উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
অনেকে জানতে চায় উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে। কেননা এই রাজতন্ত্র দীর্ঘ সময় পরিচালনার পর পতন হয়। চলুন, উমাইয়া বংশের কিভাবে পতন হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
উমাইয়া বংশ দীর্ঘকাল চলার কারণে দেখা যায় রাষ্ট্র পরিচালনা ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অযোগ্য খলিফাদের কারণেই পতন হয়। তাই উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃউমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল
ইসলামের ইতিহাসে উমাইয়া বংশের পতন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে উমাইয়া বংশের পতন হয়েছিল সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উমাইয়া বংশের যত খলিফা ছিলেন তারা সাধারণত বংশ-পরম্পরায় খলিফা হয়েছে অর্থাৎ রাজতন্ত্র হিসেবে একজন করে শাসক শাসন কার্য পরিচালনা করেছে কিন্তু তারা খলিফা হওয়ার যোগ্য ছিল না। যার কারণে উমাইয়া বংশের পতন হয়। শুধুমাত্র উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া, আব্দুল মালিক, দ্বিতীয় ওমর রাঃ ব্যতীত সবাই খেলাফত পরিচালনা করতে পারে নাই। মূলত উমাইয়া বংশের রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে মুয়াবিয়া এর পুত্র ইয়াজিদ উত্তর অধিকারী সূত্রে উমাইয়া বংশের খেলাফত অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ফেলেছিল যার ফলে তাদের পতন হয়েছিল।
উমাইয়া খলিফারা সাধারণত বিলাস প্রিয় ছিল এবং ইসলামের প্রতি তেমন গুরুত্ব ছিল না। তারা ইসলামের বিষয়গুলো সঠিকভাবে পালন করত না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা না করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। যেখানে অনাসলামিক কার্যকলাপ মদ, জুয়া ইত্যাদি এগুলো শুরু করেছিল। শুধুমাত্র দ্বিতীয় ওমর ও কিছু খলিফা ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিল। এছাড়াও যারা মন্ত্রী পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছে তারাও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে এবং ইচ্ছামত তারা কাজকর্ম করেছে। অনেকে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল, তারা গণতান্ত্রিক খিলাফতের অবসান ঘটায়।
উমাইয়া খিলাফতের পতন হওয়ার পিছনে আরো কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সেনাবাহিনীর উপর শাসকরা নির্ভরশীল করেছিল। যার কারণে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিবাদ শুরু হয় এতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়, এজন্য সেনাবাহিনীও তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিদ্রোহী হয়ে উঠতে থাকে। কোরাইশ বংশের দুটি বিখ্যাত গোত্র ছিল হাশেমী ও উমাইয়া এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। এতে উমাইয়া বংশ পরাজিত হয়। এছাড়াও উমাইয়া বংশের খলিফারা মাওয়ালী মুসলমানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এজন্য নব্য মুসলমানরা শাসকদের উপর বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
উমাইয়া বংশের মধ্যে যারা শাসন কার্য পরিচালনা করেছে, তারা মূলত ইসলামের আদর্শ মানেনি। এছাড়াও যারা অনারব ছিল তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে এবং তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। তাছাড়াও তাদের উপর কর ধার্য করেছিল এতে তারা ক্ষিপ্ত। যার ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও উমাইয়ারা এই সময়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য একদলকে সমর্থন দেয় আরেক দলকে শায়েস্তা করে এবং তাদেরকে উস্কানি দিতে থাকে। এজন্য তারাও বিদ্রোহ হয়ে ওঠে। উমাইয়া বংশের বিশাল বড় সাম্রাজ্য হওয়ার কারণে এই শাসকরা শাসন কার্য পরিচালনা করতে পারে না।
উমাইয়া খলিফারা শাসন কার্য পরিচালনা করার ফলে তারা রাজকোষ শূন্য করে ফেলে। তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি করে, তাদের ইচ্ছামত তারা রাজ কোষের অর্থ খরচ করতে থাকে, বিলাসিতার জন্য তারা প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচ করে থাকে। এভাবে রাজকোষ তারা শূন্য করে ফেলেছিল। এত বড় সাম্রাজ্য ও টিকে রাখতে পারে নাই। কেননা তাদের জনসমর্থনের অভাব ছিল। উমাইয়া খেলাফতের সময় খারেজিদের ক্ষমতাচ্যুত করার কারণে উমায়াদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। এছাড়াও শাসকরা নিষ্ঠুরতা এবং স্বৈরাচার হয়ে ওঠে যা পতন হওয়ার অন্যতম কারণ।
উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মুয়াবিয়ার কৃতিত্ব
উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে জানা উচিত। তাই উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মুয়াবিয়ার কৃতিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। চলুন, মুয়াবিয়া রাঃ এর কৃতিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুয়াবিয়া রাঃ প্রথমেই সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করে গঠন করেন। এতে বিদ্রোহ দমন করতে সুবিধা হয়। যার কারণে তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্র দখল করতে পারেন, এছাড়াও তিনি নৌবাহিনী গঠন করেছিলেন। তার নৌবাহিনী উমাইয়া বংশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিল। তার এই নৌ বাহিনী গ্রীকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। তাছাড়া তিনি সচিবালয় সুশৃংখলভাবে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছিলেন। যাদের মাধ্যমে তিনি কার্য নির্বাহ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে তিনি সচিবদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তাছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রের ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন।
মুয়াবিয়া উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে প্রথমে তিনি ডাক বিভাগ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যেটা আধুনিক বিভাগ হিসেবে পরিচিত লাভ করে। যেখানে উট ও ঘোরার মাধ্যমে ডাক বিভাগে কাজ করত। অর্থাৎ চিঠিপত্র আদান প্রদান করা হয় কিন্তু তিনি এটা পরিবর্তন করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি রাজস্ব সংস্কারের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন এবং শাসন বিভাগ থেকে আলাদা করে দিয়েছিলেন। এতে করে প্রদেশ থেকে শাসনকার্য রাজস্ব আদায় করতে সুবিধা হয়। তিনি উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার পরে শিল্পসাহিত্য বিভিন্ন সংস্কৃতি ব্যক্তিদেরকে মর্যাদা দিয়েছেন।
এছাড়াও যারা মেধাবী বা প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিল, তাদেরকে তিনি তার রাজ্যের বিভিন্ন কার্যের পরিচালনা করার জন্য নিযুক্ত করেন। গুণী ব্যক্তিদের কে তিনি কদর করেছে। বিশেষ করে যারা কবি সাহিত্যিক ও চিকিৎসক তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত উচ্চবিলাসী ছিলেন এবং তাঁর সাম্রাজ্যকে সুন্দর সুশমিত ভাবে সাজিয়ে তুলেছিলেন। রাজ্যকে অলংকৃত করেছিলেন তাছাড়া তিনি তার স্বার্থ হাসিলের জন্য কোন নৈতিকতা কথার গুরুত্ব দিতেন না। প্রত্যেকটা উমাইয়া শাসক যদি হযরত ওমর রাঃ এর মতো শাসন কার্য পরিচালনা করতো তাহলে এত তাড়াতাড়ি উমাইয়া বংশ পতন হতো না।
উমাইয়া বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে
অনেকে জানতে চায় উমাইয়া বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে? প্রকৃতপক্ষে উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা তিনি যিনি ন্যায় ও সঠিকভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। তিনি মূলত প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা চলুন তার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উমাইয়া বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বা তার কার্যক্রম অনুযায়ী প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি হলেন আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান। তিনি তার বুদ্ধিমত্তা এবং বিচক্ষণতার সাথে উমাইয়া সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাছাড়াও যেকোনো বিপদ তিনি বুদ্ধির মাধ্যমে সমাধান করেছেন। যার কারণেই তাকে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করেছেন বিশেষ করে প্রশাসনে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসেন। শাসন ব্যবস্থাকে তিনি মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন বিষয় সংস্কার করেছিলেন।
এছাড়া ভাষা ব্যবহারে পরিবর্তন করেছিলেন, বিশেষ করে তিনি আরবি ভাষায় জাতীয়করণ করেছিলেন। তাছাড়া তিনি আরবি ভাষা পড়ার সুবিধার জন্য নোকতা ও হরকত এর ব্যবস্থা করেছিলেন। এই দায়িত্ব দিয়েছিল হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে। এর কারণে আরবি ভাষা পড়তে সুবিধা হয়। এছাড়াও তিনি কৃষিক্ষেত্রে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছিল। তিনি খাল খনন করেছিলেন এবং জলভূমির ব্যবস্থা করেছিলেন।
উমাইয়া বংশের কতজন খলিফা ছিল
উমাইয়া বংশ পরিচালনা করার জন্য অনেক খলিফায় নিযুক্ত হয়েছিল। তাই উমাইয়া বংশের কতজন খলিফা ছিল? এ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন এবং তাদের কার্যকলাপ জানলে অনেক শিক্ষা পাওয়া যেতে পারে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুয়াবিয়ার রাঃ কিন্তু এর পরবর্তীতে আরো বংশ-পরম্পরায় ১৪ জন খলিফা এসেছেন। তারা অধিকাংশই অযোগ্য ছিল মূলত রাজতন্ত্র হিসেবে খলিফা নিযুক্ত হয়। যার কারণে তারা পরবর্তীতে সুষ্ঠুভাবে শাসন কার্য পরিচালনা না করার কারণে উমাইয়া খেলাফতের পতন হয়। খলিফা রাজ্য প্রদেশ গুলো পরিচালনা করতে পারে না । মূলত ৬২ মিলিয়ন মানুষ ও উমাইয়া বংশের শাসন অধীনে ছিল। যা পৃথিবীর প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই এই বংশের শাসনাধীনে পরিচালনা করে একটি বিশাল সাম্রাজ্য যা ৯০ বছরে মাত্র ১৪ জন উমাইয়া খলিফা শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন।
