গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি ও নিরাপদ কিনা জেনে নিন
গর্ভবতী নারীদের পুষ্টির জন্য মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি? আসলে পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে। চলুন,গর্ভাবস্থায় কতটুকু মটরশুটি খেলে অসুবিধা হবে না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী নারীদের সাধারণত অনেকের পেটের সমস্যা থাকে অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। তারা এই মটরশুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি ও নিরাপদ কিনা জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়, তাই অনেকে জানতে চায় গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি? পরিমাণ মতো খেলে তেমন কোন সমস্যা হবে না বরং উপকার হবে। চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করতে এই মটরশুঁটি ব্যবহার করে থাকি। এতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারও পাওয়া যায়। এটা সবজি হিসাবে তরকারি, সালাদ, মাছভুনা, পোলাও রান্না, লুডুস রান্না করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিংক, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন কে ইত্যাদি থাকে। যা আমিষের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও পুষ্টিবিদরা বলেন, গর্ভবতী নারীরা এটা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড প্রয়োজন, যা একজন গর্ভবতীর গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং ভিটামিন বি১১ খুবই প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই গর্ভস্থ শিশুর মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করার জন্য মটরশুটি খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও এই ফলিক এসিড আপনার শিশুকে নিউরাল টিউব ত্রুটির সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারবে। অনেক গর্ভবতীর সাধারণত এই সময় ডায়াবেটিস হয়ে থাকে, তাই মটরশুটি খাবারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সুষম খাদ্য এবং প্রোটিন খাদ্য থাকে।
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন দরকার হয়ে থাকে যা আপনার গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে মটরশুটি কাজ করে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা একজন গর্ভবতী মহিলার প্রয়োজন। যা খাদ্য হজম এর ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাই যে সকল গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা এই মটরশুটি খেতে পারেন।
গর্ভবতী নারীর গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আয়রনের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে আয়রনের প্রয়োজন হয়। তাই এই পুষ্টিকর খাবারটি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে এই মটরশুঁটি খেতে পারেন। গর্ভবতী নারীর গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন করতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করার জন্য এই মটরশুঁটি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে।
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক আছে যা একজন গর্ভবতী মহিলার খুবই প্রয়োজন। কেননা জিংক জাতীয় খাবার গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। তাই গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য এটা ভালো কাজ করে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন কে থাকে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজমের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করবে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে। এজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের তরকারি এর সাথে মটরশুটি খেতে পারেন।
সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সংক্রমণ করতে পারে। যেমন জ্বর ঠান্ডা সর্দি-কাশি হয়ে থাকে, এজন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। তার মধ্যে আপনি মটরশুটি খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং ঠান্ডা সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে ভিটামিন এ, ই ও সি থাকে যা আপনার শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেল গুলো দূর করতে সাহায্য করবে। তাই গর্ভবতী মায়েদের মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যেতে পারে। এজন্য মটরশুঁটি খেতে পারেন, কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, বিশেষ করে রঙ্গিন শাকসবজি গুলোর মধ্যে এন্টি এক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার হার্টের সমস্যা দূর করবে, এছাড়াও রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ রাখবে, যার কারণে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। এর মধ্যে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা গর্ভস্থ শিশু ও গর্ভবতী মাকেও সুস্থ রাখে। গর্ভবতী নারীদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ব্রণ উঠে থাকে যা দূর করার জন্য মটরশুটি খেতে পারেন।
গর্ভবতী নারীর সাধারণ ভিটামিন-এ, এর অভাব পূরণ করার জন্য মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে। কেননা গর্ভস্থ শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো করার জন্য এবং রাতকানা রোগ যেন না হয় সেজন্য ভিটামিন এ প্রয়োজন। যা মটরশুটির মধ্যে রয়েছে তাই নিয়মিত ভাবে এটা খেলে শিশুর রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাবে। একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় মানসিক সুস্থতা রাখা খুবই জরুরী। যার কারণে সেরটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। যা মটরশুটি খেতে পারেন কেননা এর মাঝে অ্যামাইনো এসিড ও সেরটোনিন হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য উপাদান থাকে। যা আপনার মেজাজ খিটখিটে থাকবে না।
মটরশুঁটি খেলে কি ওজন বাড়ে
আসলে মটর শুটির মধ্যে যে উপাদান থাকে তা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে ওজন বাড়তে পারে। তাই অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। তবে অনেক গর্ভবতী মায়ের সাধারণত এই সময়ে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায়। তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে। কেননা মটরশুটির মধ্যে ক্যালোরি খুবই কম থাকে, ফাইবার বেশি থাকে। যার কারণে অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তারা এই মটরশুটি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চিড়া খেতে পারেন।
মটরশুটি খাওয়ার অপকারিতা
প্রতিটি খাবারের যেমন উপকার আছে তেমন অপকারও রয়েছে। তাই মটরশুটি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
