ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত ২০২৫
অনেকে জানতে চায় যে, ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। কেননা এদেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি আছে। চলুন, কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ফিনল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। তাই আপনি যদি ফিনল্যান্ড কাজের জন্য যেতে চান, তাহলে এ দেশের কাজ সম্পর্কে জানতে হবে, তাই ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত ২০২৫
ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফিনল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এদেশের কাজের অনেক চাহিদা থাকে সেজন্য আপনাকে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে হবে। চলুন, যেসব কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের মত ফিনল্যান্ড উন্নত রাষ্ট্র। এদেশে প্রতি বছরে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এজন্য আপনার সেই কাজগুলোর যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এই দেশটিতে যেতে পারেন। এ দেশে কাজ করার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এছাড়াও যারা কোম্পানিতে নিয়োগ দিবে সেই নিয়োগকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপরে ভাষা শিখতে হবে, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাছাড়া আর্থিক সঞ্চয় রাখতে হবে, যেন আপনি প্রাথমিক ভাবে খরচ করতে পারেন।
ফিনল্যান্ড উন্নত একটি রাষ্ট্র যার কারণে এখানে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কলকারখানা রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক লাগে এ সকল কারখানায় প্যাকেজিং এর কাজ প্রসেসিং এর কাজ, এছাড়াও বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কাজ করা লাগতে পারে। যেহেতু শহরে বড় ধরনের বিল্ডিং তৈরি করার ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন ও প্লাম্বিং কাজের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনি এই কাজে যেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফুড ডেলিভারি ও প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র পরিবহনের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার জন্য ড্রাইভার এর প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং কাজের অনেক গুরুত্ব বা চাহিদা আছে।
নির্মাণ কাজের জন্য বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং আইটি সেক্টরে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের কাজের চাহিদা আছে, মেকানিক্যাল এবং টেকনিক্যাল, ওয়েল্ডিং কাজের অনেক চাহিদা থাকে। এছাড়াও শিক্ষা গবেষণা কাজের চাহিদা আছে, কৃষি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে, এছাড়া পর্যটনদের গাইড নিয়ে থাকে, স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে ডাক্তার নার্স অনেকে কাজ করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন মৌসুমে যে কাজগুলো করা হয় এ সময় অনেক শ্রমিক লাগে। এছাড়াও রেস্টুরেন্টের শেফ, ওয়েটার এর কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।
এছাড়া এদেশে যেহেতু মানুষজন অন্য ধরনের পোশাক পরিধান করতে পছন্দ করে। যার কারণে ডিজাইন ও বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন পোশাক পরিধান করে থাকে, এক্ষেত্রে ফ্যাশন ডিজাইনার এবং গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের জন্য শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে। ফ্যাশন ডিজাইন গুলো অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে নিয়ে থাকে। পরিছন্নতা কর্মী, কিচেন হেলপার, পাইপ ফিটার ইত্যাদি ধরনের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এ সকল কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকে ফিনল্যান্ড যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ডে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভারতের মাধ্যমে এদেশের এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। তবে আপনার যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এছাড়াও ভারতের সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে পারবেন। এতে আপনি সহজ ভাবে যেতে পারবেন, তবে ফিনল্যান্ডে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা সহজ হবে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্ষেত্রে একটু কঠিন। অবশ্যই আপনার ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে যারা ফিনল্যান্ডে যেতে চাচ্ছেন তাদের বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর মত ফিনল্যান্ড উন্নত দেশ হওয়ার কারণে বেশি টাকা খরচ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কাজের ভিসায় আরো বেশি খরচ হতে পারে। ভিসা খরচ, বিমান ভাড়া মিলে অনেক টাকায় খরচ হয়ে থাকে। বিমান ভাড়া প্রায় ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়াও আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভিন্ন ডকুমেন্টস তৈরি করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হয়। সব মিলিয়ে আপনার ভিসা তৈরি করার জন্য ৮ লাখ টাকার মত খরচ হবে। তবে আপনি ফিনল্যান্ডে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে ফিনল্যান্ডে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো লাগবে। এছাড়াও যদি ফিনল্যান্ড আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে সেক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমে গেলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে বিভিন্ন ভিসা করতে পারেন ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হয়ে থাকে আবার পড়াশোনার জন্য আপনি স্টুডেন্ট ভিসা যেতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনার অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে তুলনামূলক খরচ কম হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। আর স্কলারশিপ নিয়ে যদি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
