বিদেশ থেকে অসুস্থ প্রবাসী দেশে ফিরলে সরকারি ও বেসরকারি অনুদান কত টাকা পাবে

অনেক প্রবাসী অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশে আসে। তাই বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নেই। চলুন, কিভাবে আপনি এই অনুদান পেতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
প্রবাসীরা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় অনেকে দুর্ঘটনার কারণে আহত অথবা অসুস্থ হয়ে যায়। যার কারণে পরবর্তীতে কর্মহীন হয়ে যায় এজন্য সরকার অনুদান দিয়ে থাকে। তাই বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে জানুন

বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান

বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যায়। তবে বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান কত টাকা পাবে, হয়তো তারা জানে না। চলুন, প্রবাসীরা অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসলে কত টাকা পেতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা যদি অসুস্থ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তারা অসহায় হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ফিরে আসে কিন্তু তাদেরকে যে অনুদান দেওয়া হয়, এটা হয়তো অনেকে জানেন না। পূর্বে অনুদান দিয়েছে কিন্তু অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে, সময় বেশি লাগছে, আবেদন করা লাগতো। এরপর অপেক্ষা করতে হয়, বিভিন্ন ডকুমেন্টস, বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি ইত্যাদির কারণে দেখা যেত তারা টাকা পেতে দেরি হতো। এদিকে অসুস্থতা বেড়ে চলত কিন্তু বর্তমানে অসুস্থ হয়ে প্রবাসীরা যদি বাংলাদেশে আসে সে ক্ষেত্রে সকল প্রকার আবেদন এই ধরনের সমস্যা দূর করা হয়েছে।

বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে অর্থাৎ আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনাকে যাচাই বাছাই করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। মূলত সরকারি কর্মকান্ড সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাওয়া খুবই কঠিন বিষয়। তারপরও বর্তমানে অসুস্থ প্রবাসীদেরকে এভাবেই অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে কোন অনুদান বা টাকা-পয়সা পাওয়া খুবই কঠিন বিষয় এবং অনেক সময় লাগতে পারে কিন্তু এটা সহজ প্রক্রিয়া করেছে। অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনাকে সনাক্ত করবে এবং প্রমাণপত্র যাচাই করে আর্থিক সহযোগিতা করবে।
সরকারি ভাবে কোন অসুস্থ প্রবাসীকে প্রথম অবস্থায় ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে কোন ঝামেলা নেই। অনলাইন ভিত্তিক আবেদন করে তাকে দ্রুত টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য দেখা যাচ্ছে প্রবাসীর ইমো নাম্বার অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে তাদের সাথে কথা বলে ডকুমেন্টস গুলো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে সহায়তা করা হচ্ছে। কিন্তু পূর্বে দেখা যেত একটা অসুস্থ প্রবাসী সে হাসপাতালে পড়ে থাকতো অথচ তারা আবেদন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ইত্যাদি কাজগুলো করতে অনেক সময় লেগেছে।

তাই অসুস্থ ব্যক্তির ওই অর্থ দিয়ে কোন কাজে লাগতো না, এজন্য বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তাকে ভিডিও ফোনে কথা বলে তার সকল ডকুমেন্টস হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়ে যাচাই-বাছাই করার পরে, সে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে এবং খুবই দ্রুত ভাবে টাকা পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাই অনলাইনে এই ধরনের কাজ করা অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই যদি কোন অসুস্থ প্রবাসী থাকেন তাহলে অবশ্যই সরকারি ভাবে আপনি সহযোগিতা নিতে পারেন। বর্তমানে কোন কাগজপত্র সরাসরি প্রয়োগ করার সিস্টেম নেই।

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন এরপর সাথে সাথেই আপনার কাগজপত্র ওখানে জমা দেওয়া যাবে। কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে জমা দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি এই কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপনি প্রবেশ করে ফরম ফিলাপ করবেন এবং স্ক্যান করে কাগজ পাঠিয়ে দিবেন। তারপর আপনাকে ভিডিও কল দেওয়া হবে, অসুস্থতা সনাক্ত করে আপনাকে দ্রুত টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্যই এক্ষেত্রে রোগ সনাক্ত এর জন্য তাদের ডাক্তাররা দেখবেন এবং চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে দিবেন।