একজন গর্ভবতীর যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে মটরশুটি না খাওয়াই ভালো। গর্ভবতী নারীদের অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে আর এটা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধি করতে পারে, এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তা যা গর্ভবতী নারী অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে আয়রন ক্যালসিয়াম কার্যকারিতা ক্ষমতা কমে যায় এবং শোষণের ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে থাকে। যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা খাবেন না, কেননা ডায়রিয়া হতে পারে এছাড়া পেট ব্যথা এবং পেট ফুলে যেতে পারে।
যাদের অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই মটরশুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যাদের এলার্জির সমস্যা বেশি থাকে তারা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি খাওয়ার পরে অসুবিধা না হয় সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে পারেন। আর যদি অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে এই খাবারটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যদি এই ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই তারপরও অসুবিধা হলে বন্ধ রাখাই ভালো। গর্ভবতীদের পুষ্টির চাহিদার রয়েছে, তাই যদি মটরশুটি খেতে পারে তাহলে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। কিন্তু যদি অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
মটরশুটি কারা খাবেন না
এই মটরশুটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে কিন্তু যদি এটা অতিরিক্ত খাওয়া হয়। তাহলে আমাদের শরীরে বিরাট ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাছাড়া মটরশুটি কিছু লোকের খাওয়া যাবেনা। যেমন যাদের আইবিএস, পেটের সমস্যা রয়েছে তারা এই খাবারটি না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও এটা এক ধরনের শক্তি তাই এটা খাওয়ার পূর্বে কমপক্ষে ২০ মিনিট হালকা গরম পানির সাথে ভিনেগার মেশাবেন, ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর খেতে পারেন। বাচ্চাদের খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই পদ্ধতি গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এরপরে খেতে দিবেন তাহলে অসুবিধা হবে না।
মটরশুটি খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি মটরশুটি খেতে চান সে ক্ষেত্রে মটরশুটি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। কেননা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এই মটরশুটি আপনি সিদ্ধ করে সালাদের সাথে অথবা ভর্তা করে খেতে পারেন। অনেকে আবার এর ডাল খেতে পছন্দ করে অথবা অনেকে স্যুপ বানিয়ে খায় আবার অনেকে রান্না করে খায়। এটি পুষ্টিকর খাবার যা বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে। এটা এক ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করে খেতে পারবেন। তবে রান্না করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। যদি অতিরিক্ত তেল ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকেন সেক্ষেত্রে এর পুষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এটা বেলেন্ডার করে স্যুপ বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারবেন। এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফলিক এসিড থাকে যা গর্ভবতী এবং স্তন্যদান মায়েদের জন্য উপকার।
মটরশুটি খেলে কি গ্যাস হয়
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা অনেক কিছুই খেতে পারে না। তবে মটরশুটি খেলে কি গ্যাস হয়? এ সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নেই। মটরশুটির মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতার সাথে খেতে হবে। তবে এটা আপনি খেতে পারবেন সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে এটা যদি আপনি অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভেজে খান সে ক্ষেত্রে আরও গ্যাস্ট্রিক বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এই মটরশুটির গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও যদি মসুরের ডাল খান সেক্ষেত্র গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
মটরশুটি খেলে কি ইউরিক এসিড বাড়ে
অনেকে জানতে চায় যে মটরশুটি খেলে কি ইউরিক এসিড বাড়ে? আসলে কিছু খাবার রয়েছে যেটা শরীরের উপকার করবে তবে খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, মটরশুটি খেলে ইউরিক এসিড বাড়ে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যাদের পূর্বে থেকেই ইউরিক এসিডের সমস্যা রয়েছে বা সব সময় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে অনেকের এই ইউরিক অ্যাসিড বেশি বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের যাদের সমস্যা রয়েছে তারা মটরশুটি খাবেন না। কেননা এর মধ্যে যে উপাদান রয়েছে খাওয়ার পরে হাত পা ফুলে যেতে পারে। মটরশুটির মধ্যে প্রোটিন ও অ্যামাইনো এসিড প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে এটা আপনার শরীরে ইউরিক এসিড বাড়িয়ে দিবে। তাই তাদের পূর্বে থেকেই ইউরিক এসিডের সমস্যা থাকে তারা এই মটরশুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে গর্ভবতীরা নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে মটরশুটি
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেতে পারেনা। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে মটরশুটি এক্ষেত্রে কিভাবে মটরশুটি খেলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ যার কারণে রোগীকে অনেক খাবার নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হয়। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম করতে হয়, তবে খাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে এবং সকল খাবার খাওয়া যায় না। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু খাবার হয়েছে সেগুলো খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। তার মধ্যে আপনি মটরশুটি খেতে পারেন। কেননা এটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে দ্রুত কাজ করে থাকে। এর ভিতর কম ক্যালরি থাকে যার কারণে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পায় না, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাছাড়া এর মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
পোস্টটি লিখেছেনঃ
মোঃ মাহমুদুল ইসলাম
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার
উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
লেখকের শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আবার তাদের অনেক পুষ্টিরে প্রয়োজন হয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী এই মটরশুটি খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। তবে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী ও পরিমান মত খেতে হবে। কেননা এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ



এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url