ফিনল্যান্ডে বেতন কত
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কাজের জন্য ফিনল্যান্ডে যায়। তাই ফিনল্যান্ডে বেতন কত? ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন কাজ রয়েছে সেক্ষেত্রে কাজের ভিত্তি করে বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। চলুন, বেতন কেমন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু দেশটি অনেক শিল্প কলকারখানা বা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার কারণে কর্মীদের বেতন বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় ফিনল্যান্ডের বেতন কাঠামো অনেক বেশি। এছাড়াও এখানে শ্রমিকের কাজের ধরন দক্ষতা যোগ্যতা অভিজ্ঞতা যদি থাকে সে ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ভালো ইনকাম করতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে। তাহলে বেশি বেতন পাবেন। এছাড়া ওভারটাইম করলে অতিরিক্ত আরো কিছু টাকা পাবেন। প্রত্যেকটা দেশেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে বেশি বেতন দিয়ে থাকে।
ফিনল্যান্ডে একজন শ্রমিকের সাধারণত মাসে বেতন ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকার মত দিয়ে থাকে। তাছাড়া দক্ষতা যদি থাকে সেক্ষেত্রে ২ লাখ টাকার উপরেও বেতন পেয়ে থাকে। ফিনল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যদি ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে ২ লাখ থেকে তিন লাখ টাকার মতো বেতন পাবেন। ফ্যাক্টরির কাজে মাসে বেতন দিয়ে থাকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত। ওয়েল্ডার,ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার মাসের বেতন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, পাইপ ফিটার, পরিছন্নতা কর্মী মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত বেতন পেয়ে থাকে।
ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন
ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। তাই ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে। চলুন, কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু ফিনল্যান্ড যে কোন কাজের ভিসা পাওয়াটা কঠিন বিষয়। আপনাকে প্রথমে জব অফার পেতে হবে অর্থাৎ কোম্পানিগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের কাজের জন্য আবেদন করবেন। এরপরে আপনাকে যোগ্যতার দক্ষতার অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য অফার লেটার পাঠিয়ে দেবে এবং এরপর আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারবেন। এরপরে আবেদন করতে হবে, ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে অবশ্যই ফিনিশ ভাষা জানতে হবে। তাছাড়াও আপনার বিরুদ্ধে যেন কোন মামলা-মোখর্দমা না থাকে। এই ধরনের প্রমাণ দিতে হবে।
এছাড়াও ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ২ থেকে ৩ মাসের মত অপেক্ষা করা লাগে। তারপরে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই বিস্তারিত জানতে হবে। এজন্য ঘরে বসেই আপনি ভিসার জন্য আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন অথবা আপনি এজেন্সির মাধ্যমেও কাজ করে নিতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য এদেশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে এবং আবেদনপত্র সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আপনাকে এদেশের দূতাবাসের ইন্টারভিউ দিতে হবে, এরপরেই আপনাকে ভিসা পক্ষে কাজ করা শুরু করে দেবে। ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ভিসা পাবেন।
ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগে
অনেকে জানতে চায় যে ফিনল্যান্ড যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা নিতে হবে তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার জব অফার লেটার লাগবে। এরপরে ভিসা করতে হবে বৈধ পাসপোর্ট বিমানের টিকেট সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি শিক্ষিত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ভাষা শিক্ষা সার্টিফিকেট ব্যাংকের স্টেটমেন্ট হিসাব এপ্লিকেশন ফর্ম ভিসা। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম কাজের দক্ষতা অনুযায়ী যদি সার্টিফিকেট থাকে সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট নিতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র হিসেবেও নিতে পারেন। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ফিনল্যান্ডে কাজের জন্য যেতে হলে ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা লাগবে। তাই এই ভিসার বৈধতা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে আপনি এই ভিসা কার্ড করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফিনল্যান্ডে আপনি যদি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ভিসার প্রয়োজন হবে। আর তা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। এজন্য ফিনল্যান্ডের সরকার এই ভিসার মাধ্যমে যে কোন দেশের নাগরিকদেরকে বৈধতা দেবে। আবেদনকারীর ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু অর্থ পূরণ করা লাগবে। তারপরে আপনি এ দেশে গিয়ে আপনার পেশায় আপনার কাজের জন্য কাজ করতে পারবেন। তবে যদি আপনি ফিনল্যান্ডে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন নির্মাণ কাজ কৃষিকাজ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, হোটেলের ও রেস্টুরেন্টের কর্মী, আইটি বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যকর।
