নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা এবং এর পুরস্কার সম্পর্কে জানুন

অনেকে জানেনা নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে। তাই নামাজ সম্পর্কে তাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, নামাজ শারীরিক এবং মানসিক ক্ষেত্রে যে উপকার করে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
নামাজ আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে এবং মুসলমান হিসাবে প্রত্যেকেরই নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। তাই নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃনামাজ পড়লে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা এবং এর পুরস্কার সম্পর্কে জানুন

নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা

নামাজের কিছু উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন এবং এই গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। চলুন, নামাজ কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মুসলমান হিসেবে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো অবশ্যই আমাদের পালন করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ পড়া। যা আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। এই নামাজ পড়লে ইহকালীন ও পরকালীন অনেক উপকার রয়েছে। তার মধ্যে যেমন এই জগতে যত ধরনের খারাপ কাজ রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত রাখবে। তাছাড়াও ভালো কাজকর্ম করার প্রতি উৎসাহিত করবে। এতে মন মানসিকতা ভালো থাকবে, এছাড়াও এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারেন। এই জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার পাবেন। চলুন, বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

নামাজের মধ্যে বিভিন্ন কাজ করতে হয় কিছু কাজ রয়েছে আমাদের সুন্নত এবং কিছু ফরজ যেগুলো অবশ্যই আমাদের করতে হবে। সে সকল কাজগুলোর মাধ্যমে আমাদের শারীরিক অনেক উপকার হয়ে থাকে। যেমন নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে ওযু করতে হবে আর এই অজু করার কারণে আমাদের ত্বক পরিষ্কার থাকবে, এতে জীবাণু থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিবে। তাছাড়া চেহারায় লাবণ্যতা ফিরে আসবে এবং মুখে কোন স্পট থাকবে না। এরপরে যখন নামাজ পড়ার সময় দাঁড়াবেন তখন আপনার মন-মানসিকতা একাগ্রতার সাথে কাজ করবে।

নামাজ পড়ার সময় অবশ্যই আপনাকে রুকু সেজদা করতে হবে আর এজন্য যখন আপনি হাঁটু ভাজ করে রুকু করবেন, এক্ষেত্রে কোমর এবং হাটুর জয়েন্টের ব্যথা দূর হবে। এছাড়াও দ্রুত রক্ত চলাচল করবে, এই ক্ষেত্রে আপনার কোমর ব্যথা ও হাঁটু ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। যখন আপনি সিজদা করবেন সেই ক্ষেত্রে আপনার মাথা নিচু হওয়ার কারণে রক্ত চলাচল করতে থাকবে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকবে। তাছাড়াও যখন সিজদা দেওয়ার পরে দুই পা ভাঁজ করে বসবেন সেক্ষেত্রে আপনার হাঁটু কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

নামাজে শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো রুকু সেজদা থেকে দাঁড়ানো, এতে দেখা যাচ্ছে একপ্রকার সোজা হয়ে যখন দাঁড়াবেন এর কারণে আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যায়াম হয়ে যাবে। এভাবে দিনে পাঁচবার করলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। এরপরে নামাজের মধ্যে যখন সালাম ফিরাবেন সেক্ষেত্রে আপনার ঘাড় ও মাথা উভয় দিকে যখন ঘুরানো হবে এক্ষেত্রে ঘাড়ের ব্যথা থাকলে সেটা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। তাছাড়াও এই নামাজের সময় আপনাকে বিনয় হয়ে দাঁড়াতে হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নম্র ভদ্রতা শিখতে পারবেন।

নামাজ পড়ার সময় শরীর নড়াচড়া করে যার কারণে আপনার স্থলতা ডায়াবেটিস বা বড় ধরনের রোগ ব্যাধিগুলো থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। নামাজ পড়লে মানুষের দেহের ভারসাম্যতা বজায় ঠিক থাকবে, শারীরিক ব্যায়াম হওয়ার কারণে আপনার স্থূলতা থাকবে না। নামাজ পড়ার কারণে আপনার অবশ্যই প্রতিদিন অজু করতে হবে যার কারণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকতে পারবেন এবং দেহের চুলকানি বা এলার্জি এই ধরনের সমস্যা কম দেখা দিবে। আপনার শরীরে জীবাণু আক্রমণ করবে কম, এছাড়া আপনার চেহারায় লাবণ্যতা ফিরে আসবে।