অসুস্থ প্রবাসীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা

যে সকল প্রবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাদের জন্য সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই অসুস্থ প্রবাসীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সুবিধা হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

যদি কোন ব্যক্তি বিদেশে যাওয়ার পরে দুর্ঘটনার কারণে বা যেকোনো রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সে শারীরিকভাবে আর কাজ করতে পারে না। যার কারণে তাকে বাড়িতে ফিরে আসতে হয়, এ ক্ষেত্রে সে কর্মহীন হয়ে পড়ে। চিকিৎসার টাকা থাকে না এই ধরনের মানুষকে সরকার ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। এজন্য আপনার কিছু শর্ত থাকে অবশ্যই আপনি যে দেশ থেকে আসছেন, সেই দেশের ছাড়পত্র লাগবে এবং আপনি যেখানে কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এরপরে ডাক্তারের সার্টিফিকেট লাগবে।

যেহেতু অসুস্থ সে কাজ করতে পারবেনা এজন্য সে ১ বছরের জন্য চিকিৎসা, রিপোর্ট ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ইত্যাদি সহ আবেদন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তারা অসুস্থতা বিবেচনা করে চিকিৎসা বাবদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করবে। তবে এই ব্যক্তি যদি চিকিৎসাকালীন অবস্থায় ৬ মাসের মধ্যে মারা যায়, তাহলে এই ৬ মাস পরে যদি আবার তার পরিবার থেকে আবেদন করে এই ক্ষেত্রে সেই মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। তাছাড়াও মানবিক কারণে আহত এবং অসুস্থ প্রবাসীকে আর্থিকভাবে সুবিধা করা এবং চিকিৎসার যাবতীয় খরচ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

অসুস্থ প্রবাসীর আর্থিক অনুদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যে সকল অসুস্থ প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরে আসে তাদের এই অনুদানের টাকা নিতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে। তাই অসুস্থ প্রবাসীর আর্থিক অনুদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে সে কাগজপত্র গুলো বা ডকুমেন্টস সুন্দর করে রেখে দিতে পারবেন চলুন এই বিষয়ে জানা যাক।
ছবি
আপনি যখন আবেদন করবেন সেই ক্ষেত্রে যে ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো; ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। সে যে আহত ব্যক্তি বা অসুস্থ ব্যক্তি তার প্রমাণপত্র হিসেবে সনদ দিতে হবে। তাছাড়া কাগজপত্র গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে এবং অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে হবে। এরপরও কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। তারপর সে যে অসুস্থ তার প্রমাণপত্র হিসেবে ডাক্তারের সার্টিফিকেট এবং ব্যাংকের হিসাব নাম্বার, ব্যাংকের রাউটার নাম্বার ও তার পাসপোর্ট এর ফটোকপি জমা দেওয়া লাগবে।

বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের অনুদান

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে এখন জানবো বিদেশ থেকে ফেরত প্রবাসীদের অনুদান দেওয়ার সম্পর্কে। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানও তাদেরকে সহযোগিতা করছে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশী প্রবাসী হিসেবে বিদেশে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করার পরে হঠাৎ করে যেকোনো কারণে আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনার জীবন যাপন করা অনেক কষ্ট হবে। তাই বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অথবা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো ব্যবসা করার জন্য প্রশিক্ষণ ও কিছু অনুদান দিয়ে তাদেরকে ব্যবসায় ধরিয়ে দেওয়া। এই ধরনের কাজগুলো সরকারি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হচ্ছে। তাই আপনি যদি এই ধরনের সমস্যায় থাকেন তাহলে আবেদন করার মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে পারেন।
প্রবাসীদের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে, তারা হুন্ডি পথে টাকা পয়সা না পাঠিয়ে সরকারি পদ্ধতিতে নগদ টাকা পাঠাচ্ছে। যার কারণে দেশের অনেক উপকার হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি কোন কারণে বা দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে আসে, তাহলে তারা চাকরি হারা হয়ে যায়, পরিবারকে নিয়ে জীবন যাপন করা খুবই কঠিন হয়। তাই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ করে তাদের প্রথম অবস্থায় ১৩৫০০ টাকা অনুদান দিয়েছে। তাছাড়া মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারবেন।

