বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো ও বেতন বেশি পাওয়া যায়

বাংলাদেশের অনেক মানুষ জানতে চায় যে, ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো? আসলে আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে যে কোন দেশে গিয়েই ভাল কিছু করতে পারবেন। চলুন, ড্রাইভিং কাজে যেসব দেশে বেতন বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপ দেশগুলোতে যেতে পছন্দ করে। এজন্য অনেকেই এই দেশগুলোতে ড্রাইভিং কাজের জন্য যাচ্ছে। তাই ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো ও বেতন বেশি পাওয়া যায়

ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো

বাংলাদেশের অনেক লোকজন ড্রাইভিং ভিসায় বিভিন্ন দেশে যায়। তবে ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো? এ সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নেই। চলুন, যেসব দেশে ড্রাইভিং ভিসার অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং বেতন বেশি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার যদি ড্রাইভিং কাজের অভিজ্ঞতা এবং লাইসেন্স থাকে, তাছাড়া যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানা থাকে। তাহলে আপনি ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন এবং ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনাকে যেতে হবে। এছাড়া আপনার পূর্বে থেকে ড্রাইভিং এর দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তবে অধিকাংশ মানুষ ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে বেশি যেতে চায়, কেননা এদেশের বেতন ভাতা বেশি হয়ে থাকে এবং উন্নতমানের জীবন যাপন করা যায়।

ইউরোপের দেশগুলোতে এই কাজের অনেক মূল্যায়ন করে থাকে,সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। বিশেষ করে এই দেশগুলোতে অনেক মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে এবং অনেক টাকা বেতন পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির চাকরির অফার লেটার পেতে হবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ড্রাইভিং কাজে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করবেন। তাছাড়া কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স সকল কিছু দূতাবাসে জমা দিবেন। এরপরে কোম্পানি আপনাকে ইন্টারভিউ নিতে পারে, সকল কিছু যাচাই-বাছাই করার পরে ভিসা প্রসেসিং করে দিবে।

ইউরোপ কান্ট্রি ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন দেশগুলোতে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করতে পারেন। এরপরে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে। তারা যদি আপনাকে চাকরির অফার লেটার দেয়, সেক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা না হলে আপনি এদেশে যাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন না। আরো যত রকমের কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।

সাধারণত এটি একটি জনপ্রিয় পেশা এবং এই পেশায় অনেক বেতন দিয়ে থাকে। অনেক কোম্পানি ব্যক্তিগতভাবে ড্রাইভার রাখে অথবা কোন ব্যক্তির পার্সোনাল ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি তার সাথে ভালো সম্পর্ক করে তুলতে পারেন, তাহলে আপনি বেতনের পাশাপাশি আরো অনেক টাকাই পাবেন। তাছাড়া অনেক কোম্পানির সাধারণত ট্রাক, বাস, ডেলিভারি গাড়ি ইত্যাদি সকল গাড়ির জন্য ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশের অনেক মানুষ তারা এই ধরনের কাজের জন্য ভিসা করে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাধারণত বাংলাদেশের লোকজন বেশি গিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন ইত্যাদি দেশগুলোতেও আপনি ড্রাইভিং কাজে যেতে পারবেন। কেননা এই দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সুযোগ সুবিধা থাকে, বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকজন এই দেশগুলোতে বেশি গিয়ে থাকে। পরিবহন কাজের ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কখনোই নিয়োগ পাওয়া সম্ভব না, সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং পেশায় দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

তাছাড়া উন্নত মানের দেশগুলোতে সাধারণত ব্যক্তিগত ড্রাইভারদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে এবং বেতন ভাতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। অনেকে পরবর্তীতে এই পেশায় আসার পরে দেশগুলোতে বসবাস করার জন্য স্থায়ী নাগরিক হয়ে যায়। তবে অবশ্যই কখনোই মিথ্যা কোন তথ্য দিয়ে কোম্পানি গুলোতে জব নেওয়া যাবে না। তাছাড়া আপনি যে দেশে যান না কেন সেই দেশের ড্রাইভিং আইন নিয়মকানুন, ট্রাফিক চিহ্ন এই সকল সম্পর্কে জানতে হবে। আপনার যদি কোন পরিচিত লোক থাকে সেই সকল লোকের মাধ্যমে সকল নিয়ম কানুন জেনে নিবেন।

এছাড়া আপনার যদি ভাষা দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আরো বেশি সুবিধা পাবেন। তবে প্রথমত আপনি ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন, কেননা এটি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা, সারা বিশ্বে ইংরেজি ভাষায় কথা বলে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সতর্কতা থাকতে হবে। কেননা এই উন্নত দেশগুলো সাধারণত রোগ ব্যাধি বা সংক্রমণ রোগ যদি থাকে, তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে কোন কোম্পানিতে তাদের ওয়েব সাইটে আবেদন করবেন।

