়েদেরকে বিবাহ করতে পারবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরবের আইন খুবই কঠোর যার কারণে অনেক নারীদের বিবাহ করার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায় এবং বয়স বেড়ে যায়। যার কারণে এ দেশের সরকার তারা বিবাহের ক্ষেত্রে সচেতন হয়েছেন এবং বিয়ের জন্য কিছুটা সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তাই বাংলাদেশের ছেলেরা সৌদি আরবের মেয়েদের বিবাহ করতে পারবে। তবে তাদের দেশের কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো আপনাকে পালন করতে হবে। এছাড়া সৌদি নারীরা বিভিন্ন দেশের ছেলেদেরকে বিবাহ করার অনুমতি পেয়েছে। তাছাড়া তারা বিবাহ করার পরে এদেশে কাজকর্ম করতে পারবে।
তবে বাংলাদেশের ছেলেরা এদেশের নারীদের বিবাহের ক্ষেত্রে সকল আইন কানুন মেনে রেজিস্ট্রি করে বিবাহ করবে। সে ক্ষেত্রে এদেশের পেনশন বেতন ভাতা সকল কিছুই সুযোগ সুবিধা পাবে। তবে সরকার প্রবাসীদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন চালু করেছে। কেননা এদেশের নারী-পুরুষ সবাই বিবাহ করে বয়সের পার্থক্য অনেক থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন দেশের ছেলেদের বিবাহ করলে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আরো একটি আইন পেশ করেছে সেটা হল স্বামী স্ত্রীর বয়সের ক্ষেত্রে ১৫ বছর এর বেশি পার্থক্য হওয়া যাবে না।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় ও বেতন কত
এছাড়াও এদেশের নারীকে প্রবাসীরা বিবাহ করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টস নিয়ে ম্যারেজ আইন অনুযায়ী তারা আবেদন করবে এবং রেজিস্ট্রেশন করবে। যারা এদেশের নারীকে বিবাহ করতে চায় সেক্ষেত্রে যেন কোন মামলার সাথে জড়িত না থাকে সেটার প্রমাণপত্র দেওয়া লাগবে। এছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যাধি না থাকে, যে সকল রোগ ব্যাধি একজনের থেকে আরেকজন ছড়ায় এ ধরনের রোগ পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যগত সার্টিফিকেট লাগবে। যদি সে বড় ধরনের রোগব্যাধি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে তাকে এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। সে বিবাহ করতেই পারবে না।
তাছাড়া প্রবাসীরা যদি এ দেশে বিবাহ করতে চায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ৫ হাজার সৌদি রিয়াল প্রতি মাসে আয় করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে এবং বৈধ ভাবে বাসস্থান বা বসবাস করার অনুমতি থাকতে হবে। এরপরে প্রবাসীর সকল কিছু তথ্য যাচাই বাছাই করে যখন তাকে বৈধ হিসেবে মনে হবে এবং উপযুক্ত হবে সেই ক্ষেত্রে সে বিবাহ করতে পারবে। বর্তমানে সৌদি আরবের আর সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের ১ ভাগ বিদেশী লোকজনই বসবাস করে থাকে। সেক্ষেত্রে যাদের বিভিন্ন শর্ত যদি সঠিক থাকে সে ক্ষেত্রে সৌদি নারীকে বিবাহ করার অনুমতি পাবে।
শেষ কথাঃ প্রবাসীদের জন্য কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি প্রবাসী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ওই দেশের নারীকে যদি বিবাহ করতে চান, তাহলে নারীর সম্মতি আছে কিনা এবং আপনার অবৈধ কাগজপত্র আছে কিনা সেই সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করার পরে অনুমতি দিবে। তাই যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে বিবাহ করতে পারবেন। এছাড়াও কিছু দেশের নাগরিকতাও পাবেন তবে অবশ্যই এ বিষয়ে সকল কিছু সঠিক এবং বৈধ হতে হবে। তাই কোন দেশের মেয়েদের বিয়ে করা সহজ? এ সম্পর্কে আজকের এই লেখাতে বর্ণনা করা হয়েছে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url