তাছাড়া ছোট খাটো ব্যবসার প্রশিক্ষণও এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি প্রবাস ফেরত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবেন। তারা আপনাকে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দেবে। এর জন্য আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে এবং আপনার পাসপোর্ট ও যে কারণে চাকরী হারিয়েছেন বা অসুস্থতার কারণে বিদেশ ফেরত আসছেন সকল কিছুর ডকুমেন্টস দিতে হবে। তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাশে দাঁড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ করে দিবে।

বিদেশ ফেরতদের আর্থিক সহায়তায় ব্রাক

বিদেশে থেকে ফেরত আসলে সে অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাই বিদেশ ফেরতদের আর্থিক সহায়তায় ব্রাক এদের জন্য কাজ করছে। চলুন ব্রাক কিভাবে সহযোগিতা করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের মধ্যে একটু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ব্রাক যা বেসরকারি হিসেবে মাঠ পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রাম এর সাথেও তারা কাজ করে থাকে। বিশেষ করে তারা গরীব এবং বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা কোন দুর্ঘটনার কারণে বা যেকোনো কারণে যদি কোন ব্যক্তি বিদেশ ফেরত আসে তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে অথবা অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে যদি তার চাকরি চলে যায়, সে বিদেশ থেকে ফেরত আসলে তাদের পাশে দাঁড়াবে।

তাদের মাঠ পর্যায়ে যে সকল কর্মী রয়েছে তাদের মাধ্যমে এই বিদেশ ফেরত প্রবাসীর সকল তথ্য নিয়ে বায়োডাটা তৈরি করে। তাকে যাচাই বাছাই করার পরে মোবাইল ব্যাংকের বিকাশের মাধ্যমে তাদেরকে নগদ টাকা প্রেরণ করে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, লিবিয়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা কর্মসংস্থানের জন্য যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে যে কোন দুর্ঘটনার কারণেই হয়তো অনেকে আবার ফিরে আসছে। এক্ষেত্রে ব্র্যাক তাদেরকে নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সহযোগিতা করে থাকে।

তাই আপনি ব্রাকের এই ধরনের কার্যক্রম যে শাখায় করে থাকে সেখানে যোগাযোগ করবেন। তাহলে আপনাকে সাপোর্ট করে দেবে। এছাড়াও তারা আপনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে অথবা খুবই কম সুদে আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ঋণ দিয়ে থাকবে। উল্লেখ্য কোভিড 19 এর সময় অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশে ফিরে আসে এতে তারা কর্মহীন করে পড়ে যায়। এই নিরুপায় দেখে ব্রাক এই প্রতিষ্ঠান বিদেশ ফেরত এই লোকদেরকে সহযোগিতা করে থাকে এবং তাদের পাশে দাঁড়ায়। তাদেরকে খুঁজে বের করে এবং তথ্য যাচাই বাছাই করে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে।

তাদের সরাসরি নগদ অর্থ দিয়ে অথবা তাদেরকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে পরবর্তীতে অল্প সুদে লোন দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে থাকে। ব্র্যাকের পরিচালক বলে যে, আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করছি না এটা মূলত তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট উপহার। তাই এটা নিয়ে আমরা তাদের পাশের দাঁড়াতে চাই, কেননা তারা আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা। তাই আপনিও যদি এই ধরনের অসুবিধা থেকে থাকেন তাহলে ব্রাক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনি সহযোগিতা পাবেন।

বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ভাতা

অনেকেই হয়তো জানেন না যে, প্রবাসীরা দেশে ফিরে আসলে ভাতা পায়। তাই বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ভাতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন প্রবাসীদেরকে কিভাবে ভাতা দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

