বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য কোন দেশে গেলে ভালো হবে ও বেতন বেশি পাওয়া যায় ২০২৫

বাংলাদেশের অনেক লোক জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন, সেই দেশ সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, যে দেশ গুলোর সুযোগ সুবিধা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের লোকজন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যাচ্ছে। তাই আপনাকে আগে জানতে হবে কোন দেশের সুবিধা কেমন। তাই বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে  ও বেতন বেশি পাওয়া যায় ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে

বাংলাদেশের লোকজন বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। প্রত্যেকটা দেশের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে এবং সুযোগ-সুবিধা থাকে। চলুন, কোন দেশে কি রকম সুযোগ-সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সৌদি আরবঃ বাংলাদেশের লোকজন সবচাইতে বেশি বহির্বিশ্বে কাজের জন্য যায় সৌদি আরবে। এই দেশটিতে বহু বছর যাবত বাংলাদেশের লোকজন বেশি কাজকর্ম করে থাকে। তাই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য এদেশে সুযোগ সুবিধা আছে। কারণ এখানে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই যাচ্ছে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া এদেশের কর্মীদের সাধারণত বেতন ভাতা বেশি দিয়ে থাকে। তবে আপনার কাজ করার দক্ষতা এবং পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের লোকজন সবচাইতে বেশি এ দেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। তাই যারা বিদেশে যেতে চাচ্ছেন তারা সৌদি আরবে যেতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনার নির্মাণ কাজ অথবা হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, ড্রাইভার বা আরো বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম রয়েছে, এ ধরনের কাজগুলো যদি করে থাকেন তাহলে মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। তাছাড়াও এদেশে ভিসার খরচ কম হয়ে থাকে। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারি ভাবে গেলে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে।

এছাড়াও অনেক কোম্পানি তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়। চিকিৎসা সেবা এবং সঞ্চয় করতে পারবেন, তাছাড়া সবচাইতে বড় জিনিস হল হালাল পরিবেশে থাকা যায় এবং মুসলিমদের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ এদেশে যাওয়ার সুবিধা হয়। এছাড়াও যাতায়াতের ব্যবস্থা খুবই সুন্দর এবং মালিক ভালো হলে আপনি অনেক ভাল থাকবেন। তাছাড়া মুসলমান হিসেবে আপনি এদেশে হজ পালন করতে পারবেন, এটা একটি বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে এবং উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন।

কাতারঃ মধ্য প্রাচ্যের দেশের মাঝে কাতার অন্যতম একটি উন্নত দেশ। যেখানে বাংলাদেশের লোকজন এ সকল মুসলিম দেশ গুলোতে বেশি গিয়ে থাকে। তার মধ্যে কাতার অন্যতম, এদেশে প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বাংলাদেশের লোকজন বেশি বসবাস করে থাকে। সেক্ষেত্রে এদেশের সুযোগ সুবিধা বেশি। তাছাড়া এদেশের টাকার মান অনেক বেশি, যার কারণে বেতন ভাতা বেশি হলে বাংলাদেশের টাকা আরো বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও এদেশের লোকজন দক্ষ কর্মীদেরকে বেতন ভাতা বেশি দিয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।

কাতারের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশী কর্মীদের বিপদে এবং অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন। কোম্পানি ভালো হলে তারা থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তবে কনস্ট্রাকশন কাজের ঝুঁকি থাকে, এক্ষেত্র সতর্ক থাকবেন। তাছাড়া এদেশের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন সিকিউরিটি গার্ড, কনস্ট্রাকশনের কাজ, গাড়ি চালানো, কৃষিকাজ, ক্লিনার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম রয়েছে। এই ধরনের কাজকর্মে সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়াও এদেশের ভিসার খরচ সরকারিভাবে গেলে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
মালয়েশিয়াঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই মালয়েশিয়াকে পছন্দ করে থাকে। কেননা এদেশের অধিকাংশ মানুষজন মুসলমান, তাদের সাথে বসবাস করতে সুবিধা হয় এবং খাবারদাবার ক্ষেত্রেও হালাল খাবার খাওয়া যায় এবং পরিবেশটাও মুসলিমদের জন্য সুবিধা জনক। বাংলাদেশের লোকজন অধিকাংশ মুসলিম যার কারণেই এই দেশ পছন্দ করে থাকে এবং অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। তাছাড়া যদি কোন প্রবাসী কাজ করতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে দিয়ে থাকে।

