বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫
সাইপ্রাসের ভিসার দাম সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে? আসলে সাইপ্রাসে বিভিন্ন ভিসা রয়েছে, তাই ভিসার দামও ভিন্ন হয়ে থাকে। চলুন, সাইপ্রাসের ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অনেক লোক সাইপ্রাসে যাচ্ছে, তাছাড়া প্রতিবছর সাইপ্রাসে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই জন্য ভিসার দাম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে
সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, তাই বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। তাহলে সাইপ্রাস ভিসার খরচ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। চলুন, সাইপ্রাস ভিসার খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের ভিসায় মানুষ কাজ করতে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকজন সাইপ্রাসে মৌসুমী ভিসা যায়। এই ধরনের কাজের জন্য সাইপ্রাস বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে হোটেলের কর্মী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ক্লিনার, ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক যেমন ফুড প্যাকেজিং, ফুড ডেলিভারি ম্যান, কনস্ট্রাকশনের কাজ, ড্রাইভিং ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদা আছে, তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে। তাই আপনি সিজনাল ভিসা বা ননসেজনাল ভিসা এর মাধ্যমে যেতে পারবেন।
আবার অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য সাইপ্রাসে যায়, বিশেষ করে ছোটখাটো ফলের দোকান অথবা কৃষি কাজের জন্য দেখা যাচ্ছে রাস্তায় শাকসবজির দোকান নিয়ে বসে। এই ধরনের কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাজের ভিসা করতে হবে। এজন্য দুই ধরনের ভিসা নেওয়া যাবে, সিজনাল ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা যাবে। এই ভিসা করার জন্য সাধারণত সিজনাল ভিসার ক্ষেত্রে ১ বছরের মত মেয়াদ পাবেন। যেখানে আপনার সরকারিভাবে গেলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
এছাড়া সাইপ্রাসে মৌসুম ছাড়াও অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন, এই ভিসার মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় রিনিউ করা যাবে। সাইপ্রাসে এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে গেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা হবে না, তবে অবশ্যই আপনার কাজের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি ভালো বেতনের জব করতে পারবেন, কেননা সাইপ্রাসের দক্ষ লোকজনকে বেশি বেতন দিয়ে থাকে এবং তাদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এই ধরনের নন সিজনাল ভিসার জন্য আপনার ভিসা খরচ হবে ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
এছাড়া আপনি যদি সাইপ্রাসে পড়াশোনা করতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকই স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে যায় কিন্তু পরবর্তীতে তারা কাজ করতে থাকে। কেননা ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগ আছে, সে ক্ষেত্রে অনেকেই হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং কৃষি কাজ বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করার সুযোগ পায়। তাই আপনি এই ভিসার মাধ্যমে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন এবং ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে। সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। তবে যদি স্কলারশিপ পান সে ক্ষেত্রে কম খরচ হবে।
আরো পড়ুনঃ লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় সাইপ্রাসে যান সে ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ সকল কিছু মিলে আপনার ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। এর মধ্যে আপনার আবেদন ফি, বিমান ভাড়া, হোটেল বুকিং, থাকা খাওয়া অন্যান্য খরচ সকল কিছু মিলে আপনার প্রায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাবে। তবে সাধারণত ৩ মাসের জন্য আপনি থাকতে পারবেন। এর বেশি থাকতে পারবে না, যদি আপনার কাজ করার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে অবশ্যই এই তিন মাসের মধ্যেই ভিসা পরিবর্তন করতে হবে এবং কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশের অনেক লোকজনই সাইপ্রাসে যায় সাধারণত কাজের জন্যই তারা বেশিরভাগ গিয়ে থাকে। অনেকে ভ্রমণ ভিসায়ও যায়, যারা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য যায় সে ক্ষেত্রে আপনার সকল কিছু খরচ মিলে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত লাগবে। তাছাড়া যদি আপনি কোন সরকারি মাধ্যমে যেতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। তাছাড়া যদি কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সাইপ্রাসে যেতে পারেন, তাহলে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে অথবা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যাওয়ার।
বাংলাদেশের অনেক লোকজন সাইপ্রাসে ভ্রমণের জন্য যায়, কেননা দেশটি দেখতে অনেক সুন্দর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। সেক্ষেত্রে যদি আপনি ভ্রমণ করতে যান তাহলে একটা আনুমানিক যে খরচ হতে পারে চলুন, বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক। বিমান ভাড়া ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মত লাগবে, এছাড়াও হোটেলে প্রতি রাত্রিতে আপনার খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো, অনেকের ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এটা নির্ভর করে আপনার থাকার উপরে।
তাছাড়া এখানে খাবার দাবারের মান অনেক ভালো, খুবই কম খরচে খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিবার খাবারের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। তাছাড়া ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে তবে আপনি চেষ্টা করবেন নিজে রান্না করে খাওয়ার। কেননা ভালো মানের রেস্তোরাতে বেশি টাকা খরচ হবে। এছাড়াও সরকারি ট্রান্সপোর্ট আছে যার মাধ্যমে আপনি যাতায়াত করতে পারবেন এবং যদি অন্য কোন ট্রান্সপোর্ট যাতায়াত করেন তাহলে দিনে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। এছাড়া টেক্সি বা গাড়ি ভাড়া, বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্পটে প্রবেশ মূল্য ২০০ থেকে ১০০০ টাকা।