যদি কোন মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারে সে ক্ষেত্রে মানসিক শারীরিক মনস্তাত্ত্বিক অস্থিরতা হার্ট অ্যাটাক, জয়েন্টের ব্যথা, ইউরক অ্যাসিড, পাকস্থলির আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস, গলা ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে। নামাজ পড়ার কারণে মানুষের মন ও মানসিকতা ভালো থাকে সে গুনার কাজ করতে ভয় পাবে। এছাড়াও হতাশা অস্থিরতা রিজিকের বিষয় নিয়ে টেনশন ইত্যাদি দূর হবে। মন-মানসিকতা বিশুদ্ধ থাকবে খারাপ কাজের প্রতি আগ্রহ থাকবে না। যার কারণে সে সুস্থ সবল থাকবেন।

আপনি নিয়মিত নামাজ পড়া করার কারণে আপনার মনের ভিতর প্রশান্তি সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনা মনোযোগী হবেন, কাজকর্ম করলে সে কাজের প্রতি বরকত আসবে, মনে শান্তি থাকে কাজ করে আনন্দ পাবেন। দৈনন্দিন যত ব্যস্ততা রয়েছে সকল কাজের ক্ষেত্রে প্রশান্তি পাবেন। কেননা মানসিক রোগ সব চেয়ে বড় রোগ, তাই মানসিক রোগ থেকে যদি মুক্তি পান সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের রোগে আক্রমণ করতে পারবে না। তাই মানসিকভাবে অশান্তিতে থাকলে নামাজ পড়তে পারেন। কেননা নবী করীম সাঃ সাহাবীদেরকে বলেছেন যদি তোমরা মনে প্রশান্তি চাও তাহলে নামাজ পড়।

গবেষণায় বলা হয়েছে যে যারা মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়ে তারা মানসিকভাবে অনেকটাই চাপমুক্ত থাকে। তাদের খারাপ কাজকর্মের চিন্তাভাবনা কম থাকে, তারা দুশ্চিন্তা করে কম এবং মানসিকভাবে সন্তুষ্টি থাকে। এজন্য যদি কোন ব্যক্তি দুশ্চিন্তা বা বিপদের সম্ভাবনা থাকে, দুঃখ, ঋণ ইত্যাদি ধরনের সমস্যায় থাকে, সেই ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আল্লাহ ধৈর্যশীল বান্দাদেরকে যেহেতু পছন্দ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কেননা মহান আল্লাহতালা ধৈর্যশীল ও নামাজী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

ফজরের নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

ফজরের নামাজের অনেক উপকারিতা আছে। তাই ফজরের নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেকের জানা নেই। চলুন, কিভাবে এই ফজরের নামাজ পড়লে শরীরে কিভাবে উপকার করবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ফজরের নামাজ সাধারণত সূর্য ওঠার পূর্বেই আমাদেরকে পড়তে হয়, সেক্ষেত্রে সকালবেলা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে। এক্ষেত্রে যদি ফজরের নামাজ পড়া যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের শারীরিক ব্যায়াম হয়ে যাবে। এতে আপনার ডায়াবেটিস বা বড় ধরনের রোগ ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও এই সময় নামাজ পড়ার কারণে মন ভালো থাকে, কেননা পরিবেশটাও সুন্দর শান্ত থাকে যার কারণে এ সময় আপনার মনের ভিতরে ভালো লাগবে এবং কাজ করতেও উৎসাহিত হবেন। তাছাড়া যদি কোন ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়লে তার সময়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।

ফজরের নামাজ যদি কেউ নিয়মিতভাবে পড়তে পারে সেই ক্ষেত্রে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে এবং রক্ত চলাচল দ্রুত হবে। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে এই সময়ে মন-মানসিকতা অনেক ভালো থাকে, ফজরের নামাজের পরে যদি কেউ কোন কাজ করতে বসে সেক্ষেত্রে মনোযোগ বেশি হয় এবং মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। ফজরের নামাজ যেহেতু ভোরবেলায় পড়তে হয় সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে পছন্দ করে থাকেন এবং তার এবাদত কবুল করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কোন ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দিবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের উপকারিতা