এছাড়াও প্রবাসীদের সাথে তারা ভালো ব্যবহার করে থাকে এবং তাদের ফ্রিতে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করে। এছাড়া আপনাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং চিকিৎসা বীমা ও কল্যাণ অর্থ ইত্যাদি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করে থাকে। এদেশে সাধারণত বাংলাদেশের লোকজন কৃষিকাজ, রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ কাজ, ফ্যাক্টরির কাজ এই ধরনের কাজ গুলো করে। এই ধরনের কাজের মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেতন পায়। এছাড়া ওভারটাইম করার সুযোগ পাবেন এবং এতে আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া দেশটিতে যাওয়ার জন্য সরকারি ভাবে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত লাগবে।

ওমানঃ বাংলাদেশী লোকদের জন্য এই ওমান দেশটিও পছন্দের হতে পারে। কেননা এদেশে বাংলাদেশের লোকজন গিয়ে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এটা মুসলিম দেশ যেখানে বাংলাদেশের লোকজন মুসলমান হওয়াতে সুন্দর মত জীবন যাপন করতে পারবে এবং হালাল খাবার দাবার খেতে পারবেন। তাছাড়া এদেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি, ড্রাইভার, হোটেলের স্টাফ। এই ধরনের কাজের জন্য বেতন মাসে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাছাড়া সরকারিভাবে গেলে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। এছাড়া বিশেষ ভাতা এবং নিরাপত্তা রয়েছে।

রোমানিয়াঃ বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকজন রোমানিয়াতে কাজ করে, বিশেষ করে কৃষিকাজ, নির্মাণ কাজ, কনস্ট্রাকশন, ক্লিনার ও ফ্যাক্টরি ইত্যাদি কাজগুলো করার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক যাচ্ছে। এছাড়াও বেতন ভাতা অনেক বেশি যার কারণে অনেকেই কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে আপনি ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পেতে পারেন। ভিসা খরচ ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে, এছাড়া আপনার থাকা খাওয়া সকল কিছু বাবদ খরচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো। এছাড়াও বিশেষ সুবিধা থাকে, যদি এখানে থাকতে পারেন তাহলে স্থায়ী বসবাস করতে পারবেন।

উপরোক্ত এই দেশ গুলোতে খুবই কম খরচে যাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনি ভালো বেতন পেতে পারেন। তবে ইউরোপের দেশ গুলোতে গেলে আপনি আরো ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি টাকা ইনকাম করেতে পারবেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ শ্রমিকরা সাধারণত যে দেশগুলো পছন্দ করে বিশেষ করে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, দুবাই, কাতার, সিঙ্গাপুর আরো বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র রয়েছে যেখানে আপনি অল্প কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে খুব সহজে যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অস্ট্রেলিয়া সুইজারল্যান্ড জার্মানি যেতে পারেন।

কোন দেশে কাজের বেতন বেশি

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষজন বিভিন্ন দেশে যায় কাজের জন্য তাই কোন দেশে কাজের বেতন বেশি? আসলে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম বেতন ভাতা দিয়ে হয়ে থাকে। চলুন, কোন কাজে কি পরিমাণ বেতন হয়ে থাকে সে সম্পর্কে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অনেক মানুষ সাধারণত সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে এটা একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। যেখানে প্রবাসীরা অনেক টাকায় বেতন পেয়ে থাকে, যাদের কাজকর্মের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা মাসে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো ইনকাম করে থাকে। অনেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকার কারণে ৫ লাখ টাকার মত ইনকাম করে থাকে। যদিও এদেশের জীবনযাত্রার খরচ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি জার্মানিতে যেতে পারেন কেননা এদেশের প্রবাসীদের বেতন ভাতা অনেক বেশি। এখানে বিভিন্ন ধরনের চাকরি রয়েছে তাদের দক্ষতা ভালো হলে মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।

আপনি যদি সুইডেনে যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য অনেক ভালো হবে। বিশেষ করে মাসে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত ইনকাম করা যাবে। তাই বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এদেশে বসবাস করছে এবং কাজ করছে। এছাড়াও আপনি নরওয়ে যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ভালো টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন। প্রতি মাসে প্রায় ১ থেকে ২ দুই লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। বাংলাদেশের অনেক লোক সিঙ্গাপুরে যায়, এদেশের টাকার মান বেশি সে ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা বেতন পায় এবং উন্নত মানের জীবন যাপন করতে পারবেন।
তাছাড়া বাংলাদেশের অনেক মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করে থাকে, এখানে উন্নত মানের জীবন যাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, বিশেষ করে কৃষিকাজ কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ কাজ করে থাকে, এক্ষেত্রে মাসে প্রায় তারা ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো বেতন পায়। এদেশে বাংলাদেশের লোকের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত দুবাই, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি দেশগুলোতে বেশি যায়। সে ক্ষেত্রে এই সকল দেশ গুলোতে যেতে কম টাকা লাগে।