সরাসরি তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরির অফার লেটার নিতে হবে। দক্ষতার প্রমাণপত্র সহ দেখাতে হবে, তাছাড়া আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে উন্নতমানের দেশগুলোতে ড্রাইভিং পেশায় যেতে চান বা এটাই আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে গড়তে চান, সে ক্ষেত্রে আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে আপনি দেশগুলোতে ড্রাইভিং পেশায় যেতে পারবেন। তাই চলুন প্রত্যেকটা দেশের ড্রাইভিং ভিসার কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সৌদি আরব ড্রাইভিং ভিসা

বাংলাদেশের লোকজন সৌদি আরব সবচাইতে বেশি কাজ করতে যায়। তাই সৌদি আরব ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে আপনিও সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এদেশের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সৌদি আরবে সাধারণত ড্রাইভিং পেশায় প্রচুর লোক নিয়োগ থাকে। কেননা এখানে সবাই গাড়ির মাধ্যমেই যাতায়াত করে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ড্রাইভারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের লোকজন এ দেশে প্রচুর পরিমাণে ড্রাইভিং এর কাজে যাচ্ছে। তবে আগে থেকে আপনার অভিজ্ঞতা এবং লাইসেন্স ইত্যাদি থাকতে হবে, তাহলে ড্রাইভিং পেশায় জব করতে পারবেন। সৌদি আরবে এই পেশায় অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে, আপনি যদি কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন অধীনে ড্রাইভার হয়ে থাকেন। সেই পরিবারের সাথে আপনি ভালো সম্পর্ক রাখলে আপনার সুবিধা হবে।

তারা বেতনের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের হাদিয়া দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে একজন গাড়ির ড্রাইভারকে সাধারণত কপিলরা তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে, খাওয়াটা নিজের। তাই আপনি যদি ড্রাইভিং কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সৌদি আরবে ড্রাইভিং পেশায় যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এজন্য আপনার প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে সৌদি আরবে ড্রাইভিং পেশায় যেতে পারেন।

এ দেশে বাংলাদেশের যে ড্রাইভার গুলো রয়েছে তারা মাসে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ রিয়াল এর মত বেতন পায়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত হয়ে থাকে। তাছাড়াও যারা ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার চালায় তাদের ক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৪০০ রিয়াল এর মত বেতন পায়। তাছাড়া যারা নিজস্ব ড্রাইভিং করে সেই ক্ষেত্রে বেতন ভাতা আরো বেশি হয়ে থাকে। আপনি নিজেও কিন্তু ভাড়া চালিত গাড়ি হিসেবে ড্রাইভিং করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার কফিল ভালো হয় সেক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন।

কাতার ড্রাইভিং ভিসা

মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোর মধ্যে কাতার অন্যতম একটি উন্নত দেশ। তাই কাতার ড্রাইভিং ভিসা এর মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন। এতে আপনার বেতন ভাতা এবং অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। চলুন, কাতারের ড্রাইভিং কাজের ক্ষেত্রে কি গুরুত্ব দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
কাতারের বিভিন্ন কোম্পানীগণ তাদের নিজস্ব কাজের জন্য গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এতে বাংলাদেশের অনেক লোক আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তারা আবার বিভিন্ন লোকজন নিয়ে যাচ্ছে কেননা এ দেশের বেতন ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা অনেক রয়েছে। তাই আপনি ড্রাইভিং ভিসায় দেশটিতে যেতে পারেন, তবে অবশ্যই আগে থেকে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। তবে এই দেশটিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে যে ভিসা করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
আর যদি কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। যদি আপনি এদেশে ড্রাইভিং এর কাজ করেন সেক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল বেতন পাবেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত হবে। এছাড়া যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আরো বেতন বেশি পাবেন। অর্থাৎ ২ থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পাবেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টাকা হিসাব করলে ৮০ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।

অনেকেই হাউজ ড্রাইভার হিসেবে কাতারে যাচ্ছে তারা সাধারণত ১২০০ থেকে ১৪০০ রিয়াল মাসে পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের টাকা হিসাব করলে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। তাছাড়া দেশটিতে কাজের সময় নির্ধারিত রয়েছে ৮ ঘন্টার মত। এছাড়া আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে কোম্পানির পাশাপাশি অন্যদেরও কাজ করতে পারবেন। যদি তারা অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে আরো কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও তারা থাকার ব্যবস্থা করে দেবে খাবারটা আপনার নিজের টাকা চলতে হবে। তবে এ দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ড্রাইভিং ভিসা

আপনি যদি সংযুক্ত আরব আমিরাত ড্রাইভিং ভিসা করতে চান, সেজন্য এই দেশ সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে। এ দেশের ড্রাইভিং ভিসার যাবতীয় বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে। এ দেশের আইন-কানুন সকল কিছু জানতে হবে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ড্রাইভিং পেশার মধ্যে টেক্সি, বাস, ট্রাক এছাড়াও মালামাল বহনকারী গাড়ি ইত্যাদির জন্য তারা ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে থাকে বা বিভিন্ন কোম্পানির গাড়িও আপনি চালাতে পারেন। অনেকে ডেলিভারি ম্যান হিসেবে ড্রাইভার নিয়োগ দেয়, এক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৪০০ দিরহাম বেতন পাবেন। এছাড়া যদি আপনি কোন ব্যক্তি মালাকানাধীন গাড়ির ড্রাইভার হন সেই ক্ষেত্রে বেতন ১০০০ থেকে ১২০০ দিরহাম এর মত বেতন পাবেন। এছাড়া অনেকে হাউস ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ৮০০ থেকে ১০০০ দিরহাম এর বেতনের চাকরি করে থাকে।