সাইপ্রাস বেতন কত
সাইপ্রাসে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং বেতন ভাতা ভিন্ন রকম। তাই তাই সাইপ্রাস বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, সাইপ্রাসের কোন কাজের বেতন কেমন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।
সাইপ্রাস অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক উন্নত একটি দেশ। যেখানে কাজের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে এবং শ্রমিকদের বেতন ভাতা সঠিকভাবে দেওয়া হয়। এছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করে তারা বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে। এ দেশে প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী মজুরি দেওয়া হয়ে থাকে। পেশা এবং অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন ভাতা কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও এক স্থান পিছনে থেকে অন্য স্থানে বেতন কম বেশি হয়। তবে যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্রে বেতন ভাতা বেশি পাবেন। চলুন, কোন কাজের কত বেতন বিস্তারিত তুলে ধরা যাক।
আপনি যদি পেশাগত কাজের দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে বেতন ভাতা অনেক বেশি পাবেন। বিশেষ করে আইটি সেক্টরে যদি স্পেশালিস্ট হোন সে ক্ষেত্রে মাসে বেতন পাবেন ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া আপনি যদি প্রকৌশলী হন সে ক্ষেত্রে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়া একজন ডাক্তার প্রতি মাসে বেতন পেয়ে থাকে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। একজন আইনজীবী বেতন পান মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
এছাড়া সাইপ্রাসের একজন শিক্ষক সাধারণত বেতন পেয়ে থাকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত। একজন একাউন্টেন্ট অফিসার ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। একজন নার্স বেতন পান মাসে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা। তাছাড়া ব্যাংক কর্মী যারা রয়েছেন তারা বেতন পান মাসে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। হোটেল ম্যানেজারের মাসে বেতন ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা। রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার যারা রয়েছেন তারা বেতন পান ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত। এছাড়া নির্মাণ শ্রমিক যারা রয়েছেন তারা ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
এছাড়া যারা হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার বা কর্মী হিসেবে জব করেন, তারা সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পান এবং যারা বিক্রয় কর্মী রয়েছেন তারা সাধারণ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পায়। উপরোক্ত এই পেশাগুলোর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি বিষয়ে যারা চাকরি করেন অথবা ডাক্তার নার্স এবং শিক্ষক এদের সাধারণত বেতন ভাতা একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে যারা রেস্টুরেন্টের কর্মী ক্লিনার নির্মাণ শ্রমিক, ডেলিভারি ম্যান রয়েছে তারা বাংলাদেশের টাকা সাধারণত ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকার উপরে বেতন পেয়ে থাকে।
সাইপ্রাস কোন কাজের চাহিদা বেশি
সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তাই সাইপ্রাস কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার কাজের সম্পর্কে ধারণা পাবেন। চলুন, যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সাইপ্রাস বিভিন্ন ধরনের কাজ যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেও বেতন ভাতা কম বেশি হবে অথবা কাজের উপর নির্ভর করে আপনার বেতন ভাতা বেশি হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনার কাজের চাহিদার হিসেবে যে কাজগুলো গুরুত্ব বেশি যেমন রেজিস্টার নার্স, সফটওয়্যার ডেভেলপার অথবা টেকনিক্যাল কাজে ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল ইত্যাদি কাজের ক্ষেত্রে অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে যেমন প্রযুক্তিগত, স্বাস্থ্যসেবা হসপিটাল এর কাজ, নির্মাণ কাজ করা বা বিভিন্ন ধরনের কাজের ভালো চাহিদা থাকে। তাই এই সকল কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন।
আরো পড়ুনঃ মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
সাইপ্রাসে যে কাজগুলো সাধারণত উচ্চ বেতনের হয়ে থাকে সেগুলো আইটি সেক্টর বা দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাজ গুলোতে বেশি বেতন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে যেমন প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, মেকানিক্যাল, টেকনিশিয়ান, ফুড সার্ভিস, ট্রাক ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, প্লাম্বিং, কৃষি কাজ, ক্লিনার ইত্যাদি কাজগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। তাই আপনি এই সকল কাজগুলোতে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। এছাড়াও রেস্টুরেন্টের ওয়েটার কনস্ট্রাকশনের কাজ ইত্যাদি কাজগুলো দক্ষতা অর্জন করে যেতে পারলে বেশি বেতনের চাকরি করতে পারবেন।
সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কাজ করতে সাইপ্রাসে যায়। তাই সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ও অল্প সময়ের জন্য কাজের ভিসা করা যেতে পারে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সাইপ্রাসে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, আপনি যদি ভালো কোন চাকরি করতে চান সেক্ষেত্রে এদেশের ওয়েবসাইটে আবেদন করে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে জব অফার লেটার পেতে হবে। তাই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া লাগবে, আর এই ভিসায় গেলে পরবর্তীতে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন এবং পারমানেন্ট হতে পারবেন। তবে কাজের ভিসার পাওয়া কঠিন হয়ে যায়, সেই তুলনায় স্টুডেন্ট ভিসা অনেক পাওয়া যায় এবং টুরিস্ট ভিসা বেশি পাওয়া যেতে পারে। কাজের ভিসার ক্ষেত্রে ১ বছর থাকতে পারবেন। পরবর্তীতে আবার আপনি রিনিউ করবেন।