আপনি যদি এ সকল দেশে ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, হোটেল স্টাফ, প্লাম্বার, সিকিউরিটি গার্ড ক্লিনার কনস্ট্রাকশন এর কাজ সুপার শপ, দোকানের চাকরি, হাউসকিপিং, ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি কাজগুলো করেন, সেই ক্ষেত্রে অনেক টাকা বেতন পাওয়া যায়। এদেশের মাসিক বেতন সাধারণত ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে। এছাড়াও বোনাস, ওভার টাইম ইত্যাদি রয়েছে, অনেকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। তবে যাদের কাজের দক্ষতা রয়েছে তারা ২ লাখ টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে।

এছাড়া আপনি যদি জাপানে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এখানে বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল কাজ রয়েছে, আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতেন সে ক্ষেত্রে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও এই দেশের ফ্যাক্টরি, নার্সিং, কৃষি, হোটেলের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, সেক্ষেত্রে মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক কোম্পানি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় এবং যদি আপনি জাপানিস ভাষা শিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যাওয়া সহজ

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায় তবে বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যাওয়া সহজ? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশগুলোতে আপনার যাওয়া সহজ হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশ গুলোতে যেতে পারেন। তাছাড়া আপনি পর্তুগাল যেতে পারেন। সেখানে দীর্ঘদিন থাকলে আপনার নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কাজের ভিসা সহজভাবে পেতে পারেন। এছাড়া ভ্রমন, পড়াশোনার জন্য গেলে উন্নতমানের জীবন যাপন করতে পারবেন। এছাড়া মাল্টাতে আপনি যেতে পারেন, কেননা প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক এই দেশে কাজের জন্য যাচ্ছে এবং এ দেশের কাজের ভিসা খুবই সহজভাবে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অনেক মানুষজন সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ ভিসায় যায়। এদেশ দেখতে খুবই সুন্দর এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশের অনেক লোকজন স্টুডেন্ট ভিসায় এবং টুরিস্ট ভিসায় বেশি গিয়ে থাকে। আবার অনেকে কাজের জন্য যায় তবে বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত টুরিস্ট ভিসায় বেশি গিয়ে থাকে। সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা অত্যন্ত সহজভাবে পেতে পারেন। তবে কাজের ভিসা পাওয়ার খুব কঠিন হয়ে যায়, তারপরও পড়াশোনার ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে খুবই কম টাকার মাঝে যেতে পারবেন।

অনেকে হাঙ্গেরিতে যাচ্ছে বিশেষ করে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের লোক স্টুডেন্টরা গিয়ে থাকে। এদেশের পড়াশোনা করতে খুবই কম খরচ হয়ে থাকে এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। শর্ত সাপেক্ষ কম থাকে যার কারণে ভিসা করা খুবই সহজ। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের অনেক মানুষজন এই দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যাচ্ছে এবং তেমন একটা সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে উন্নত একটি দেশ সেখানে আপনি যেতে পারেন। এছাড়া আপনি নেদারল্যান্ডে যেতে পারেন বিশেষ করে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়

অনেকেই জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়? আসলে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিকটবর্তী দেশগুলোর আছে সেখানে কম খরচ হবে। চলুন, এ বিষয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। বিশেষ করে আপনার ভিসা ফি লাগবে না, এক্ষেত্রে শুধু প্রক্রিয়াকরণ কাজগুলো করতে হবে। আপনি যদি প্লেনের মাধ্যমে যান তাহলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। এছাড়া অনেকে ট্রেনে যেতে পারেন, কলকাতায় সাধারণত খুলনা থেকে যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে ১ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। তাছাড়া থাইল্যান্ডে যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে ভিসার ফি মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মতো।

বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক সাধারণত মালয়েশিয়াতে গিয়ে থাকে, এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য খুবই কম খরচ হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকজন এদেশটিতে কাজের জন্য বেশি গিয়ে থাকে। বিভিন্ন কাজের করতে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা করতে খুবই কম খরচ হয়। সরকারি ভাবে যদি যেতে পারেন তাহলে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন এবং খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনি মালয়েশিয়া যদি ভিসা যান সে ক্ষেত্রে বিমানের ভাড়া ৪০ থেক ৫০ হাজার টাকার মত লাগবে।