ভিসা করার ক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। এই ভিসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বৈধ পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে। কোম্পানির অফার লেটার লাগবে, এছাড়াও যে কাজের জন্য আপনি যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা থাকতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। আপনার শারীরিক কোন সমস্যা রয়েছে কিনা এবং স্বাস্থ্যগত ঠিক থাকার জন্য অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করতে হবে। এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নেবেন।
ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তাই ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, ফিনল্যান্ডে যেতে হলে যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরিতে আপনি যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট এবং কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। যদি ভিজিট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু নিয়মকানুন জানতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে কাগজপত্র লাগবে এছাড়া আপনার ট্রাভেল হিস্টরি দিতে হবে, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট বেতনের স্লিপ এবং আপনি যে পর্যটক হিসেবে যাচ্ছেন সেটার প্রমাণপত্র সহ যেতে পারবেন। আপনি যদি পড়াশোনার ক্ষেত্রে যেতে চান সে ক্ষেত্রে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন অথবা ভিসা আবেদন করেও যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এখানে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হয়। এছাড়াও এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি অফার লেটার লাগবে এবং পাশাপাশি আপনাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হবে।আপনি যদি এদেশে কাজের জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের ভিসা করতে হবে। এজন্য প্রথমত যেখানে যে আপনি নিয়োগ পাবেন তার অফার লেটার লাগবে। তাছাড়া আপনি এই দেশে যাওয়ার জন্য প্রথম কোন ভিসা যাবেন, সেটা নির্বাচন করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করবেন এবং ভিসা ফি পরিশোধ করা লাগবে, কাগজপত্র গুলো দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
ফিনল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
আপনি যদি ফিনল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেতে চান সে ক্ষেত্রে ফিনল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই বিষয়গুলো আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই আপনি এদেশের নাগরিক হতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি ফিনল্যান্ডে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করেন বিশেষ করে ৫ থেকে ৭ বছর। যদি বসবাস করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করার অনুমতি পাবেন অর্থাৎ পাঁচ বছর যদি কেউ এই দেশটিতে বসবাস করতে পারে সে ক্ষেত্রে সে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই একটানা বসবাস করা লাগবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার কোন ডকুমেন্টস জনগণ ত্রুটি না থাকে এবং কোন নকল না থাকে কোন মিথ্যা তথ্য না থাকে এছাড়া আপনার নামে কোন মামলা বা ফৌজদারি মামলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
লেখকের শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি ইউরোপের সুখী দেশে যেতে চান তার মধ্যে অন্যতম হলো ফিনল্যান্ড। কেননা দেশের প্রত্যেকটা মানুষ অত্যন্ত সুখী জীবন যাপন করে থাকে। দেশটি অনেক উন্নত যার কারণে বিভিন্ন কাজের জন্য তারা বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে, তাই প্রত্যেকটা কাজেরই গুরুত্ব চাহিদা রয়েছে। তাছাড়াও এদেশে যদি আপনি যেতে পারেন উন্নতমানের বেতন পাবেন। তাই ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনার একটু হলেও উপকারে আসতে পারে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য যে প্রশ্নগুলো করা হয় FAQ
ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
এদেশের টাকার মানের চাইতে বাংলাদেশের টাকার মান কম। তাই এদেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১২৬ টাকার মতো।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে যখন আপনি এই দেশে যাবেন সেক্ষেত্রে বিমান ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এ দেশে যেতে ১৫ থেকে ২৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ডের দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এদেশের দূরত্ব প্রায় ৬৩৭৫ কিলোমিটার।
কি সেনজেন ভুক্ত দেশ
ফিনল্যান্ড অবশ্যই সেজন ভক্ত একটি দেশ।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url