উমাইয়া খিলাফতের রাজধানী কোথায় ছিল
অনেকে জানতে চায় যে, উমাইয়া খিলাফতের রাজধানী কোথায় ছিল? আসলে উমাইয়া খেলাফতে যতগুলো খলিফা শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে শেষ শাসক দ্বিতীয় মারওয়ান তিনি রাজধানী করেছিলেন দামেস্কতে। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনে এনেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে এই রাজধানীতেই হত্যা করা হয়। তার শাসনামলে উমাইয়া খেলাফতের পরিসমাপ্তি হয়ে যায়। পরবর্তীতে আব্বাসীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যার কারণে এই উমাইয়া খেলাফতের অবসান হয়। রাজধানী সিরিয়ার দামেস্কো এজন্য এই শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন যুদ্ধে উমাইয়া খিলাফতের পতন হয়
অনেকে জানতে চায় যে, কোন যুদ্ধে উমাইয়া খিলাফতের পতন হয়? মূলত উমাইয়া খেলাফতের পতনের মূল কারণ হলো আব্বাসীয় নেতার সাথে এবং ইরাক ও খোরাসনের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ ঘটে। মূলত এই যুদ্ধে খিলাফতের পতন হয়, এই যুদ্ধটা হয়েছিল জাব নদীর তীরে। কেননা যুদ্ধে মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদ তিনি পরাজিত হয়ে পিছনে ফিরে যায় এবং বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায় নিজের আত্মরক্ষার জন্য কিন্তু সে মিশরে অবস্থানকালীন অবস্থায় আব্বাসী বাহিনী তাকে হত্যা করে। এভাবেই তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে উমাইয়া খিলাফতের পরিসমাপ্তি হয় এবং আব্বাসীদের শাসন শুরু হয়।
উমাইয়া বংশের শেষ খলিফার নাম কি
উমাইয়া বংশের খলিফা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই উমাইয়া বংশের শেষ খলিফার নাম কি? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, উমাইয়া বংশের শেষ খলিফা কে ছিলেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মুয়াবিয়া থেকে শুরু করে শেষ খলিফা ১৪ জন খলিফা দায়িত্ব পালন করেছে। তার মধ্যে শেষ খলিফার নাম হল দ্বিতীয় মারওয়ান। তিনি প্রায় ৬ বছরের মত শাসনকাল পরিচালনা করেছিল। তিনি দামেস্কে শাসনকর্তা ছিলেন, সে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে বিভিন্ন বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এছাড়াও তার শাসনকালে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু তিনি এই গৃহযুদ্ধ বিদ্রোহ করে বিজয় লাভ করেছিল। শেষ পর্যন্ত আব্বাসীয় বিপ্লবের আগ পর্যন্ত তিনি খেলাফত শাসন করেছিলেন কিন্তু সর্বশেষ তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তার এই হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে উমাইয়া খেলাফতের অবসান ঘটেছিল।
উমাইয়া শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল
উমাইয়া খলিফা বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য ছিল। তাই উমাইয়া শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যে সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, উমাইয়া শাসনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
উমাইয়া খলিফাগন তারা সম্রাজ্য বিস্তার করেছিল কিন্তু তাদের নৈতিকতা উন্নতি হয়েছিল না এবং ইসলাম এর অনুশাসন সঠিকভাবে পালন করেনি। তারা নাচ-গান, ইসলামবিরোধী কাজ গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। খলিফাদের মধ্যে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ওমর সবচাইতে ইসলামের অনুসারী ব্যক্তি ছিলেন। তাছাড়া সকল উমাইয়া শাসক ইসলামকে সঠিকভাবে পালন করেনি, তারা মাওয়ালী ও ক্রীতদাসদের সম্মান দিতো না। তারা সামাজিকভাবে অবহেলিত ছিল। তাদেরকে জিম্মি করে রাখা হতো এবং কৃষিকার্য জন্য বাধ্য করা হতো। উমাইয়া শাসনের মত সম্রাট বাবরের পরবর্তী যে শাসক এসেছে তাদেরও পতন হয়েছিল।
আজকের পোষ্টের লেখক,
মোঃ মাহমুদুল ইসলাম
বি,এ অনার্সঃ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
(এম, এ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
সমাপনী কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে উমাইয়া খেলাফতের পতনের মূল কারণ হলো খলিফাদের ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপ, অযোগ্যতা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি তাছাড়া স্বৈরশাসন ইত্যাদির কারণে তাদের পতন ঘটে। তবে উমাইয়া খেলাফতের ১৪ জন শাসকের মধ্যে হযরত মুয়াবিয়া ও দ্বিতীয় ওমর রাঃ অত্যন্ত সঠিক পদ্ধতিতে শাসন কার্য পরিচালনা করেছিল। এই জন্য তাঁদের নাম ইতিহাসের স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে। তাই উমাইয়া বংশের পতনের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার সুবিধা হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ



এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url