গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে জেনে নিন ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি

অনেকে অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য রুটি খেয়ে থাকে, তাই গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে? এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে গমের রুটি খেলে ওজন কমবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়ম অনুযায়ী গমের রুটি খেতে পারেন। কেননা এই রুটি আপনার অতিরিক্ত চর্বি মেদ ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে। তাই গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগমের রুটি খেলে কি ওজন কমে জেনে নিন ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি

গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে

গমের রুটি অত্যন্ত পুষ্টি ও ওজন কমায় এবং শরীরের জন্য উপকার। তাই গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে? এজন্য কিভাবে রুটি খেলে ওজন কমবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত গমের আটার রুটি সবচাইতে উপকার বেশি। কেননা এর মধ্যে ভিটামিন বি১ থেকে ভিটামিন বি৯ পর্যন্ত থাকে। যা আমাদের পুষ্টির চাহিদা মিটাবে, এছাড়াও এর মাঝে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ফাইবার যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার পেট ভরা মনে হবে এজন্য অন্য কোন খাবারের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ হবে না। যার কারণে ওজন কমতে সাহায্য করবে।

গম থেকে সাধারণত লাল আটা হয়ে থাকে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের ম্যাগনেসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং ওজন কমাতে দ্রুত কাজ করে থাকে। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা গমের রুটি খেতে পারেন। কেননা এটা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাবে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। গমের রুটি এর মধ্যে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। যার কারণে আপনার শরীরের রোগ ব্যাধি হবে না। এছাড়াও হজমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে দ্রুত কাজ করবে।
এর মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম রয়েছে, এজন্য অন্যান্য খাবার খেলে যেমন ক্যালরি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু এই রুটি খেলে সাধারণত রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং বেশি বৃদ্ধি পায় না। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই গমের লাল রুটি খাবেন। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অন্যান্য সবজি এর সাথে গমের রুটি খাবেন। তবে অনেকেই শুধু রুটি খেয়ে যাবেন তা কিন্তু নয় সাথে অল্প পরিমাণ ভাত খাওয়া যেতে পারে। কেননা কার্বোহাইড্রেট এর প্রয়োজন রয়েছে।

অনেক পুষ্টিবিদ বলেন, যে ব্যক্তি ওজন কমাতে চান, সে যেন একটি মাজারী ধরনের গমের রুটি খায়। যার মধ্যে খুবই কম ক্যালোরি থাকবে, তবে এর মাঝে প্রোটিন আছে এবং ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি থাকে। যা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগাবে এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পুষ্টিবিদরা বলেছেন গমের রুটি দারুন কাজ করে থাকে কেননা এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি রুটি খেতে পারেন তাহলে পুষ্টিও পাবেন পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

ওজন কমানোর জন্য নিয়ম অনুযায়ী এই রুটি খেতে পারেন, আপনি যদি একসাথে চার থেকে পাঁচটি রুটি খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। পুষ্টিবিদগণ বলেছেন আপনার ওজন উচ্চতা অনুযায়ী কতটা রুটি একসাথে খেতে পারবেন, এটা একজন চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদ থেকে জেনে নিবেন। কেননা একজন চিকিৎসক আপনাকে সিদ্ধান্ত দেবে কতটি রুটি আপনি একসাথে খেতে পারবেন। তাই অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুষ্টিবিদরা যে চার্ট দিয়ে দিবে, সেই চার্টটি আপনাকে মেনে চলতে হবে, তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে।

গমের রুটির পুষ্টিগুণ

গমের রুটি আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। তাই গমের রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা থাকলে, শরীরে উপকার হবে। চলুন, এর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির কারণে সাধারণত আমরা ভাতের পরিবর্তে রুটি খেয়ে থাকি, সেই ক্ষেত্রে আপনি গমের রুটি খেতে পারেন। কেননা এটা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য উপকার করবে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এর সকল উপাদান রয়েছে। এছাড়াও আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন ই, জিঙ্ক রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকার। এছাড়াও এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