বাংলাদেশের যে সকল প্রবাসীরা বিভিন্ন কারণে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে, সেক্ষেত্রে তারা কর্মহীন হয়ে যায় এক্ষেত্রে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প চালু করেছে। সেখানে তাদের ব্যবসার ট্রেনিং দেওয়া হবে এবং ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে দেবে। এটা সরকার ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই আপনি যদি এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে নতুন ভাবে ট্রেনিং নিতে পারেন। তবে ভাতার বিষয়টা হলো সরকার যখন কেউ ফেরত আসে সেই ক্ষেত্রে কিছুদিনের এককালীন হিসেবে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেছিল, সে ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো সহযোগিতা করে।
মূলত এইভাবে নয় এটাকে পরিপূর্ণতা লাভ করার জন্য এই সকল কর্মীদেরকে সাধারণত দক্ষতা শ্রমিক হিসাবে গড়ে তুলে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করাই উদ্দেশ্য ছিল। প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার কর্মীকে তারা প্রশিক্ষিত করে সনদ দিয়েছেন এবং দেশে ও বাহিরে যেন সে চাকরি করতে পারে সেরকম দক্ষতা করে তুলেছে। এতে কারিগরি শিক্ষা এবং তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে এরপরে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নেবে সকল কিছু এই মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করে থাকে। তাই আপনি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন।

প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভাতা

আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়টি জানার প্রয়োজন। তাই প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভাতা দেওয়ার সরকারও উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আপনি এই বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন। চলুন, এই ভাতা বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বিদেশে যারা বিভিন্ন কাজের জন্য যায় তারা আমাদের প্রচুর পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন করছে। তাই সরকার এই সকল প্রবাসীদের মেধাবী সন্তান অথবা প্রতিবন্ধী সন্তানদের জন্য ভাতা সিস্টেম চালু করেছে, এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েজ কল্যাণ বোর্ডে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে অথবা ভাতা হিসাবে দিয়ে থাকে। আপনার সন্তান যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে অথবা অত্যন্ত মেধাবী হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে একেবারে স্নাতক পর্যন্ত আপনার সন্তানকে বৃদ্ধি দেওয়া হবে। পাঁচ বছরে ১ হাজার টাকা করে আপনার শিশু প্রতি বছরে ১২ হাজার টাকার মতো এই ভাতা পাবে।

এইটা মূলত দুইজন প্রতিবন্ধী সন্তান পাবে এর বেশি নয়। এক্ষেত্রে যদি একাধিক সন্তান থাকে তাহলে আপনাকে পৃথকভাবে আবেদন করার চেষ্টা করতে হবে। তবে আপনার সন্তানের যে সকল ডকুমেন্টস গুলো লাগবে বা কাগজপত্র জমা দিতে হবে। প্রতিবন্ধী শিশুর মা বাবার পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে। এরপরে আবেদন পত্র ডাউনলোড করবেন, প্রতিবন্ধী সন্তানের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে নিতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট বা তার প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে নিতে হবে।

এরপরে আপনার ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে হবে সেখানে ব্যাংকের রাউটিং নাম্বার সহ ব্যাংকের হিসাব নাম্বার, স্টেটমেন্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি দুই ভাবে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে আপনি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের ওয়েবসাইট যে রয়েছে সেখানে আপনার আবেদন করতে হবে। এরপর আপনার আবেদন পত্র যাচাই বাছাই করে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাই আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন এবং আপনার প্রতিবন্ধী বাচ্চা থাকে সেক্ষেত্রে আবেদন করতে পারেন।

শেষ কথাঃ বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আপনাকে সহযোগিতা করবে, সে ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে অনুদান দেওয়া হয়। এছাড়াও বেসরকারি ব্রাক প্রতিষ্ঠান এককালীন অনুদান দেবে। এছাড়া আপনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। তাই বিদেশ থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে সরকারি অনুদান সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি মাত্র, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টে যদি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url