তাহাজ্জুতের নামাজ অনেক গুরুত্ব তাই তাহাজ্জুদ নামাজের উপকারিতা রয়েছে। এ সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে অনেক উপকার পাবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
তাহাজ্জুতের নামাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কেননা এটা গভীর রাত্রিতে সাধারণত পড়া হয়ে থাকে, তবে অনেকে মনে করেন যে মাঝ রাতেই উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে হবে, তা কিন্তু নয় আপনি ফজরের নামাজ পড়ার একটু পূর্বে উঠেই তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে পারেন অথবা এশার নামাজের একটু পরেও কিন্তু এই নামাজ পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। মোট কথা একাগ্রতার সাথে রাত্রিতে মহান আল্লাহর কাছে আপনি আপনার জীবনের যত দুঃখ দুর্দশা ইত্যাদি দূর করার জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। কেননা মহান আল্লাহতালা এই সময়ে বান্দার প্রার্থনা কবুল করে থাকেন।

মহান আল্লাহতালা এই সময়ের এবাদত অনেক পছন্দ করে থাকেন। কেননা এ সময় মহান আল্লাহতালার ঘনিষ্ঠ এবং নিকটবর্তী যাওয়া যায়। আল্লাহ তালার নিকট গভীর মনোযোগের সাথে মনের কথা বলা যেতে পারে, এই ক্ষেত্রে আপনার তাহাজ্জতের নামাজ পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ তা'আলা এই সময়ে বান্দার একদমই নিকটে চলে আসেন। যার কারণে তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। যদি কেউ নিয়মিত ভাবে মহান আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে প্রার্থনা করে, তার যত ধরনের বিপদ রোগব্যাধি এবং দুঃখ দুর্দশা সকল কিছু দূর করে দিবেন।

নামাজের দুনিয়াবি উপকারিতা

নামাজ পড়লে দুনিয়াতে উপকার পাওয়া যায় তাই নামাজের দুনিয়াবি উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। চলুন, কিভাবে নামাজ পড়লে আপনি দুনিয়ায় উপকার পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন সে ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। এছাড়াও নামাজের ভিতরে আরো কিছু ফজিলত রয়েছে। যেগুলো আপনার পারিবারিক শারীরিক মানসিক সকল কিছু উপকার করবে। নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই অজু করতে হবে সে ক্ষেত্রে নিজের শরীর পবিত্র ও মন মস্তিষ্ক ভালো থাকবে, শরীরের বাহ্যিক অংশগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও নামাজের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ কষ্ট আকাঙ্ক্ষার সকল কিছু চাওয়া পাওয়া আল্লাহর কাছে বলা যেতে পারে, এতে আপনি মানসিক প্রশান্তি পাবেন।

জামাতে নামাজের উপকারিতা

মুসলমান হিসেবে পুরুষদেরকে জামাতে নামাজ পড়তে হয়। তাই জামাতে নামাজের উপকারিতা রয়েছে। তাই জামাতের নামাজ পড়ার উপকার রয়েছে সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

জামাতে নামাজ পড়ার অনেক উপকারীতা রয়েছে। কেননা সমাজের মানুষজন জামাতের সাথে নামাজ পড়তে হলে একসাথে সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। এতে করে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দারিদ্রতা, অসুস্থতার সকল কিছু জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অবশ্যই উপকার করা যায়। এই জন্য জামাতে নামাজ পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজের অনেক উপকার হয়ে থাকে। তাছাড়াও জামাতে নামাজ পড়লে ২৭ গুণ সওয়াব পাবেন। এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি জামাতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা কদমে কদমে তার সওয়াব হতে থাকে এবং তার গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে যে ব্যক্তি জামাতের সাথে নামাজ পড়ে তার উপর রহমত বর্ষিত হয়। তার প্রতি আল্লাহতালা অনুগ্রহ করে থাকেন, তাই মহান আল্লাহতালা সবচাইতে বেশি পছন্দ করে থাকেন। যদি কোন তার বান্দা তাঁর নিকট প্রার্থনা করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আরো বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাই অবশ্যই আপনি বড় ধরনের অসুস্থতা ছাড়া জামাতে নামাজ পড়া বন্ধ করবেন না। এক্ষেত্রে জামাতে নামাজ পড়া মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন। কেননা ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কোন ব্যক্তি জামাতে নামাজ আদায় না করে ঘরে নামাজ পড়ে সে ক্ষেত্রে তার নামাজ কবুল হবে না।