গমের রুটির কত ক্যালোরি

গমের রুটির মধ্যে ক্যালোরি থাকে, তাই গমের রুটির কত ক্যালোরি? যা আমাদের জানা প্রয়োজন। তাহলে শরীরে কতটুকু ক্যালোরির প্রয়োজন। তা নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেক আগে থেকেই মানুষজন রুটি খেতে পছন্দ করে থাকে। বিশেষ করে গমের রুটি, অনেকে শখ করে রাত্রিতে খেয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন রোগের কারণেও খেতে হয়। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে, সাধারণত রাত্রিতে বা সকালবেলা রুটি খেয়ে থাকি। তবে এই গমের রুটি পরিমাণ মত খেতে হবে, তা না হলে শরীরে ক্ষতি হবে। অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনার শরীরের কত ক্যালরি প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী রুটি খেতে হবে। যদিও গমের রুটির মধ্যে উচ্চ মানের ক্যালরি রয়েছে, তবে ১০০ গ্রাম গমের মধ্যে ২৭০ থেকে ৩০০ কিলোক্যালরি থাকে।

গমের রুটির উপকারিতা

গমের রুটি ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। তাই গমের রুটির উপকারিতা রয়েছে। গমের রুটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিনের উৎস হিসাবে কাজ করে থাকে। চলুন, এর উপকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গমের রুটির মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ই, জিংক পাওয়া যায়। আপনার চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে যদি আপনি এই রুটি খেতে পারেন, তাহলে আপনার চোখের ছানি পড়বে না। পাশাপাশি দৃষ্টি শক্তি ভালো করবে, তাই আপনার চোখকে ভালো রাখার জন্য এই রুটি খেতে পারেন। যারা ডায়াবেটিস এর সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গমের রুটি খেতে পারেন।কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে , যা আপনার রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করবে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করবে।
আপনার শরীরে যদি শক্তি যোগাতে চান সেক্ষেত্রে এই রুটি খেতে পারেন কেননা দ্রুত শক্তি যোগানোর ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে এটা আপনার শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করবে এছাড়া যার কারণে আপনার একটু কাজ করলেই ক্লান্তি বহুত মনে হবে না ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে তাছাড়া মন এবং শরীর ভালো থাকবে এজন্য আপনি যদি সারাদিন দুর্বলতা অনুভবকে দূর করতে চান তাহলে এই রুটি খেতে পারেন। আপনার ত্বক যদি বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায়, এক্ষেত্রে রুটি খেতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে যা ত্বককে উজ্জ্বল করে।

এর মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে আপনার শরীরে রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে, উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি দিবে। এছাড়া এর মধ্যে ভিটামিন বি৬ থাকে, যার কারণে আপনার ক্যান্সারের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এই রুটির মধ্যে যে ধরনের গ্লাইসিমেক ইনডেক্স থাকে, তা ভাত খেলে এর চেয়ে খুবই কম হবে। যার কারণে ভাত খেলে ওজন বাড়ে কিন্তু এই রুটি খেলে ওজন বাড়বে না। এটা খুবই দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে এবং শরীরে গ্লুকোজ থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়া খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ পেট ভরা মনে হয়, যার কারণে আপনার শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাবে না।

গমের রুটি খেলে কি গ্যাস হয়

অনেকে জানতে চায় যে, গমের রুটি খেলে কি গ্যাস হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তারা গমের রুটি খেতে পারবে কিনা। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

গমের রুটি আমাদের অনেক উপকার করে, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, বিভিন্ন রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তারা এই রুটি খেতে পারেন। গমের রুটির মধ্যে গ্লুটেন উপাদান রয়েছে, যা আমাদের অনেকের পেটে সমস্যা হয়, এতে দেখা যায় অনেকের পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে, বমি বমি লাগতে পারে। আবার যাদের আইবিএস এর সমস্যা রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক থাকে, যার কারণে তারা রুটি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে, এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারে।

গমের রুটির অপকারিতা

গমের রুটির অনেক উপকার আছে, তবে গমের রুটির অপকারিতা রয়েছে। গমের রুটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। তবে যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে ক্ষতি হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রুটি খাওয়া যাবে তবে পরিমাণমতো খেতে হবে। আবার অনেকে রাত্রিতে রুটি খায়, এতে সাধারণত পেটে গ্যাস হতে পারে বা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য সাধারণত গমের রুটি খেয়ে থাকে। তবে এই ধরনের অভ্যাস করা ঠিক হবে না। কেননা আপনার শরীরে পুষ্টির চাহিদা কমে যাবে। তাছাড়া অনেকের ত্বকের সমস্যা হয় এবং যদি গমের রুটি অতিরিক্ত খেলে অনেকের মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। রাত্রিতে যদি নিয়মিতভাবে রুটি খান সে ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা এবং ডিপ্রেশন বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া হজম শক্তি কমে যেতে পারে।

গমের আটার রুটি সংরক্ষণ

অনেকে রুটি সংরক্ষণ করতে চায়, তাই গমের আটার রুটি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার কষ্ট কম হবে। চলুন, কিভাবে সংগ্রহ করা যাবে এবং উপকার হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।