এছাড়াও আরো তিন ধরনের আপনি ভিসা করতে পারবেন, তার মধ্যে বিজনেস ভিসা, কর্মসংস্থান ভিসা, করতে পারবেন। তাছাড়া ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার বয়স হওয়া লাগবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর। এছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যেমন পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফরম, ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, জব অফার লেটার, আর্থিক সাপোর্ট হিসেবে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, কাজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে, জন্ম সনদ বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। উপরোক্ত এই সকল কাগজপত্র দূতাবাসে গিয়ে জমা দিবেন।
সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়
সাইপ্রাসে অনেকে বাংলাদেশ থেকে যেতে চায় তাই সাইপ্রাস যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি বৈধভাবে যেতে পারবেন এবং বৈধভাবে কাজ করলে নিরাপদে থাকতে পারবেন। চলুন, কিভাবে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।
বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই সাইপ্রাসে যেতে চায়, তবে অবশ্যই সঠিকভাবে এবং বৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে তার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে কাজের ভিসা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। তবে যদি বৈধভাবে কাজ করার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং কোম্পানির জব অফার লেটার অনুযায়ী ভিসা আবেদন ফি জমা দিয়ে সকল ডকুমেন্টসগুলো সাইপ্রাসের দূতাবাসের জমা দিবেন।
তাছাড়া আপনি সরকার অনুমোদিত যে কোন এজেন্সির মাধ্যমেও ভিসা প্রসেসিং করা থেকে শুরু করে কিভাবে যাবেন, কিভাবে চুক্তিপত্র পাবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনা করবেন। তাছাড়া বেতন কাঠামো কাজের সময় ওভার টাইম সুবিধা সকল কিছু বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করবেন। তারা যেন ব্যবস্থা করে দেয় আর যদি সকল কিছু না জানায় সে ক্ষেত্রে প্রতারণা সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের প্রতারণা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন, তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে অনেকেই টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসায় বৈধভাবে যাওয়ার পরে এই দেশে পরবর্তীতে কাজের ভিসা করে থাকে।
সাইপ্রাস থেকে কি ইতালি যাওয়া যায়
অনেকেই সাইপ্রাস থেকে ইতালিতে যায়। তাই সাইপ্রাস থেকে কি ইতালি যাওয়া যায়? সে ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো সঠিক তথ্য জানতে হবে, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। চলুন, কিভাবে ইতালিতে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাইপ্রাসে যাওয়ার পরে চিন্তা-ভাবনা করেন ইতালিতে পাড়ি জমাবেন। এক্ষেত্রে বেশি লোক যেতে পারে না, কেননা বৈধভাবে যেতে হলে অনেক কষ্ট হয়ে থাকে। এজন্য সাইপ্রাস থেকে যখন আপনি ইতালিতে যাবেন, সেক্ষেত্রে রেসিডেন্ট কার্ড লাগবে। আর তাছাড়া এদেশে বৈধ ভাবে আপনি যেতে পারবেন না অর্থাৎ পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট থাকে। সেটা আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে এবং এটা সাইপ্রাস থেকেই অর্জন করে নিতে হবে। তবে স্টুডেন্টরা অনেক সময় যদি ভালো রেজাল্ট করতে পারে সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়া যাবে।
সাইপ্রাস যেতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেকে সাইপ্রাস যাচ্ছে তবে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তাই সাইপ্রাস যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সুবিধা হবে। তাই সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য যে ডকুমেন্টস এবং কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রথম আপনাকে আবেদন করতে হবে, এরপরে সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে রেখে দিতে হবে। এছাড়াও ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। চলুন, সেই কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে জানা যাক; অবশ্য আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে, ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড দিয়ে পূরণ করবেন, পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, জব অফার লেটার, কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট, ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, মেডিকেলের রিপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।
সাইপ্রাস সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
সাইপ্রাস যেতে কত বয়স লাগে?
১৮ বছর বয়সের নিচে যেতে পারবে না, তবে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
সাইপ্রাস মুদ্রার নাম কি?
এ দেশের মুদ্রার নাম হল ইউরো।
সাইপ্রাস কি সেনজেন কান্ট্রি?
না, এটা সেনজেন ভুক্ত দেশ নয়।
সাইপ্রাসের ভাষা কি?
এ দেশের ভাষা দুইটি গ্রীক ভাষা অন্যটি তুর্কি ভাষা।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে। কোন ভিসার মাধ্যমে যাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে সে অনুযায়ী ভিসার দাম কেমন হবে। কেননা বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির ভিন্ন দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক সাইপ্রাসে কাজের জন্য যায় এক্ষেত্রে ভিসার দাম বেশি হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url