জীবনের সফলতায় নামাজের যত উপকারিতা

প্রত্যেকটা সফলতার পেছনে মহান আল্লাহ তাআলার অবদান রয়েছেন। তাই জীবনের সফলতায় নামাজের যত উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

প্রত্যেকটা মুসলমান যদি তার সৃষ্টিকর্তাকে অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রেখে থাকেন। তাহলে আপনি যেকোন ভালো কাজ করতে যাবেন, আল্লাহতালা সফলতা অর্জন করার জন্য ব্যবস্থা করে দিবেন। তাই আপনি যখন কোন ভাল কাজ করতে যাবেন সেই ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালার কাছে নামাজের মাধ্যমে প্রার্থনা করবেন। দেখবেন সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাহলে আপনি এই দুনিয়াতে সুখ পাবেন এবং পরকালে মুক্তি পাবেন। এছাড়া মানুষের প্রতি দয়া এবং ক্ষমাশীল, মুসলমানের মধ্যে ভাতৃত্ব সম্পর্কে বজায় রাখবেন, এতে শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিশুদ্ধতা পাবেন।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পুরস্কার

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে মহান আল্লাহ তায়ালা পুরস্কার দিবেন। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পুরস্কার সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই জানা নেই। চলুন, যে পুরস্কার সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা যে ঘোষণা দিয়েছেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যখন নামাজ পড়বেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কেননা রাসূল করীম সাঃ বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি দিনে পাঁচবার ওযু করে সে ক্ষেত্রে তার শরীর পবিত্র হয়ে থাকে, যেমন তোমাদের কারো বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে সেখানে যদি পাঁচবার গোসল করো তাহলে অবশ্যই দেহে আর কোন ময়লা থাকবে না। তাহলে নামাজ পড়ার পূর্বে অজু করলেও তোমার শরীরে পবিত্রতা হয়ে থাকবে। এছাড়াও তোমার শরীর থেকে গুনাহ গুলো চলে যাবে। বুখারী শরীফ

নামাজ এমন একটি নিয়ম কানুন এবং পদ্ধতির মধ্যে থাকা হয়, যা পালন করলে অশ্লীল ও খারাপ কাজ করতে পারবেন না। অবশ্যই আপনার মনের ভিতরে ভয় ভীতি কাজ করবে। কেননা মহান আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। সূরা আনকাবুত ৪৫ নম্বর আয়াত। নামাজ পড়লে মহান আল্লাহতালা আপনার সকল ধরনের পাপ কাজকর্মকে দূর করে দেবে বা ক্ষমা করে দেবেন। তাই নিয়মিত ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে, তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

যদি কোন ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সে ক্ষেত্রে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে অর্থাৎ মসজিদে উপস্থিত হলেই ফেরেশতারা মহান আল্লাহর কাছে তার উপস্থিতি পেশ করেন। কেননা ফেরেশতারা তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে আর এই ধরনের কাজ ফেরেস্তাদের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌঁছানো মাত্রি তাকে ক্ষমা করে দেন। তাছাড়া আল্লাহতালা বলছেন যে যদি কোন ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত ভাবে নামাজ পড়তে পারে আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। কেননা নামাজ হলো বেহেস্তের চাবি। এছাড়াও আল্লাহতালা প্রত্যেক ব্যক্তির রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

সমাপনী কথাঃ নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা এবং এর পুরস্কার সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিতভাবে পড়তে পারে। তাহলে তার শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার পাবে। এছাড়াও ইহকালেও অনেক উপকার ও পরকালে মুক্তি পাবে। সে ক্ষেত্রে মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। তাই নিজের সুস্থতা এবং শারীরিক মানসিক উপকারের জন্য হলেও নামাজ পড়তে হবে। তাই নামাজের শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে আর্টিকেলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, আশাকরি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url