যখন আপনি গমের রুটি সংরক্ষণ করতে চাইবেন, সে ক্ষেত্রে আটার মধ্যে কিছুটা তেল দিতে পারেন। তেল দেওয়ার পরে রুটি তৈরি করবেন, দেখবেন রুটি নরম হবে। এরপরে ফ্রিজে রেখে দিবেন অথবা রুটি বানানো হয়ে গেলেও এর উপরে অল্প পরিমাণ তেল দিয়ে রেখে দিতে পারেন এবং একসাথে লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে না। তাছাড়া এমন একটি পাত্রের মধ্যে রাখতে পারেন যেখানে বাহিরের বাতাস যাবে না। এতে আপনার রুটি অনেকটা নরম থাকবে অথবা অনেকে পলিথিন দিয়ে বেঁধে রেখে দেয় সে ক্ষেত্রেও অনেকটাই নরম থাকে। আবার অনেকে ফ্রিজে রেখে দেয় সেক্ষেত্র নরম থাকে।
ফ্রিজ থেকে বের করে হালকা গরম করতে হবে, তবে ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া লাগবে। তারপর আপনি গরম করে নিতে পারেন। তবে এই রুটি বানানোর পরে ফ্রিজে বেশিদিন রাখবেন না। এতে আপনার রুটি আরও শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্রিজে ৫ থেকে ৭ দিনের মত রাখতে পারেন। আটা দিয়ে রুটি বানানোর ক্ষেত্রে কিছুটা ময়দা দিতে পারেন, এতে আপনার রুটি নরম থাকবে। এরপরে আপনি রুটিগুলো হালকা পেপার দিয়ে ভাজ করে রেখে দিতে পারেন, এতে দেখবেন যে ভেজা ভেজা ভাব ছিল সেটা উঠে যাবে, তারপরে ফ্রিজে রেখে দিলে নরম থাকবে।

গমের রুটি খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়

অনেকে জানতে চায় যে, গমের রুটি খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়? গমের রুটি খাওয়ার কারণে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে কি কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

গমের রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে কিন্তু যদি এটা পরিশোধিত গম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ফাইবার কম থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হতে পারে। যদি আপনি ফাইবার যুক্ত খাবার খান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে, তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিবে। তবে সব সময় শুধু রুটি খাওয়া যাবেনা, এর সাথে ফল শাকসবজি ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। আপনার পেটের সমস্যা থাকার কারণে এই গমের রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যা দেখা দেবে। বিশেষ করে যাদের আইবিএস এর রোগ রয়েছে তাদের এই সমস্যা বেশি হয়।

গমের রুটি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে

ডায়াবেটিস হলে অনেক খাবার খেতে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তাই গমের রুটি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা অধিকাংশ ডায়াবেটিসের রোগীরা রুটি খেয়ে থাকে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত সব ধরনের খাবার খেতে পারেনা। এ ক্ষেত্রে কোন খাবার কতটুকু খেতে হবে এই ধরনের অবশ্যই নিয়ম নিয়ম রয়েছে। যার মধ্যে গমের রুটি খেতে পারবে কিনা এটাও আমাদের জানতে হবে। গমের রুটির মধ্যে ফাইবার থাকে যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা নিয়মিত ভাবে দুইবেলা গমের রুটি খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খেতে হবে। তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে, আর যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ডায়াবেটিস ও বেড়ে যাবে।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা গমের রুটির ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা রয়েছে। বিশেষ করে এর মাঝে কিছু আটা রয়েছে যেগুলো খেলে সাধারণত ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ধরনের আটা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্যই লাল গমের আটা খেতে হবে, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে আটার রুটির চাইতে আর ছোলার রুটি খেতে পারেন, এতে পুষ্টি বেশি এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেননা ছোলার আটায় যে পদার্থ থাকে তা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও গ্লুকোজের শোষণ প্রক্রিয়া করতে পারে।

এই পোস্টের লেখক,
মোঃ মাহমুদুল ইসলাম
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার
উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ।

শেষ কথাঃ গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে জেনে নিন ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি

পরিশেষে বলা যায় যে, যদি আপনি ওজন ওজন কমাতে চান সে ক্ষেত্রে গমের রুটি খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে, তাছাড়া কতটুকু গমের রুটি খাবেন সেটা একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শক্রমে খেতে হবে। গমের রুটির ভিতরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। তাই গমের রুটি খেলে কি ওজন কমে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।