বাংলাদেশের লোকজন অনেকেই ইন্দোনেশিয়াতে যায় ভ্রমণ করার জন্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সে ক্ষেত্রে এখানে যেতে খুবই কম খরচ হয়। এক্ষেত্রে আপনার ১২ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়াও মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডে বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়া আপনি ভিয়েতনাম যেতে পারেন এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে খুবই কম খরচ হয়। যদি আপনি ভ্রমণ করার জন্য যান সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ ভিসা ফি ২৭০০ টাকার মতো হবে। তাছাড়া বিমান ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে বিভিন্ন কিছু জানতে পারবেন এবং সুযোগ-সুবিধা পাবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অনেক মানুষজন প্রতিবছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে কেউ ভ্রমন করার জন্য যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত ইউরোপে কাজের জন্য যায় বা কাজের ভিসার মাধ্যমে গিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারি ভাবে যদি যাওয়া যায় তাহলে খুবই কম খরচ হবে। এজন্য আপনাকে সরকারি বোয়েসেল, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্লোবাল ভিএফএস এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে যেতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং কাগজপত্র এজেন্সির মাধ্যমে অথবা নিজেও ইউরোপের দূতাবাসেকে জমা দিতে পারবেন। 
সহজে আপনি ইউরোপে যেতে পারবেন ভ্রমণ এবং স্টুডেন্ট ভিসায়, খুবই কম টাকার মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন। তাছাড়া আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি অফার লেটার পেয়ে যাবেন। ইউরোপের এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি ইউরোপের আরো বেশ কিছু দেশের কাজের উদ্দেশ্যও যেতে পারেন। ইতালিতে খুবই বাংলাদেশের লোকজন অনেকেই যাচ্ছে এবং অনেক বেশি বেতনের চাকরি করে থাকে।

আপনি পোল্যান্ড যেতে পারেন এখানে অনেক ভালো মানের জীবন যাপন করতে পারেন এবং উন্নতমানের বেতন দিয়ে থাকে। এছাড়াও অনেকেই পর্তুগালে গিয়ে হাসপাতাল, কৃষি কাজ বা নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে যায়। এদেশটিতে ভালো মানের বেতন দিয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি রোমানিয়া হাংগিরি ইত্যাদি দেশগুলোতে যেতে পারেন। কৃষি কাজ, নির্মাণ কাজ আইসিটি প্রকৌশলী স্বাস্থ্য খাত ইত্যাদি কাজগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া লিথুনিয়া লাটভিয়া এ সকল দেশগুলোতে বাংলাদেশের অনেক মানুষজন যাচ্ছে এবং কাজের জন্য যায়, অনেকেই পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে।

সাধারণত কাজের ভিসার খরচ বেশি হয়ে থাকে, ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার মেয়াদ আবার নতুন করে রিনিউ করা এছাড়াও ইউরোপের পূর্ব দেশগুলোতে সাধারণত ভিসার খরচ কম হয়ে থাকে, পশ্চিম দেশগুলোতে একটু বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি মাঝারি বা এই ধরনের ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন। এই ইউরোপের দূতাবাসে গিয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের ভিসার জন্য ইউরোপের এই দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হবে।

বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য কোন দেশ ভালো এ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন (FAQ)

কোন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া সহজ?

বিভিন্ন দেশে কাজের ভিসা পাওয়া যায় তবে ইতালি, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ইত্যাদি এ দেশ গুলোতে ভিসা পদ্ধতি খুবই সহজ।

ইউরোপে কোন দেশে কাজের সুযোগ বেশি?

বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে ইতালি, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও হাঙ্গেরি এই দেশগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি আছে।

কোন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়?

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কম খরচে যাচ্ছে তার মধ্যে মাল্টা, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া।

কিভাবে বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকা যায়?

সহজ শর্ত হিসেবে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ আছে, যেসব দেশে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া খুবই সহজভাবে আপনি স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না?

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায় আবার কিছু দেশে যাওয়া যায় না, তার মধ্যে যেমন আলবেনিয়া, বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে? জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বিদেশে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন, তাহলে আগে থেকেই কোন দেশের কাজের মান ভালো এবং বেতন বেশি সে সম্পর্কে জানতে হবে। তাছাড়াও যে দেশে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন সেই দেশের সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। তবে কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোতে যেতে খুবই কম খরচ হয় এবং বেতন বেশি পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে গেলে ভালো হবে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url