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা

বাংলাদেশের অনেক মানুষ কুয়েতে যাচ্ছে এই পেশায়। তাই কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই কুয়েতের ড্রাইভিং কাজের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলেই আপনার এদেশে গিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানি অথবা ব্যক্তিগত কাজের জন্য অনেকেই ড্রাইভিং পেশায় নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে কারোর প্রাইভেট কার অথবা কোম্পানির বাস ট্রাক টেক্সি ইত্যাদি কাজের জন্য ড্রাইভার নিয়ে থাকে। তাই আপনিও বাংলাদেশ থেকে যদি এই পেশায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এতে আপনার খরচ একটু বেশি হবে, তারপরেও যদি আপনি নিজে অথবা ওই দেশে যদি কোন ড্রাইভার পরিচিত থাকে তাহলে তার মাধ্যমে গেলে কম টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ড্রাইভার এর মাধ্যমে যদি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। আপনি যদি কোন মালিকের অধীনে ড্রাইভিং করতে পারেন বা তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার চালান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কুয়েতি দিনার পাবেন। যা বাংলাদেশের টাকায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন ড্রাইভার কোন ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর জন্য যায় সে ক্ষেত্রে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।

ওমান ড্রাইভিং ভিসা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ওমান একটি অন্যতম দেশ যেখানে ওমান ড্রাইভিং কাজে যেতে পারেন। এতে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন। কেননা এই দেশটিতে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ওমান যদি আপনি ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আগে থেকে দক্ষতা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে ওমানে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করা খুবই সহজ অন্যান্য দেশের তুলনায়। এদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা খুবই সহজ এবং বেতন ভাতা বেশি দিয়ে থাকে। যদি আপনার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি মাসে ৫০ থেকে শুরু করে আসি ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
যদি সরকারিভাবে ওমানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত। এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে বা চাহিদা আছে। তাই আপনি যেতে পারেন তাছাড়া আপনি জব করলে এই ড্রাইভিং জব করলে সেক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত বেতন। এছাড়াও আরো বাড়তি কিছু ইনকাম রয়েছে যদি আপনার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা ভালো থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে তারা বেতনের বাড়িয়ে দিবে। তবে কোম্পানির কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন কম বেশি হতে পারে।

বাহরাইন ড্রাইভিং ভিসা

বাংলাদেশের অনেক মানুষ বাহরাইনের কাজের জন্য যাচ্ছে। তাই বাহরাইন ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন। এক্ষেত্রে যে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন নিম্নে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

বাহরাইন অনেকেই বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে তারা ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বাহরাইনে বিভিন্ন কোম্পানির ট্রাক বাস এর ড্রাইভার এর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে আপনিও এই কাজের জন্য যেতে পারেন। তবে আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অভিজ্ঞতা দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে এ দেশের কোম্পানিগুলো আপনাকে যোগ্য মনে করবে এবং ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি না কোন ড্রাইভিং পেশায় যান তাহলে মাসে প্রায় ২ লাখ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এবং খাওয়া-দাওয়া নিজের।

মালয়েশিয়া ড্রাইভিং ভিসা

আপনি যদি মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ড্রাইভিং ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। মালয়েশিয়ার ড্রাইভিং ভিসার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। বিশেষ করে ড্রাইভিং ভিসা অনেকে কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করছে অথবা ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে যোগ করছে। তাই মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের অনেক ড্রাইভিং ভিসায় যাচ্ছে বাংলাদেশের মালয়েশিয়া যত প্রবাসী রয়েছে তার মাঝে অধিকাংশই হলো বাংলাদেশি। ড্রাইভিংও বাংলাদেশের লোকজন অনেক দক্ষতা দেখিয়েছে। এজন্য মালয়েশিয়াতে অনেক কাজের সুযোগ সুবিধা থাকে তাছাড়া মাসে অনায়াসে ৭০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো ইনকাম করা যাবে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো ও বেতন বেশি পাওয়া যায়

পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিভিন্ন দেশের ড্রাইভিং কাজ করতে যাচ্ছে। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরিণত তাহলে আপনি উন্নত দেশগুলোতে গিয়ে অনেক টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন। এসব দেশগুলোতে ড্রাইভিং ভিসার গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং বেতন বেশি দিয়ে থাকে। সে সম্পর্কে এখন জানা উচিত। তাই ড্রাইভিং ভিসায় কোন দেশে যাওয়া ভালো? সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনারা পোস্টটি ভালো লাগবে আপনার বন্ধু বান্ধবের শেয়ার করবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url